ইজি রেসিপি এর সকল পোস্ট

ঘরে তৈরী মেয়নিজ

images (1)

আজকাল অনেক মায়েদেরও বাবার মত কাজে বের হতে হয় বলে সময় খুবই কম।সকালে নাস্তার জন্য হাতে রুটি বানাবার মতো এতো সময় কোথায়? তাই অনেকেই ব্রেড দিয়ে সকালের নাস্তা বা স্কুল অফিসের নাস্তার ব্যবস্থা করে থাকেন। এদিকে বাচ্চারা অনেকেই মেয়োনিজ দিয়ে ব্রেড খেতে পছন্দ করে। আমাদের দেশে মেয়োনিজের যে দাম তাতে সামাল দেয়া কারো জন্য বেশ কঠিন। নিজের মেয়োনিজ নিজেই ঘড়ে বানিয়ে নিন। খরচও কম হবে বাচ্চারা মায়ের তৈরি বলে খেয়েও তৃপ্তি পাবে। যে যত যাই বলুক না কেন যার যার মায়ের রান্নার উপরে কোন রান্না নেই।

যা যা প্রয়োজনঃ
একটা ডিম, আধা চা চামচ সরিষার পেস্ট, আধা চা চামচ লবন, দুই টেবিল চামচ সাদা ভিনিগার, এক কাপ সালাদ তেল বা মাখন।

যেভাবে বানাবেন-
প্রথমে ডিম ভেঙ্গে অর্ধেক তেল/মাখন সহ সব উপকরন এক সাথে মিশিয়ে ব্লেন্ডারে দিয়ে কম স্পীডে এক মনিট ব্লেন্ড করুন। এবার বাকী তেলের অর্ধেক মিশিয়ে দুই মিনিট স্বাভাবিক স্পীডে ব্লেন্ড করুন লক্ষ করে দেখে নিবেন ঠিক ভাবে ব্লেন্ড হচ্ছে কি না যদি মনে করেন তাহলে আরোও একটু সময় নিন। এবার অবশিষ্ট তেল দিয়ে আবার দুই মিনিট ব্লেন্ড করুন। আপনার তৈরী মেয়োনিজ দিয়ে বাচ্চাদের নাস্তা দেয়ার জন্য রেডি। আপনার চাহিদার পরিমান বুঝে উপকরণের মাত্রা ঠিক করে নিন। খেয়ে দেয়ে যা থাকবে ফ্রীজে রেখে দিন এক সপ্তাহ ভরে খেতে পারবেন।

বিঃদ্রঃ স্বাদের বৈচিত্র্যের জন্য এর সাথে এক চামচ রসুনের পেস্ট, সিরকার পরিবর্তে লেবুর রস দিতে পারেন, একটু গোলমরিচের গুরা, সালাদ তেল বা মাখনের পরিবর্তে চিনাবাদাম তেল বা সূর্যমুখি বা কর্ণ তেলও ব্যবহার করা যায়।

রসুন মরিচের ঝাল আচার

রসুন মরিচের ঝাল আচার

উপাদান এবং প্রস্তুত প্রণালীঃ
উপাদানঃ
১। এক কোয়া বিশিষ্ট দেশী রসুনঃ ৫০০ গ্রাম
২। কাচা মরিচঃ ২৫০ গ্রাম
৩। তেতুলঃ ২০০ গ্রাম
৪। সিরকাঃ ২০০ এমএল
৫। সর্ষের তেলঃ ২৫০ এমএল
৬। সর্ষেঃ ৩ টেবিল চামচ
৭। গুড়া হলুদঃ ১ চা চামচ
৮। জিরা বাটাঃ ১ চা চামচ
৯। লবণঃ ১ টেবিল চামচ
১০। চিনিঃ ১৫০ গ্রাম

প্রস্তুত প্রনালীঃ
১। রসুনের খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে নিন, মরিচের বোটা ফেলে বেছে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
২। তেঁতুলের সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে চটকে চালুনি দিয়ে চেলে ক্বাথ বের কর নিন।
৩। অল্প পরিমান সিরকা দিয়ে সর্ষে বেটে নিন।
৪। রসুন, সিরকা ও লবন একসাথে চুলায় বসিয়ে ১০ মিনিট সেদ্ধ করুন।
৫। মরিচ এবং বাকী সব মশলা, চিনি, তেঁতুলের ক্বাথ সহ হালকা ভাবে নাড়ুন। লক্ষ্য রাখতে হবে মরিচ যেন ভেঙ্গে না যায়, মৃদু আঁচে জ্বাল হতে থাকবে। মাঝে মাঝে নাড়তে হবে যেন নীচে ধরে না যায়।
৬। রসুন সেদ্ধ হলে নামিয়ে নিন।
৭। ঠান্ডা হলে পরিষ্কার শুকনো কাচের বয়ামে সংরক্ষণ করুন

বিঃদ্রঃ লবন ও হলুদের পরিমান স্বাদ অনুযায়ী এবং জ্বালের পরিমান অনুমান করে নির্ধারন করতে হবে।

ব্রেড কাস্টার্ড

উপকরণঃ
১। কাস্টার্ড পাউডার ৩ টেবিল চামচ
২। পাউরুটি ৪ টুকরা
৩। দুধ ৫০০ মিলি
৪। চিনি ২০০ গ্রাম
৫। কলা, আপেল, আঙ্গুর বা পেপে ২০০ গ্রাম
৬। ভ্যানিলা এসেন্স আধা চা চামচ
৭। ঘি/মাখন ১ টেবিল চামচ

প্রণালি
১। পাউরুটির কিনারা ধারালো ছুরি দিয়ে ছেটে নিন
২। ঘী বা মাখনও দিয়ে নন স্টীক ফ্রাই প্যানে হালকা করে ভেজে টুকরো করে কেটে রাখুন
৩। আপেল এবং অন্যান্য ফল ছোট ছোট টুকরো করে কেটে চিনির সিরায় ভিজিয়ে বড় পেয়ালায় তুলে রাখুন
৪। দুধ এবং চিনি এক সাথে জ্বাল দিন ঘন হয়ে এলে কাস্টার্ড পাউডার দিয়ে ঘন ঘন নাড়তে থাকুন, আরও ঘন হলে এসেন্স দিয়ে একটু নেড়ে নামিয়ে রাখুন
৫। কাস্টার্ড ঠান্ডা হলে রেখে দেয়া ফল এবং রুটির টুকরোগুলার উপরে ঢেলে দিয়ে আবার ফলের স্তর করে তার উপরে আবার কাস্টার্ড ঢেলে পেয়ালাটা ফ্রিজে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।

** আজ এটাই প্রথম পোস্ট তাই একটা মিষ্টি আইটেম দিয়েই শুরু করলাম যদিও এটা আমার সংগৃহিত রেসিপি।