কবিত্বের বংশধর

bd-pratidin-2016-07-01-011

অচিনপুরের আকাশে- তারা হয়ে আছে কবি,
বাস করত সারিয়াকান্দির সরকার বাড়ি !
কত না তাঁর কবিতা লেখার গালগল্প শুনেছি-
নামটি তাঁহার ছিল নাকি আকবর হোসেন সরকার !
ভাবচিন্তায় মুগ্ধ করে কখন জানি হয়েছিল কবি।

ঐ শস্যশ্যামল মাঠপ্রান্ত জুড়ে রাস্তার মোড়ে-
হেঁটে যেতে যেতে তিনি, কবিতা, পুঁথি লিখতেন
চাতক পাখির মতো আবৃত্তির সুরে সুরে উড়তেন-
আর ময়ূরপঙ্খীর মতো ফ্যাকম মেলে চলতেন।
কি বেদনা কি অফসোস এতটুকু -কবিতাকে
ভালো বেসে বেসে চিরকুমার থেকেই মূত্যু!

ওহ বংশের পরিচয়ে এই আমরা কয়ক জন-
আত্মার আত্মীয় লাগে যে জেঠা -শুধু কি তাই-
তাঁর কবিত্বের প্রেম ছোড়ানো পূবালী বাতাস বুঝি-
গায়ে এসে একটু একটু লেগেছে আমায় !
জেঠা তোমাকে জানাই এই কবিতা গুরুদক্ষিণা-
বেঁচে থাকো শুধু আমার কবিতার প্রতিটি চয়নের বিনম্র শ্রদ্ধায়!
কবি আকবর হোসেন সরকার-তোমার কবিত্বের বংশধর;
আমাকে চিনেতে পারবে জেঠা ? তোমার কবিতার চয়ন মায়ায়।
২৮/০২/১৭
———–

আলমগীর সরকার লিটন সম্পর্কে

আলমগীর সরকার লিটন। লেখকের প্রথম কবিতা প্রকাশ হয় ‘দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘ভিজে যাই এই বর্ষায়’ এরপর লেখকের অন্যান্য কবিতা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে যেমন- ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা "মেঘফুল", ত্রৈমাসিক পত্রিকা ’পতাকা’, মাসিক ম্যাগাজিন, সংকলন ‘জলছাপ মেঘ’। এছাড়া অনলাইন পত্রিকায় লিখে থাকেন। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ’’মেঠোপথের ধূলিকণা’’ প্রকাশিত।

4 thoughts on “কবিত্বের বংশধর

  1. খুবই সুন্দর ডেডিকেশন।
    কবি আকবর হোসেন সরকার কে আমাদেরও বিনম্র শ্রদ্ধা। অভিনন্দন মি. সরকার। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

    1. জ্বি মালেক দা
      আমার জেঠা একজন সেই সময়ের ভাল কবি ছিলেন

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।