ছোটবেলা আমাদের এক হাটুনদী ছিল। আমরা ‘কোদালি ছড়া’ নাম দিয়েছিলাম। আমাদের বয়স যখন দশ তখনো এই নদী আমাদের হাটু ডুবাতে পারেনি। হাটুর বয়সী নদীর জন্য অত্যাধিক দরদ ছিল। এই নদী ইয়ার কিংবা দোস্ত ছিল। তার বুকে সারাক্ষণ দাপাদাপি করতাম। এখন আমাদের বয়স পঞ্চাশের অধিক, অনেকের হাটুতে বাত এসে ভর করেছে, ব্যথায় ভাল করে হাঁটাচলা করতে পারি না। যে নদী তখন আমাদের হাটুর সমান ছিল, এখন সে প্রত্ন গবেষকদের আগ্রহের বিষয় হওয়ার কথা কিন্তু এখানে চিত্র একেবারেই ভিন্ন। এখন এই নদী পেরুতে গেলে আমাদের কোমর ডুবে যাবে।
আমাদের মধ্য বয়সে সে যৌবনপ্রাপ্ত হচ্ছে, এজন্য ঈর্ষা বোধ করলেও শ্লাঘা অনুভব করছি। আমরা জীবনে অনেক উচ্চে যেতে চেয়েছিলাম, গতির ঘোড়ায় চড়ে এভারেস্ট মাড়াতে চেয়েছিলাম। আমাদের খুব তাড়াহুড়া ছিল, অতি অল্প সময়ে অতি অধিক এর পিছনে আমরা ছোটাছুটি করছিলাম। তার কোনো তাড়াহুড়ো ছিল না, সে অতি ধীরে তার চলা অব্যাহত রাখছিল। আমরা খরগোশ গতিতে কিছু দূর গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। সে জানতো কচ্ছপের জয় হয়, আজ সে জয়ী হয়েছে। আমাদের খেলার সাথী পুনঃ যৌবন প্রাপ্ত হয়েছে দেখে খুব ভালো লাগছে।
সে জানতো কচ্ছপের জয় হয়, আজ সে জয়ী হয়েছে। আমাদের খেলার সাথী পুনঃ যৌবন প্রাপ্ত হয়েছে দেখে খুব ভালো লাগছে।