শুরুতে আমি তোমার দিকে হালকা চেয়ে দেখেছিলাম। আস্তে আস্তে কিভাবে যেন তোমাতে নিমজ্জিত হয়ে যেতে লাগলাম। নিজেকে না পারি রাখতে, না পারি বুঝাতে। কি যে করি? মুশকিলে পড়ে গেলাম। তবে তোমাতে নিমজ্জিত হয়ে ভালোই লাগতে লাগলো। নিজেকে যেন অন্য কোথাও খুঁজে পেতে লাগলাম। ভালোই যাচ্ছিল তোমার আমার দিনগুলি। ঠাকুমার ঝুলি গল্পের মতো কখনো মজার কখনো বা ভয়। ভেবেছিলাম এভাবেই হয়তো যাবে আমাদের সময়গুলো।
কিন্তু আমিও কেমন পাগল দেখো, ঠাকুমার ঝুলিতে যে গা ছমছমে কি হয়, কি হয়, একটা বিষয়ও ছিল আমি তা একদমই ভুলে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ জানাই তোমাকে, আমাকে সেই কথাটা মনে করিয়ে দেবার জন্য।
প্রতিটা গল্পের মাঝেই একটু ভয় ভীতি থাকা ভালো। আর তা যদি নাই থাকে তাহলে গল্পের মজাটা কোথায় গেলো? আমিও তেমনি ভয় পেতে লাগলাম। তোমাকে হারিয়ে ফেলার ভয়। এই ভয়টা, আমাকে কোনো ভাবেই পিছু ছাড়ছিল না। আর এমন এক ভয় এটা, না যায় সহ্য করা, আর না যায় কাউকে বলা। তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছিল আমাকে,তোমাকে প্রতিটা মুহূর্তে হারিয়ে ফেলার ভয়।
শুনেছি রুপকথায় রাক্ষস নাকি রাজকুমার এর কাজকুমারীকে তুলে নিয়ে যেত, রাজকুমার কে তার মন মস্তিষ্ক থেকে মুছে ফেলার জন্য। আমার কেনো যেন মনে হয় আমার সাথেও ঠিক এমনটাই হচ্ছে। তোমার থেকে আমাকে ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য কিছু রাক্ষস পায়সাজী করে যাচ্ছে। তুমি ঠিক রাজকুমারীর মতো আমাকে ভুলে যেতে শুরু করেছ। তোমার কাছে অসহ্য লাগতে শুরু হয়েছি আমি, আমার প্রতিটা কথা, প্রতিটা শব্দ।
অসাধারণ প্রকাশে ভালো লাগার মতো শব্দ কথা। অভিনন্দন মি. আপন। শুভ সকাল।