ভালবেসে বুঝলাম
মুগ্ধতার সাথে সহবাস।
পরে বুঝলাম ঐ গভীরতায় ঠাই নাই।
খুজে পাওয়ার. নেশায়. ডুবে ছিলাম,
পরে দেখি আমি নিষিদ্ধ।
আশ্রয়ে ঠাই না পেয়ে খুঁজলাম নিজেকে,
আশ্চর্য! আমার আমি কই?
তোমাকে বুঝতে গিয়ে বুঝলাম,
কাউকে ৰুঝতে চাওয়াটাই কষ্টের ব্যাপার।
ফজলে রাব্বি এর সকল পোস্ট
আহ! জীবন
বৃদ্ধকাল চৈত্রের বিকালের মতো বড্ড ধীর। সুর্য যেন পশ্চিম আকাশে ঢলতেই চায় না। রৌদ্রকরটিতে ঝলসে গেছে চোখ, এই আবেগ সব উচ্ছাস। তীব্রভাবে আগলে রাখা সব কিছুই আজ বেমানান। ফেলতে পারি না, রাখতেও কষ্ট হয়। পুরাতন টিনের মতো হয়ে গেছে জীবন। গলিত লাশের মতো বিদঘুটে গন্ধ ছড়াচ্ছে সম্ভাবনাময়ী আশা। আশ্রয়ের জায়গাটা সংকটময়, একটু একটু করে সরতে সরতে কবে যেন কোথায় মিলিয়ে যাব। পুরাতন টিনের মতো একদিন হয়তো জায়গা পাব বাথরুমের চালে। তারপর হয়তো একদিন সেখানেও জায়গা হবে না। অস্তমিত সুর্য দেখে হাসতে ইচ্ছা করে ভীষন, সুর্য ডুবে না ডুবে যাচ্ছে শ্বাশত মানুষ।
নফস!
জন্ম হইছে মরার জন্য। জন্মের সময় আবার ভালোবাসা নিয়ে আসছি। পৃথিবীকে ভালোবেসে ফেলছি। এখন বুঝি পৃথিবী কিছুই না। সামনে জান্নাত। নিজেকে বোঝালাম এসব কিছুই না আসল জান্নাত।
জান্নাতের জন্য তৈরি হতে গেলাম হয় না। হবে ক্যামনে নিজের সাথে নাকি নফ্স আছে। নফসকে মারলেই জান্নাতে যাওয়ার কাজ সহজ হবে। পৃথিবীতে নফসের দাপট। নফসের সাথে মারামারির খেলা খেলতে হবে! খেলতে খেলতেই একদিন আমিই শেষ। এই খেলার মাঝে অন্য খেলাও আছে। জীবনে বড় হতে হবে! একা মানুষ কত পারে!! এই ভাবে আল্লাহের কাছে কান্নাকাটি করে দোয়া করবো নফসকে উঠায় নিতে। নফসের সাথে আর খেলবো না।
বড় একা আমি
কালের গর্ভ হতে অনাদি যাত্রার অস্থির ঘোরে একা আমি, শুধুই একা। মিনারের চূড়া হতে কলসির কাঙ্খে, পোড়া চোখে শুধু খুজে চলছি নিরন্তর। ভালোবাসার অপেক্ষায় গোধূলির চাদর জড়িয়ে হিংস্রের আঁচড় কেটে গেছি বুকে।