বৃটেনের প্রতিটি বাড়ি আজ বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত, প্রতিটি মানুষ আগন্তুকের মত। একে অন্যকে চেনে না, পাশের বাড়ি সংরক্ষিত এলাকায় পরিণত হয়েছে।
করোনা একটি দেশকে ভুতুড়ে দেশে পরিণত করেছে। অসহায় মানুষ একাকী চিলের মত মধ্য দুপুরে বেদনার কান্না করছে।
ভাই ভাইয়ের হাত ধরছে না, পিতার নির্ভরতার আঙুল কবরে শোয়ে পড়েছে। স্তব্ধ মা তাকিয়ে আছে দূর দিগন্তের দিকে, তার চোখে দীঘির কালো জল।
স্ত্রী ভুলে গেছে স্বামীর সোহাগ, দীর্ঘ খরায় স্বামী আত্মহননে উদ্যমী হচ্ছে। রাস্তার ল্যাম্পপোস্ট উদাসী, গায়ে হেলান দিয়ে জিরানোর কেউ নেই।
চোখের সামনে রাস্তা বদলে যাচ্ছে। চোখের সামনে বাড়ি বদলে যাচ্ছে। মানুষের ভিড়ে হাঁসফাঁস করত যে বাজার সেখানে আজ কবরের নীরবতা।
চোখের সামনে মানুষ মারা যাচ্ছে। চোখের আড়ালে মানুষ মারা যাচ্ছে। তপ্ত দুপুরে মানুষ মারা যাচ্ছে। মধ্যরাতে মানুষ মারা যাচ্ছে।
আজ যে জলজ্যান্ত মানুষ কাল সে লাশের সারিতে। মানুষের লাশে পৃথিবী ভারী হচ্ছে। মানুষ নিশ্চিহ্ন হচ্ছে। করোনা মুছে দিচ্ছে পৃথিবীতে মানুষের চিহ্ন।
1 thought on “লিখে_রাখি_করোনাকাল_৩৯”
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
সময় একই রকম যায় না, থাকে না। আমাদের জীবন যাত্রায় ফিরে আসবেই সুদিন।