আমাদের বাঁচাটাকে আমরা সহজভাবে দেখতে পারি না; ঠিক সহজ সরল ভাবে ভাবতেও পারি না বা ভাবা যায় না, বাঁচতে হয় লড়াই করে। যেকোন পরিস্থিতিতে ই মানুষকে কাজ করতে হয় বা কাজ করা অবস্থায় থাকতে হয়।
এক মানুষ যখন বড় হয় তাঁর জীবন কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ হয়ে যায়। তাঁর খেলাধুলার দিন, শৈশবের দিন প্রেমে পড়ার দিন বা বার্ধক্য যন্ত্রণা রোমন্থন করার সময়, প্রকৃতির হাবভাব কল্পনা করলেই আমাদের জীবনের ঝড় জল শান্ত নিরিবিলি আবহাওয়ার পরিচয় পাবেন। মানুষের জীবনের তিনটি পর্যায় খুব ভালোভাবে মানুষ অনুভব করে।
আমরা সবাই খুব ভালো বা খুব খারাপ হতে পারি না সবার মধ্যেই খারাপ ভালো মেশানো আছে–
জীবনে কেউই ভালো প্রেমিক নই; বেকারদের প্রেম কর্পূরের মতো, হয় অনেকের শরীর দেখে নেশায় আসে- তারপর বিয়ের বেলা বিয়ে করে কালো কোটিপতিকে– দেখুন সূর্য একজায়গায় সবসময় একভাবে কিরণ দেয় না, তেমনি “জীবন” নামক উপত্যকা একই অবস্থায় থাকেন না– কখনো ফুল কখনও ফল কখনো তেতোগাছেদের “সুক্তো” ব্যবহার –সবকিছু “উষ্ণতা” সহ্য করার “থার্মোমিটার” নিজের মধ্যে তৈরী করেই রাখা উচিত।
প্রেম
প্রেমিক বা কবি যে প্রেমের ভালো কবিতা লেখে সে যে সত্যি প্রেমিক “ভালো” সুখী’ হবে ই তাঁর কোন মানে নেই–বা তাঁরা কখনোই “সুখী” হবেন না বা হন না /বা জোর করে বাইরে “ভালো আছি–“দেখাবেন।
মোট কথা– যে পথ আপনি আগে দেখছেন –ফুলেদের ঘ্রাণ নিতে নিতে বোর হয়েছেন—সেখানে ইন্টারেস্ট” থাকবে না–যতই নতুন বা গন্ধ/নেশার কারনে ছুটে যান না কেন—আপনার স্যূটকেসে’ ঠিক “সুট” করবে না–?
ধরুন একজায়গায় ‘ঘা আছে—আপনি জেনেবুঝে বারবার সেই জায়গায় “ঘা লাগতে দিতেই পারেন না—
তাই সুখী” মানুষ অনলি সাধারন” মানুষরাই হয়ে থাকে–! কোন সাকসেসফুল হৃদয়ভাঙা হৃদয়হীন প্রচন্ড সেন্টিম্যানটাল /খুব ইগো প্রেমিক প্রেমিকা গন -যতবড় কবি’ আ্যক্টর /যেকোনো সাকসেসেফুল হোন না কেন —“সুখ” র সংজ্ঞা জীবনে’ ও খুঁজে পাবেন না–! ব্যাপারটা হচ্ছে “অতিরিক্ত সরবতের” অনর্গল “গোলগোল” ঘোরা। যার কারনে “জল” সব বাইরেই পড়তে থাকে! লেখা বা ভাবপ্রকাশেই এরা সমর্থ! বাস্তবে মরুভূমি’ টাকে নিজের ইচ্ছায় “সাগরে” পরিনত করা যায় না!
প্রেম তাই যতগুলুই করুন কেন? বেশী লাফালাফির কারনে আসল চিনি স্বাদ উবে–যায়?—পড়ে থাকে “অর্থ আর শরীর” সেটা ও ঠিকমতো না পেয়ে ফ্রসট্রেসানের শিকার? আমার মতে যারা মধ্যবিত্ত দরিদ্র দিন আনে দিন খায় খুব ভালোবাসা না পেলেও এরা’ প্রাকৃতিক নিয়মে “সুখী” র অভিনয় করতে করতে সুখ আঁচলে বশ করে রাতে ঘুমিয়ে পড়ে। “খিদে” র জ্বালাটুকু ই বোঝায় মোমবাতি’ প্রজ্বলনের আসল রহস্য।
অস্তিত্বের মধ্যে “সুখ”এক একক যা আমাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে–মাপার বাইরে –অনুভূতিতে ধরে কেবল ই খেয়ে পেট ভরাতে ভালোবাসি।
"আমাদের বাঁচাটাকে আমরা সহজভাবে দেখতে পারি না; ঠিক সহজ সরল ভাবে ভাবতেও পারি না বা ভাবা যায় না, বাঁচতে হয় লড়াই করে। যেকোন পরিস্থিতিতে ই মানুষকে কাজ করতে হয় বা কাজ করা অবস্থায় থাকতে হয়।"
জীবনবোধের অসামান্য মূল্যায়ণ।
জীবন গদ্যের ব্যাখ্যা খুব পরিষ্কার আসে আপনার লেখায় দিদি।
দারুণ ব্যবচ্ছেদ।
ঠিক কথা
ছবিটাও সুন্দর
সুখ তুমি কি আমার জানতে ইচ্ছে করে খুব জানতে ইচ্ছে করে-
লেখাটা ভালো লাগলো।
শুভেচ্ছা নিন
Sobaike valobasa