শেফালিকে আমি চিনি
এক সময় চিনতাম
ওই পাড়ায় থাকে
সন্ধ্যার পরে অতি অতি
অভিজাত যে পাড়ায়
ভীড় করে।
এক দুপুরে এক কাপ
চা ভাগ করে খাওয়ার
সুযোগ হয়েছিল।
চা খেতে খেতে ভবিষ্যৎ মুখী
কিছু কথা
কিছু আশা, কিছু স্বপ্ন।
শেফালি চৌদ্দ’র ছিল
এখন চব্বিশ, যৌথ স্বপ্নের
প্রথমে পিতৃবিয়োগ
পরে মাতৃ।
মামাশ্রিত গঞ্জনা অসহ্য হলে
বিদ্রোহী শেফালি;
ফলাফল বাস্তুচ্যুত।
পিতামাতার ছায়া আমার
মাথায় এখনও বিদ্যমান
তাদের আশির্বাদে
আমি অভিজাত হয়েছি।
মাঝেমধ্যে ওই পাড়ায়
যৌথ স্বপ্ন দেখতে যাই
মন্দ লাগে না।
যাপিত জীবনের অসাধারণ চিত্রপট। শুভেচ্ছা রইলো প্রিয় কবি আবু মকসুদ ভাই।