প্রদর্শনীর অপর পিঠে
যখন পর্দা নামে;
মঞ্চের নর্তকী মুখের
ময়দা ধুয়ে ফিরে
নিজস্ব অবয়বে;
মঞ্চের ভাড়া উসুল করতে
রিং মাস্টার যখন হিসেবে মত্ত
তখন প্রতিকাশে একটি
তারা খসে পড়ার খবর আসে।
একটু আগেই নর্তকীর
দেহবল্লরী আগন্তুকের মনে
কাঁপন ধরিয়েছিল;
সঙ্গমের সুখানুভূতি
নিয়ে ঘরে ফিরে যাচ্ছিল।
প্রতিকাশের অন্য ইচ্ছায়
পরাস্ত আগন্তুক ঘরে পৌঁছাবার পূর্বেই
অন্য কোথাও পৌঁছে গেল,
এই তার শেষ যাত্রা।
এরপরে পর্দা উঠলে
অন্যকোন নতুন নর্তকী
গাইবে যৌবনের গান;
তার দেহবল্লরী
অন্য আগন্তুকের শরীরে
আগুন ধরাবে, একদিন সেও
যাবে শেষ যাত্রায়।
প্রতিকাশের ইচ্ছার বিপরীতে
জীবনের ধারাবাহিতা
চলতে থাকবে, চলতে থাকবে
আগন্তুক নর্তকীর দ্বৈরথ।
প্রতিকাশের ইচ্ছার বিপরীতে
জীবনের ধারাবাহিতা
চলতে থাকবে, চলতে থাকবে
আগন্তুক নর্তকীর দ্বৈরথ।
আপনার লেখা দ্বৈরথ শিরোনামে কবিতাটা পড়ে মুগ্ধ হলাম, শ্রদ্ধেয় কবি।
শুভকামনা থাকলো।