গবেষণা: বোন থাকলে জীবন আনন্দদায়ক হয়

গবেষণা: বোন থাকলে জীবন আনন্দদায়ক হয়

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, ভাই বা বোনের সঙ্গে বেড়ে ওঠা একটি শিশুর জীবন অত্যন্ত আনন্দদায়ক। এরপর কারো যদি একটি বোন থাকে তাহলে তো আর কথাই নেই। ছেলে বা মেয়ে যেই হউক না কেন, সে কিন্তু চরম সুখী। কারণ একজন বোনই পারে মায়া মমতা দিয়ে আপনাদের জীবনকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ করে তুলতে। তাই অনেকেই দেখি, বড় বোনকে মায়ের সঙ্গে তুলনা করতে। সংসারে বোনের মতো এতটা নিঃস্বার্থ ভালোবাসা আপনাকে কে দেবে!

তাই যেসব পরিবার এখনও কন্যা সন্তান জন্ম নিলে মন খারাপ করেন তারা এই গবেষণা থেকে আশার আলো দেখতে পাবেন। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক, একটি মেয়ে আপনাকে কতভাবে সাহায্য করতে পারে।

একটি মেয়ে তার পরিবারে জন্য অনেক দায়িত্ব পালন করে থাকে। ছোটবেলা থেকেই সে ছোট ভাইটি বা বোনটির যত্ন নেয়, মাকে ঘরকন্নায় সাহায্য করে। তাই নিজের বোন থাকলে সেই শিশুর মধ্যে মায়া-মমতা ও ভালোবাসার মতো গুণ সবচেয়ে বেশি প্রকাশ পায়। ম্যাচিওরিটিও তাড়াতাড়ি আসের বোনের প্রভাবে। এমনটাই বলছেন বিজ্ঞানীরা। কেবল ছোটবেলা নয়, বড় হওয়ার পরও বোন হতে পারে আপনার সবচেয়ে কাছের বন্ধু।

৩৯৫টি পরিবারের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন ব্রিংহাম ইয়ং ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। এমনকি ভাই-বোনের মধ্যে ঝগড়াও মানসিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত উপযোগী বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

তাই কেবল পুত্র সন্তানের জন্য হা হুতাশ বন্ধ করে আমাদের উচিত মেয়ে সন্তানদের দিকে নজর দেয়া। একই সঙ্গে এক সন্তান নীতি থেকেও সরে আসা উচিত। কারণ ভাই বোন একসঙ্গে মিলেমিশে আনন্দময় পরিবেশে বেড়ে উঠা একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আর বড় হওয়ার পরও তারা কখনও নিঃসঙ্গতায় ভুগে না।

6 thoughts on “গবেষণা: বোন থাকলে জীবন আনন্দদায়ক হয়

  1. "একজন বোনই পারে মায়া মমতা দিয়ে জীবনকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ করে তুলতে। বড় বোনকে মায়ের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। সংসারে বোনের মতো এতটা নিঃস্বার্থ ভালোবাসা দেবার কেউ নেই !" https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।