নিজু মন্ডল এর সকল পোস্ট

নিজু মন্ডল সম্পর্কে

এ্যাকুরিয়ামে থেকে কতটুকুই বা নিজেকে প্রকাশ করা যায়?

বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব সচেতন হই সুস্থ থাকি

সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য মতে, বছরের শুরুর দিন থেকে শনিবার (২৭ জুলাই) পর্যন্ত ডেঙ্গুর জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১০ হাজার ৫২৮ জন। এর মধ্যে ৭ হাজার ৮৪৯ জন চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন। আর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে অন্তত আট জন মারা গিয়েছে(বেসরকারি হিসেবে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে)। ফলে ডেঙ্গুজ্বর নিয়ে মানুষের মাঝে উদ্বেগ, আতঙ্ক তৈরী হচ্ছে। অথচ সামান্য কিছু সতর্কতা ও সাবধানতা অবলম্বন করলে এর থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব।

এডিস মশার কামড় থেকে বাঁচতে যা করবেনঃ
১. ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী এডিস মশকী রাতে/অন্ধকারে কামড়ায় না। এডিস মশা মূলত দিনের বেলা, সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়, তবে রাত্রে উজ্জ্বল আলোতেও কামড়াতে পারে। তাই এ সময় শরীর ভালোভাবে কাপড়ে ঢেকে রাখতে হবে। শিশুদের হাফপ্যান্টের বদলে ফুলপ্যান্ট বা পায়জামা পরাতে হবে।
২. দিনে ও রাতে মশারি ব্যবহার করতে হবে।
৩. দরজা-জানালায় নেট লাগাতে হবে।
৪. স্প্রে, লোশন, ক্রিম, কয়েল, ম্যাট ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫. মশার আস্তানা ধ্বংশ করতে হবে
এডিস মশা পরিষ্কার বদ্ধ পানিতে ডিম পাড়ে। তাই টব, ফুলদানি, অব্যবহৃত কৌটা, ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার রাখতে হবে।

ডেঙ্গু জ্বরে বিশেষ কিছু সতর্কতাঃ
১. ডেঙ্গুর লক্ষণঃ
সাধারণভাবে ডেঙ্গুর লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। ১০১ ডিগ্রি থেকে ১০২ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকতে পারে। জ্বর একটানা থাকতে পারে, আবার ঘাম দিয়েজ্বর ছেড়ে দেবার পর আবারো জ্বর আসতে পারে। এরসাথে শরীরে ব্যথা মাথাব্যথা, চেখের পেছনে ব্যথা এবং চামড়ায় লালচে দাগ (র্যাশ) হতে পারে। তবে এগুলো না থাকলেও ডেঙ্গু হতে পারে।

২. জ্বর হলেই কী চিন্তিত হবেন?
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এবিএম আবদুল্লাহ বলছেন, “এখন যেহেতু ডেঙ্গুর সময়, সেজন্য জ্বর হল অবহেলা করা উচিত নয়।” জ্বরে আক্রান্ত হলেই সাথে-সাথে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ।তিনি বলছেন, ”ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন, তারা জ্বরকে অবহেলা করেছেন। জ্বরের সাথে যদি সর্দি- কাশি, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কিংবা অন্য কোন বিষয় জড়িত থাকেতাহলে সেটি ডেঙ্গু না হয়ে অন্যকিছু হতে পারে। তবে জ্বর হলেই সচেতন থাকতে হবে।” [উল্লেখ্য, দেশের সব বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু টেস্টের ফি ৫০০ টাকার বেশি না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আজ রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মো. আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সুতরাং ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা গেলে কয়েকটা টেস্ট করিয়ে চিন্তামুক্ত থাকুন]

৩. বিশ্রামে থাকতে হবে
সরকারের কমিউনিক্যাবল ডিজিজ কন্ট্রোল বা সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ বিভাগের অন্যতম পরিচালক ড. সানিয়া তাহমিনা বলেন, ”জ্বর হলে বিশ্রামে থাকতে হবে। তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন, জ্বর নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করা উচিত নয়। একজন ব্যক্তি সাধারণত প্রতিদিন যেসব পরিশ্রমের কাজ করে, সেগুলো না করাই ভালো। পরিপূর্ণ বিশ্রাম প্রয়োজন।”

৪. যেসব খাবার খাবেন
প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। যেমন – ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের জুস এবং খাবার স্যালাইন গ্রহণ করা যেতে পারে। এমন নয় যে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে, পানি জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে।

৫. যেসব ঔষধ খাওয়া উচিত নয়
অধ্যাপক তাহমিনা বলেন, ”ডেঙ্গু জ্বর হলে প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে। স্বাভাবিক ওজনের একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন সর্বোচ্চ চারটি প্যারাসিটামল খেতে পারবে।”চিকিৎসকরা বলছেন, প্যারাসিটামলের সর্বোচ্চ ডোজ হচ্ছে প্রতিদিন চার গ্রাম। কিন্তু কোন ব্যক্তির যদি লিভার, হার্ট এবং কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা থাকে, তাহলে প্যারাসিটামল সেবনের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে গায়ে ব্যথার জন্যঅ্যাসপিরিন জাতীয় ঔষধ খাওয়া যাবে না। ডেঙ্গুর সময় অ্যাসপিরিন জাতীয় ঔষধ গ্রহণ করলে রক্তক্ষরণ হতে পারে।

৬.প্ল্যাটিলেট বা রক্তকণিকা
ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রে প্ল্যাটিলেট বা রক্তকণিকা এখন আর মূল ফ্যাক্টর নয় বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক তাহমিনা।তিনি বলেন, ”প্ল্যাটিলেট কাউন্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন হবার কোন প্রয়োজন নেই। বিষয়টি চিকিৎসকের উপর ছেড়ে দেয়াই ভালো।”সাধারণত একজন মানুষের রক্তে প্ল্যাটিলেট কাউন্ট থাকে দেড়-লাখ থেকে সাড়ে চার-লাখ পর্যন্ত।

৭. ডেঙ্গু হলেই কী হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে?
ডেঙ্গু জ্বরের তিনটি ভাগ রয়েছে। এ ভাগগুলো হচ্ছে – ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘সি’।প্রথম ক্যাটাগরির রোগীরা নরমাল থাকে। তাদের শুধু জ্বর থাকে। অধিকাংশ ডেঙ্গু রোগী ‘এ’ ক্যাটাগরির।তাদের হাসপাতালে ভর্তি হবার কোন প্রয়োজন নেই। ‘বি’ ক্যাটাগরির ডেঙ্গু রোগীদের সবই স্বাভাবিক থাকে, কিন্তু শরীরে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। যেমন তার পেটে ব্যথা হতে পারে, বমি হতে পারে প্রচুর কিংবা সে কিছুই খেতে পারছে না।অনেক সময় দেখা যায়, দুইদিন জ্বরের পরে শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যায়। এক্ষেত্রে হাসপাতাল ভর্তি হওয়াই ভালো।’সি’ ক্যাটাগরির ডেঙ্গু জ্বর সবচেয়ে খারাপ। কিছু-কিছু ক্ষেত্রে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউ’র প্রয়োজন হতে পারে।
[ উল্লেখ্য, দেশের সব বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু টেস্টের ফি ৫০০ টাকার বেশি না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সুতরাং লক্ষণ দেখা গেলে টেস্ট করিয়ে চিন্তামুক্ত থাকি]

বি. দ্রঃ
সাধারণত জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ থাকে। কারণ এ সময়টিতে এডিস মশার বিস্তার ঘটে। আর এখন যেহেতু বর্ষাকাল বাসার ছাদে/অন্য কোথাও পানি জমে আছে কিনা লক্ষ রাখুন(আমি নিজেও ছাদের টব চেক করেছি)। সামান্য অসচেতনায় পানি জমিয়ে রেখে মশা উৎপাদন করে সিটি কর্পোরেশন/সরকারের চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করে লাভ নেই। আমরা নিজেরা সচেতন হই, সুস্থ্য থাকি।

তথ্যসূত্রঃ বিবিসি বাংলা, বিডি নিউজ২৪

পবিত্র কোরআনে বর্ণিত উপদেশমূলক আয়াতসমূহ [২৬-৪৭, সুরা শুয়ারা থেকে সুরা মুহাম্মাদ পর্যন্ত]

বিসমিলল্লাহির র’হমা-নির র’হী—ম

মাপ পূর্ণ কর এবং যারা পরিমাপে কম দেয়, তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। সোজা দাঁড়ি-পাল্লায় ওজন কর। মানুষকে তাদের বস্তু কম দিও না এবং পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করে ফিরো না। [সুরা শু’য়ারা ২৬: ১৮১-১৮৩]
(সুরা শু’য়ারায় মূসা আ: ও ফেরাউনের ঘটনা আছে। এছাড়া ইব্রাহিম আ:, নুহ আ:, লুত আ: ও সালেহ আ: এর কথাও আছে)

মুমিনদের জন্যে পথ নির্দেশ ও সুসংবাদ। যারা নামায কায়েম করে, যাকাত প্রদান করেএবং পরকালে নিশ্চিত বিশ্বাস করে। [সুরা নাম’ল ২৭:৩
(সুরা নামলে সুলায়মান আ: ও রানি বিলকিসের ঘটনা আছে।)

সুরা কাসাস ২৮(মূসা আ: এর ঘটনা আছে)
সুরা আনকাবুত(বেশ কিছু নবীদের ঘটনা এখানে বর্ণনা করা হয়েছে)[নূহ আ: ৯৫০বছর অবস্থান করেছিলেন]

যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, আমি অবশ্যই তাদেরমন্দ কাজ গুলো মিটিয়ে দেব এবং তাদেরকে কর্মের উৎকৃষ্টতর প্রতিদান দেব। [সুরা আনকাবুত ২৯:৭]
আমি মানুষকে পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করার জোর নির্দেশ দিয়েছি। যদিতারা তোমাকে আমার সাথে এমন কিছু শরীক করার জোর প্রচেষ্টা চালায়, যার সম্পর্কে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তবে তাদের আনুগত্য করো না। [সুরা আনকাবুত ২৯:৮]

আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং নামায কায়েম করুন। নিশ্চয় নামায অশ্লীল ও গর্হিত কার্য থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কর। [সুরা আনকাবুত২৯:৪৫

________ ________ _______ ________

সবাই তাঁর(আল্লাহর) অভিমুখী হও এবং ভয় কর, নামায কায়েম কর এবং মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।[সুরা রূম ৩০:৩১]
আল্লাহ যার জন্যে ইচ্ছা রিযিক বর্ধিত করেন এবং হ্রাস করেন। নিশ্চয় এতে বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে। [সুরা রূম ৩০:৩৭]

আত্নীয়-স্ব জনকে তাদের প্রাপ্য দিন এবং মিসকীন ও মুসাফিরদেরও। এটা তাদের জন্যে উত্তম, যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে।তারাই সফলকাম। [সুরা রূম ৩০:৩৮
মানুষের ধন-সম্পদে তোমাদের ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পাবে, এই আশায়তোমরা সুদে যা কিছু দাও, আল্লাহর কাছে তা বৃদ্ধি পায় না। পক্ষান্তরে, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পবিত্র অন্তরে যারা দিয়ে থাকে, অতএব, তারাই দ্বিগুণ লাভ করে। [সুরা রূম ৩০:৩৯

________ ________ _______ ________

হেদায়েত ও রহমত সৎকর্মপরায়ণদের জন্য। যারা সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আখেরাত সম্পর্কে দৃঢ়বিশ্বাস রাখে। [সুরা লুকমান ৩১:৩-৪
আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের জোর নির্দেশ দিয়েছি। তারমাতা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছে। তার দুধ ছাড়ানো দু বছরে হয়। নির্দেশ দিয়েছি যে, আমার প্রতি ও তোমার পিতা-মতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। অবশেষে আমারই নিকট ফিরে আসতে হবে। [সুরা লুকমান ৩১:১৪

পিতা-মাতা যদি তোমাকে আমার সাথে এমন বিষয়কে শরীক স্থির করতে পীড়াপীড়ি করে, যার জ্ঞান তোমার নেই; তবে তুমি তাদের কথা মানবে না এবং দুনিয়াতে তাদের সাথেসদ্ভাবে সহঅবস্থান করবে। যে আমার অভিমুখী হয়, তার পথ অনুসরণ করবে। অতঃপর তোমাদের প্রত্যাবর্তন আমারই দিকে এবং তোমরা যা করতে, আমি সে বিষয়ে তোমাদেরকে জ্ঞাত করবো। [সুরা লুকমান ৩১:১৫]

হে বৎস, নামায কায়েম কর, সৎকাজে আদেশ দাও, মন্দকাজে নিষেধ কর এবং বিপদাপদে সবর কর। নিশ্চয় এটা সাহসিকতার কাজ। [সুরা লুকমান ৩১:১৭
অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না এবং পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ কোন দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না। [সুরা লুকমান ৩১:১৮
পদচারণায় মধ্যবর্তিতা অবলম্বন কর এবং কন্ঠস্বর নীচু কর। নিঃসন্দেহে গাধার স্বরই সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর। [সুরা লুকমান ৩১:১৯

________ ________ _______ ________

আমি ইচ্ছা করলে প্রত্যেককে সঠিক দিক নির্দেশ দিতাম; কিন্তু আমার এ উক্তি অবধারিত সত্য যে, আমি জিন ও মানব সকলকে দিয়ে অবশ্যই জাহান্নাম পূর্ণ করব।[সুরা সাজদা ৩২:১৩
কেবল তারাই আমার আয়াতসমূহের প্রতি ঈমান আনে, যারা আয়াতসমূহ দ্বারা উপদেশপ্রাপ্ত হয়ে সেজদায় লুটিয়ে পড়েএবং অহংকারমুক্ত হয়ে তাদের পালনকর্তার প্রশংসা ও পবিত্রতা বর্ণনা করে। [সুরা সাজদা ৩২:১৫
তাদের পার্শ্ব শয্যা থেকে আলাদা থাকে। তারা তাদের পালনকর্তাকে ডাকে ভয়ে ও আশায় এবং আমি তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি, তা থেকে ব্যয় করে। [সুরা সাজদা ৩২:১৬
________ ________ _______ ________

আল্লাহ কোন মানুষের মধ্যে দুটি হৃদয় স্থাপন করেননি। তোমাদের স্ত্রীগণ যাদের সাথে তোমরা যিহার কর, তাদেরকে তোমাদের জননী করেননি এবং তোমাদের পোষ্যপুত্রদেরকে তোমাদের পুত্র করেননি। এগুলো তোমাদের মুখের কথা মাত্র। আল্লাহ ন্যায়কথা বলেন এবং পথ প্রদর্শন করেন। [সুরাআহযাব ৩৩:৪
তোমরা তাদেরকে তাদের পিতৃপরিচয়ে ডাক। এটাই আল্লাহর কাছে ন্যায়সঙ্গত। যদি তোমরা তাদের পিতৃ-পরিচয় না জান, তবে তারা তোমাদের ধর্মীয় ভাই ও বন্ধুরূপে গণ্য হবে। এ ব্যাপারে তোমাদের কোন বিচ্যুতি হলে তাতে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, তবে ইচ্ছাকৃত হলে ভিন্ন কথা। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। [সুরা আহযাব ৩৩:৫]

তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে-মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না। নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করবে। হে নবী পরিবারের সদস্যবর্গ। আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে। [সুরা আহযাব ৩৩:৩৩

নবী-পত্নীগণের জন্যে তাঁদের পিতা পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, সহধর্মিনী নারী এবং অধিকার ভুক্ত দাসদাসীগণের সামনে যাওয়ার ব্যাপারে গোনাহ নেই। নবী-পত্নীগণ , তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ সর্ব বিষয় প্রত্যক্ষ করেন। [সুরা আহযাব ৩৩:৫৫
যারা বিনা অপরাধে মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে কষ্ট দেয়, তারা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপের বোঝা বহন করে। [সুরা আহযাব৩৩:৫৮

হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।[সুরা আহযাব ৩৩:৫৯

________ ________ _______ ________

বলুন, আমার পালনকর্তা তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা রিযিক বাড়িয়ে দেন এবং সীমিত পরিমাণে দেন। তোমরা যা কিছু ব্যয় কর, তিনি তার বিনিময় দেন। তিনি উত্তম রিযিক দাতা। [সুরা সা’বা ৩৪:৩৯]

যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামায কায়েম করে, এবং আমি যা দিয়েছি, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসা আশা কর, যাতে কখনও লোকসান হবে না। [সুরা ফাতির ৩৫:২৯]

সুরা সাফফাত ৩৭, সুরা সা’দ ৩৮ (এ সুরায় নবীদের ও জান্নাত জাহান্নামের বর্ণনা আছে)

যে ব্যক্তি রাত্রিকালে সেজদার মাধ্যমে অথবা দাঁড়িয়ে এবাদত করে, পরকালের আশংকা রাখে এবং তার পালনকর্তার রহমত প্রত্যাশা করে, সে কি তার সমান, যে এরূপ করে না; বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না; তারা কি সমান হতে পারে? চিন্তা-ভাবনা কেবল তারাই করে, যারা বুদ্ধিমান। [সুরা যুমার ৩৯:৯]
আর যারা শিরক থেকে বেঁচে থাকত, আল্লাহ তাদেরকে সাফল্যের সাথে মুক্তি দেবেন, তাদেরকে অনিষ্ট স্পর্শ করবে না এবং তারা চিন্তিতও হবে না। [সুরা যুমার ৩৯:৬১

যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন আজ্ঞাবহ, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার? [সুরা হা-মীম ৪১:৩৩]
সমান নয় ভাল ও মন্দ। জওয়াবে তাই বলুন যা উৎকৃষ্ট। তখন দেখবেন আপনার সাথে যে ব্যক্তির শুত্রুতা রয়েছে, সে যেন অন্তরঙ্গ বন্ধু। [সুরা হা-মীম ৪১:৩৪]
এ চরিত্র তারাই লাভ করে, যারা সবর করে এবং এ চরিত্রের অধিকারী তারাই হয়, যারা অত্যন্ত ভাগ্যবান। [সুরা হা-মীম ৪১:৩৫]

________ ________ _______ ________

যারা বড় গোনাহ ও অশ্লীল কার্য থেকে বেঁচে থাকে এবং ক্রোধাম্বিত হয়েও ক্ষমা করে, যারা তাদের পালনকর্তার আদেশ মান্য করে, নামায কায়েম করে; পারস্পরিক পরামর্শক্রমে কাজ করে এবং আমি তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি, তা থেকে ব্যয় করে, যে ক্ষমা করে ও আপোষ করে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে রয়েছে; নিশ্চয় তিনি অত্যাচারীদেরকে পছন্দ করেন না।
নিশ্চয় যে অত্যাচারিত হওয়ার পর প্রতিশোধ গ্রহণ করে, তাদের বিরুদ্ধেও কোন অভিযোগ নেই। অভিযোগ কেবল তাদের বিরুদ্ধে, যারা মানুষের উপর অত্যাচার চালায় এবং পৃথিবীতে অন্যায় ভাবে বিদ্রোহ করে বেড়ায়। তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। [সুরা শূরা ৪২:৩৭-৪২]

নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব আল্লাহ তা’আলারই। তিনি যা ইচ্ছা, সৃষ্টি করেন, যাকে ইচ্ছা কন্যা-সন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন। অথবা তাদেরকে দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন। নিশ্চয় তিনি সর্বজ্ঞ, ক্ষমতাশীল। [সুরা শূরা ৪২:৪৯-৫০]

সুরা দুখান ৪৪(জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ণনা আছে)
যে সৎকাজ করছে, সে নিজের কল্যাণার্থেই তা করছে, আর যে অসৎকাজ করছে, তা তার উপরই বর্তাবে। অতঃপর তোমরাতোমাদের পালনকর্তার দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে। [সুরা যাসিয়া ৪৫:১৫

আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের আদেশ দিয়েছি।….. সুরা আহক্বাফ ৪৬:১৫

আর যারা বিশ্বাস স্থাপন করে, সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে মুহাম্মদের প্রতি অবতীর্ণ সত্যে বিশ্বাস করে, আল্লাহ তাদের মন্দ কর্মসমূহ মার্জনা করেন এবং তাদের অবস্থা ভাল করে দেন। [সুরা মুহাম্মাদ৪৭:২]
নিশ্চয় যারা কাফের এবং আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে ফিরিয়ে রাখে, অতঃপর কাফের অবস্থায় মারা যায়, আল্লাহ কখনই তাদেরকে ক্ষমা করবেন না। [সুরা মুহাম্মাদ ৪৭:৩৪]

________ ________ _______ ________
(৪৮ থেকে পরের সুরাগুলো পরবর্তি পোস্টে আছে)
।।।

বি. দ্র:
পোস্টটা ব্যক্তিগত সংগ্রহে রাখার জন্য সাজানো হয়েছে।
অনুবাদকের ভিন্নতার কারণে কোন কোন আয়াতে শব্দগত কিছু পার্থক্য থাকতে পারে।

পবিত্র কোরআনে বর্ণিত উপদেশমূলক আয়াতসমূহ [৪৭-১১৪, সুরা ফাতাহ থেকে শেষ পর্যন্ত]

বিসমিলল্লাহির রহমা-নির রহি—ম
তোমরা আল্লাহ ও রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর এবং তাঁকে সাহায্য ও সম্মান কর এবং সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা কর। [সুরা ফাতাহ ৪৮:৯
যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রসূলের অনুগত্য করবে তাকে তিনি জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত হয়। পক্ষান্তরে যে, ব্যক্তি পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে, তাকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দিবেন। [সুরা ফাতাহ ৪৮:১৭
মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল এবং তাঁর সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল। আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় আপনি তাদেরকে রুকু ও সেজদারত দেখবেন। তাদের মুখমন্ডলে রয়েছে সেজদার চিহ্ন ।…. যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের ওয়াদা দিয়েছেন। [সুরা ফাতাহ ৪৮:২৯

________ ________ _______

মুমিনগণ! যদি কোন পাপাচারী ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোন সংবাদ আনয়ন করে, তবে তোমরা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজ্ঞতাবশতঃ তোমরা কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতিসাধনে প্রবৃত্ত না হও এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্যে অনুতপ্ত না হও। [সুরাহুজুরাত ৪৯:৬]
মুমিনরা তো পরস্পর ভাই-ভাই। অতএব, তোমরা তোমাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে মীমাংসা করবে এবং আল্লাহকে ভয় করবে-যাতে তোমরা অনুগ্রহপ্রাপ্ত হও। [সুরা হুজুরাত ৪৯:১০]
মুমিনগণ, কেউ যেন অপর কাউকে উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোন নারী অপরনারীকেও যেন উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে তাদের মন্দ নামে ডাকা গোনাহ। যারা এহেন কাজ থেকে তওবা না করে তারাই যালেম। [সুরা হুজুরাত ৪৯:১১]
মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর।
আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু। [সুরা হুজুরাত ৪৯:১২]

________ ________ _______

রাত্রির কিছু অংশে তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করুন এবং নামাযের পশ্চাতেও। [সুরা ক্বাফ ৫০:৪০]

যারা বড় বড় গোনাহ ও অশ্লীলকার্য থেকে বেঁচে থাকে ছোটখাট অপরাধ করলেও নিশ্চয় আপনার পালনকর্তার ক্ষমা সুদূর বিস্তৃত।তিনি তোমাদের সম্পর্কে ভাল জানেন…[সুরা নাজম ৫৩:৩২]

আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে।অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি? [সুরা ক্বামার ৫৪:১৭/২২/৩৩/৪০]
নিশ্চয় অপরাধীরা পথভ্রষ্ট ও বিকারগ্রস্ত। [সুরা ক্বামার ৫৪:৪৭]
(এ সুরায় নুহ আ: , আদ জাতি, সামুদ জাতি ও লুত আ: এর ঘটনা আছে)

তোমরা ন্যায্য ওজন কায়েম কর এবং ওজনে কম দিয়ো না। [সুরা আর-রহমান ৫৫: ৯]

সুরা ওয়াক্বিয়া (এ সুরায় জান্নাত জাহান্নামের বর্ণনা ও আল্লাহর নেয়ামতের কথা বলা আছে)
নিশ্চয় এটা সম্মানিত কোরআন, যারা পাক-পবিত্র, তারাব্যতীত অন্য কেউ একে স্পর্শ করবে না। [সুরা ওয়াক্বিয়া ৫৬: ৭৫, ৭৯]

________ ________ _______

তিনি নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছেন ছয়দিনে, অতঃপর আরশের উপর সমাসীন হয়েছেন।
তিনি তোমাদেরকে যার উত্তরাধিকারী করেছেন,তা থেকে ব্যয় কর।
নিশ্চয় দানশীল ব্যক্তি ও দানশীলা নারী, যারা আল্লাহকে উত্তমরূপে ধার দেয়, তাদেরকে দেয়া হবে বহুগুণ এবং তাদের জন্যে রয়েছে সম্মানজনক পুরস্কার। [সুরা হাদীদ ৫৭: -১৮]

মুমিনগণ, তোমরা যখন কানাকানি কর, তখন পাপাচার, সীমালংঘন ও রসূলের অবাধ্যতার বিষয়ে কানাকানি করো না বরং অনুগ্রহ ও খোদাভীতির ব্যাপারে কানাকানি করো। আল্লাহকে ভয় কর, যাঁরকাছে তোমরা একত্রিত হবে। [সুরা মুজাদালাহ৫৮:৯]
মুমিনগণ, যখন তোমাদেরকে বলা হয়ঃ মজলিসে স্থান প্রশস্তকরে দাও, তখন তোমরা স্থান প্রশস্ত করে দিও। আল্লাহর জন্যে তোমাদের জন্য প্রশস্তকরে দিবেন। যখন বলা হয়ঃ উঠে যাও, তখন উঠে যেয়ো। তোমাদের মধ্যেযারা ঈমানদার এবং যারা জ্ঞানপ্রাপ্ত, আল্লাহ তাদের মর্যাদাউচ্চ করে দিবেন। আল্লাহ খবর রাখেন যা কিছু তোমরা কর। [সুরামুজাদালাহ ৫৮:১১

রসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা। [সুরা হাশর ৫৯:৭

ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেননা। নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালবাসেন। [সুরা মুমতাহিনা ৬০:৮]
আল্লাহ কেবল তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন, যারা ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেছে এবং বহিস্কারকার্যে সহায়তা করেছে। যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে তারাই জালেম। [সুরা মুমতাহিনা ৬০:৯]

মুমিনগণ, জুমআর দিনে যখন নামাযের আযান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ। অতঃপর নামায সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। [সুরা জুম’য়া ৬২:৯-১০]

মুমিনগণ! তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল না করে। যারা এ কারণে গাফেল হয়, তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত। আমি তোমাদেরকে যা দিয়েছি, তা থেকে মৃত্যু আসার আগেই ব্যয় কর। অন্যথায় সে বলবেঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে আরও কিছুকাল অবকাশ দিলে না কেন? তাহলে আমি সদকা করতাম এবং সৎকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।
[সুরা মুনাফিক্বুন ৬৩:৯-১০]

তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তো কেবল পরীক্ষাস্বরূপ। আর আল্লাহর কাছে রয়েছে মহাপুরস্কার। [সুরা তাগাবুন ৬৪:১৫]

________ ________ _______

তোমরা যখন স্ত্রীদেরকে তালাক দিতে চাও, তখন তাদেরকেতালাক দিয়ো ইদ্দতের প্রতি লক্ষ্য রেখে এবং ইদ্দত গণনা করো। তোমরা তোমাদের পালনকর্তা আল্লাহকে ভয় করো। তাদেরকে তাদের গৃহ থেকে বহিস্কার করো না এবং তারাও যেন বের না হয় যদি না তারা কোন সুস্পষ্ট নির্লজ্জ কাজে লিপ্ত হয়। তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যাদের ঋতুবর্তীহওয়ার আশা নেই, তাদের ব্যাপারে সন্দেহ হলে তাদের ইদ্দত হবে তিন মাস। আর যারা এখনও ঋতুর বয়সে পৌঁছেনি, তাদেরও অনুরূপ ইদ্দতকাল হবে। গর্ভবর্তী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তান প্রসব পর্যন্ত।
যদি তারা গর্ভবতী হয়,তবে সন্তান প্রসব পর্যন্ত তাদের ব্যয়ভার বহন করবে। যদি তারা তোমাদের সন্তানদেরকে স্তন্যদান করে, তবে তাদেরকে প্রাপ্য পারিশ্রমিক দেবে এবং এ সম্পর্কে পরস্পর সংযতভাবে পরামর্শ করবে। তোমরা যদি পরস্পর জেদ কর, তবে অন্য নারী স্তন্যদান করবে। [সুরা তালাক ৬৫:১-৬]

মুমিনগণ, তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে সেই অগ্নি থেকে রক্ষা কর, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও প্রস্তর, যাতে নিয়োজিত আছে পাষাণ হৃদয়, কঠোরস্বভাব ফেরেশতাগণ। তারা আল্লাহ তা’আলা যা আদেশকরেন, তা অমান্য করে না এবং যা করতে আদেশ করা হয়, তাই করে। [সুরা তাহরীম ৬৬:৬]
মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ তা’আলার কাছে তওবা কর-আন্তরিক তওবা। আশা করা যায়, তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের মন্দ কর্মসমূহ মোচন করে দেবেন এবং তোমাদেরকে দাখিল করবেন জান্নাতে, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। [৬৬:৮]
যে পশ্চাতে নিন্দা করে একের কথা অপরের নিকট লাগিয়ে ফিরে। যে ভাল কাজে বাধা দেয়, সে সীমালংঘন করে, সে পাপিষ্ঠ, [সুরা কালাম ৬৮:১১-১২]

________ ________ _______

মানুষ তো সৃজিত হয়েছে ভীরুরূপে। যখন তাকে অনিষ্ট স্পর্শ করে, তখন সে হা-হুতাশ করে। আর যখন কল্যাণপ্রাপ্তহয়, তখন কৃপণ হয়ে যায়। তবে তারা স্বতন্ত্র, যারা তাদের নামাযে সার্বক্ষণিক কায়েম থাকে। এবং যারা তাদের যৌন-অঙ্গকে সংযত রাখে এবং যারা তাদের আমানত ও অঙ্গীকার রক্ষা করে َএবং যারা তাদের সাক্ষ্যদানে সরল-নিষ্ঠাবান। তারাই জান্নাতে সম্মানিত হবে। [সুরা মা’য়ারিজ ৭০:১৯-৩৫]

হে বস্তাবৃত, রাত্রিতে দন্ডায়মান হোন কিছু অংশ বাদ দিয়ে; অর্ধরাত্রি অথবা তদপেক্ষা কিছু কম অথবা তদপেক্ষা বেশী এবং কোরআন আবৃত্তি করুন সুবিন্যস্ত ভাবেও স্পষ্টভাবে। [সুরা মুযযাম্মিল ৭৩:১-৪]
কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ ততটুকু আবৃত্তি কর। তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দাও….[সুরা মুযযাম্মিল ৭৩:২০]
ْআপন পোশাক পবিত্র করুন ْএবং অপবিত্রতা থেকে দূরে থাকুন। ُঅধিক প্রতিদানের আশায় অন্যকে কিছু দিবেন না। [সুরা মুদ্দাসসির ৭৪:৪-৬]
َযারা মাপে কম করে, তাদের জন্যে দুর্ভোগ [সুরা মুতাফফিফীন ৮৩:১]
ِযারা মুমিন পুরুষ ও নারীকে নিপীড়ন করেছে, অতঃপর তওবা করেনি, তাদের জন্যে আছে জাহান্নামের শাস্তি, আর আছে দহন যন্ত্রণা [সুরা বুরূজ ৮৫:১০]

________ ________ _______

ْসুতরাং আপনি এতীমের প্রতি কঠোর হবেন না; ْসওয়ালকারীকে ধমক দেবেন না। [সুরা দুহা৯৩: ৯-১০]
একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর এবাদত করবে, নামায কায়েম করবে এবং যাকাত দেবে। এটাই সঠিক ধর্ম। [সুরা বাইয়্যেনাহ ৯৮:৫]
ٍনিশ্চয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত কিন্তু তারা নয় যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে তাকীদ করে সত্যের এবং তাকীদ করে সবরের। [সুরা আসর ১০৩: ২-৩]
প্রত্যেক পশ্চাতে ও সম্মুখে পরনিন্দাকারীর দুর্ভোগ, [সুরা হুমাযা ১০৪:১]
দুর্ভোগ তাদের যারা এতীমকে গলা ধাক্কা দেয়, মিসকীনকে অন্ন দিতে উৎসাহিত করে না, َযারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর। যারা তা লোক-দেখানোর জন্য করে [সুরা মাউন ১০৭: ২-৬]
আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কোরবানী করুন। [সুরা কাউসার ১০৮:২]
________ ________ _______

বি. দ্র:
পোস্টটা ব্যক্তিগত সংগ্রহে রাখার জন্য সাজানো হয়েছে। এর অনুবাদগুলো https://habibur.com/quran/ ওয়েবসাইট থেকে নেয়া। অনুবাদকের ভিন্নতার কারণে কোন কোন আয়াতে শব্দগত কিছু পার্থক্য থাকতে পারে। কোন আয়াত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উক্ত আয়াতের তাফসীর পড়ুন।

অনুগল্প -১

কলম খুঁজতে গিয়ে ব্যাগের সাইড পকেট খুলে দেখি হাজার টাকার একটা নোট! কোন ভাবেই বুঝতে পারছিনা টাকাটা এখানে এলো কীভাবে!? অনেক্ষণ ধরে টাকার উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা করলাম, কিন্তু কোন মতেই পেলাম না। অবেশেষে বিগব্যাং তত্তের কথা মনে পড়লো, কোন প্রকার মালিকের নির্দেশ ছাড়াই শুধুমাত্র আপনা আপনি একটা বিকট বিস্ফোরণের মাধ্যমে যদি এত বড় পৃথিবী, গ্রহ, নক্ষত্র, গ্যালাক্সি… … সৃষ্টি হতে পারে, তবে এই সামান্য টাকাটা কেন নয়? দ্বিগুন উৎসাহে টাকাটার সৎব্যবহার করতে বন্ধুসহ হোটেল থেকে কাচ্চি খেয়ে আসলাম। বাসায় এসে দেখি ফোনে অনেকগুলো মিসড কল। বড় আপা ফোন দিয়েছিল, হট্টগোলে থাকায় বুঝতে পারিনি। ফ্রেস হয়ে কল ব্যাক করলাম।
– আপা বললো, “তোর ব্যাগের সাইড পকেটে ১০০০টাকা রাখা আছে, ভালো দেখে একটা শার্ট কিনিস।”
– টাকার কথা শুনে চোখে আন্ধার দেখতে লাগলাম। কোনমতে বললাম, “ঠিক আছে”। ফোন রেখে মানিব্যাগ চেক করলাম। সব মিলিয়ে ১০০টাকাও হয় না। শার্টের কথা জিজ্ঞেস করলে কী উত্তর দেব, সেটাই এখন ভাবছি…

– (হাতুড়ে লেখক)