উনিশের ঘাট পেরিয়ে

এই গাছের পিছনে যে মাঠ, তার পাশে নদী
নদীর পাড় ঘেসে যে রাস্তা নাক বরাবর গেছে
আমি হাঁটছি সে রাস্তায়, নাড়ী পোঁতা টানে
হেঁটে যাচ্ছি, পায়ের দাগে দাগে অনুভব করছি
কোমল মায়া, টানছে নিকানো উঠানের কোন
লাগানো টগর গাছ, কোন এক ভোরে পিতা
মমতা মাখানো হাতে রেখেছিলেন প্রাণের
মায়া টগরের চারা মেলেছিল ডালপালা

উনিশের ঘাট পেরিয়েছি গতকাল, কতকাল
হাঁটি নি উঠানের কোনে, দুলি নি দোলনায়
টগরের গন্ধমাখা বাতাসে কতকাল উড়ে নি
ওড়না, প্রাণের আবেগে কণ্ঠ খোলা স্বরে
ডাকে নি কতকাল কেউ আমারে, আমার
উঠোন, নাড়ী পোঁতা উঠোন, আরেকটি বার
ক্ষমা করে ডেকে নাও, টগরের ডালে ডালে
লিখে রাখা হাতের ছাপের কসম, হারাবো না
কোনদিন আত্মঘাতী সময়ের স্রোতে, চোরাপথে
মাড়াব না পা, নিজেকে আর বিকাবো না
ভুলের বাজারে, পরিশুদ্ধ সময়ের পাড়ে নিজের
বোঝাপড়ায় নিজেকে পোড়াব, ফিরে যাবো
নিজস্ব সত্ত্বার কাছে, নাড়ী পোঁতা মাটির কাছে
আগুনের ছাইয়ে পুড়ে ভুলেরাও পরিশুদ্ধ হয়

3 thoughts on “উনিশের ঘাট পেরিয়ে

  1. অনেক সুন্দর একটি কবিতা। শুভেচ্ছা প্রিয় মকসুদ ভাই।

  2. আগুনের ছাইয়ে পুড়ে ভুলেরাও পরিশুদ্ধ হয়
    //সুন্দর উপস্হাপনা কবি।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।