একদা নীরবতা ভাঙ্গতেই অতিশয় উদগ্রীব হয়ে উঠেছিলাম !
মৌনতা যেন মুক করে তুলেছিল আমার সমগ্র সত্তাকে
এবং আমি এতটা বধির হয়ে গিয়েছিলাম যেন,
পৃথিবী এবং সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডের কোথাও কোন শব্দ ছিল না আমার জন্য ।
কোন ভাষা ছিল না কোন কিছু বুঝবার কিংবা বোঝাবার,
নির্ঝরের নি:শব্দ উৎপত্তি অত:পর সশব্দ বয়ে চলার মাহাত্ব
এবং সেই সব সুর ও লহরীমালা
নিরর্থক ছিল যেন যুগ যুগ ধরে,
কেননা আমার বধিরতা আমাকে আবিষ্ট করে রেখেছিল
কোন এক গভীতর ঘোরে !
অত:পর অকষাৎ নিজেকেই নিজের সশব্দ কষাঘাত
এবং ধ্বনির অনুপ্রবেশ কর্ণকুহরে
আমাকে সচকিত করে তোলে যেন,
জড় স্থির তনু মনে শব্দের আন্দলোন
আমাকে ভীষনই চঞ্চল করে তোলে !
বেসামাল সময়ের সাথে সাথে গতিময় জীবন
যেন স্রোতের টানে ভেসে যাওয়া জলজ উদ্ভিদের মতোন,
অথবা ঘুর্ণিঝড়ের মাঝে একখানা খোলা চিঠি
এবং তার অশ্রুত শব্দমালার হারিয়ে যাওয়া,
জীবনের এই কোলাহল
পুনরায় আমাকে ভীষনই অশান্ত করে তোলে !
শ্রবন অযোগ্য শব্দত্তর তরঙ্গ
আমাকে আবারও বধির করে তোলে যেন,
নিয়ে যায় শব্দেতর তরঙ্গ বিলাসে
যেখানে নীরবতার ভাষা শুধু নীরবতাই বোঝে !
১৭ মে, ২০১৬
আপনার আজকের এই লিখাটি নিঃসন্দেহে একটি অনবদ্য লিখা।
আমার কাছে বেশ লেগেছে। অভিনন্দন মি. আনিসুর রহমান।
অশেষ ধন্যবাদ মুরুব্বী স্যার আপনার নিরীক্ষণ ও ভালো লাগার জন্য !












শুভ সকাল মি. আনিসুর রহমান।