পিনাকীর দুই দিদি

আমাদের বন্ধু পিনাকীর দুই কাজিন ছিল এই দুই কানিজের জন্য পিনাকীর সাথে বন্ধুত্ব করার একটা প্রতিযোগিতা ছিল, বন্ধুত্ব হয়ে গেছে; কিন্তু কে কত ঘনিষ্ঠ, বিশ্বস্ত বন্ধু প্রমাণের জন্য পুনরায় প্রতিযোগিতা হত।

পিনাকী চালাক ছিল আমরা যে তার কাকাত দুই বোনের জন্য প্রয়োজনাতিরিক্ত খাতির যত্ন করি বুঝতে পারত, কিন্তু ভাবেসাবে বুঝতে দিত না। আমাদের খাতির যত্ন সে এনজয় করত।

বলাবাহুল্য তার বোনেরা আমাদের পাত্তা দিত না, কারণ বয়সে আমরা ছোট এবং চালচুলোহীন। আমরা প্রেমে বিশ্বাসী ছিলাম; প্রেমের কাছে বয়স কিংবা অবস্থা বিবেচ্য হয় না। মহান প্রেমিক যারা ছিলেন তাদের চালচুলোর কোন বিবরণ পাওয়া যায় না।

ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার আগে এক মাসের ব্যবধানে পিনাকীর দুই দিদির বিয়ে হয়ে যায়, দুই দিদির বিয়েতে পিনাকী মনমরা, সেটা দিদি বিয়োগে না বন্ধুত্বে ধার কমে যাওয়ার ভয়ে বুঝা না গেলেও সে যে বিমর্ষ স্পষ্ট দেখা গেল।

আমাদের দুই প্রেমিকা হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় আমরাও মনমরা কিন্তু এর জন্য পিনাকীর সাথে বন্ধুত্বের কোন হেরফের হল না। পিনাকীর মা অর্থাৎ আমাদের মাসীমা নিজের ছেলের মত যত্ন করে বিভিন্ন পদ রান্না করে খাওয়াতেন, এই নিখাদ ভালবাসা মিস করতে চাইতাম না।

তার দিদিরা পুজোয় বাড়ি আসত ভাইয়ের জন্য কোন উপহার নিয়ে এলে ভাইয়ের বন্ধুদের কখনো ভুলত না।

আমরা দুই দিদির পায়ে প্রেমের অর্ঘ্য দিতাম, দিদিরা সেই অর্ঘ্য স্নেহের সিন্দুকে জমা রাখত। একদিন আবিষ্কার করলাম আমরা আসলে স্নেহের কাঙাল ছিলাম; আমাদের কাঙালপনা ঘুচিয়ে দিতে পিনাকীর দুই দিদি কোন কসুর রাখত না।

পিনাকী এখনো আমাদের বন্ধু, সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু। তার দুই দিদি আমাদের অতিপ্রিয় বড় দুই বোন।

1 thought on “পিনাকীর দুই দিদি

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।