আপন এর সকল পোস্ট

প্রিয়তমা-র তরে (১)

শুরুতে আমি তোমার দিকে হালকা চেয়ে দেখেছিলাম। আস্তে আস্তে কিভাবে যেন তোমাতে নিমজ্জিত হয়ে যেতে লাগলাম। নিজেকে না পারি রাখতে, না পারি বুঝাতে। কি যে করি? মুশকিলে পড়ে গেলাম। তবে তোমাতে নিমজ্জিত হয়ে ভালোই লাগতে লাগলো। নিজেকে যেন অন্য কোথাও খুঁজে পেতে লাগলাম। ভালোই যাচ্ছিল তোমার আমার দিনগুলি। ঠাকুমার ঝুলি গল্পের মতো কখনো মজার কখনো বা ভয়। ভেবেছিলাম এভাবেই হয়তো যাবে আমাদের সময়গুলো।

কিন্তু আমিও কেমন পাগল দেখো, ঠাকুমার ঝুলিতে যে গা ছমছমে কি হয়, কি হয়, একটা বিষয়ও ছিল আমি তা একদমই ভুলে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ জানাই তোমাকে, আমাকে সেই কথাটা মনে করিয়ে দেবার জন্য।

প্রতিটা গল্পের মাঝেই একটু ভয় ভীতি থাকা ভালো। আর তা যদি নাই থাকে তাহলে গল্পের মজাটা কোথায় গেলো? আমিও তেমনি ভয় পেতে লাগলাম। তোমাকে হারিয়ে ফেলার ভয়। এই ভয়টা, আমাকে কোনো ভাবেই পিছু ছাড়ছিল না। আর এমন এক ভয় এটা, না যায় সহ্য করা, আর না যায় কাউকে বলা। তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছিল আমাকে,তোমাকে প্রতিটা মুহূর্তে হারিয়ে ফেলার ভয়।

শুনেছি রুপকথায় রাক্ষস নাকি রাজকুমার এর কাজকুমারীকে তুলে নিয়ে যেত, রাজকুমার কে তার মন মস্তিষ্ক থেকে মুছে ফেলার জন্য। আমার কেনো যেন মনে হয় আমার সাথেও ঠিক এমনটাই হচ্ছে। তোমার থেকে আমাকে ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য কিছু রাক্ষস পায়সাজী করে যাচ্ছে। তুমি ঠিক রাজকুমারীর মতো আমাকে ভুলে যেতে শুরু করেছ। তোমার কাছে অসহ্য লাগতে শুরু হয়েছি আমি, আমার প্রতিটা কথা, প্রতিটা শব্দ।

সঙ্গী

যে হইবে সঙ্গী তোমার
রহিবে সাথে সদা,
কবু কহিবে নাগো তোমায়
দিয়োনা মোরে বাধা।
আপদে বিপদে সর্বপদে
থাকিবে তোমার পাশে,
কিছু নাহি সে পাহিবে শুনিতে
কি বলিল লোকে পিছে।
কবু নাহি তারে করিও পর
কবু নাহি দিও ব্যাথা,
সর্বশ্ব তুমি তাহারে দাও
তোমার সকল কথা।

প্রিয়তমা

জীবন থেকে বাজবে যেদিন বিদায় বেলার বাশি,
সেদিনো বলবো আমি, তোমায় ভালোবাসি।
সেদিন তুমি খুঁজবে আমায়,খুঁজবে আমার হাসি,
দূর পরপার থেকে বলবো সেদিন
তোমায় ভালোবাসি।
হয়তো সেদিন পাবেনা তুমি দেখতে আমায়,
পারবেনা আর ডাকতে।
অন্তর মাঝে থাকবো আমি,
তোমার প্রতি মুহূর্তে।
রেখে দিও প্রিয়তমা,
আমার শেষ বানী,
জানি ভুলবেনা তুমি,
শুধু হারিয়ে যাবো আমি।

পাগলের বানী

আচ্ছা পাগলি।
দূর তুই পাগলি হতে যাবি কেনো। কি করবো বল…। পাগল মন তাই ভালো মানুষরেও পাগল মনে করে।

আচ্ছা স্বপ্নের জগৎ-টাই সব থেকে ভালো… তাইনা? সেখানে সবাই আপন। কেউ কাউরে কষ্ট দেয়না। এ জগৎ আমার আর ভালো লাগে না। চলে যেতে ইচ্ছে করে জগৎ ছেড়ে। এখানে শুধু কষ্ট আর কষ্ট। কোনো কিছু চাইলেও কষ্ট, না চাইলেও কষ্ট। ভালোবাসলেও কষ্ট, না বাসলেও কষ্ট। ভালো না বাসার কষ্টটা যেমন মারাত্মক, ভালোবাসার কষ্টটা আরো বেশি মারাত্মক। কাউকে ভালোবাসলে তার থেকে সম পরিমান ভালোবাসা না পেলে, পেতে হয় যেমন কষ্ট। কাউকে ভালো না বাসলেও তখন পেতে হয় শুন্য হৃদয়ের কষ্ট। শুন্য হৃদয় যখন থাকে তখন মনে হয়, “কি যেন একটা নাই।” আর শালার যখন ভালোবাসা হয়ে যায়, তখন দেখা যায় কি, নিজের মধ্যেই নিজে নাই। কি দারুণ বিষয়… তাই না ?

মাঝে মাঝে ভাবি এই ভালোবাসা জিনিসটা এমন কেন? না যায় দেখা, না যায় ছোঁয়া…আরে ভাই, যেই মানুষটা বেঁচে আছে তারেতো তোরা কেউ ভালোবাসিস না, তো সেই মানুষটা মরে গেলে তোদের এতো ভালোবাসা বের হয়ে আসে কোত্থেকে ? সময় থাকতে যদি তারে একটু ভালোবাসা দিতি তাইলে কি তারে হারাইতি… নাকি সে বিদায় নিতো এই জগৎ ছেড়ে।

এখন আমার কথাগুলা শুনেতো আমারে তোরা পাগল বলবি… তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। আমি পাগল আছি বেশ আছি, অন্তত তোদের মতো খেলাতো আমি খেলি না। নিজেকে নিয়েই না হয় একটু ব্যস্ত থাকি। আমার চাকরি নিজেকে খুশি রাখার চাকরি। কারোর মন নিয়ে খেলার চাকরি আমি করি না বাপু। ৯টা – ৫টা যেমন সরকারী চাকরী, তেমন তো তোদেরো চাকরী হয়ে উঠেছে, “সকাল থেকে সন্ধ্যা, মন ভরলেই মন্দা।” এমন চাকরি বাপু আমি করিনা। করতে পারি না। তাইতো আমি পাগল। যদি পারতাম এমন খেলা খেলতে,তাহলে হয়তো থাকতাম তোদের দলে। তোরা কিন্তু তোদের এই চাকরির দারুণ একটা নাম দিয়েছিস প্রেম প্রেম খেলা। এমনি না হয় নাই রইলাম তোদের দলে। তবে বেশ ভালো আছি। ভালোই কাটছে আমার দিনকাল। কারন আমি ভালোবাসি। আর ভালোবাসলেতো লোকে তারে পাগল বলে। কারণ কি জানিস??? ভালোবাসায় যে খেলা যায় না। তাতে তাদের সময় কাটবে কি করে।

তাইতো আমি পাগল। ভালোবাসার পাগল।।