মিতা এর সকল পোস্ট

মিতা সম্পর্কে

দিন ফেলে রাতে দৌড়াই; রাত ফেলে দিনে। শরীর ফেলে মনে দৌড়াই; মন ফেলে শরীরে।সব পাই,আবার কিছুমাত্রও পাই না। স্বপ্ন ঊড়ে বারে বারে,তবুও স্বপ্ন দেখি লেখাপড়া ক্লাস ফাইভ ।

ভরা থাক্ স্মৃতিসুধায় বিদায়ের পাত্রখানি

ভরা থাক্ স্মৃতিসুধায় বিদায়ের পাত্রখানি

সব স্ট্যাটাস, গল্পে একজন তুমি থাকে। সেই তুমি কে ? স্পষ্ট করিনি কারো কাছেই … কখনো করাও যাবে না, যায় না।

তোমার স্বামী ভাবেন আমি তোমার কথা বলছি! তোমার বোন ভাবেন সেই তুমি তার বড় বোন ? তোমার মা কল্পনা করেন আমি তোমার কথা বলছি ! এমনকি আমার মাও তাই ভাবতে পারেন। আমিই শুধু জানি আমি কার কথা বলছি। মাঝে মাঝে নিজেও জানি না। অনেক মানুষের ভালোবাসা যেমন আমি পেয়েছি, তেমনি অনেক মানুষ আমাকে প্রচণ্ড ঘৃনা করে তাও জানি।

তোমাদের বাড়িতে এক বিয়ের অনুষ্টানে দেখা হওয়া সুমী, সে আমাকে এক চিঠিতে লিখেছিলো “তুমি কখনো সুখী হতে পারবে না’। তুমি তো জানো ওর সাথে আমার সেই একবারই দেখা হয়েছিলো। তাঁকে আমি কোন স্বপ্ন দেখাইনি, সে যদি আমাকে নিয়ে কোন স্বপ্ন দেখে থাকে, তো তার দায় তো আমার হতে পারে না। তুমি এও জানো আমি কারো অভিশাপ বা আশীর্বাদে বিশ্বাসী নই। স্বর্গে বা নরকে তো নয়ই।

হাজারদুয়ারি মানুষ আমি। অনেকের কাছে অনেক পেয়েছি। স্বার্থপরের মত সব নিয়েছি। শরীর থেকে মন সব সব, দু হাত ভরে নিয়েছি। দিতে পারিনি কখনোই। দেবার চেয়ে নেওয়া যে কতো কঠিন সে শুধু আমি জানি …।

কখনো কোন অবসরে তাঁদের কথা মনে পড়ে যায়। সবাই সুখী হোক। রবী ঠাকুরের গানেও বার বার “তুমি” শব্দটা এসেছে। একমাত্র তিনিই জানেন সেই “তুমি” কে? যাকে বলতে পারেন “তোমার অসীমে অশেষ লয়ে যেথা আমি ধাই …।”

আমি রবী ঠাকুর নই।
রবী আমার সবটুকু জুড়িয়ে আছেন সে আমি বলতে পারি।
আমার চলে যাবার পর তোমার যদি সময় এবং সুযোগ হয় আমার শিয়রে বসে রবীর দুটো গান আমাকে শুনিয়ো … (কবে কখন তোমার গান শুনেছি মনে নেই, রবীর গান তুমি গাও কিনা তাও জানি না )।

জীবন মরণের সীমানা ছাড়ায়ে …

অনুগল্প- ১

অনিমেষকে প্রায় প্রতিমাসেই একবার সাড়ে তিনশ কিলোমিটার দূরে যেতে হয়। সুপর্নার কাছে ব্যাপারটা অজানা। কাল যখন সুপর্নার সাথে ফেসবুকে চ্যাট করছিলো তখন সে নিজের মধ্যে ছিলো না। অনিমেষ এর টেক্সট দেখে সুপর্নাও বুঝতে পারে না।

সকালে ঘুম থেকে উঠেই ক্লায়েন্ট এর কাজ শেষ করে হোটেলের কাছেই এক সুপার মার্কেটে গিয়ে কেনা কাটা করতেই মনে পড়লো এই সুপার মার্কেট এর পয়েন্ট কার্ড 💳 করা হয় নাই।

সে ভাবে এই ফাঁকে কার্ডটা করে নিলেই হয়। ভেবেই চলে গেল সুপার মার্কেটের সার্ভিস কাউন্টার এ। এক সুন্দরী সেলসষ্টাফ অনিমেষ এর সাহায্যে এগিয়ে এলো। কথা শুরু করতেই অনিমেষ সেই মহিলার মুখের গন্ধ সহ্য করতে পারলো না। তাঁর পয়েন্ট কার্ড করার ইচ্ছেই উবে গেল।

অনিমেষ এর মনে পড়ে গেল ২০১৪ সালে পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হলে টোকিও তে গিয়েছিল নতুন পাসপোর্ট করতে। শিনজুকুর হোটেলের কাছেই অনেক খাবার এর দোকানের মধ্যে ভারতের খাবারের দোকানে রাতের খাবারটা সেরে নেবে ভেবেছিলো। দোকানের সামনে যেতেই এক ভারতীয় খুব ভালো করে ক্রেতাদের ডাকছে। তার কথা শুনতে অনিমেষের নাকে সেই লোকের বগলের উদ্ভট গন্ধ ভেসে এলো অনিমেষের নানরুটি আর চিকেন খেতেই ইচ্ছে হলো না। পাশের থাই খাবারের দোকান থেকে রাতের খাবার সেরে নিল। পরদিন বাংলাদেশে এমবেসি থেকে ফেরার পথে মেগরু ষ্টেশানে এক নেপালী রেষ্টুরেন্টে আগের রাতের ভারতের খাবার খাওয়ার ইচ্ছেটা পুরন করলো।

আজ সকালের সার্ভিস কাউন্টারের সেই ঘটনার পর অনিমেষ সুপর্নার চুমু খেতে চাওয়ার ম্যাসেজ পেলো। অনিমেষ এর হাতে সময় কম থাকায় একটা সস্তা চুল কাটার দোকানে গেল এক হাজার আশি ইয়েন দিয়ে পনেরো মিনিটে চুল কাটলো। বাইশ বছর ধরে এই দেশে থাকলেও এই রকম দোকানে দ্বিতীয়বার চুল কাটলো সে।

এরপর সে হোটেলের কাছেই এক অনসেন এ গেল। ছয়শ আশি ইয়েন এর টিকেট কেটে স্নান করতে ঢুকে গেল। অনসেন এ বড় বড় বাথটাব অনিমেষ লক্ষ্য করলো অনসেন এ এক চল্লিশ এবং বিয়াল্লিশ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর দুটো বাথটাব। এই সব অনসেন এ জন্মদিনের পোষাকে যেতে হয়। শরীরে কোন প্রকার কাপড় রাখা চলে না। বাইশ বছরে অনিমেষ এইসবে অব্যস্ত হয়ে গেছে। স্নান শেষ করে সে ৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর সাউনাতে অনেক কষ্টে পাঁচ মিনিট পার করলো। আজ সুপর্না তাঁকে চুমু খেতে ডেকেছে। কোথাও কোন অপ্রিয় গন্ধ রাখা চলবে না।

অনিমেষ সুপর্নার চুমুর কথা ভাবতে থাকে…

এলেবেলে – ৩৩

আর মাত্র ২ বছর হলেই প্রবাস জীবনের দু’দশক পূর্ণ হবে, কত দ্রুত সময় চলে যায়। যে কোন কারণেই হোক এই ১৮ বছরে কম করে হলেও ১০ বার দেশে আসা হয়েছে … আসা যাওয়ার এই ব্যয় সঞ্চয়ের দিকে গেলে হয়তো অনেক বদলে যেত জীবন। যাক সে সব কথা এ নিয়ে আমার কোন আক্ষেপ নেই … আমি কখনো বড় লোক হতে চাইনি, এখনো না। জীবন চলে গেলেই হয়।

দেশে আসার সময় আমার একটা অভ্যাস হচ্ছে কাছের এবং এমন কি দূরের মানুষের জন্য কিছু নিয়ে আসা যাকে আমরা গিফট বলে থাকি। এই গিফট দেওয়া নিয়ে আমার কিছু মজার অভিজ্ঞতা আছে …।

আমার সেই সব কাছের বা দূরের মানুষদের একজন একবার বললেন “এসব তো এ দেশেই পাওয়া যায়।” কিন্তু আমি উনাকে কি করে বোঝাই টাকা দিলেই সব কিছু কেনা যায় না। আমার আন্তরিকতাটুকু উনাদের চোখে পড়ে না।

আবার এমন কিছু প্রোডাক্ট আছে সেই গুলো এ দেশে বিক্রী হবে না। যেমন ধরুন জাপানের SONY/TOSHIBA/HITACHI কোম্পানী জাপানে যে TV বিক্রী করে তা বাংলাদেশে করে না। গ্রামীন UNIQLO যে সব কাপড় বাংলাদেশে বাজারজাত করে তা জাপানে পাওয়া যায় না। এরপরের বার আবার উনার কাছে আমার গিফট নিয়ে গেলে উনি যে গল্পটা বললেন তা শুনে আমি থ …উনার অন্য এক আত্নীয় নাকি বলেছেন বিদেশ থেকে যে সব গিফট নিয়ে আসে, তা নাকি Burgain Sale এর সময় কেনা …। হোক না ক্ষতি কি। কিছু কিছু কথা আছে যা কখনো বলতে নেই।

এবার আসি আবার অন্য ধরনের কিছু কাছে বা দূরের মানুষের কথা। উনারা গিফটটি হাতে পাওয়ার পর জানতে চাইবেন এর দাম …। আবার আর কেউ পরীক্ষা করবেন প্রোডাক্টটি কোন দেশের তৈরী। Made in China হলে তো উনাদের কাছে এটি খুব সস্তা বলে মনে হবে ( পৃথিবীর নামী দামী ব্রান্ড গুলোর ৮০ ভাগই তৈরী হয় চীনে, আমাদের দেশের EPZ এর প্রোডাক্ট এদেশের বাজারে পাওয়া যায় না)। হয়তো এই কারণেই আমার এক ইউরোপ প্রবাসী আত্মীয় আমার মায়ের জন্য বাংলাদেশের স্থানীয় বাজার থেকে গিফট কিনে বিদেশ থেকে পাঠানো বলে চালিয়ে দিলেন কদিন আগে … কথা প্রসঙ্গে মায়ের কাছে শুনে হাতে নিয়ে প্রোডাক্টিতে বাংলাদেশী দোকানীর হাতে লেখা বিক্রয় মুল্যের কোড দেখি আর নিশ্চিত হই প্রোডাক্টটি দেশ থেকেই কেনা এবং প্রোডাক্টটি কোন দেশের তৈরী লিখা নেই শুধু ইউরোপের এক কোম্পানীর নাম ঠিকানা লেখা, জানি না কেন এই মিথ্যাচার। হয়তো বা আমরা Made in…খুঁজি বলেই !!

আমরা যখন বিদেশে কোন জিনিস কিনি তা কোন দেশের তৈরী তা দেখি না, আমরা ব্রান্ড দেখি …। আর উনারা Made in …দেখেন। বেশ কয়েক বছর আগে জাপানের SONYকোম্পানীর এক নির্বাহীর ইন্টারভিউ তে বেশ মজার কথা শুনেছিলাম। উনি যা বলেছিলেন তার বাংলা করলে দাঁড়ায় “আমরা একই প্রোডাক্ট বিভিন্ন অঞ্চলের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ভাবে তৈরী করি, ইউরোপের অধিবাসীরা ডিজাইন দেখেন, মধ্য প্রাচ্যের লোকজনের এমন প্রোডাক্ট তৈরী করতে হবে তা যেন ওজনে
ভারী হয়। আবার ভারতের জন্য হলে তাতে খুব জোরে শব্দ হয় ( ভারত,বাংলাদেশ সহ আফ্রিকার অনেক দেশেই যেখানে সেখানে অনেক শব্দে গান শোনার অভ্যাস আছে)।”

তারপরও আমি প্রতিবারই কিছু না কিছু নিয়ে আসি; হাতে তুলে দেওয়ার সময় ভাবতে থাকি এবার তিনি কি বলবেন ? জাপানীদের কাছ থেকে একটা জিনিস শিখেছি উনারা তর্ক করেন না, বক্তৃতা বা বিতর্কে জাপানীরা খুবই কাঁচা। উনারা মাঝে মাঝে কারো কথা শুনে বিতর্কে না গিয়ে বলেন “তাই”। আর এই “তাই” শুনে আমার মত বাঙ্গালীদের ধারনা হতে পারে তিনি আমার কথার সায় দিচ্ছেন বা মেনে নিছেন। আসলে কিন্তু মোটেই তা নয়। প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়ার একটা প্রচেষ্টা। আমিও এখন উনাদের মত বিতর্কে না গিয়ে “তাই” বলার চেষ্টা করি, যদিও তা মাঝে মাঝে সম্ভব হয় না (হয়তো বাংলাদেশী বলেই অহেতুক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ি)।

জীবনের কোন অভিজ্ঞতাই ফেলনা নয়।

_____________
25 August 2014

এলেবেলে – ৩২

পৃথিবী থেকে প্রেমের কবিতা কি উঠে গেল সব ?
পুর্ণেন্দু পত্রী’র কবিতার লাইন।
অনেক দিন বাংলা সিনেমা দেখা হয় না। সময় পেলেও দেখি না। কারণ ১০ মিনিট দেখার পর বোঝা যায় শেষ পরিণতি কি। দুপুরে একটা ছবি দেখা শুরু করলাম। রোমান হরফে লেখা বাংলার মানেই বুঝতেই পারিনি … সেখানেই কৌতূহল হলো। নামটা ছিলো tammar boyfriend.

দেখে ভাবছিলাম এটি আসলে কি হবে “তোমার বয়ফ্রেন্ড” না “তামার বয় ফ্রেন্ড”। শুরুর ৫ মিনিট পর বুঝলাম ছবিটির নাম “ঠাম্মারবয়ফ্রেন্ড”।

কাহিনী শুরু হলো বুড়ো ঠাম্মা বিয়ে করবেন এক ২৪ বছরের যুবককে …

১০ মিনিট পার হলো ঠাম্মার বিয়ের খবর শুনে শহর থেকে এসেছেন ছেলে এবং মেয়ে বউ এবং জামাই সহ সাথে একজনের ঘরে সদ্য এম এ পাস করা নাতনী…। কাহিনী শেষ আর কষ্ট করে ২ ঘন্টা সিনেমা দেখার দরকার নাই। এবার শেষের ৫ মিনিটে কি হবে আপনি চোখ বন্ধ করেই বলে দিতে পারবেন। এই হচ্ছে বাংলা সিনেমা। নাটকও তাই।

পুর্ণেন্দু পত্রী’র কবিতার লাইন দিয়ে লেখাটা শুরু করেছিলাম, কবি বেঁচে থাকলে হয়তো লিখতেন …।
“প্রেম আর পরকীয়া ছাড়া আর কি আর কিছু নেই”।

আমার তিন মামার এক মামা ছিলেন “অঞ্জু ঘোষ” এর ফ্যান। আমাদের সেই ছেলেবেলায় যখন রাজ্জাক শাবানা সুপার হিট তখন এফ, কবীর চৌধুরী পরিচালিত ‘সওদাগর’ ছবির মাধ্যমে চলচিত্র জগতে আলোড়ন তুলেছিলেন “অঞ্জু ঘোষ”। অঞ্জু ঘোষ এর ফ্যান বলেই মামাকে আমরা খুব খেপাতাম। মামা বলতেন “তোদের শাবানা তো নাচতেও জানে না।”

মামার কথাটা আসলেই ঠিক অঞ্জু ঘোষ যে ভালো নাচতে পারতেন তাঁর প্রমাণ মিলে অঞ্জু ঘোষের সর্বাধিক জনপ্রিয় ছবি “বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না” তে। উল্লেখ্য নায়ক রাজের সাথে ও একতা ছবিতে উনাকে দেখেছিলাম ছবিটির নাম “বড় ভালো লোক ছিলো”।

নাচতে জানা এবং নাচাতে জানা দুটোই আর্ট !

এলেবেলে – ৩১

ত্রিশ বছর আগে প্রিয় লেখকের উপন্যাসের একটা লাইন “আমরা হচ্ছি চোখের দেশের মানুষ। আমাদের ভালবাসা আর ঘৃণা সব কিছুর প্রকাশ চোখেই”।

সেই সময় তাই বাস্তব মনে হয়েছিলো। আসলে তা ঠিক নয়। কিছু মানুষ আছেন যাদেরকে চোখের ভাষাতে নয়, লিখলেও বুঝতে পারেন না। কোনটা কি অর্থে লিখা তাই বুঝতে পারেন না।

দুজন মানুষের মধ্যে ওয়েভ লেনথ এক না হলে কোন সম্পর্কই টিকে না। তা ফেসবুকেই হোক আর বাস্তব জীবনেই হোক। মাস চার আগে আমার এক পরিচিত এক বিয়ের অনুষ্ঠানের ছবি দিলেন। আমি ছবি দেখে একটা মন্তব্য করেছিলাম। নিজেদের ছবি না দিয়ে একটু খাবারের ছবি দাও। ছবি খাই।

তারপর দেখি আমার সেই মন্তব্যই নাই হয়ে গেছে (উল্লেখ্য তিনি আমারা আত্মীয়ও হন। আত্মীয় মানে যার সাথে আত্মার সম্পর্ক থাকে )। তারপর থেকে আমি উনার কোন লেখা (আসলে উনি নিজের ছবিই পোষ্ট করেন প্রায়ই ) তে মন্তব্য করি না। শুধু দেখি। লাইক দেই না। সামান্য বীজ থেকেই বিষবৃক্ষ জন্মায় অবিশ্বাস আর ভুল বুঝাবুঝির সার পানি পেয়ে তা একদিন মহীরুহ হয়।

আসলে আমরা খুব একা। প্রশংসা করার মানুষের খুব অভাব তাইতো ফেসবুকে নিজের, ছেলের, মেয়ের, স্বামীর, স্ত্রীর ছবি দিয়ে অন্য অনেক মানুষের লাইক পাওয়ার অপেক্ষায় থাকি ! ছেলে বা মেয়ের জন্মদিন মেয়ের এমনকি নিজের জন্মদিন উদযাপন করি ফেসবুকে …। উন্মুক্ত করে দিচ্ছি প্রাইভেসী। আপনার প্রাইভেসী আপনার যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন।

এবার অন্য প্রসঙ্গে যাই ফেসবুকে আবার বিশেষ কিছু বন্ধু আছেন যারা আপনাকে কোন বার্তা (ম্যাসেজ) দিয়েই নাই হয়ে যান। কারো সাথে কথা বলার সময় নিশ্চয় “আপনি কেমন আছেন ?” বলে দৌড় দেন না।
তাহলে ফেসবুকে দেন কেন ?
আমার কুশল জানতে চাইলেন। একটু অপেক্ষা করার সময় আপনার নেই।

কয়েক সপ্তাহ পর আপনার জিজ্ঞাসার জবাব আপনি দেখেও নিশ্চুপ থাকেন ? অথবা আপনি ভুলেই গিয়েছেন কি জানতে চেয়েছিলেন (এমনও হতে পারে আপনার স্বামী বা স্ত্রীর কাছে গোপন রাখতে আমার বা আপনার আগের কথোপকথন গুলো মুছে দিয়েছেন )।

এই হচ্ছে বাস্তবতা। যারা ফেসুবুকে অন্যকে বার্তা পাঠানোর পর নিজের ম্যাসেঞ্জার থেকে বার্তা মুছে দেবার পর ভাবেন, সেই বার্তা যাকে পাঠিয়েছিলেন তাঁর ম্যাসেজ বক্স থেকেও মুছে গেছে। সেরকম হয় না। ওটা কাকের ক্ষেত্রে হয়। আমি না মুছলে আপনার সব বার্তাই আমার কাছে থাকবে।

আমি কারো বার্তাই মুছি না।

সবাই সব সম্পর্কের মুল্য দেয় না। কেউ কেউ দেয় !

আমি আজকাল ভালো আছি

আমি আজকাল ভালো আছি,
তোকে ছাড়া রাতগুলো আলো – হয়ে আছে
আমি আজকাল ভাল আছি।

১)
পারদের ওঠা নামা আমাকে ভাবিয়ে তোলে না আর
ঝিনুকের রঙ চিনে নিতে শিখে গেছি আমি এবার।

শোন নতজানু হয়ে কেউ বসে নেই কোথাও
ফিরে গেছি সব কিছু ফেলে।
আর একশো বছর আমি বাঁচবই, পড়ে দেখ,
লেখা আছে স্পষ্ট দেওয়ালে।

২)
এক লাফে Signal পেরোতে পা আঁকড়ে ধরে না,
অজস্র কালবৈশাখী আর আছড়ে পড়ে না।

শোন অভ্যেস বলে কিছু হয় না এ পৃথিবীতে
পালটে ফেলাই বেঁচে থাকা।
আর একশো বছর আমি বাঁচবই, জেনে রাখ,
হোক না এ পথঘাট ফাঁকা।

কন্ঠঃ অনুপম রায়
কথাঃ অনুপম রায়
সুরঃ অনুপম রায়
অ্যালবামঃ দ্বিতীয় পুরুষ

এলেবেলে – ৩০

নভেম্বর. ২০১৭ ইংরেজী সাল।
আমার এক বড়লোক বন্ধুর গাড়িতে লিফট নিচ্ছিলাম।
পেছনের সীটে আমি এবং তিনি …
কথা প্রসঙ্গে তাঁর ছেলের গল্প শুরু করলেন …। শিক্ষা …
শেষে বললো তাঁর ছেলেরও ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে।
জানতে চাইলাম স্কুলে গিয়ে পরীক্ষা দিয়ে লাইসেন্স নিয়েছে … কি?
তিনি যা বললেন আমি অবাক …
না না পরীক্ষা টরীক্ষা দিতে হয় নি। চালাতে জানে আর বিআরটি’এ তে পরিচিত লোক আছে তাই লাইসেন্স করিয়ে নিতে অসুবিধা হয়নি।

কিছু বলিনি চুপ করে শুধু শুনে ছিলাম। বড়লোকদের অনেক স্বাদ আহ্লাদ থাকে।

আজ বলি, তিনি যদি আমার লেখাটি পড়েন তো আমার অনুরোধ থাকবে ছেলের লাইসেন্সটি নিয়ে যেন বিআরটি এ তে ফেরত দেন।

সেই লাইসেন্সটি সেটি তাঁর মৃত্যুর কারণ হতে পারে অথবা অনেক লোকের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। (আমি শুধু সম্ভাবনার কথা বলছি আশীর্বাদ বা অভিশাপ দেবার ক্ষমতা আমার নেই, আর আমি ওসবে বিশ্বাসও করি না )।

একটা উদাহরন দেই, একজন ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার কারণে একটা জীবন হারিয়ে যেতে পারে আর একজন ড্রাইভারের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে শত জীবন বিপন্ন হতে পারে।

একটাই জীবন।
অসীম সম্ভাবনার সেই জীবনের মুল্য ২০ লক্ষ টাকা হতে পারে না।

ইতিহাস গড়ার লক্ষ্যে ল্যোভ

জার্মান জাতীয় দলের কোচ ইওয়াখিম ল্যোভ। ইতালী ও ব্রাজিলের পর তাঁর সামনেই এখন পরপর দু’বার বিশ্বজয়ের হাতছানি। নিজেকে ‘ভবিষ্যৎদ্রষ্টা, যোগাযোগের কেন্দ্র ও জন সংযোগকারী’ ভাবতেই পছন্দ করেন।

বারো বছর কেটে গেছে। প্রায় যতটা সময় আঙ্গেলা ম্যার্কেল জার্মানির চ্যান্সেলর, ততটা সময়ই তিনি দেশটির জাতীয় দলের কোচ। সেই চুক্তি আরো বেড়েছে। এই বিশ্বকাপের পরের বিশ্বকাপ অর্থাৎ ২০২২ সাল পর্যন্ত কাগজে কলমে অন্তত তিনি দলের সবচেয়ে গুরুদায়িত্ব পালন করবেন। এরই মধ্যে দেশের কাছ থেকে পেয়েছেন ফেডারেল ক্রস অফ মেরিট-এর সম্মান। জিতেছেন ফিফার বর্ষসেরা কোচের উপাধি। দু’বার জিতেছেন বিশ্বের সেরা জাতীয় কোচের পুরস্কার। তাই তাঁকে এবার এগিয়েই যেতে হবে, কারণ নতুন কিছু পাবার জন্য নয়। বরং কিছু যেন হারাতে না হয় সেইজন্যে।

৫৮ বছর বয়সি ল্যোভ। বলেন ‘‘২০১৪ সালের বিশ্বকাপ একটি অর্জন ছিল, কিন্তু মাইলফলক নয়”। তাই তিনি এমন কিছু অর্জন করতে চান, যা ইতিপূর্বে একমাত্র ইতালীর কোচ ভিটোরিও পোৎসোই পেরেছিলেন পরপর দুবার বিশ্বকাপ জয় করতে।

জার্মান বেতারের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ল্যোভ বলেন, ‘‘সর্বোচ্চ সাফল্য অর্জন সহজ কথা নয়। প্রচুর পরিশ্রম দরকার”। ‘‘আপনি যখন সাফল্য পেতেই থাকেন, তখন আপনি কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলতে পারেন। এমনকি সাফল্য পাওয়ার ক্ষুধাও আপনার মধ্যে কমে যেতে পারে। পড়তে বেশি সময় লাগে না”। ল্যোভ মনে করেন তাঁর দলের এখনো অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমি তো দলে প্রচুর সম্ভাবনা দেখি। এদের সঙ্গে কাজ করতে এবং আরো দক্ষ করে গড়ে তুলতে আমি খুব উদ্দীপ্ত বোধ করি”।

জাতীয় দলের কোচ হিসেবে তাঁকে ক্লাব ফুটবলের মতো প্রতি সপ্তাহের চাপ তাঁকে নিতে হয় না। ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ বা বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তেই শুধু চাপ থাকে। এই ফাঁকে তিনি মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করে এগোতে থাকেন।

‘‘আমরা সবসময়ই উদাহরণ তৈরি করতে চাই। তাই আমাদের চোখ ভবিষ্যতের দিকে। মাঝে মাঝে এমন সব পরিকল্পনা মাথায় আসে, যা এখন পাগলের প্রলাপ বলে মনে হতে পারে। তবে আমরা জানি যে, একদিন সেটিই করব।”

বিশ্বকাপের দাবিদার চার দল ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, স্পেন ও ব্রাজিলের বিপক্ষে ভালো করতে পারেনি তারা। তিনটি ড্র ও একটি পরাজয় এই ফল দেখে দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স কিছুটা হতাশাব্যঞ্জক মনে হলেও সকলেই জানেন যে, জার্মানি হলো টুর্নামেন্টের দল। সেখানেই তারা ভালো করে। ল্যোভ ২০১৮ র বিশ্বকাপের পরিকল্পনা শুরু করেছেন অন্তত দু’বছর আগে। ‘‘পরিকল্পনা ছাড়া সাফল্য আসবে না। পরিষ্কার ধারণা নিয়ে পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে গেলেই কেবল অনেক দূর পৌঁছানো সম্ভব।”

ল্যোভ বোঝেন, ব্যর্থতার জন্য খুব কম সুযোগই ছাড়তে হবে। তবে শেষ পর্যন্ত ভাগ্যকেও সুপ্রসন্ন হতে হবে। তাই ‘ফিঙ্গার ক্রস্ড’।

সুত্র: অনলাইন।

এলেবেলে ২৯

সবাই সব কিছু মনে রাখে না, রাখার কথাও নয়। তবূও কেউ কেউ রাখে।

অন্যের কথা জানি না আমার কথাই বলি ত্রিশ বছর আগে তোমাকে কখন কোথায় কি বলেছিলাম এতো বছর পর মনে করতে পারি। এমন কি এক সপ্তাহ আগেও কি বলেছি তাও। তুমিই মনে রাখোনি। অভিযোগ নেই অভিমানও নেই।

গত ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের কোন এক শনিবারের সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের দিকে যাচ্ছিলাম। একজনকে দেখে খুব চেনা মনে হলে; ওকে পার হয়ে যাবার পর আবার পেছনে ফিরলাম নিজ থেকেই জানতে চাইলাম –
“আপনি … না ?”
তিনি জবাব দিলেন “হ্যাঁ”।
আমাকে কিছুতেই চিনতে পারলেন না।
আমি বললাম “১৯৮৮ তে আপনার সাথে পরিচয় হয়েছিলো। রুবী এবং ছবি আপনার (উল্লেখ্য ছবির সাথে তাঁর প্রমের সম্পর্ক ছিলো। ছবি রুবীর বড় বোন। রুবীর কোন প্রেমিক ছিলো না) বন্ধু ছিলো”।
তিনি বললেন “ছবি আমার স্ত্রী।”
আমি একটুও অবাক হইনি উনার কথা শুনে।

সে সময় তিনি তাঁর স্ত্রী (ছবি) কে ফোন করে আমার হাতে ফোনটা তুলে দিলেন। ছবির সাথে কথা হলো। ছবি আমার নাম শুনে বললেন ‘নামটা খুব চেনা মনে হচ্ছে। কিন্তু মনে করতে পারছেন না।”
মনে মনে ভাবলাম যাক সেসব কথা মনে করিয়ে দিয়ে লাভ কি ?

আরো অনেক গল্প ছিলো সেসব বলে আমি রুবী আর ছবির বর্তমানকে বিব্রত করতে চাইনি। ছবির স্বামীই বললো রুবি এখন স্বামী সহ মধ্যপ্রাচ্যে থাকে। যে যেখানে থাকুক ভালো থাকুক। সুস্থ থাকুক। সুখী হোক।

জীবন এমনিই। সব কথা মনে রাখতে নেই। যারা রাখে কষ্ট পাওয়ার জন্যই রাখে। অথবা স্মৃতির ভাণ্ডার খুলে অতৃপ্ত আনন্দ পাওয়ার জন্যই রাখে। আমার সব আছে। অতীত যেমন আছে সে সাথে বর্তমানও।
সবাই থাকুক আমার সাথে আমৃত্যু।

পরীক্ষামূলক

প্রিয় সুহৃদ।

শব্দনীড় এ যারা নিয়মিত ব্লগিং করে আসছিলেন তাদের সহ নতুন পুরাতন সকল ব্লগারদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। দীর্ঘ একটি সময় ধরে শব্দনীড়কে নতুন আঙ্গিকে সাজানোর পরীক্ষা চলছিলো জন্য স্বাভাবিক ব্লগিং প্রক্রিয়াকে রহিত করা হয়েছিলো।

আমাদের পরীক্ষা সফল হয়েছে। শব্দনীড় এর পাশাপাশি “আকাশছোঁয়া” নিউজ পোর্টালকেও আমরা সমসাময়িক করতে পেরেছি।

আপনাদের সকলের সাময়িক এই অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত।
এখন থেকে শব্দনীড় নিয়মিত থাকবে ইনশাল্লাহ।
আপনাদের ব্লগিং শুভ হোক। ধন্যবাদ।

আমি “বিজয়” দেখিনি !

আগামী সংসদ নির্বাচনের এক বছর বাকী থাকতেই মন্ত্রী হয়েছেন মোস্তাফা জব্বার। টেকনোক্রেট কোটাতে। অল্প সময়ে কি করতে পারবেন তা নিয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই।

মোস্তফা জব্বারের অপুর্ব সৃষ্টি (!) বিজয়। যারা বাংলা বা ইংরেজী কী বোর্ড ব্যবহার করেন তাঁদের কাছে বিজয় এর কোন বিকল্প নেই। আমার কম্পিউটার ব্যবহার শুরু হয়েছে জাপানী ভাষার অপারেটিং সিস্টেম আর কী বোর্ড দিয়ে। এই অপারেটিং সিস্টেম আর কীবোর্ড মোস্তফা জব্বার এর “বিজয়” সমর্থন করে না। আমি এই পোষ্ট লিখতে বিজয় বা বাংলা কীবোর্ড ব্যবহার করছি না।

আমরা তখন ফনোটিক পদ্ধতিতে চ্যাট করতাম IRC সহ অন্য সার্ভারে, আর কিছুদিন পর আমরা অভ্র পেলাম।
কে কিভাবে নিবেন জানি না এখনো পর্যন্ত বিজয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা অভ্রকে অতিক্রম করতে পারেনি (অন্তত অনলাইনে)। আমার নিজের অভিজ্ঞতার কথাই বলি আমার কাছে কী বোর্ড মুখস্ত করা প্রচুর ঝামেলা মনে হয়। আমি একটা কী বোর্ড মুখস্থ করেছি তা হলো ইংরেজী ।এই কী বোর্ডের সাথে ফনেটিক চালু করতে পারলেই আপনি খুব সহজেই বাংলা লিখতে পারবেন যদি আপনার কম্পিউটারে অভ্র চালু থাকে। অভ্রর সুবিধা হলো আপনি স্বরবর্ণ আর ব্যঞ্জনবর্ণের পার্থক্যটি বা সংজ্ঞা কে মাথায় রাখলে লিখা খুবই সহজ।

উইন্ডোজ 7 এর সাথে একটা বাংলা ইউনিকোড ফন্ট যুক্ত করা হয়েছে। ফন্টটির নাম Shonar Bangla। মজার ব্যাপার হলো এর আগে এর আগে আমরা যারা বাংলাওয়েব সাইট তৈরী করতাম একটা লিঙ্ক যুক্ত করে দিতাম বাংলা ডাউনলোড করার জন্য। ফন্টটি একবার ডাউনলোড করে নিলে সেই সাইট দেখার জন্য আর কোন সমস্যা হয় না। এরপর আমরা ফন্ট বিষয়ে আমরা নতুন ভাবে চিন্তা করতে শুরু করি। সাইট দেখার জন্য বারবার ফন্ট ডাউনলোড আর ইনস্টল একটা বিব্রত করা ব্যাপার। সেই সমস্যার সমাধান হিসাবে ২০০৯ এর দিকে সাইটের জন্য WEFT তৈরী করা শুরু করি।

WEFT তৈরী করার সময় সেটি কোন কোন সাইটে কাজ করবে তা উল্লেখ করে নিতে হয় এতে যে কেউ সাইটে প্রবেশ করলেই উনার কম্পিউটারে ফন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফন্ট ইনস্টল হবে এবং বাংলা দেখতে কোন সমস্যা হবে না বা নতুন করে ফন্ট ইনস্টল করতে হবে না।

এতক্ষণ যে সব জটিল কথাবার্তা বললাম এর প্রধান কারন হচ্ছে আমাদের বাংলা ফন্ট বা মাইক্রোসফট এর অপারেটিং সিস্টেম বাংলা বা বাংলা ফন্ট না থাকাই হচ্ছে মুল সমস্যা (বিশ্বের বেশীর ভাগ কম্পিউটার এর অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ)।

আমি বিজয়কে খারাপ বলছি না। প্রযুক্তি গত দিক থেকে এর অনেক সমস্যা আছে এর প্রধান সমস্যা হচ্ছে বাংলা বা ইংরেজী কীবোর্ড বা ইংরেজী অপারেটিং ছাড়া এটি কাজ করে না। বিজয়কে ইউনিভার্সেল সাপোর্ট দিতে পারলেই এর প্রকৃত সাফল্য আসবে। দল মত নির্বিশেষে সবার কাজে আসলেই আসল সাফল্য আসবে। মোস্তফা জব্বারকে বুঝতে হবে এর সমস্যা।

যেদিন মোস্তফা জব্বারের “বিজয়” সকল রকম অপারেটিং সিস্টেম বা কী বোর্ড সমর্থন (support) করবে তখনই এর প্রকৃত সাফল্য দাবী করা যাবে।

একা একা মন মরা

একা একা মন মরা-
হও যদি ঘুম হারা

মাঝ রাতে খুঁজে পেলে-
হারানো ছন্দ,

তখন কি আলো জ্বেলে-
একটানে খাতা খুলে

সাদা পাতা ভরে দেবে-
হাজারও শব্দ ।

যদি আমি না-ই লিখি-
মনে মনে ধরে রাখি
যত ছবি যত কবিতা,

তাতে তুমি কিবা পাবে-
কেউ যদি না-ই জানে
কি ছিল মনের কথাটা ।

সময়েরই সাঁকো ধরে-
যাও দূরে ওই পারে
সেই রাতে যদি ঝড়ে ভাঙ্গে সেতুটা,

তুমিও কি কাল মেঘে-
দিশেহারা হয়ে যাবে
নাকি ঘুরে ছুটে যাবে দেখবে শেষটা ।।

খবর দিও হঠাৎ কান্না পেলে

দুঃখ তোমার কেড়ে নিতে চায় যত,
এমন একটা নাছোড়বান্দা ছেলে।

দুঃখ তোমার কেড়ে নিতে চায় যত,
এমন একটা নাছোড়বান্দা ছেলে।

সুখের দিনে নাই বা পেলে পাশে,
খবর দিও হঠাৎ কান্না পেলে।

দুঃখ তোমার কেড়ে নিতে চায় যত,
এমন একটা নাছোড়বান্দা ছেলে।

সুখের দিনে নাই বা পেলে পাশে,
খবর দিও হঠাৎ কান্না পেলে।

তোমার খবর ভুল ঠিকানায় চিঠি,
তোমার খবর গেরোস্থালির গান,
কেমন আছো? আগেও যেমন ছিলে?
বৃষ্টি ভেজা এক জীবনের স্নান।

এক জীবনের বৃষ্টি দিয়ে তুমি,
সারাজীবন ভিজিয়ে দিয়ে গেলে,

একজীবনের বৃষ্টি দিয়ে তুমি,
সারাজীবন ভিজিয়ে দিয়ে গেলে।

মেঘলা দিনে নাই বা পেলে পাশে,
খবর দিও হঠাৎ কান্না পেলে।

হাতের পাতায় ভুলের বসত বাটী,
দূরের তারায় আকাশ ধোয়া জল,
বেঁচে থাকার এই টুকুই সম্বল।

হয়তো আমি ধূসর কোনো আলো,
অনাদরে ভাসিয়ে দিয়ে গেলে।

হয়তো আমি ধূসর কোনো আলো,
অনাদরে ভাসিয়ে দিয়ে গেলে।

মেঘলা দিনে নাই বা পেলে পাশে,
খবর দিও হঠাৎ কান্না পেলে।

মেঘলা দিনে নাই বা পেলে পাশে,
খবর দিও হঠাৎ কান্না পেলে।

শিলীঃজয় সরকার

খুব রেগে গেলে বুঝি

খুব রেগে গেলে বুঝি
আমি তোমার মন খুঁজি
হাতড়াতে হাতড়াতে পেয়ে যাব একদিন

এখন অনেক রাত আর রাগ করোনা
ঘুমাও সোনা
স্বপ্নে আসুক আলাদীন

আমি বিপর্যস্ত এক ভেতো প্রেমিকের আদল
মাসকাবারি বলতে পারো
বলতে পারো ঠোঙা
ছুঁড়ে ফেলে দাও ফুটপাতের কোণে কোণে
এখন ঘুমাও
দরকার ঘুমোনোর সোনা

ঘুমের ঔষধ খেওনা
ওটা আর কত খাবে
কপালে তোমার হাত রাখবো
ঘুম এসে যাবে
আমি বড্ড সাধারণ তোমার তুলনায়
তবু ভালোবাসি খুব তোমায় এভাবে

এইবার চোখ বুজো
আর কেঁদোনা তুমি
চোখ ফুলে যাবে কাল শুরু দিন প্রতিদিন
কাল বেরোতে হবে
আবার সব শুরু হবে
ঘুমাও সোনা
স্বপ্নে আসুক আলাদীন

প্লিজ এইবার চোখ বুজো
আর কেঁদোনা তুমি
চোখ ফুলে যাবে কাল সকালে দিন প্রতিদিন
কাল বেরোতে হবে
আবার সব শুরু হবে
ঘুমাও সোনা
স্বপ্নে আসুক আলাদীন
শিল্পীঃ রুপঙ্করবাগচী

কেন যাও জলের কাছে

প্রিয় গান …

কেন যাও জলের কাছে –
কেন যাও জলের কাছে, কেন জল এ মন টানে
ভেসেযায়, কাকে চায়, নদী কী তার অর্থ জানে?
যেতে দাও যাচ্ছে যে সে যাবার আগে,
দেখে যাক কী লেখা এইজলের দাগে।
লেখা হায়, মুছে যায়, তুমি কি তা রাখবে মনে?
জানি জল কূল ভেঙে যায় গভীর রাতে
জানি জল বুক পেতে দেয় অপেক্ষাতে।
বলে আয়, ডেকে যায়, তুমি কি তাই ভাবছ গানে?
রূপঙ্কর বাগচী