নীতি কথার শান্তি বাবার অশান্তি ধরা পড়েছে, তাকে টেবিলের পায়ার সাথে দড়ি দিয়ে বাধা হয়েছে। স্কুলের সভাপতির কাছে খবর গেছে তিনি এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত।
শান্তি বাবু স্কুলের সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক। স্কুলে যেভাবে সমাজের ভালমন্দ নিয়ে উপদেশ দেন, স্কুলের বাইরেও তার উপদেশ বর্ষণের জ্বালায় টিকা মুশকিল।
শিক্ষক মানুষ উপদেশ দিতে চাইলে শুনতে হয়; না শুনে উপায় থাকে না। স্কুলে এবং স্কুলের বাইরে তাকে ভাল, আদর্শবান মানুষ হিসাবে সবাই চিনে, জানে।
মুশকিল হল যারা অতি মাত্রায় আদর্শ কপচায় তাদের নিজের ভিতরে থাকে অন্ধকার। শান্তিপদ শর্মা নিজের ভিতরের অন্ধকার আড়াল করতে অন্যকে উপদেশ বর্ষণ করে।
নন্দিতা ক্লাস সিক্সের ছাত্রী দেবতুল্য শান্তিপদ তার জামা খুলতে চেয়েছে, এটা বিশ্বাস করতে পারছে না। সে ক্রমাগত কাঁদছে তার বিশ্বাস ভেঙ্গে পড়েছে।
শান্তিপদের স্বরূপ উন্মোচিত হলে সবাই অবাক হয়, বিশেষ করে তার ছাত্ররা; যারা তাকে দেবতা জ্ঞানে পুজা করত।
বিশ্বাস ভেঙ্গে গেলে প্রথমেই উপরের ক্লাসের ছাত্রছাত্রী কিলঘুসি দিতে এগিয়ে আসে। শিক্ষকেরা দ্বিধান্বিত বাধা দেবেন কী দেবেন না। স্কুলের দপ্তরী জগদীশ দড়ি জোগাড় করে টেবিলের পায়ার সাথে বেধে ফেলে।
স্কুলের সভাপতি এসেছেন; আসার পথে পুলিশকে ফোন করেছেন। কিছুক্ষণ পরে পুলিশও হাজির। শান্তিপদ শর্মা পুলিশের মেহমান হয়ে চলে গেল।
শান্তিপদের মেয়ে স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী, বাবা চলে যাওয়ায় তার ভীষণ মন খারাপ। জামা খুলতে চাওয়ায় পুলিশে দিতে হবে কেন! বাবাতো প্রায়ই তার জামা খুলে…
জীবনের গল্পে আরেক চেনা গল্পের ছায়া।