”বগুড়ার আঞ্চলিক ভাষায় লেখার চেষ্টা করেছি”
একদিন আব্বাক কনু হামাক আনা
কানছেগেরি দেখবার নিয়ে যাও তো;
হামী যমুনা নদীও দেখে আসমুহিনি!
আব্বা কল মেলাদূর- ওদে গাও পুড়ে
যাবিহিনি তোর বাবা ; পুড়ে পুড়ুক গে।
আব্বা কল কিসেন হছে পাট নিরেচ্ছে
হামী পান্তা নিয়ে যামু, হামী তখন কান্দন জুড়ে
দুনু মাটির মধ্যে গরমারলেম আব্বা কল মাথল
মাথাত দিয়ে চল ক্যাকা চুদন বুঝিসহিনি;
আইলের দিয়ে হাটে যাছি আর পরে যাছি
হামী তো আবার কান্দন জুড়া দিনু ও আব্বা
হামী আর হাটবের পারছি না আব্বা কল তথন
হামার গারে উঠেক- বাবার কষ্ট হছে তাও গেলাম;
দুপুর হলো ওদে পুড়িযাছি বিকাল হলো তারপর
আব্বা কল উযে ঝাউগাছ দেখুছু ওটা হলো তোর
দাদার কমরমাঝি ভি মেলাকরে কাউন হয় কি সুন্দর
আব্বা হাছেম চাচাক কল ছিকের মধ্যে বসে ওক বাড়িতে
নিয়ে আসেক আর মনে মনে কলেম আর কোনদিন কানছেগেরি
দেখতে যামুনা- এখন কানছেগেরি শালা যমুনার পেটের
মধ্যে ভাসে গেছে আব্বাক আর কইনা চলতো আনা
নদী দেখে আসি, কানছেগেরি এখন বালুচর তোমার
নাত নাতীরা নামী শুনবি হামাগিরে কানছেগেরি ভিছিল।
০৪ আশ্বিন ১৪২৬, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০
————————————
খুব আকর্ষণীয় লেখা । ভালো লাগলো।
অশেষ ধন্যবাদ জানাই মহী দা
বগুড়ার আঞ্চলিক ভাষায় আপনার লেখা খুবই ভালো লাগলো দাদা। তো আপনি কি বগুড়ার কৃতী সন্তান? শুভকামনা থাকলো দাদা।
জ্বি প্রিয় কবি নিতাই ঠিক ধরেছেন অশেষ ধন্যবাদ জানাই
বগুড়ার ভাষায় রচিত আপনার কবিতাটি পড়লাম বাউল কবি আলমগীর সরকার লিটন। একটি বিষয় অনুধাবন করলাম যে, আঞ্চলিক ভাষায় কবিতা লিখা সহজ কাজ নয়।
জ্বি মুরুব্বী দা
শব্দগুলো সঠিক হয়েছে কি জানি না ভুল হলে জানাবেন
হামাগিরে কানছেগেরি ভিছিল
বাপরে কি কঠিন ভাষাগো দাদা!!!! অর্ধেকটাই যে মাথায় আসলো না তার কি করবো?
জ্বি রিয়া দিদি অনেক দিন পর কেমন আছেন করোনাকালের সময়
হ্যা আঞ্চলিক ভাষা বুঝা একটু কঠিন হবে কষ্ট করে পাঠ করেছে জেনে
অশেষ ধন্যবাদ জানাই ভাল ও সুস্থ থাকবেন কবি দিদি
লিটন দাদা , কবিতার কিছু বুঝলাম। আবার কিছু বুঝলাম না এখন কি হবে দাদা ?
না কি হবে আঞ্চলিক ভাষা বুঝা একটু কঠিন কষ্ট করে পাঠ করেছে জেনে
অশেষ ধন্যবাদ জানাই ভাল ও সুস্থ থাকবেন কবি আপু
আঞ্চলিক ভাষা তেমন একটা বুঝিনা , অল্প অল্প বুঝেছি ভালো লেগেছে…………
জ্বি কবি দিদি অশেষ ধন্যবাদ জানাই