তিন লাইনের তিনটি অণুগল্প

তিন লাইনের তিনটি অণুগল্প
_______________________

#
ইস! এক টাকা কম থাকার কারণে একটা গোল্ড লিফ কিনতে পারলাম না। মানিব্যাগের চিপায় তিন কয়েন মিলিয়ে সাত টাকা পেলাম।

জীবন এমন ছোট ছোট ইস-এর সমন্বয়ে কেবলি সামনে আগায়।

#
আমি আমার দুইটি প্রিয় শহর হারিয়েছি। সেখানের সম্পর্কগুলি কি আমাকে ত্যাগ করেছে, না আমি তাদের ছেড়ে এসেছি-জানি না।

এখন আমি এক মধ্যবর্তী শহরে নিজের মতো আছি।

#
আমি এক মেয়েকে ফোনে পঞ্চাশ টাকার মেয়ে বলায়, সে খুব তীব্রভাবে রিয়্যাক্ট করলো-কষ্ট পেলো, কাদলো।
আমি ইতিবাচক পথে অনুতপ্ত হৃদয় নিয়ে, নতুনভাবে তাকে অনুভবের চেষ্টা করলাম।

পরের দিন সে আমার কাছে ২০ হাজার টাকা দাবী করলো।

মামুন সম্পর্কে

একজন মানুষ, আজীবন একাকি। লেখালেখির শুরু সেই ছেলেবেলায়। ক্যাডেট কলেজের বন্দী জীবনের একচিলতে 'রিফ্রেশমেন্ট' হিসেবে এই সাহিত্যচর্চাকে কাছে টেনেছিলাম। এরপর দীর্ঘ বিরতি... নিজের চল্লিশ বছরে এসে আবারো লেখালখি ফেসবুকে। পরে ব্লগে প্রবেশ। তারপর সময়ের কাছে নিজেকে ছেড়ে দেয়া। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৬ তে 'অপেক্ষা' নামের প্রথম গল্পগ্রন্থ দিয়ে লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ। বইমেলা ২০১৭ তে তিনটি গ্রন্থ- 'ছায়াসঙ্গী'- দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ, 'ঘুঙ্গরু আর মেঙ্গরু'- উপন্যাস এবং 'শেষ তৈলচিত্র'- কাব্যগ্রন্থ নিয়ে সাহিত্যের প্রধান তিনটি প্ল্যাটফর্মে নিজের নাম রেখেছি। কাজ চলছে ১০০০ অণুগল্প নিয়ে 'অণুগল্প সংকলন' নামের গ্রন্থটির। পেশাগত জীবনে বিচিত্র অভিজ্ঞতা লাভ করেছি। একজন অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রভাষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। পোষাক শিল্পের কর্মকর্তা হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছি। লেখালেখির পাশাপাশি সাংবাদিকতা করছি। লেখার ক্ষমতা আমি আমার ঈশ্বরের কাছ থেকে চেয়ে নিয়েছি। তাই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত লিখেই যেতে হবে আমাকে।

3 thoughts on “তিন লাইনের তিনটি অণুগল্প

  1. এমন অসংখ্য সব গল্প সমাহার আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গী।

  2. ইস!
    মামুন ভাই বহুদিন আপনাকে পাই নাই। সেই যে বই মেলা তারপর বহুদিন চলেগেছে বহুদিকে। মাঝে আমিও ছিলাম না বেশ কদিন, নানান জায়-ঝামেলা গেছে।

    আজ এসে আপনার পোস্ট দেখে কি যে আনন্দ হল!

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।