সুরাইয়া নাজনীন এর সকল পোস্ট

কুকুরের পশমের চেয়ে মানুষের দাড়িতে বেশি জীবাণু

কুকুরের পশমের চেয়ে মানুষের দাড়িতে বেশি জীবাণু

সুইজারল্যান্ডে একটি ক্লিনিকে পরিচালিত এক গবেষণায় পুরুষের দাড়ি সম্পর্কে ভয়াবহ এক ফলাফল বেরিয়ে এসেছে যে, মানুষের দাড়িতে কুকুরের পশমের থেকে বেশি জীবাণু থাকে। হার্সল্যান্ডেন নামক একটি নামকরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গবেষণাটি করা হয়। সূত্র : বিবিসি বাংলা।

মানুষের এমআরআই স্ক্যান যে মেশিনে করা হয়, সেটাতেই কুকুরেরও এমআরআই স্ক্যান করা সম্ভব কিনা – তা দেখাই ছিল ঐ গবেষণার প্রধান উদ্দেশ্য। কিন্তু তা করতে গিয়ে দাড়ি রাখার না-জানা বিপদ প্রকাশ পেয়েছে।

গবেষণায় ১৮ জন পুরুষের দাড়ির নমুনা এবং ৩০টি কুকুরের পশমের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তারপর যে ফলাফল দেখা যায় তা আঁতকে ওঠার মতো। ১৮ জন পুরুষের প্রত্যেকের দাড়িতে উঁচুমাত্রায় ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে।

তাদের মধ্যে সাতজনের দাড়িতে এতো উঁচু মাত্রায় ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে যেটা যে কোনো সময় ঐ মানুষগুলো অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।

অন্যদিকে, যে ৩০টি কুকুরের নমুনা পরীক্ষা করা হয়, তাদের মধ্যে ২৩টির পশমে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি ছিল। কিন্তু বাকি সাতটি কুকুরের পশম ছিল পুরোপুরি জীবাণুমুক্ত।

আঁন্দ্রিয়াস গাটজেইট, যিনি হার্সল্যান্ডেন ক্লিনিকে ঐ গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন, বিবিসিকে বলেন, ‘‘আমরা যা পেয়েছি, তাতে বলাই যায় যে দাড়িওয়ালা মানুষের চেয়ে কুকুর বেশি পরিষ্কার।’’

এ গবেষণার ফলাফল হয়ত সব দাড়ির ক্ষেত্রে প্র্রযোজ্য নাও হতে পারে। তবে দাড়ি রাখেন যারা তাদের জন্য ভাবনার কারণ হতে পারে।

ইফতারে মৌসুমি ফলের সালাদ

ইফতারে মৌসুমি ফলের সালাদ

পবিত্র রমজান মাস চলছে। দেখতে দেখতে ৭ রোজা চলে যাচ্ছে। তীব্র গরমে সারাদিনের রোজা শেষে শরীর ভালো রাখতে চাই পুষ্টিকর খাবার। এখন চলছে মৌসুমী ফলের ভরা মৌসুম। মৌসুমী নানা রকম ফল দিয়ে তৈরি সালাদ হতে পারে ইফতারের অন্যতম একটি অনুসঙ্গ। নিচে মৌসুমী ফলের সালাদ তৈরির উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো :

উপকরণ :
টক দই/মিষ্টি দই ২ কাপ, ফল ৫০০ গ্রাম (কলা, আপেল, আঙ্গুর, খোসা ছাড়া মাল্টা, পেয়ারা,পাকা আম,বাংগী, পেঁপে, আনার, কিসমিস ইত্যাদি), মধু দুই টেবিল চামচ, গোল মরিচের গুড়া (পরিমাণ মতো), লবণ পরিমাণ মতো, বাদাম, পুদিনা পাতা এবং পরিমাণমতো ফ্রুট এসেন্স।

প্রস্তুতপ্রণালী :
সব ফল ধুয়ে কিউব করে কেটে নিতে হবে। এরপর ফলের সঙ্গে একে একে করে তাতে দই, গোল মরিচের গুড়া, মধু, ফ্রুট এসেন্স এবং লবণ দিতে হবে। ভালো করে মেখে নিতে হবে। ব্যস, এটুকু-ই।

রোজায় গ্যাসট্রিক বাড়ে যা খেলে

রোজায় গ্যাসট্রিক বাড়ে যা খেলে

চলছে সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজান। অন্য সময়ের চেয়ে রোজায় বেশি খাওয়া হয়ে থাকে। তবে ইফতারে বেশি ভাজাপোড়া খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই প্রতিদিন ভাজাপোড়া খাওয়ার চেয়ে ইফতারে খাবারে আনতে পারেন ভিন্নতা।

বিশেষ করে যারা গ্যাসট্রিকের রোগী তাদের জন্য খাবার খাওয়া ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। কারণ ইফতারে গ্যাসট্রিকের রোগীরা যা ইচ্ছা তাই খেতে পারবেন না। কারণ নিয়ম মেনে না খেলে গ্যাসট্রিকের সমস্যা বেড়ে যাবে। যা আপনার জন্য ডেকে আনতে পারে ভয়াবহ বিপদ।

তাই যারা শারীরিকভাবে অসুস্থ তাদের রোজার সময় একটু বেশি সতর্ক থাকা উচিৎ।

আসুন জেনে নেই গ্যাসট্রিকের রোগীরা যেসব খাবার ভুলেও খাবেন না।

১. যাদের গ্যাসট্রিকের সমস্যা আছে তারা ইফতারে পানি ও খেজুর খেতে পারেন। ট্যাং বা লেবুর শরবত খাওয়া যাবে না।

২. তেলেভাজা পেঁয়াজু-বেগুনি না খেয়ে চিড়া, দই ও কলা খেতে পারেন। ভাজাপোড়া খেলে গ্যাসট্রিকের সমস্যা হতে পারে। যদি চিড়া-দই ভালো না লাগে, তবে নরম ভাত বা জাউ ভাত খেতে পারেন।

৩. রাতে ভাত খাবেন। তবে শাক এবং ডাল রাতে না খাওয়াই ভালো। তেল, মসলা এবং ঝাল কম দিয়ে রান্না করা খাবার খান।

৪. বেকিং পাউডার ও বেকিং সোডা দেয়া খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

৫. রোজায় অতিরিক্ত গ্যাসট্রিকের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।

মনে রাখবেন কিছু খাবার রয়েছে যা আপনার পেটে অস্বস্তি বা গ্যাসের সৃষ্টি করে। যার যে খাবারে সমস্যা হয় তাদের ওই সমস্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

সঙ্গীকে কি পাসওয়ার্ড দেবেন?

সঙ্গীকে কি পাসওয়ার্ড দেবেন?

কদিন আগেও আবিরের ফোনে পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করা ছিল না। কিন্তও হঠাৎই কী এমন হলো যে তার ফোনে পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করতে হচ্ছে! এই নিয়ে তার স্ত্রী মুনার সঙ্গে রাতদিন খিটিমিটি, কথা কাটাকাটি। মুনার বক্তব্য, আবির আমার স্বামী তাই তার সবকিছুতেই নজরদারি করার অধিকার আমার আছে। এদিকে আবিরের কথা, আমরাতো এখন আর প্রেমিক-প্রেমিকা নই, স্বামী-স্ত্রী। আগে মুনার এই নজরদারির অভ্যাস মানিয়ে নেয়া গেলেও এখন আর সম্ভব না।

আবির আর মুনার মতোই এমন ছোটখাট বিষয় নিয়ে অশান্তিতে ভুগছেন অনেক দম্পতি। কিন্তু স্বামী-স্ত্রী হয়ে গেলেও যে তারা দুজন আলাদা ব্যক্তিত্ব এটা কম মানুষই মেনে নেয়। অনেক স্বামী কিংবা স্ত্রীই মনে করেন, সঙ্গীর সবকিছুতে নজরদারি করা তার অধিকার। আপনার ক্ষেত্রেও এমনটা হলে কী করবে-

সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী হলেও প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত একটা পরিসর রয়েছে। ফোন, সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেল -এগুলোর পাসওয়ার্ড অন্যের সঙ্গে শেয়ার না করাই ভালো। এমনকি এটিএমের পাসওয়ার্ডও খুব প্রয়োজন ছাড়া সঙ্গীকে বলবেন না। এতে নিজেদের মধ্যেই সম্পর্ক ভালো থাকে। ভবিষ্যতে অশান্তির আশঙ্কা কম থাকে।

এছাড়াও সম্পর্কে বিশ্বাস, ভরসা এবং শ্রদ্ধা বজায় থাকে। একে অপরের প্রতি সন্দেহপ্রবণতা কমবে। নইলে যদি একে অপরের পাসওয়ার্ড জানা থাকে তাহলে মাঝেমধ্যেই মনে হবে ফোন ঘেঁটে দেখি কী করছে, কার সঙ্গে চ্যাট করছে। এমনটাই বক্তব্য দিয়েছেন মনোবিদেরা।

যে কোনো সম্পর্কেই স্পেস খুব গুরুত্বপূর্ণ। ফোন নিয়ে চুলোচুলি করলে তৃতীয় পক্ষের কাছে ভুল বার্তা যায়। তাদের মনে হবে নির্ঘাত কোনও লুকোচুরি রয়েছে।

সুতরাং নিজেদের সুসম্পর্ক বজায় রাখুন এবং একে অপরের প্রতি সম্মান রক্ষার্থেই পাসওয়ার্ড সঙ্গীকে জানাবেন না।

যেসব কারণে রোজা মাকরুহ হয়

যেসব কারণে রোজা মাকরুহ হয়

মাকরুহ অর্থ অপছন্দনীয়। যেসব কাজ করলে গুনাহ হয় না; তবে ইসলামে অপছন্দ করা হয়েছে সেগুলোকে মাকরুহ বলে। রোজার ক্ষেত্রেও অনেক কাজ এমন রয়েছে, যেগুলো করলে রোজা ভঙ্গ হবে না। তবে এ ধরনের কাজ করা ঠিক নয়।

১. মিথ্যা কথা বলা।
২. গিবত বা চোগলখোরি করা।
৩. গালাগাল বা ঝগড়া-ফ্যাসাদ করা।
৪. কোন কবিরাহ গুনাহে লিপ্ত হওয়া।
৫. সকালবেলায় নাপাক অবস্থায় থাকা।

৬. রোজার কারণে অস্থিরতা বা কাতরতা প্রকাশ করা।
৭. কয়লা, মাজন, টুথপাউডার, টুথপেস্ট বা গুল দিয়ে দাঁত মাজা।
৮. অনর্থক কোনো জিনিস মুখের ভেতরে দিয়ে রাখা।
৯. অহেতুক কোনো জিনিস চিবানো বা চেখে দেখা।
১০. কুলি করার সময় গড়গড়া করা।

১১. নাকের ভেতর পানি টেনে নেয়া। (কিন্তু ওই পানি গলায় পৌঁছলে রোজ ভেঙে যাবে।)
১২. ইচ্ছাকৃতভাবে মুখে থুতু জমা করে গিলে ফেলা।
১৩. ইচ্ছাকৃতভাবে অল্প বমি করা।

সূত্র: দুররে মুখতার: ২/৪১৬, বাদাইউস সানায়ে: ২/৬৩৫, কিতাবুল ফিকহ: ১/৯২৩

যেসব কারণে রোজা ভাঙে

যেসব কারণে রোজা ভাঙে

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যে সুবহি সাদিক থেকে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার ও ইন্দ্রিয় তৃপ্তি থেকে বিরত থাকার নামই হচ্ছে সাওম বা রোজা। রোজার রাখার পড়ে এমন কোনো কাজ করা যাবে না যার জন্য রোজা ভেঙে যেতে পারে। তাই রোজা রাখার পর কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে।

অনেক কারণে রোজা ভঙ্গ হতে পারে। আসুন জেনে নেই যেসব কারণে রোজা ভাঙে।

পানাহার বা ধূমপান

কেউ যদি রোজা থাকা অবস্থায় কোন প্রকার পানাহার বা ধূমপান করে তাহলে নিঃসন্দেহে তা রোজা ভঙ্গের একটি কারণ হবে। ডুবে ডুবে পানি খাওয়ার মতো করে যদি কেউ সবার অজান্তে লুকিয়ে পানাহার করে সেক্ষেত্রেও রোজা ভেঙ্গে যাবে। কারণ আর কেউ না দেখুক, আল্লাহ তাআলা ঠিকই দেখছেন। তবে কেউ যদি অনিচ্ছাকৃত ভাবে পানি খেয়ে ফেলে বা অন্য কোন খাবার খেয়ে ফেলে তাহলে রোজা ভাঙ্গবে না।

ওযু করার সময় অসর্তক হলে

ওযু করার সময় গড়গড়া করা যাবে না। আর নাকে পানি দেওয়ার সময় সাবধান থাকতে হবে যেন পানি ভেতরে চলে না যায়। ইচ্ছাকৃত ভাবে পানি ঢোকালে রোজা ভেঙ্গে যাবে, অনিচ্ছাকৃত হলে সেটা আলাদা।

স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হলে

রোজা রাখা মানে শুধু পানাহার থেকে না, ইন্দ্রীয় তৃপ্তি থেকেও নিজেকে বিরত রাখা। সেই অর্থে রোজা থাকা অবস্থায় যদি কেউ সহবাস করে তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। এক্ষেত্রে তাকে কাজা ও কাফফারা দুটোই করতে হবে।

বমি করলে

অনিচ্ছাকৃতভাবে বমি হয়ে থাকে তাহলে তাতে কোন সমস্যা নেই। অনিচ্ছাকৃত বমি হলে রোজা ভেঙে যায় না। বমি করার পর সমস্ত মুখ ভালো করে পানি দিয়ে কুলি করে ধুয়ে নিতে হবে। মুখের কোথাও বিন্দুমাত্র খাবারের কণা জমে না থাকে।

হস্তমৈথুন

হস্তমৈথুন বা অন্য কোনভাবে যদি কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে বীর্যপাত ঘটায় তাহলে তা রোজা ভঙ্গের কারণ হবে। এক্ষেত্রে যদি কেউ কামভাবে স্ত্রীকে স্পর্শ করার মাধ্যমেও বীর্যপাত ঘটায় তাহলেও রোজা ভেঙ্গে যাবে। তবে স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভাঙ্গবে না।

ঋতুস্রাব

রোজা রাখা অবস্থায় যদি মহিলাদের মাসিকের রক্ত দেখা দেয় তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। এমনিভাবে প্রসবজনিত রক্ত প্রবাহিত হতে থাকলে রোজা নষ্ট হয়ে যায়। এক্ষেত্রে যে কয়টি রোজা নষ্ট হবে সে কয়টি পরে কাজা করে নিতে হবে।

শক্তিবর্ধক ইনজেকশন

ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে জীবনী শক্তি বৃদ্ধি করার জন্যে কিংবা অন্য কোন কারণে শরীরে ওষুধ প্রবেশ করানো হলে রোজা ভেঙে যাবে।

ঘূর্ণিঝড়ের আগে করণীয়

ঘূর্ণিঝড়ের আগে করণীয় :

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ৪৩ বছরের ইতিহাসে এটিই হতে পারে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। প্রকৃতিসৃষ্ট এসব দুর্যোগ মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। তাই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়ার পর কী করবেন, তা জেনে রাখা জরুরি।

দুর্যোগ হতে পারে এমন মাসগুলোতে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। বাংলাদেশে সাধারণত মার্চ থেকে জুন এবং সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সময়ে ঘূর্ণিঝড় হবার আশঙ্কা থাকে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস শোনার অভ্যাস করা জরুরি। সকাল, দুপুর, বিকেল, সন্ধ্যা, রাতে আবহাওয়ার পূর্বাভাস নিয়মিত শুনুন। নৌকা, লঞ্চ ও ট্রলারের ক্ষেত্রে অবশ্যই রেডিও রাখতে হবে।

বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম যেমন ব্যান্ডেজ, অ্যান্টিসেপটিক প্রভৃতি রাখুন; কাজে লাগতে পারে নিজের ও প্রতিবেশীর। ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে অথবা অন্য আশ্রয় নিতে যাবার সময় কী কী জরুরি জিনিস সঙ্গে নেয়া অতি আবশ্যক এবং কী কী জিনিস মাটিতে পুঁতে রাখা যেতে পারে; তার তালিকা তৈরি করে সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিন।

আর্থিক সঙ্গতি থাকলে ঘরের মধ্যে অথবা বাড়ির কোনো নির্দিষ্ট জায়গায় পাকা গর্ত তৈরি করে রাখতে পারেন। এই পাকা গর্তের মধ্যে অতি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখতে পারবেন। ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি হিসেবে খাদ্যের প্রস্তুতি জরুরি। বাড়িতে বিভিন্ন রকম শুকনো খাবার যেমন-চিড়া, মুড়ি, বিস্কুট ইত্যাদি সংরক্ষণ করুন।

নোংরা পানি কিভাবে ফিটকিরি ও ফিল্টার দ্বারা খাবার ও ব্যবহারের উপযোগী করা যায় সে বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিন। ঘূর্ণিঝড়ের ফোন ফুল চার্জ করে রাখুন। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের পরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। ফোন ফুল চার্জ না থাকলে আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অসুবিধা হবে।

বড় ড্রাম কিংবা বালতিতে যতটা সম্ভব পানি ধরে রাখুন। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের পরে পানির লাইনও সাময়িক বন্ধ থাকতে পারে। হাতের কাছে পর্যাপ্ত মোমবাতি, গ্যাস লাইট ইত্যাদি রাখুন। ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়ে গেলে বাড়ির সমস্ত বৈদ্যুতিক সামগ্রী থেকে বৈদ্যুতিক লাইন বিচ্ছিন্ন করুন।

ঘূণিঝড় সম্পর্কে নিতে বিস্তারিত জানুন; পরিবার সদস্যদের অবহিত করুন; আশপাশের মানুষকেও জানান।

স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ানো কারণ

স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ানো কারণ

বর্তমান বিশ্বে স্ট্রোক মানুষের মৃত্যুর চতুর্থ কারণ হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে। মস্তিষ্কের কোনো অংশে রক্ত সরবরাহের ঘাটতি দেখা দিয়ে আক্রান্ত অংশের কোষ নষ্ট হওয়াকে স্ট্রোক বা ব্রেন স্ট্রোক বলে আখ্যায়িত করা হয়।

মস্তিষ্কের অংশ বিশেষ নষ্ট হওয়ায় রোগীর দেহে বেশ কিছু শারীরিক অক্ষমতা দেখা দেয়। যেগুলোকে স্ট্রোকের লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেমন: প্যারালাইসিস, পা, হাত, মুখ অথবা শরীরের ডান বা বাম অংশ অবস হয়ে যাওয়া। কথা বলতে বা কথা বুঝতে সমস্যা হওয়া, বিভ্রান্তিকর অবস্থায় পতিত হওয়া, কথা জড়িয়ে আসা, একটা চোখে অথবা উভয় চোখে দেখতে সমস্যা হওয়া, অথবা ঝাপসা দেখা, চলাফেরা করতে না পারা, চলাফেরায় ভারসাম্য নষ্ট হওয়া, বিভিন্ন অঙ্গের কার্যক্রমে অসামঞ্জস্য দেখা দেওয়া, হঠাৎ তীব্র মাথাব্যথা দেখা দেওয়া।

প্রাথমিক অবস্থায় কারও স্ট্রোক দেখা দিলে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত তা না হলে রোগীর মস্তিষ্কের বেশি অংশ নষ্ট হয়ে জটিল আকার ধারণ করতে পারে অথবা রোগীর দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা বা মৃত্যু ঘটতে পারে। আমাদের প্রতিদিনের কিছু অভ্যাস রয়েছে যা হতে পারে স্ট্রোকের কারণ! জেনে নিন-

ক্ষুধা পেলেই প্যাকেটবন্দি নোনতা কুকিজ বা চিপস খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা বন্ধ করুন। কারণ এতে মিশে থাকা অতিরিক্ত লবণ স্ট্রোক ডেকে আনছে নীরবেই! অতিরিক্ত লবণের প্রভাবে রক্তচাপ বাড়ে এবং তা মস্তিষ্কে রক্ত সংবহনে বাধা দেয়। ফলে আজই রাশ টানুন অতিরিক্ত লবণ মেশানো খাবারে।

২০১৭-য় ‘স্ট্রোক’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা জানাচ্ছে, দিনের পর দিন সকালের প্রথম খাবারে কোনো সিরিয়াল বা প্যানকেক খেয়ে চলেছেন, তারাও দাড়িয়ে রয়েছেন বিপদপথে। এসব সিরিয়াল ও প্যানকেক পেস্ট্রিতে অতিরিক্ত চিনি থাকে। ইস্কিমিক স্ট্রোকের ক্ষেত্রে এগুলোর ভূমিকা রয়েছে। ‘দ্য ল্যানসেট’-এ প্রকাশিত ২০১৯-এর একটি গবেষণা বলছে, মদ্যপান করেন না ও স্বাস্থ্যকর খাবার খান তারা স্ট্রোকের থেকে অনেকটাই নিরাপদে থাকেন। তুলনামূলকভাবে মদ্যপায়ীরা রয়েছেন বিপদে।

শরীরে ভিটামিন সি-এর কোনো অভাব পড়ছে কি না, সে দিকে খেয়াল রাখুন। হেমোরহ্যাজিক স্ট্রোককে ডেকে আনে এই ভিটামিনের ঘাটতি। পাতে রাখুন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার। সাধারণ নরম পানীয় ছেড়ে ডায়েট পানীয়কে বেছে নেন অনেকেই। কিন্তু এতে অতিরিক্ত চিনি মেশানো থাকে। যা হার্টের জন্যও ক্ষতিকর। মেদ ও কোলেস্টেরলও বাড়ায়। স্ট্রোক ডেকে আনতেও এর জুড়ি নেই।

শীত হোক বা গরম, শরীরকে শুষ্ক করে দেওয়া চলবে না মোটেই। তাই পানি খেতে হবে পর্যাপ্ত। শরীরে পানির অভাব যাতে না হয়, তার খেয়ালও রাখতে হবে। মানসিক অবসাদও স্ট্রোক ডেকে আনার অন্যতম কারণ। হাতশা ও মানসিক অবসাদ হৃদযন্ত্রে যেমন চাপ ফেলে, তেমনই মস্তিষ্কের কোষে রক্ত সঞ্চালনে বাধা দেয়। ঘন ঘন হতাশায় ভোগেন যারা, তারা দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

একটু আধটু ব্যথা হলেই মুঠো মুঠো ব্যথানাশক ওষুধ খান? এতে থাকা স্টেরয়েড ভাস্কুলার ডেথ, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতো অসুখের আশঙ্কাকে বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুণ। কাজেই অতিরিক্ত এ সব খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা পরিত্যাগ করুন আজই। দিনে সাত-ঘণ্টা একই জায়গায় বসে কাজ করলে তাদের মস্তিষ্কে অক্সিজেনের জোগান কম হয়। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, মাঝে মাঝেই সিট ছেড়ে উঠুন, হাঁটাহাঁটি করে আসুন।

অতিরিক্ত রেড মিট স্ট্রোকের প্রায় ২৮ শতাংশ আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। কোলেস্টেরল বাড়ানোতেও এর জুড়ি নেই। বদ্ধ ঘরে সারাক্ষণ এসি চালিয়ে বসে থাকেন? তা হলেও সাবধান হোন। মাঝে মাঝেই খুলে দিন জানালা। বাইরের হাওয়াবাতাস ঢুকতে দিন ঘরে। ঘরের ভিতরের হাওয়া যাতে দূষিত না থাকে সে দিকেও নজর দিন। বায়ুদূষণ থেকে বাঁচতে যা যা করণীয়, তা করুন। বায়ুদূষণও স্ট্রোকের অন্যতম কারণ।

খাবার পাতে দুগ্ধজাত জিনিস রাখুন। যারা ল্যাকটোজেন সহ্য করতে পারেন না, তারাও এর বিকল্প কোনো খাবার জেনে নিন চিকিৎসকের থেকে। দুধ থেকে তৈরি জিনিস প্রতিদিন পাতে রাখলে তা স্ট্রোকের শঙ্কা ঠেকায় অনেকটাই। ভিটামিন ডি-এর উৎকৃষ্টতম ও প্রায় একমাত্র উৎস সূর্যালোক । সারাক্ষণ এসিতে না থেকে মাঝে মাঝে সূর্যের আলো লাগান শরীরে। ভিটামিন ডি-এর অভাবও স্ট্রোক ডেকে আনে। ভিটামিন ডি-এর অভাব হাড়ের অসুখেরও অন্যতম কারণ। এর অভাব ঘোচাতে বেশ কিছু ওষুধও মেলে। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে খেতে পারেন সেসব।

গরমে রোগ নিরাময় করবে ডাবের পানি

গরমে রোগ নিরাময় করবে ডাবের পানি

তৃষ্ণা মেটাতে ডাবের পানির জুড়ি নেই। ডাবের পানি যে শুধু তৃষ্ণা মেটায় তা নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারী। ডিহাইড্রেশনের মোকাবিলা থেকে শুরু করে শরীরের ইমিউনিটি গড়ে তোলা, নানা গুণ রয়েছে ডাবের পানির। এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) টেলিমেডিসিন বিভাগের কো-অর্ডিনেটর সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ যায়েদ হোসেন বলেন, ডাবের পানি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

তিনি বলেন, আমাদের দৈনন্দিন খাবার তালিকায় এমন কিছু ফল আছে তা যদি কেমিক্যালমুক্ত হয় তবে অনেক রোগপ্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে। তেমনি একটি ফল হচ্ছে ডাব। পেটের পীড়া থেকে শুরু করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ, ওজন কমানো, প্রস্রাবের সমস্যা, প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ বিভিন্ন রোগে ডাবের পানি খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া ডাবের পানি ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

এছাড়া একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু গরমকাল নয়,সারা বছর নিয়ম করে ডাবের পানি খাওয়া উচিত। ডাবের পানি নিয়মিত খেলে অনেকে রোগ থেকে মুক্তি মিলবে। ডাবের পানিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, মেঙ্গানিজ এবং জিঙ্ক নানাভাবে শরীরে গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এসব উপাদানই আমাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন পরে।

আসুন জেনে নেই যেসব রোগ থেকে মুক্তি দেবে ডাবের পানি।

১. ডাবের পানি ত্বককে সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে, ব্রণর প্রকোপ কমাতেও সার্বিকভাবে স্কিনের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

২. পানি শরীরে লবণের মাত্রা ঠিক রাখে। ফলে ওয়াটার রিটেনশন বেড়ে গিয়ে ওজন ওজন কমায়।

৩. ডাবের পানিতে রয়েছে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম, যা রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে থাকে।

৪. ডাবের পানিতে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং ডায়াটারি ফাইবার ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

৫. মানুষের শরীরে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। রাইবোফ্লবিন, নিয়াসিন, থিয়ামিন এবং পাইরিডোক্সিনের মতো উপকারি উপাদানে ভরপুর ডাবের পানি প্রতিদিন পান করলে শরীরের অন্দরের শক্তি এতটা বৃদ্ধি পায় যে জীবাণুরা কোনওভাবেই ক্ষতি করার সুযোগ পায় না।

৬. ডাবের পানি শরীরের কোলেস্টেরল বা এল ডি এল-এর পরিমাণ কমিয়ে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্যে করে।ফলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমে যায়।

৮. ডিহাইড্রেশনের কারণে মাথা যন্ত্রণা বা মাইগ্রেনের অ্যাটাক হলে খেতে পারেন এক গ্লাস ডাবের পানি।

৯. ডাবের পানি রয়েছে সাইটোকিনিস নামে নামে একটি অ্যান্টি-এজিং উপাদান, যা শরীরের উপর বয়সের ছাপ পরতে দেয় না।

১০. প্রচুর মাত্রায় পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকার কারণে ডাবের পানি কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

আলুর মজাদার হালুয়া

আলুর মজাদার হালুয়া

বাজারে গেলেই এখন দেখবেন মিষ্টি আলুতে ভরা। শরীরের জন্য খুবই ভাল এটি। সিদ্ধ বা চুলায় পুড়ে মিষ্টি আলু তো খেয়েছেন কিন্তু হালুয়া কি খেয়েছেন কখনো? শবে বরাতে সুস্বাদু মিষ্টি আলুর হালুয়া বানাতে পারেন।

উপকরণ
মিষ্টি আলু ১/২ কাপ, চিনি ১ কাপ, দুধ ১ কাপ, ঘি ১ কাপ, গোলাপজল ১ টেবিল চামচ, পেস্তা বাদাম কুঁচি সাজানোর জন্য, এলাচ গুঁড়া ১/২ চা চামচ, দারচিনি ছোট ২ টুকরা, জাফরান এক চিমটি, লবণ সামান্য, পানি পরিমান মত।

প্রণালি
প্রথমে মিষ্টি আলুর খোসা ছিলে নিতে হবে। এখন ছিলে রাখা মিষ্টি আলু ভালভাবে ধুয়ে ছোট ছোট টুকরা করে কেটে নিন। এবার একটি পাত্রে কেটে নেয়া মিষ্টি আলু দুধ নিয়ে সিদ্ধ করুন। দুধে সিদ্ধ মিষ্টি আলুগুলো হাত দিয়ে বা গ্লাস দিয়ে খুব ভালভাবে চটকিয়ে বা ম্যাশ করে নিন।

এখন চুলায় একটি প্যান বসিয়ে তাতে ঘি, এলাচ গুঁড়ো, দারচিনি ও আলু দিয়ে দিন। এ সময়ে একটু পানি ও লবণ দিয়ে খুব হালকা আঁচে ২ মিনিট সময় ধরে নাড়তে থাকুন। আলু ফুটে উঠলে এতে এখন চিনি মেশান ও হালকা আঁচে রেখে দিন যতক্ষণ না পানি শুকিয়ে যায়। তারপর এতে গোলাপজল সহ এক চিমটি জাফরান দিন এবং ভালভাবে নাড়ুন।

এরপর মাখা মাখা হয়ে গেলে চুলা থেকে অন্য একটি পাত্রে নামিয়ে নিন ও বাদাম কুঁচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

এই বৈশাখে যেমন খাবার

এই বৈশাখে যেমন খাবার:
বর্ষবরণের দিনটি বিভিন্ন দেশীয় খাবার থাকে আমাদের আয়োজনে। ভোরবেলা নানারকম ভর্তা আর মাছ ভাজা দিয়ে পান্তা খাওয়া, সেইসঙ্গে নানা মিষ্টান্ন, মুড়ি-মুড়কি, নাড়ু তো রয়েছেই। অন্যান্য উৎসবের মতোই এই দিনটিতেও নতুন পোশাক পরার, ব্যতিক্রম খাবারের আয়োজন করার ট্রেন্ড গড়ে উঠছে। চলুন জেনে নেয়া যাক বৈশাখে কেমন খাবার খাবেন, কিভাবে খাবার ঘর সাজাবেন-

কেমন হবে বৈশাখের খাবার:
বৈশাখে হরেকরকম ভর্তা আর মাছ ভাজা দিয়ে পান্তার পাশাপাশি কাঁচা আমের জুস, মাঠা, লাচ্ছি, বাঙ্গির শরবত, তরমুজের জুস খেতে পারেন। এই জাতীয় তরল দেহের তরলের চাহিদা মেটায়। দইয়ের লাচ্ছি বা মাঠা তারল্যের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেহে ক্যালসিয়ামের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে।

বৈশাখে নানারকম মিষ্টি খাবার খাওয়া হয়। সেমাই, গুড়ের পায়েস, দই, ছানা, মণ্ডা, রসগোল্লা ইত্যাদি বৈশাখের মিষ্টান্ন। বৈশাখের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর মিষ্টান্ন হলো মৌসুমি রসালো ফল তরমুজ, বাঙ্গি, আনারস ইত্যাদি। ডেজার্ট হিসেবে ফল বেশ স্বাস্থ্যসম্মত। বাইরের খোলা খাবার, বাইরের জুস, কোমল পানীয়, কড়া চা ও কফি, আইসক্রিম ইত্যাদি এড়িয়ে চলা উচিত। বাইরের জুসে যে পানি মেশানো হয়, তা থেকে অনেক পানিবাহিত রোগের আশঙ্কা থাকে। বাইরের আচার, চাটনি, মুরালি ইত্যাদিতে অনেক রঙের ব্যবহার হয়। তাই এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।

খাবার ঘরের সাজ:
নববর্ষে খাবার টেবিলেও থাকা চাই দেশীয় আমেজ। সেক্ষেত্রে খাবার পরিবেশনে মাটির বাসনের বিকল্প কিছু নেই। মাটির থালা, বাটি, গ্লাস, জগ ইত্যাদি দিয়ে খাবার পরিবেশনের সুবিধামতো করে সাজিয়ে নিতে পারেন খাবার টেবিলটি। টেবিলের মাঝখানে মাটির পাত্রে রাখুন তাজা ফুল। ন্যাপকিনগুলোকে কোণাকৃতিতে ভাঁজ করে রাখুন প্লেটের সামনে।

বিকেলবেলায় হালকা খাবার পরিবেশনের সঙ্গে খাবার টেবিলের সজ্জাটা হতে পারে অন্য রকম। সেক্ষেত্রে আদিবাসী থিম ধরে সাজাতে পারেন খাবার টেবিলটি। টেবিলক্লথ হিসেবে বিছিয়ে দিন নীল-কালো রঙের সমন্বয়ের থামি। এর ওপরে রানার হিসেবে রাখুন রেশমি সুতার আদিবাসীদের হাতে বোনা ওড়না। আদিবাসীদের তৈরি বাসনকোসনে বিকেলে পরিবেশন করুন খই, মুড়ি, বাতাসা, নিমকিসহ দেশীয় মুখরোচক খাবার। পানি রাখার জন্য লাউয়ের তৈরি বিশেষ ডিজাইনের জগ ব্যবহার করতে পারেন।

নারিকেলের মালা দিয়ে তৈরি বাঁশের ট্রেতে একটি মালায় রাখুন তাজা কিছু ফুল, অপর মালায় রাখুন মোমের ছোট ছোট শোপিস। গোধূলির মায়াবি আলোয় দেখুন না কেমন জমে উঠেছে পয়লা বৈশাখের বিকেলের এই আনন্দ আয়োজন।

দুটি রেসিপি:

সবজির আচারি খিচুড়ি:
উপকরণ: তেল ১/২ কাপ, রসুন কুঁচি ৩ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুঁচি ৩ টেবিল চামচ, শুকনো মরিচ ৪-৫ টি, পাঁচ ফোড়ন ১ টেবিল চামচ (আস্ত), হলুদ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, জিরা গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, পানি(সামান্য), লবণ স্বাদমতো, পেঁপে ১/২ কাপ (কিউব করে কাটা), বরবটি ১/২ কাপ, গাজর ১/২ কাপ (কিউব করে কাটা), ফুলকপি ১/২ কাপ, নাজিরশাইল চাল ১/২ কেজি, ডাল ১ কাপ, টক মিষ্টি আমের আঁচার ১ কাপ।

প্রণালি: প্রথমে তেল গরম করে রসুন কুঁচি, পেঁয়াজ কুঁচি, শুকনো মরিচ, পাঁচ ফোড়ন দিয়ে বাদামি করে ভেঁজে নিতে হবে। এবার হলুদ গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, আদা বাটা ও সামান্য পানি দিয়ে মশলা ভালোমত কষিয়ে স্বাদমতো লবণ দিয়ে দিতে হবে। এরপর পেঁপে, বরবটি, গাজর, ফুলকপি দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করে নিতে হবে। এরপর আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে পানি ঝরিয়ে রাখা নাজিরশাইল চাল, ডাল দিয়ে ভালো মতো কষিয়ে এবং পরিমান মতো পানি দিয়ে ২০ মিনিট ঢেকে দিয়ে ভালোভাবে রান্না করে নিতে হবে। রান্না হয়ে গেলে টক মিষ্টি আমের আঁচার দিয়ে পুরো খিচুড়িটি ভালোভাবে নেড়ে মিলিয়ে নিলেই হয়ে যাবে মজাদার সবজির আচারি খিচুড়ি।

কাচকি মাছ ভর্তা:
উপকরণ: কাচকি মাছ এক কাপ, পেঁয়াজ কুঁচি ১ টেবিল চামচ, রসুন কুচি ২ চা চামচ, কাঁচামরিচ ৪টি, ধনেপাতা কুঁচি ১ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো।

প্রণালি: কাচকি মাছ ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। কাচকি মাছ, পেঁয়াজ কুঁচি, রসুন কুঁচি, কাঁচামরিচ অল্প তেলে কড়াইতে হালকাভাবে ভাজুন। ভাজা হলে লবণ ও ধনেপাতা দিয়ে পাটায় বেটে ভর্তা তৈরি করুন।

বৈশাখের আগেই মোহনীয় ত্বক

বৈশাখের আগেই মোহনীয় ত্বক

আসছে বৈশাখ। এই দিন সুন্দর ও দীপ্তিময় ত্বক কে না চায়। তবে ব্যস্ততার মধ্যে রূপচর্চার সময় কোথায়? তাই ভয়ের কিছু নেই বৈশাখের আগেই মাত্র ৩ মিনিট সময়ে পেয়ে যাবেন মনের মত সেই ত্বক। শুনে অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই! রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মাত্র ৩ মিনিট ত্বকের জন্য দিতে পারলেই চিন্তা নেই মুখ হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও ফর্সা!

উপকরণ :
১ চামচ গোলাপ জল, ৩-৪ টি জাফরান, আধা চা চামচ অ্যালোভেরা জেল, সামান্য গরম পানি, ১ চামচ কালোজিরা আর ১ চামচ মধু।

ব্যবহার :
গোলাপ জলের মধ্যে জাফরান এক ঘণ্টার মত ভিজিয়ে রাখুন। যত বেশি সময় ভিজিয়ে রাখবেন, সেটি তত বেশি কার্যকরী হবে। জাফরান থেকে রং ছেড়ে দিলে এর সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।

এবার ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভাল করে মুখ ধুয়ে নিয়ে তুলা ভিজিয়ে এই মিশ্রণ ভাল করে মেখে নিন এবং শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এবার এক গ্লাস সামান্য গরম পানির মধ্যে কয়েকটি জাফরান ও মধু মিশিয়ে খেয়ে নিয়ে ঘুমাতে যান। সকালে ঘুম থেকে উঠে পেয়ে যান উজ্জ্বল, দীপ্তিময় ত্বক।

অতিরিক্ত ডিম সিগারেটের থেকেও বেশি ক্ষতিকর

অতিরিক্ত ডিম সিগারেটের থেকেও বেশি ক্ষতিকর

দীর্ঘদিনের রিসার্চ করে সিদ্ধান্তে এসেছেন যে রোজ ডিম খাওয়া, সিগারেটের থেকেও বেশি ক্ষতিকর! এতদিন ডাক্তাররা বলতেন, রোজ অন্তত একটা ডিম খেলে শরীর থাকবে ভালো, কিন্তু ডাক্তারদের এই সুপারিশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বিজ্ঞানী সামনে নিয়ে আসলেন নতুন তথ্য! কী বলছে এই তথ্য?

বিজ্ঞানীরা বলছেন, দীর্ঘদিনের রিসার্চ করে সিদ্ধান্তে এসেছেন যে রোজ ডিম খাওয়া, সিগারেটের থেকেও বেশি ক্ষতিকর।

বিজ্ঞানীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বেশি ডিম খেলে শরীরে কলেস্ট্রোলের মাত্রা বেড়ে যায়। যা হৃদ রোগের কারণ হতে পারে। শুধু তাই নয়, আর্থ্রারাইটিসের সম্ভাবনাও দেখা যায় বেশি ডিম। অনেকেই বলেন, ডিমের সাদা অংশ উপকারি, আর কুসুম খাওয়া ভালো নয়। এই তথ্যকে একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, ডিম গোটাটাই অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। এমনকী, বিজ্ঞানীরা বলছেন, কাচা ডিমের তুলনায় ওমলেট, শেদ্ধ কিংবা পোচ খেলে ক্ষতির সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

এসি বিস্ফোরণ থেকে বাঁচতে

এসি বিস্ফোরণ থেকে বাঁচতে

চলছে গ্রীষ্মকাল, আর এই সময়ে আমাদের দেশের তাপমাত্রা অনেক বেশি গরম। যারা তীব্র গরমের হাত থেকে বাঁচতে এসি ব্যবহার করেন তাদের যেকোনো সময়ে হতে পারে বড় বিপদ। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের মতোই এসি বিস্ফোরণে হতাহতের সংখ্যাও কিন্তু কম নয় আমাদের দেশে। তাই এসির বিস্ফোরণ রোধে নিয়মিত এসি সার্ভিসিং এবং বাসার ছাদে বজ্রনিরোধক ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলুন প্রথমেই জেনে নিন যে কারণে এসি বিস্ফোরণ ঘটে।

কম্প্রেসারের ভেতরে জ্যাম লেগে থাকলে গ্যাস লিক হয়ে যায়। এই জ্যাম আর লিক সময়মতো সার্ভিসিং না করালে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। এছাড়াও এসির ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার না করালে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এসির প্রেসার বেড়ে গেলে কম্প্রেসার বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। অনেক সময় বার্নেবল গ্যাসের কারণেও ঘটতে পারে এসি বিস্ফোরণ। বৈদ্যুতিক হাই ভোল্টেজের কারণে মেশিনের ওপর চাপ সৃষ্টি হলেই এক সময় বিস্ফোরণের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়।

বজ্রপাতের কারণে অনেক সময় এসি বিস্ফোরণ ঘটতে পারে
এসির বিস্ফোরণ এড়াতে যা করবেন
এসি দীর্ঘক্ষণ চালু থাকলে যন্ত্রপাতি অতিরিক্ত গরম হয়ে আগুন ধরে যেতে পারে। অন্তত এক-দুই ঘণ্টা এসিকে বিশ্রাম দিন। এসির ভেতর কিছু যেন কিছু জমাট বেঁধে না যায় খেয়াল রাখুন। আপনার এয়ার ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার ও পরিবর্তন করুন। গ্রীষ্ম, শীত ও বসন্তের সময় একবার এটি করা উচিত। গরমের শুরুতেই এসির বৈদ্যুতিক সংযোগ, সকেট, ফিল্টার এসবের অবস্থাটা ঠিকমতো পরীক্ষা করতে হবে। অনেক দিন বন্ধ থাকার কারণে চালু করলে এসির ভেতরে শব্দ হতে থাকে। আবার পানিও পড়তে পারে।

বছরে অন্তত একবার টেকনিশিয়ান দিয়ে এসি চেক করান।
বৈদ্যুতিক হাই ভোল্টেজ এড়ানোর জন্য ছাদে বজ্রনিরোধক ব্যবস্থা রাখুন।
নকল এসি ব্যবহার করবেন না। তাই এসি কেনার সময় অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

শিশুর ডায়াপার কেনার টিপস

শিশুর ডায়াপার কেনার টিপস

শিশুর জন্য সঠিক ডায়াপার কিনতে হলে আপনাকে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে। শিশুর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার ব্যবহারযোগ্য ডায়পারও পাল্টাতে থাকে। এই পরিবর্তনগুলো লক্ষ রাখা দরকার এবং সেভাবেই কেনাকাটা করা দরকার। জেনে নিন ডায়াপার কেনার আগে কোন বিষয়গুলো খেয়াল করবেন-

মাপ
প্রথম কয়েক সপ্তাহ পরে ১ নম্বর সাইজ দিয়ে শুরু করুন। ডায়াপারের মাপ শিশুর বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টাতে থাকে এবং বিভিন্ন ব্রান্ডের ক্ষেত্রে বিভিন্ন হয়। ডায়াপারে ছিদ্র আছে কিনা বা সেটি ভিজে যাচ্ছে কিনা সেদিকে লক্ষ রাখুন। ডায়াপার ঠিকমতো ফিট না হলে এই সমস্যা হয়। শিশুর বেড়ে ওঠার সাথে সাথে তার প্রয়োজন অনুসারে ডায়াপারের মাপ পাল্টাতে থাকুন।

ধরন
ডায়াপারের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য আছে। কিছু কিছু ডায়াপারের মধ্যে সব প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্য আছে, আবার কয়েকটিতে কিছু কমতি আছে। শিশু বড় হওয়ার সাথে সাথে তার ডায়াপারের মাপ এবং ধরণ পাল্টানো দরকার। সদ্যোজাতদের জন্য তৈরি করা ডায়াপার শিশুর ব্যবহারের উপযোগী করার জন্য কোমল রাখা হয় আবার শিশুর বয়স একটু বাড়লে কাপড়ের ডায়াপার ব্যবহার করতে পারেন। কাপড়ের ডাোপার, আগে থেকে ভাঁজ করা ডায়াপার, ভাঁজ না করা ডায়াপার, একবার মাত্র ব্যবহার করার মতো ডায়াপার, এবং পুনরায় ব্যবহার করার মতো ডায়াপার এগুলো হলো সবথেকে প্রচলিত ডায়াপার।

কাপড়ের ডায়পার
যদি আপনি কাপড়ের ডায়াপার ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, শিশুর ত্বকে গুটি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে, অতএব আপনি ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। কাপড়ের ডায়াপার শুধু আরামদায়কই নয় এটি পরিবেশকে প্লাস্টিক দূষণ থেকেও বাঁচায়।

আগে থেকে ভাঁজ করা ডায়পাার
আগে থেকে ভাঁজ করা ডায়াপার আপনার কাজকে সহজ করে দেয়। আপনাকে শুধু ডায়াপারটি অন্তর্বাসের মতো করে শিশুকে পরিয়ে দিতে হয় এবং ভাঁজ দুটিকে বেঁধে দিতে হয়।

ভাঁজ না করা ডায়াপার
এগুলোকে হাতে ভাঁজ করে ডায়াপারের মতো আকৃতির করে নিতে হয়। আগে থেকে করে রাখা চিহ্ন দেখে ভাঁজ করে নিন এবং সহজেই আপনার বাচ্চাকে পরিয়ে দিন।

একবার ব্যবহার করার ডায়াপার
এই ডায়াপার ব্যবহার করলে ব্যবহৃত ডায়াপার সময়ে সময়ে পরিষ্কার করার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে এই ডায়াপারগুলো সস্তা উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয় যে কারণে শিশুর ত্বকে গুটি ও জ্বালা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

পুনরায় ব্যবহার করার মতো ডায়াপার
এই ডায়পারগুলো তৈরি করা হয় এগুলোর উপযোগিতাকে মাথায় রেখে এবং নষ্ট না করে দীর্ঘ সময় ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে। এগুলো বেশিরভাগ সময়ই ভালো উপাদান দিয়েই তৈরি করা হয়, বেশ টেকসই হয় এবং বেশ আকর্ষক রঙেও পাওয়া যায়। এগুলো নিত্য পরিস্কার করার জন্য তৈরি থাকতে হবে, সুতরাং আপনার হাত নোংরা করার থেকে রেহাই পাবেন না।

বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ডায়াপার
বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির ডায়াপার পাওয়া যায়, কিন্তু সঠিক এবং উপযোগী একটিকে খুঁজে বের করা দরকার। যেহেতু শিশুর ত্বক সংবেদনশীল, তাই এক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। একটু যাচাই করে দেখুন, কিন্তু সতর্কতার সঙ্গে, যাতে আপনার শিশুর কোনো ক্ষতি না হয়। প্রথম সপ্তাহের জন্য বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জিনিস ব্যবহার করে দেখুন কোনটি সবথেকে সুবিধাজনক মনে হয়। যদি আপনি একটি নির্দিষ্ট ব্র্যান্ড পছন্দ করে থাকেন, সেই ব্র্যান্ডটিই ব্যবহার করতে থাকুন।