মহালয়া বনাম দূর্গাপূজা; যা দেবী সর্বভূতেষু শান্তিরূপেন সংস্থিতা
দূর্গা পূজোর দিনগুলি আমাদের জীবনের সবচেয়ে ভালো সময় বলা যেতেই পারে। বিশেষ করে মেয়েদের জীবনে পূজোর দিনগুলি মনে রাখার মতো! মা আসছেন – মহালয়ার হাত ধরে—চক্ষুদান থেকে শুরু করে সবকিছু অনুষ্ঠান ই আমরা আড়ম্বরে পালন করে থাকি।
মহালয়া র কতগুলি ত্রুটিঃ
১. দেবী দূর্গাকে টিভির পর্দায় বারবার এক রূপে এক ভাবেই কেন দেখানো হয় ? গীতায় বা অন্যন্য শাস্ত্র থেকে জানা যায় ঈশ্বর সব জায়গায় যেকোনো রূপে বিদ্যমান।
২. মহালয়াতে যে কাহিনী দেখানো হয় –মহিষাসুর নিধন—সাজগোজ যুদ্ধ একটু অন্যভাবে বা কিছুটা জীবন্তভাবে কি দেখানো যায় না—?
৩. ব্রম্ভা বরাবরই জানেন অসুর সৃষ্টি ধ্বংসকারী কুটিল শয়তান বদমাস অত্যাচারী —তা সত্যেও বর দান করেন কেন? শক্তিশালী করে কেন?
৪. “এক নারী র হাতে মৃত্যু?”- এখনকার থেকে আগের সমাজে ও যে মেয়েদের ছোট করে দেখা হতো–তা প্রমাণিত—–কেন একজন দেবী বা নারী নিজের বলে শক্তিশালী হতে পারেন না? দেবতাদের বল ছাড়া তিনি বরাবরই অবলা–?
৫. মহিষাসুর নিধনের দেবী দশভুজা কে দেবতারাই নিজেদের তেজ শক্তি দিয়ে তৈরী করেছিলেন—
সব কিছুই তো দেবতারা দান করলেন–? কিন্তু দেবীর যোনি” কে সৃষ্টি করেছেন সে বিষয়ে কোন উল্লেখ নেই? তাহলে কি আমরা যোনিহীন মায়ের পূজো বছর বছর করছি?
এর উত্তর আমার জানা নেই।
ভালো ধারণা নেই। যাইই হোক না কেন সব কিছুর ওপর বিশ্বাস। ৪ নাম্বার প্রশ্নটা নিয়ে ভাববার সুযোগ রয়েছে।
পুজোর শুভেচ্ছা !
এই বিষয়ে আমার জানার পরিধী শূন্যের কোঠায়।
দিদি ভাই। আপনি শব্দনীড়ে উপস্থিত থাকলে আপনার সাথে কিছু বলা যেতো। কিন্তু আপনি নেই। যদি আসেন আর আমাদের মন্তব্যের উত্তর করেন তো দেখতে পাবো। ধন্যবাদ।
Sobaike valobasa