এই মেঘ এই রোদ্দুর এর সকল পোস্ট

মন কেন হয় মেঘলা আকাশ

cho

যেদিকে তাকাই যেন অথৈ সমুদ্র
কূল নাই, নাই কিনার, সাঁতরেও হতে পারবো না পার
কোথায় ভুল, কোথায় শুদ্ধতা
আকাশে তাকিয়ে উদাস, পাই না কথার উত্তর।

মানুষের মন কেন কালো মেঘ আকাশ,
কেন হয় না কাশফুল
মানুষের মন হয় না সাদা মেঘ
মানুষের মন কেন পাথরের পাহাড়।

ভাবতে গিয়ে ডুবে যাই চিন্তার ডহরে
পারি না স্বাচ্ছন্দ্যে উঠতে আর
ক্রমশ মনের আকাশ হয়ে যায় গ্রীষ্ম,
আমি তো চাই মন থাকুক হেমন্ত।

চাই মন হউক শরতের মত, সুখে উদাস
অথচ সব আশা আমার গুঁড়েবালি
চোরাবালি সময়, হারিয়ে যাই মুহুর্মুহু কষ্টের অতলে,
হারিয়ে গেলেও খুঁজে না কেউ আর।

তুচ্ছ আমি, আমি অবহেলার চূড়ান্ত সীমানা
সে সীমানায় উচ্ছলতা নেই
নেই দু’দন্ড শান্তির হাওয়া
আমি অপ্রয়োজনীয়, কেন তবে হবে আমার
দুনিয়ার বুকে বসবাস!

ইশ পাখি হয়ে যেতাম যদি
অথবা আকাশে মেঘ
এখানে কেউ ছুঁয় না আমার মনের আবেগ
স্বার্থপরদের সাথে বসবাস, আর কিছু দীর্ঘশ্বাস
নিয়েই যেন দেব পাড়ি অনন্ত পথ।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, গ্রীণ মডেল টাউন ঢাকা)

শান্তির পায়রা হবি আমার

choo

তুই কি হবি শান্তির পায়রা
বসবি এসে মনের শাখে
দিবি সাড়া সকাল সাঝে
তুই কি পায়রা আমার ডাকে?

মনের বাড়ী বিষণ্ণতা
উড়ে নিত্যা বৈরী হাওয়া
একটু শান্তি আসবি নিয়ে
এটুক ছিল আমার চাওয়া।

হবি নাকি পায়রা আমার
মনের শাখে খাবি কি দোল
তোর ডানাতে নিয়ে উড়বি
হেথায় সেথায় ভুলে বেভোল?

সাদা পায়রা শান্তির প্রতীক
আমার শান্তি যা হয়ে যায়
একটুখানি স্বস্তি দিতে
আমার পাশে যা রয়ে যা।

উড়বি ঘুরবি মন আকাশে
স্বাধীন পাখি ইচ্ছে মতন
তোকে নিয়ে স্বপ্ন হাজার
পুষবো না হয় বুকে যতন।

একটি শাখে দুটি পাখি
আমিও কি হবো পায়রা
দে পরিয়ে এসে না হয়
মাথায় আমার প্রেমের টায়রা।

তুই কি হবি শান্তির পায়রা
মনের শাখে বসবি এসে
আমায় নিয়ে দূর কোথাও
ডানায় করে যাবি ভেসে?

মন হতে শুদ্ধতা হারিয়ে গেছে

ch

মন আমার দুধ সাদা ফুলের মত ছিল
সময় সে সব শুদ্ধতা কেড়ে নিল
মনের ক্ষেতে এখন আগাছাদের বাড়াবাড়ি
আমার সুখগুলো নিয়ে মানুষেরই কাড়াকাড়ি।

আমার মনের শুভ্রতা হারিয়ে ফেলেছি,
আমি হতাশার সায়রে ভাসছি, হাহাকারের ময়দানে ডানা মেলেছি।
আমি যেন আমার নই আর
দীর্ঘশ্বাসের পিঠেই হয়েছি সওয়ার।

মন তো দুধ সাদা ফুলের মত
কেন সময় পোকা হুল ফুটায় বুকে, বুকে যে ব্যথার ক্ষত
গলা পর্যন্ত বিতৃষ্ণার জল,
দু দন্ড শুভ্র প্রহর পেতে অপেক্ষায় হয়ে আছি কপিঞ্জল।

আমার মন কেন শুদ্ধতা হারায়
শুদ্ধতার বুকে বিষের তীর মারতে মানুষরা পা বাড়ায়
বিষের তীর বুকে বিঁধে
আমার যে শুভ্র মন, ভালো থাকি এটুকুই মনে ক্ষিধে।

কান্নাগুলোই কেন আমার হয়
আমার সময় কেন অয়োময়
নিউরণে কী যে যন্ত্রণা
চারিপাশে আমার জন্য মানুষ’রা বুনে কুমন্ত্রণা।

ভাল্লাগে না আর, শুভ্র প্রহর চাই দু’দন্ড
অবসর চাই এক সমুদ্দুর, ফুরসত চাই অনন্ত অখন্ড
ফিরে আসুক চাই, শুদ্ধ প্রহরগুলো আমার
হৃদয় গহীনে আর কত গড়বো বিতৃষ্ণার খামার।

.
(ক্যানন ডি৬০০, ঢাকা)

মধ্য আকাশে সূর্য যখন

hhy

কেমন যেন পরিবেশ, ব্যস্ত মানুষের ভিড়
উত্তাপ আকাশ সীমা, ছায়া নেই সুনিবিড়,
ছুটছে মানুষ, যন্ত্র দানবের সাঁই সাঁই সুর
ঠিক দুপুর যখন উত্তাপ এক সমুদ্দুর।

কর্ম বিরতি শুরু হবে, গন্তব্যে ফিরতে মানুষ হারায় হুশ
দুপুরের খাওয়ায় ব্যস্ত হবে মানুষ
আকাশ ব্যস্ততা বাড়িয়ে দেয় উত্তাপ ছড়িয়ে
মানুষে দেহ রোদ্দুর নিচ্ছে ঘামে জড়িয়ে।

হুড ফেলা রিক্সায় মানুষ বসে থাকে ঠায়
যেমন ইচ্ছে চলছে গাড়ি, লাগছে জ্যাম, কার কী তাতে দায়
মানছে না আইন, এলোপাতাড়ি গাড়ি,
চিন্তার রেখা কপালে, কে কেমন করে ফিরবে বাড়ী।

কেউ সূর্যের পানে তাকিয়ে বিরক্ত
কেউ বা মুঠোফোনের অনুরক্ত,
যানে বসে বেহিসেবী সময় ক্ষয়ে যায়
বিতৃষ্ণার রেশ কেবল মনে রয়ে যায়।

এই শহর মূল্যবান সময় গিলে খায় শান্তি তাড়িয়ে
তাই দেখে আকাশ হাসে আর সূর্যের তাপ দেয় বাড়িয়ে
কী বিভৎস সময় যখন জ্যাম ডাকে বাড়িয়ে হাত
এই শহরে মূল্যবান সময়গুলো এভাবেই হয় বেহাত।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ময়মনসিংহ)

মন আকা‌শে বিবর্ণ মেঘ

cho

‌বিবর্ণ মে‌ঘে ঢে‌কে যায় মন আকাশ
‌থে‌‌মে থে‌মে বু‌কে উঠানামা ক‌রে দীর্ঘশ্বাস
শুভ্র মেঘ সময় আমার আর নেই, আ‌মি ‌বিষণ্ণ
‌কেউ কী দু’দন্ড শা‌ন্তি নি‌য়ে আস‌বে আমার জন‌্য।

র‌বের কা‌ছে এই ফ‌রিয়াদ
দ‌মে দ‌মে ক‌রি তাঁরই ইয়াদ
ক‌ষ্টের সমুদ্দুর পার হ‌তে চাই, শুভ্র মে‌ঘে রাখ‌তে চাই মন
তাঁর দয়া হ‌লেই ত‌বে হ‌বে আমার সু‌খের ক্ষে‌তে ভ্রমণ।

দুঃখ য‌দি দিলা মাবুদ, সইবার ক্ষমতা দাও
কেন আমায় এত এত এত কাঁদাও
‌ঠো‌ঁটে ধ‌রে রাখ‌তে চাই হা‌সি
ও আল্লাহ তু‌মি জা‌নো, আ‌মি মানুষ‌কেও ভা‌লোবা‌সি।

নরম ম‌নের কিনা‌রে কেন কা‌লো মে‌ঘে‌দের হানা
আমার কেন নাই পি‌ঠে দু‌টো কল্প ডানা
আ‌মি মেঘ হ‌য়ে উ‌ড়ে যা‌বো নী‌লের বু‌কে
‌সেখা‌নে থে‌কে যা‌বো তোমার নাম জ‌পে খুব সু‌খে।

ও আকাশ মন আকা‌শে কিছু শুভ্র মেঘ দি‌য়ে যা
‌দে‌খে যা আকাশ আমার চোখ দু‌টো ভেজা
তুই বৃ‌ষ্টি ঝরাস না অথচ চো‌খে কত বৃ‌ষ্টি
‌তো‌‌কে দেখ‌তে পাই না আকাশ, আমার ঝাপসা দৃ‌ষ্টি।

র‌বের কা‌ছে প্রার্থনা এই, ‌ধৈর্য দাও বাড়া‌য়ে আরও
তোমার দয়া ছাড়া দয়া চাই না কা‌রো;
কষ্ট য‌দি দাও সই‌তে যেন পা‌রি, ‌
শুভ্র মে‌ঘের মত নরম নরম অনুভূ‌তি‌তে ভ‌রে দাও প্রভু ম‌নের বা‌ড়ি।

.
(স‌্যামসাং এস নাইন প্লাস, স্তান অজানা)

মন কথনিকা

মন কথনিকা-৪৯৫৯
নাস্তিকতা মনের মাঝে রেখে জীবন চালাও
তেলবাজিতে সেরা বাপু বিপদ দেখলে পালাও,
স্বার্থপর সব মানুষের বাস শহর নগর গায়ে,
ঋণ খেলাপী হয়ে কেহ ভাসে পাপের নায়ে।

মন কথনিকা-৪৯৬০
ঘুরি ফিরি ইচ্ছে তবু মনে লাগে ভয়
ভয় পারি না করতে আমি যুদ্ধ করে জয়
একা গেলে যাই হারিয়ে এ ভয় মনে রয়,
বিতৃষ্ণার সাথে তাই একা রোজ বাড়াই প্রণয়।

বৃষ্টি থেমে গেলেই আকাশ হয় স্বচ্ছ

chh

তুমি কি দেখেছো কভু, বৃষ্টি থেমে গেলে সে আকাশ?
বৃষ্টির ঝরে গেলেই সে আকাশে স্বচ্ছ মেঘের বসবাস
তুমি বৃষ্টির পরেই হেঁটেছিলে ভেজা পথে কখনো
হাঁটলে কি বেজেছিলো বুকের তারে সুখের বেণু।

মেঘ গুড়গুড় মেঘলা দিনে থেকেছিলে কখনো একা?
মন আকাশে কালো মেঘের দিয়েছিল দেখা?
ভেবেছিলে বৃষ্টি থেমে গেলেই প্রকৃতি ছুঁবে
ভেজা পাতাদের সাথে আনমনে কথা ক’বে?

তোমার ভাবনাতে কি আছে? কখনো যে বললে না,
বৃষ্টিতে ভিজতে কখনো আমার সাথে চললে না!
তুমি কি এক অনুভূতিহীন লোক
ভেতর বাড়ীতে উল্লাস নেই, নেই ব্যথার শোক!

কি জানি ভাবো, মনের আকাশজুড়ে কোন সে মেঘ?
সাদা না কালো, ইশ ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে তোমার আবেগ
তুমি আকাশ দেখো না, লেখো নি কবিতা কখনো,
তোমার মন আকাশে দেয় নি উঁকি বুঝি রঙধনু।

নিরামিষ কি তুমি, নাকি পাথর মানুষ
মন আকাশে উড়াও নি বুঝি কখনো ইচ্ছে ফানুস?
তোমাকে বুঝা, সাধ্য আমার নেই
তোমার মন পড়তে গিয়ে হারাই মুহুর্মুহু খেই।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

নিবিড় ছায়া খুঁজি এবেলা

chh

রোদ্দুরে মাখামাখি প্রান্তর, ছায়া চাই এক তিল
চাই সুখ অনাবিল
আকাশজুড়ে রোদ্দুরের হোলিখেলা
বড্ড হাঁসফাঁস কেটে যায় বেলা।

তুমি না হয় ছাতা হও
বামপাশে আমার দাঁড়িয়ে রও
কথা কও হিম হিম মিহি, নয় রোদ্দুর তেজ
নেয়ে ঘেমে একাকার দেহ যেন নিস্তেজ।

এসো রোদ্দুরে হাঁটি পাশাপাশি
কিছু রোদ্দুর গিলি অনায়াসে, দেখি উর্ধ্বমুখী সূর্যের হাসি
কথায় কথায় পার হই উত্তাপের সুপান
কিছু প্রেম কথা বল, হৃদয়ে বয়ে যাক ভালোবাসার তুফান।

সময় ফুরিয়ে যাক, দুপুর যাক গড়িয়ে
ছাতা ধরো মাথায়, নিয়ো না সরিয়ে,
যদি মন থাকে ফুরফুরে
সুখ রইবে না আমাদের হতে দূরে।

কিছু মেঘ উড়ে এসে বসুক চোখে
মনে ছড়িয়ে দিত শুদ্ধতা, প্রেম দিক বুকে
তুমি তাকিয়ো আজ আকাশ পানে
মত্ত হয়ো কিচির মিচির গানে।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস,চুনারুঘাট)

আহা কী সুন্দর বর্ষার আকাশটা

choo

থোকা থোকা মেঘফুলে ভরে আছে আকাশ
আকাশে আজ যেন মেঘেদেরই বসবাস
দেখে যাও রাতুল, আকাশে মুগ্ধতা সীমাহীন
সুখের ঢেউ উথাল পাথাল মনের গহীন।

রাতুল চলো বর্ষার আকাশে রাখি চোখ
আকাশের বুকে আজ খুঁজি সুখ
কোথাও বসি দুজন, সম্মুখে আকাশ নীল
চলো চোখ রাখি যেখানে আকাশে মেঘ বর্ণিল।

চলো রাতুল, নিয়ে চলো অন্য কোথাও
হয়ে যাই লোকালয় হতে উধাও,
আকাশ দেখি পথে হেঁটে হেঁটে
কিছু কথা আছে বুকে জমা, ইচ্ছে যাই তোমার সাথে বেটে।

আকাশে আজ মেঘেদের হল্লা, মনোহারী রূপ
কী রাতুল হয়ে আছো চুপ?
নিয়ে গেলে বলো, চলো যাই
বুকের তারে সুখের বেহালা বাজাই।

ছুটির দিনগুলো এই, বৃথা দেব না যেতে
খুব ইচ্ছে উঠি সুখে মেতে
তুমি যদি যাও, সুখের সীমানায় হারাবো,
চলো না, খোলা আকাশের নিচে দাঁড়াবো।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, চুনারুঘাট)

মেঘলা আকাশ ফুটো হয়ে গেছে

chooo

ঝুম বৃষ্টির এই প্রহরে তুমি আছো কোথায়
ভেজার বড় স্বাধ
আমায় বেঁধে রাখো বৃষ্টির সুতায়
পেতে রবের এই নিয়ামতের আশীর্বাদ।

চলো পথের কাদা মাটিতে পা রেখে হাঁটি
ভেজাই পা
সুখ শিহরণ জাগাই মনে, বুকে সুখ সাজাই পরিপাটি,
দেখো ঝরছে বৃষ্টি, এ যে রবের কৃপা।

এসো ভিজি, দেহে লাগাই রহমতের ছোঁয়া
অবিরাম ঝরে যাচ্ছে বৃষ্টি
এমনো ক্ষণ পাবে না আর, মন যে আমার সুখেতে গেল খোয়া
আমি এখানে, ছাউনিতে বসে আছি, ফিরাও দৃষ্টি।

পাতাদের কাঁপন গাছে গাছে
বৃষ্টির বিন্দুরা কি ছিল আকাশে!
ঝরছে তো ঝরছেই, বৃষ্টিরা পথের উপর নাচে
এমনো ক্ষণ চাই না কাটাতে দীর্ঘশ্বাসে।

নিয়ামতের জল ছোঁয়াবে কি মাথায়
একা ভিজতে ইচ্ছে নেই এবেলা
দেখে যাও ঝুম বৃষ্টির বিন্দু পাতায় পাতায়
চলো ভাসাই বৃষ্টির জলে সুখের ভেলা।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, চুনারুঘাট)

আসুক বৃষ্টি হঠাৎ করে

chh

আসুক বৃষ্টি নামুক বৃষ্টি
ঝরুক বৃষ্টি ধরায়
আর পারি না থাকতে সুখে
গ্রীষ্ম মাসের খরায়।

পুড়ে যাচ্ছি জ্বলে যাচ্ছি
৫০ ডিগ্রি তাপে
নাখোশ বুঝি প্রভু তুমি
মরছি অনুতাপে।

দাও না বৃষ্টি, ঝরাও বৃষ্টি
ওগো দয়াল আল্লাহ্
করো ভারী পাপ কমিয়ে
বান্দার পূণ্যির পাল্লা।

আয় না বৃষ্টি ঝমঝমিয়ে
আকাশ হতে নেমে
সূর্যের তাপে জনজীবন
থমকে আছে থেমে।

নাই রে শান্তি ধরার উপর
নেইকো সুখ আর অল্প
তাঁর নিয়ামত ছাড়া ধরায়
হয় না সুখের গল্প।

দয়া করো মাবুদ আল্লাহ
দাও ঝরিয়ে বৃষ্টি
হোক না প্রভু একটুখানি
সুখ আরামের সৃষ্টি।

আয় রে বৃষ্টি আয়রে ত্বরা
দে ভিজিয়ে মাটি
সাজুক ধরা সজীবতায়
আজকে পরিপাটি।

সৎপথেই থাকো

chh

হালাল আয়ের প্রতিই থাকুক নজর, যতটুকুই হোক প্রাপ্তি
যত মন্দ ভাবনা, হারাম রোজী রোজগারের আজই হোক সমাপ্তি;
শুদ্ধ পথের আয়ে রহমত থাকে প্রভুর, করো অনুভব,
সেই তো নিমেষেই নাই হয়ে যেতে হবে, কী হবে থাকলেই অথৈ বিত্ত বৈভব?

জগতের সেরা ইসলাম ধর্ম
মুসলিম তুমি করো সৎ কর্ম
নামাজ ছাড়া বলো কী করে খুলবে জান্নাতের তালা,
ভালো কর্মতেই সাজাও তোমার জীবন ডালা।

অযথাই বলো না কথা সব মন্দ
অশ্লীল বাক্যালাপে পাবে কেবল জাহান্নামের গন্ধ;
কেবল সত্য ও ন্যায়ের পথে থাকো, ঈমান রাখো শক্ত
দুনিয়ার ক্ষমতা নয়, হও প্রভুর ইবাদতের ভক্ত।

কী আছে বলো এই জীবনে, আয়ূ আর ক’দিন
এত সহায় সম্পদ এত চাকচিক্যতা থাকা সত্ত্বেও
জীবনে নেমে আসে সহসা অসুখের দুর্দিন;
ডাক্তার কবিরাজ তো বাড়াতে পারে না আয়ূ,
তুমি কিছুই নও এখানে, বন্ধ হলেই স্নায়ূ।

মনের কোণে জাগাও বোধোদয়ের রেখা
মনে রেখো এত আপনজন পাশে তবুও তুমি আমি সবাই একা
একাই গোরের আঁধারে থেকে যেতে হবে
পুণ্যিতে আমলনামা থাকলে ভরা…… ফেরেশতারা মিহি সুরে কথা ক’বে।

আমাদের পথ চলা হোক ভালোর পথে, যেখানে নেই অল্পও পাপ
যেটুকু পাপ করে ফেলেছি, যেন হয় অচিরেই অনুতাপ
ক্ষমা চেয়ে নিতে পারি তাঁর কাছে, তিনি তো করুণাময়
সব পাপ ক্ষমা করবেন নিশ্চয়ই আমার দয়াময়।

বদলে গেল মৌসুম

chh

আগের মত আকাশে বেলা অবেলা
বসে না নীলে মেঘের মেলা,
কী দিন কী রাত আকাশটা কী বিবর্ণ,
সাদা রঙে আকাশের বুক থাকে পূর্ণ।

এমন আকাশে কি রাখা যায় চোখ
হয় না পাওয়া দৃষ্টির সুখ,
আমি মেঘ খুঁজে বেড়াই আকাশের এ প্রান্ত হতে অন্য প্রান্ত
না, নেই মেঘের ওড়াউড়ি, আকাশটা শান্ত।

চাই এই বৈশাখেও শুভ্র মেঘেরা মেলুক ডানা
চাই আকাশের বুকে দিক কালো মেঘ’রা হানা,
যখন চোখ জুড়ে নামে ক্লান্তি}
দৃষ্টি রাখলেই যেন চোখে ফিরে আসে শান্তি।

একটি মেঘে পূর্ণ আকাশ চাই
উঁকি দিলেই আকাশে যেন সুখ পাই
চাই পাখি’রা উড়ুক মেঘ ছুঁয়ে,
চোখের ভ্রান্তি যেন মেঘ দেখলেই যায় ধুয়ে।

মৌসুমের বুকে ফুটুক মেঘ ফুল
মেঘগুলো শুভ্র নরম তুলতুল
চোখে নেমে আসুক শান্তি ধারা
কেটে যাক এবেলা রোদের খরা।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, চুনারুঘাট)

এই গরমে চা খাবে?

choo

যত গরমই হোক না কেন, চা চাই আমার এক কাপ
চা করলে পান কমে যায় দেহের উত্তাপ,
তুমিও আজ চায়ের কাপে ছোঁয়াও তোমার ঠোঁট
সুখ আনন্দ একটুখানি, করো বন্ধু লোট।

আলসেমিতে কেটে যাচ্ছে সময়টুকু এই
এই গরমে যায় হারিয়ে কাজে কর্মের খেই
এস বস ফুরফুরে হও, চা খাও এক কাপ
পার হবে কি এবেলাতে উষ্ণতার এক ধাপ?

চায়ের জলে শান্তি রাখা করবে নাকি পান,
গাইবে নাকি গলা ছেড়ে জারি সারি গান?
উচ্ছল হও না বন্ধু তুমি লাগবে আমার ভালো
হেসে ফেলো অনায়াসে মুখ রেখো না কালো।

চায়ের জলে তুলে রাখো এই গরমের চাপ
ধরো হাতে বারান্দায় বসে উষ্ণ গরম কাপ,
চুমুক তুলো সুরে সুরে শিষ বাজাও আজ ঠোঁটে
চুপটি করে বসে থাকা নয় ভালো নয় মোটে।

থেকো না আর শুয়ে বন্ধু গল্প করি এসো
কৌতুক শুনে না হয় তুমি একটুখানি হেসো,
চায়ের কাপে আঙ্গুল রেখে হেসে বলো কথা,
আর রেখো না এই দুপুরে অনুভূতি ভোঁতা।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা

সন্ধ্যার আকাশ বড় মায়া‌বি

choo

মায়া‌বি আকা‌শের নি‌চে দা‌ঁড়ি‌য়ে
‌কিছু মায়া তুল‌তে চাই বু‌কে হাত বা‌ড়ি‌য়ে
‌মে‌ঘেরা স‌রে যায়
আকাশ তার বুক বিবর্ণতায় সাজায়।

‌তোমার বু‌কে দি‌তে চাই কিছু মায়া তু‌লে
‌মে‌ঘের মায়া পে‌য়ে তু‌মি য‌দি অহম যে‌তে ভু‌লে;
‌তোমার বু‌কের মায়া বু‌ঝি মে‌ঘেরা নি‌য়ে‌ছে কে‌ড়ে
‌সেই মায়াগু‌লো ফি‌‌রি‌য়ে আন‌তে চাই আকাশ হ‌তে পে‌ড়ে।

বু‌কে কিছু মায়া তু‌লে রা‌খো তু‌মি
ভু‌লে যাও অহম হিংসা যত গোয়ার্ত‌মি;
এক‌দিন নিঃস্ব হ‌বে, সব হা‌রি‌য়ে হ‌বে একা
পা‌শে কেউ নেই, কেউ কর‌বে না আর দেখা।

কী মায়াবী আকা‌শের রং,
আকাশ খু‌লে ব‌সে‌ছে সন্ধ‌্যায় রং‌য়ের আড়ং
তু‌মি সন্ধ‌্যার আকা‌শের নি‌চে দাঁড়াও এ‌সে
এক‌দিন মুগ্ধতার র‌‌ঙে যাও ‌ভে‌সে।

‌মে‌ঘের সা‌থে পা‌তো মিতালী
বু‌ক খু‌লে বসাও মায়ার ডা‌লি
মায়ার ডা‌লি‌তে কিছু ‌প্রেম রে‌খো কিছু ভা‌লোবাসা
সন্ধ‌্যার মায়ায় আচ্ছন্ন হও রা‌খি এটুকু আশা।

এত কিছু ভে‌বো না আর, আকা‌শে রা‌খো চোখ
‌বি‌কে‌লের ‌নি‌স্তেজ সূ‌র্যের মত হা‌স্যেজ্জ্বল ‌হোক তোমার মুখ
তু‌মি মায়াবী মানুষ হও, মায়ায় জ‌ড়ি‌য়ে রা‌খো সারা‌বেলা
মানুষ‌কে ক‌রো না আর একটু্ও অব‌হেলা।

(স‌্যামসাং এস নাইন প্লাস, বিমান বন্দর জাদুঘর)