নিজে নিরাপদ থাকুন, অন্যকে নিরাপদ রাখুন

15914

কোভিড পরীক্ষার দীর্ঘ লাইন। সামাজিক দূরত্ব নামক নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়ানোর চেষ্টায় লাইন আরও দীর্ঘ। গরমের কারণে অনেকেই অল্প সময়ের জন্য মাস্ক নাকের নিচে নামিয়ে শ্বাস নিচ্ছেন, আবার মাস্ক ঠিকমত পরছেন। এই আবহাওয়ায় লাইনে দাঁড়ানো বয়স্ক এবং শিশুদের কষ্ট অবর্ণনীয়। এরই মাঝে দুজন যুবক এসে লাইনের মধ্যে এদিক-সেদিক তাকাচ্ছে। একজনকে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো, “করোনা হলে কি করতে হয়?” বাঙালি এসব ক্ষেত্রে সাহায্যে দ্বিধা করে না, তাদের জানালো হলো আগে পরীক্ষা করতে হবে, তারপর চিকিৎসা। পরীক্ষার জন্য কিভাবে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে সেটাও জানানো হলো। কিন্তু আরও দুই তিনজনকে তারা জিজ্ঞেস করলো, “করোনা হলে কি করতে হয়?” তারাও রেজিস্ট্রেশনের কথা বললো। এসব জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে ওই দুই যুবক লাইন ঠেলে কাউন্টারের সামনে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
– করোনা হইলে কি করতে হইবো?
– আগে টেস্ট করাতে হবে।
– টেস্ট করছি, পজেটিভ আসছে।

কাউন্টার থেকে জানতে চাওয়া হলো,
– রোগী কই?

যুবকদের একজন উত্তর দিলো,
– আমরা দুইজনই রোগী। করোনা টেস্টে পজিটিভ আসছে।

কাউন্টার থেকে তিনজন চেঁচিয়ে উঠলেন,
– আপনাদের মাস্ক কই?
– দমবন্ধ লাগে, পরি নাই।
– আপনারা বাইরে ক্যান?
– বাড়িতে ভাল্লাগে না।

উপরের ঘটনা কল্পনা নয়, শতভাগ বাস্তব। সরকারিভাবে করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে সক্ষমতা থাকলে হয়তো তাদের ট্রেস করে সবাইকে পরীক্ষা করা হত। কিন্তু চিকিৎসকদের ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই। করোনা পরীক্ষায় পজেটিভ এসেছে এমন লোক বাইরে ঘুরে বেড়ানোর ঘটনা বিরল নয়, আমাদের চারপাশেই আছে। আবার কে করোনা ভাইরাস বহন করছে আর কে করছেনা সেটাও পরীক্ষার আগে বোঝা সম্ভব নয়। তাই যারা লাইনে দাঁড়াচ্ছেন তারা কষ্ট হলেও নিজের নিরাপত্তার স্বার্থেই মাস্কটা খুলবেন না, আর যারা কোভিড পজেটিভ কিন্তু খুব অসুস্থ হননি তাদের ঘরের ভিতর থাকতে ভালো না লাগলেও ঘরে থাকুন। জনে জনে করোনা ভাইরাস দান করায় কোনো কৃতিত্ব নেই।

জনস্বার্থে- নিজে নিরাপদ থাকুন, অন্যকে নিরাপদ রাখুন।

4 thoughts on “নিজে নিরাপদ থাকুন, অন্যকে নিরাপদ রাখুন

  1. নিজেকে নিরাপদ রাখতে হবে, নিজের পরিবারের জন্য অন্যকেও নিরাপদ রাখতে হবে।

  2. সচেতনতামূলক পোস্টটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।  

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।