প্রান্তের আকাশ

প্রান্তের আকাশ

পৃথিবীর প্রান্তে একজন মানুষ জন্মালে
আমি জিজ্ঞাসিত হই, ইচ্ছুক উত্তরে
আমার আত্মা মানব জনমের দৃঢ়তায়
মোহনীয়তায়, কমনীয়তায় আপ্লুত হলে
প্রান্তের আকাশ দেখায় উজ্জ্বল তারা ।

কপর্দকশূন্য অস্তিত্বে অনাদি আত্মা
আবশ্যিক কারণে ভগ্ন মনোরথে
ধাবিত হলে তারার উজ্জ্বলতা
দিক ভ্রষ্ট নাবিকের
কম্পাসের মত আস্থায় ফিরে আসে।

আমি ভাবি- একদিন সমুদ্র পাড়ি দিতে হবে
পরে নিতে হবে আগুনের মুকুট
বিকেলের রোদে বাড়ি ফিরে
পুনরায় দাঁড়াতে হবে শপথের মাঠে।

আমার পৌরুষ পিতা মানুষের মাঠে
তর্জনী হেলিয়ে ছিলেন
পিছু নিয়েছিল লক্ষ কোটি মুষ্টিবদ্ধ হাত
তাঁর শিক্ষায়, পথ নির্দেশনায়
মানুষ শিখেছে সূর্য করায়ত্তের বিদ্যা
পৌরুষ পিতার পদতলে
গড়াগড়ি খেয়েছে সময়
তর্জনীর বিভায় পুড়েছে
অসংখ্য কালের রাখাল।

তাঁর উচ্চতায় হিমালয় খাটো হলে
অবাক লাগে না, নিজস্ব জীবন মন্থনে
পাওয়া অমৃত পান করে
পিতা পেরিয়েছেন অমরত্বের সকল স্তর
জগতের যাবতীয় অর্জন তাঁর তেজের কাছে তুচ্ছ।

আমার পৌরুষ পিতা আকাশের প্রান্তে
হয়ে আছেন ঝলমলে আকাশ
ছেয়ে আছেন বাংলাদেশ- বাঙ্গালীর অন্তরীক্ষ
এ জাতির ঈশ্বরত্ব তাঁকেই মানায় ।

1 thought on “প্রান্তের আকাশ

  1. কপর্দকশূন্য অস্তিত্বে অনাদি আত্মা
    আবশ্যিক কারণে ভগ্ন মনোরথে
    ধাবিত হলে তারার উজ্জ্বলতা
    দিক ভ্রষ্ট নাবিকের
    কম্পাসের মত আস্থায় ফিরে আসে। … https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।