কল্পপত্র আমার লেখা হয়নি, কল্পনায় আজীবন ফাঁকিতে পড়ে যাচ্ছি, এই সময়ে! আলস্যে মিলিয়ে যাচ্ছে তীব্র জীবনবোধ, বিনিময়ে ছড়ানো ছিটানো কিছু গ্রহ-নক্ষত্র বিলাস।
এক নিরব কবি’র চশমার ফ্রেমে গোধূলি যেন পূর্ণতা পায়। কল্পপত্র তবু অক্ষর শূন্য এক সুবিশাল মায়াময় বাস্তবতার শৃঙ্খল। একদিন প্রতিদিন ঘটে যাওয়া মুহূর্তের কাব্য কেউ কেউ মনে রাখে। কিনে রাখে রঙীন মলাটে মোড়ানো একটুকরো প্রহেলিকা!
প্রভাতের একখণ্ড জীবনবোধ সকালের জ্বলজ্বলে সরিষা দানার মতন; হেলে- দুলে জানিয়ে দিয়েছে তার মৌন আবদার। যেখানে বন্ধন প্রলয়কে ধুলায় মিলিয়ে বাস্তু নির্মাণে সুনিপুণ। কথা মানবী বলেছিলো ওকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না, ভুলোমনা বড্ড!
তাকে নিয়ে কোন পঙক্তি সাজে না, তাকে যতটুকু শেখা যায়,চোখ মেলে দেখায়। প্রভাতের কুয়াশা ভেদ করে সূর্যকিরণে তার ছায়া মেলে! কদম পাতায় বসে থাকা গল্পের পসরা নতুন উড়ালে ঠিকানা খোঁজে; উড়ে বসা দোয়েল কুঁকড়ে ফেরে নতুন করে। খসে পড়া পদচিহ্ন নতুন করে কেউ আঁকে! নতুন প্রদীপে পথ দেখা, নতুন চিরদিন প্রদীপ, সলতে। ঠোকাঠুকির দেয়ালে নতুন রঙে ঢেকে যায় পুরোনো পলেস্তরা। তবু কুয়াশা ভেদ করে সূর্যকিরণে তার ছায়া মেলে! আড়ালের ভাবনাঃ আমাকে তুলে আনে কেউ একজন প্রতিদিন পৃথিবী নামক গলির অন্ধকার থেকে।
আমার ম্যাচকাঠি কখনো ফুরোয় না পাশে থাকে এক জ্বলন্ত প্রদীপ! যে থাকে চিরদিন “কেউ একজন হয়ে” তার গল্পে হয়তো আমরা থাকি একটুকরো আমি হয়ে। স্বার্থপর হতে চাই তবু বারবার!
সেই কেউ একজনকে…