সুরাইয়া নাজনীন এর সকল পোস্ট

কুমড়োর বীজ যখন ওষুধ

কুমড়োর বীজ যখন ওষুধ

মিষ্টি কুমড়া বাংলাদেশের অন্যতম সবজি। তবে এর বীজেও রয়েছে অনেক উপকারিতা। মিষ্টি কুমড়ার বীজ শুধু পুষ্টি মানে সমৃদ্ধ নয়, এর রয়েছে প্রচুর ওষুধি গুণাবলী। নিচে ওষুধি গুণাবলী নিয়ে আলোচনা করা হলো-

বাতের ব্যথা: বাতের ব্যথা চিকিৎসায় মিষ্টি কুমড়ার বীজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মিষ্টি কুমড়ার বীজ হাড়ের সন্ধিস্থলে ভেঙে যাওয়া চর্বিসমূহের পরিমাণ বাড়তে দেয় না। ভেঙে যাওয়া চর্বিসমূহ হাড়ের সন্ধিস্থলে জমা হয়ে ব্যথার সৃষ্টি হয়। এভাবে চর্বি জমতে বাধাদানের মাধ্যমে মিষ্টি কুমড়ার বীজ বাতের ব্যথা কমিয়ে থাকে। অপরদিকে প্রাকৃতিক বস্তু হওয়ায় এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

হাড়ক্ষয় রোধ: ৫০ বছরের বেশি বয়স্ক মানুষের শতকরা ৩০ ভাগ মানুষের কোমরের হাড়ের স্নুক্ষ ফাটল ও ৮ শতাংশ মানুষের হাড়ক্ষয় রোগ রয়েছে। হাড়ক্ষয় রোগের প্রধান কারণ হলো শরীরে জিংকের অভাব। আর এই জিংকসমৃদ্ধ প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎস হলো মিষ্টি কুমড়ার বীজ। সুতরাং খুব সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাদ্যতালিকায় রেখে সহজেই কোমর, মেরুদণ্ডের হাড়সহ দেহের অন্যান্য হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে সক্ষম হবো।

কোলেস্টেরল কমায়: ফাইটোস্টেরল এক বিশেষ রাসায়নিক উপাদান যা উদ্ভিদে পাওয়া যায়। আমরা যদি দৈনিক খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত ফাইটোস্টেরল গ্রহণ করি। তাহলে আমাদের দেহের রক্তের কোলেস্টেরল কমায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এ ফাইটোস্টেরলের এক বিশেষ উৎস হলো মিষ্টি কুমড়ার বীজ। মিষ্টি কুমড়ার বীজে ফাইটোস্টেলের পরিমাণ বাদামে উপস্থিত ফাইটোস্টেলের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। যার পরিমাণ ২৬৫ মিলিগ্রাম বা ১০০ গ্রাম।

প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায়: জিংক আমাদের দেহের কোষ আবরণীর গঠন ও কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করে। জিংকের অভাবে প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস, রোগা ও দুর্বল শিশুর জন্ম দেয়। এছাড়া আমাদের প্রায় ২০০টি এনজাইমের কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে জিংক। মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে প্রচুর জিংক। প্রতিদিন অল্প মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার মাধ্যমে প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি, সবল শিশু জন্মসহ বিভিন্ন রোগ নিবারণ করতে পারি।

লৌহঘটিত রোগ প্রতিরোধ: আয়রন বা লৌহ আমাদের দেহের লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি ও মাংসপেশী গঠনে ভূমিকা রাখে। আয়রন আমাদের দেহে অক্সিজেন সরবরাহ করে শরীরকে সতেজ ও প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে থাকে। আয়রনের অভাবে রক্তশূন্যতা বা এনিমিয়া রোগ হয়। একজন পুরুষের চেয়ে নারীর দেহে আয়রনের চাহিদা বেশি। মিষ্টি কুমড়ার বীজে প্রচুর আয়রন আছে। প্রতিদিন ৩৫ গ্রাম মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেলে দৈনিক চাহিদার প্রায় ৩০% পূরণ হবে। শিশুর বৃদ্ধি, দুগ্ধদানকারী মা, খেলোয়াড়দের প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় মিষ্টি কুমড়ার বীজ রাখা উচিত।

ম্যাঙ্গানিজের অভাব: ম্যাঙ্গানিজ শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি রাসায়নিক উপাদান। ম্যাঙ্গানিজের অভারে মস্তিষ্ক ও স্নায়ুকোষ স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারায়। ফলে সৃষ্টি হয় আলজেইমার্স, সিজোফ্রেনিয়া ও মৃগীরোগ। এছাড়াও ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও বাতের ব্যথা সৃষ্টি হয়। যেহেতু মিষ্টি কুমড়ার বীজে প্রচুর ম্যাঙ্গানিজ থাকে; সেহেতু প্রতিদিন কিছু কুমড়ার বীজ খাওয়ার মাধ্যমে এসব রোগ থেকে উপশম পাওয়া যাবে।

ম্যাগনেসিয়ামের অভাব: ম্যাগনেসিয়াম একটি খনিজ পদার্থ। যা শরীরের বিপাকক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ, প্রোটিন ও নিউক্লিক এসিড উৎপাদনে অপরিহার্য। এছাড়া শরীরের হরমোনসমূহের কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ, হৃৎপিণ্ড সচল, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, দৈহিক বৃদ্ধি, হাড় মজবুত, স্নায়ুতন্ত্রের খবরাখবর আদান-প্রদানসহ অসংখ্য জৈবিক কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করে। তাই ম্যাগনেসিয়ামের খুব সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য উপাদান হলো মিষ্টি কুমড়ার বীজ। প্রতিদিন ৩৫ গ্রাম বীজ দেহের চাহিদার অর্ধেক পূরণ করতে পারে।

প্রোস্ট্রেট গ্রন্থির টিউমার: বিনাইন প্রোস্টেটিক হাইপা ট্রোফি বা বিপিএইচ, যা সহজ বাংলায় প্রোস্ট্রেট গ্রন্থির টিউমার নামে পরিচিত। এ রোগের ফলে প্রোস্ট্রেট গ্রন্থি বড় হয়ে যায়। টেস্টোস্টেরন হরমোন ও এর থেকে ডাইহাইড্রো টেস্টোস্টেরন হরমোন প্রোস্ট্রেট গ্রন্থির কোষসমূহকে অতি উদ্দীপিত করে। ফলে দ্রুত নতুন নতুন কোষ সৃষ্টির মাধ্যমে প্রোস্ট্রেট গ্রন্থি বৃদ্ধি পেয়ে প্রোস্ট্রেট গ্রন্থির টিউমার সৃষ্টি হয়। মিষ্টি কুমড়ার বীজ থেকে উৎপন্ন তেল প্রোস্ট্রেট গ্রন্থির টিউমার নিয়ন্ত্রণে সক্ষম। কারণ মিষ্টি কুমড়ার বীজে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, জিংক ও ক্যারোটিনয়েড রয়েছে। যা প্রোস্ট্রেট গ্রন্থির টিউমার নিয়ন্ত্রণ করে।

সুস্বাদু আম আইসক্রিম রেসিপি

সুস্বাদু আম আইসক্রিম রেসিপি

অনেকগুলো পাকা আম একবারে খেয়ে ফেলা সম্ভব নয় নিশ্চয়ই। ফ্রিজে বেশিদিন রেখে দিলেও স্বাদ নষ্ট হয়ে যায় অনেকটাই। আবার শুধু পাকা আম খেতে একঘেয়ে লাগতে পারে। এমনটা হলে নিশ্চিন্তে বানিয়ে ফেলুন আমের আইসক্রিম। এই গরমে ঠান্ডা ঠান্ডা আমের আইসক্রিম খেতে মন্দ লাগবে না-

উপকরণ :
আমের ফালি- ১ কাপ
দুধ (ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নেওয়া)- ১ গ্লাস
ক্রিম- ১ কাপ
গুঁড়া দুধ- ১ কাপ
চিনি- ১ কাপ।

প্রণালি :
সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে ব্লেন্ডারে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। মিশ্রণটি স্মুথ হয়ে আসলে একটি বাটিতে করে ফ্রিজে রেখে দিন। আইসক্রিম তৈরি হয়ে গেলে স্কুপার দিয়ে উঠিয়ে পরিবেশন করুন। আম বেশি মিষ্টি হয়ে থাকলে চিনির পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারেন।

ভ্রমণ আনন্দ নষ্ট না হয়!

ভ্রমণ আনন্দ নষ্ট না হয়!

ছুটি কাটাতে যাচ্ছেন? নতুন জায়গা দেখুন, নতুন মানুষদের জানুন আর ছোট ছোট আনন্দগুলোকে উপভোগ করতে শিখুন। তবেই না হবে ভ্রমণের সঠিক আনন্দ উপভোগ। কিন্তু ধরুন, ছুটি কাটিয়ে এসেও আপনার বিরক্তিভাব কাটছে না। এমনকি ভ্রমণে তিক্ততা চলে এসেছে যার কারণে আর ঘুরতে যাবারও ইচ্ছে নেই। কিন্তু কেন এমনটি হলো? ঠিকই অফিস থেকে ছুটি নিলেন, নির্ধারিত জায়গায় গেলেন, বেশ কিছু খরচও করে আসলেন। কিন্তু কোন ভুলে বিরক্তি তৈরি হলো বুঝতে পারছেন না।

বেড়াতে গিয়েছেন কিন্তু সেখানে দেখার মতো কী আছে, কীভাবে সে জায়গাগুলোতে যেতে হয়, কোথায় থাকা উচিত কিছুই জানেন না আপনি। এমন ভুল করা যাবে না। নতুন একটি জায়গায় যদি আপনি একদমই না জেনে যান তাহলে ঝামেলায় পড়বেন। যেখানে যাচ্ছেন সেখানের রেস্টুরেন্ট, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, আকর্ষণীয় জায়গা আর সেখানে মানুষের পেশা সম্পর্কেও জানুন।

বাড়তি প্যাকিং।
জামা, জুতো, বই, কসমেটিক্সসহ আরো টুকটাক অনেক কিছু নিয়ে ভ্রমণে যান আপনি? তাহলে জানুন ভুলটা আপনি এখানেই করছেন। যত বড় আপনার ব্যাগ হবে, তত বেশি ঝামেলায় আপনি পড়বেন। এয়ারপোর্টে যাওয়া-আসা, হোটেলে চেকিং আর নানা জায়গায় ঘুরতে গেলে সবকিছুতে এই বাড়তি প্যাকিং হবে আপনার বিরক্তির কারণ। আর এই জন্য পরের ভ্রমণে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবেন আপনি। পোশাক নিন আরামদায়ক আর যা সহজেই ধুয়ে ফেলা যায়। সাথে এক-দুইটা পছন্দের বই রাখতে পারেন।

ভ্রমণ পথে বিরতি।
ফ্লাইট দেরি হওয়া অথবা বাতিল হয়ে যাওয়া এমনটা হতেই পারে ভ্রমণে। ভ্রমণে ক্লান্ত হয়ে যদি আপনি কোথাও বিশ্রাম না নেন তবে বিরক্তি এসে যাবে ভ্রমণের প্রতি। আর এ কারণে আপনার মাঝে দেখা দিতে পারে হতাশা আর আতঙ্ক। যখনই কোথাও যাচ্ছেন সেখানে কোথায় বিশ্রাম নেয়ার জায়গা পাওয়া যেতে পারে সে বিষয়ে খোঁজ নিন।

অনেক বেশি প্রত্যাশা।
আপনি কখনোই বলতে পারবেন না এটিই আপনার সব থেকে সুন্দর ভ্রমণ ছিল। কারণ এক এক ভ্রমণে এক এক অভিজ্ঞতা হবে। ভ্রমণ হতে হয় প্রত্যাশা ছাড়া। এটি আপনার হতাশা কাটাবে। কাজেই কোনো ভ্রমণে অতিরিক্ত প্রত্যাশা করা কখনোই ঠিক নয়।

সঙ্গীর সাথে সঠিক যোগাযোগ নেই
যে জায়গাতেই আপনি বেড়াতে যান না কেন, সাথে যদি সঙ্গী থাকে তবে জরুরি হচ্ছে তার সাথে সঠিক যোগাযোগ রক্ষা করা। আপনি হয়তো সমুদ্রে যেতে চাচ্ছেন কিন্তু আপনার সঙ্গী চাচ্ছে এলাকার দর্শনীয় স্থান ঘুরে বেড়াতে। এমন হলে দুজনেরই মন খারাপ হয়ে যেতে পারে। এই ধরনের সমস্যা যেন না হয় সেজন্য আগে থেকেই সঙ্গীর সাথে কথা বলে পরিকল্পনা করুন।

ভ্রমণে গিয়ে টেকনিক্যাল ডিভাইস নয়।
টেকনিক্যাল সকল কিছু থেকে নিজেকে আলাদা করে রাখতে পারলেই ছুটি উপভোগ করতে পারবেন আপনি। সাথে যদি ফোন থাকে সেটি দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় ব্যবহার করুন। এরপর সেটি রুমে রেখে অথবা সাইলেন্ট করে বের হয়ে পড়ুন নতুনত্ব দর্শনে।

আমের ভালো খারাপ

আমের ভালো খারাপ

বাজারে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে পাকা আম। আম পাকা বা কাঁচা যাই খান কেন, আমের রয়েছে নানাবিধ পুষ্টিগুণ। জনপ্রিয়তা ও স্বাদে অন্য ফল থেকে এগিয়ে থাকে আম। কাঁচা আম দিয়ে আমরা সাধারণ আম-তেল, আম ডাল, আমের আচার তৈরি করে খেয়ে থাকি। এছাড়া পাকা আম হলে তো কথাই নেই। আমের গুণের কথা আমাদের অনেকেরই অজানা। পেট, ত্বক ও চুলের যত্নে আমের জুড়ি নেই।

পুষ্টিবিদদের মতে, আমের শাঁস থেকে আঁটি পুরোটাতেই রয়েছে নানাবিধ উপকারিতা। আম খেলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমে। এছাড়া হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এই ফল।

আসুন জেনে নেই যেসব অসুখ ছাড়াবে আম :
১. আমে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন সি ও ফাইবার। যা রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমায়। তাই প্রতিদিন পরিমান মত আম খেতে পারেন।

২. আম শরীরের প্রোটিন অণুগুলো ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে। ফলে হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

৩. আমের আঁশে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। আম বাটা মাখলেও ত্বকে রোমের মুখগুলো খুলে গিয়ে ত্বক পরিষ্কার থাকে।

৪. শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ‘এ’-এর চাহিদার প্রায় পঁচিশ শতাংশের যোগান দিতে পারে আম। তাই আম চোখের জন্যও উপকারী। ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি এবং রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা করে।

৫. আমে রয়েছে প্রায় ২৫ রকমের বিভিন্ন কেরাটিনোইডস। তাই আম খেলে আপনার ইমিউন সিস্টেমকে রাখবে সুস্থ ও সবল।

৬. আমের শাঁস থেকে আঁটি পুরোটাই বেশ উপকারী। আমে রয়েছে টারটারিক অ্যাসিড, ম্যালিক অ্যাসিড ও সাইট্রিক অ্যাসিড। যা শরীরের ক্ষার ধরে রাখতে সাহায্য করে।

৭. আমের থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

৮. অপুষ্টিতে ভুগলে এই গরমে প্রতিদিন একটি করে আম খেতে পারেন। শরীরে শক্তি জোগান দিতে আমের জুড়ি নেই।

মজার ডেজার্ট পাইন আপেল ডিলাইট

মজার ডেজার্ট পাইন আপেল ডিলাইট

গরমে মজার সব ডেজার্ট খেতে কার না ভাল লাগে। বিকেলের নাস্তায় চা বা কফির সাথে হালকা মিষ্টি খাবার পাইন আপেল ডিলাইট এর স্বাদ নিতেই পারেন। দেখে নিন কীভাবে তৈরি করবেন মজাদার কিন্তু সহজ এই রেসিপিটি। চাইলে বাজারের কেনা পাউন্ড কেকেও হবে। কিন্তু কেউ যদি নিজের হাতেই মানাতে চান তার উপকরণ দেখে নিন।

৫ টি ডিম, ১ কাপ ময়দা + ২ টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার, ৩/৪ কাপ চিনি, (১+১/২) চা চামচ বেকিং পাউডার, ১/৪ চা চামচ লবণ, ১ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স, ১/৩ কাপ দুধ + ১/৩ কাপ তেল।

প্রণালি :
৯*১৩ ইঞ্চি বেকিং প্যান ওভেনে ১৮০ ডিগ্রিতে প্রিহিট করে নিতে হবে। কেক প্যানে বাটার মাখিয়ে ও ময়দা ছিটিয়ে গ্রিজ করে নিতে নিন।

ডিমের সাদা অংশ কুসুম থেকে আলাদা করে ভাল মত ১/৪ কাপ চিনি দিয়ে বিট করতে হবে ২-৩ মিনিট। ফোম হয়ে আসলে বিট করা বন্ধ করুন। এবার আবার ডিমের কুসুম, ১/২ কাপ চিনি এবং এসেন্স দিয়ে বিট করতে হবে ১ মিনিট। ক্রিমের মত হলে দুধ ও তেল দিয়ে মিশাতে হবে। আলাদা বাটিতে ময়দার সাথে কর্নফ্লাওয়ার, লবণ, বেকিং পাউডার ভাল মত মিশিয়ে নিন। এখন ময়দার মিশ্রণ ডিমের কুসুমের মিশ্রণ ভাল মত মিশিয়ে নিতে হবে।

এরপর ময়দার মিশ্রণে ডিমের ফোম অল্প অল্প করে ৩ বারে চামচ দিয়ে ভাল মত ফোল্ডিং করে করে মেশাতে হবে। ডিমের সাদা ফোম মিশানোর সময় বেশি জোরে হুইস্ক করলে ফোম থেকে বাতাস বের হয়ে যাবে।

এরপর বেকিং প্যানে কেক এর মিশ্রণ ঢেলে চামচ দিয়ে সমান করে ২৫ মিনিট অথবা কেক এ টুথপিক দিয়ে চেক করে হয়ে আসলে নামিয়ে নিতে হবে। কেক বেকিং প্যানেই ঠাণ্ডা করুন।

দুধের সিরাপ তৈরির উপকরণ
ঘন দুধ ২ কাপ, কনডেন্সড মিল্ক ১/২ কাপ

প্রণালি
একটি জগে সিরাপের সব উপকরণ ঢেলে ভাল করে হুইস্ক করে মিশিয়ে নিতে হবে। কেক বেকিং প্যানেই রেখে কাটা চামচ দিয়ে কেক এর পুরোটা কেচে দিতে হবে। এবার দুধের মিশ্রণটি কেক এর উপর ঢেলে দিন। খেয়াল রাখবে যাতে কেক এর পুরো অংশে দুধের সিরাপ লাগে। কেক এই সিরাপ পুরোটা শুষে নেবে। এরপর ফ্রিজে ১ ঘণ্টা রাখতে হবে।

আনারস ক্রিমের লেয়ার তৈরির উপকরণ
হুইপড ক্রিম ৩ কাপ, আনারস কুঁচি ২ কাপ, ক্রিম চিজ ১/২ কাপ, আইসিং সুগার ২ টেবিল চামচ, নারিকেল ফ্লেক্স।

প্রণালি
প্রথমে ক্রিম চিজ ও আইসিং সুগার ভাল করে ফেটে মিশিয়ে তার সাথে হুইপড ক্রিম মিশিয়ে নিন। এখন আনারস কুঁচি দিয়ে দিন। কেকের উপর এই মিশ্রণ মোটা করে বিছিয়ে দিন। উপরে নারিকেল ফ্লেক্স ছিটিয়ে ফ্রিজে ২ ঘণ্টা রেখে পরিবেশন করুন।

চুল সুন্দর থাকুক

চুল সুন্দর থাকুক

ঠিকঠাকভাবে চুলের যত্ন নেয়ার সময় হয় না অনেকেরই। এদিকে মানসিক চাপ, ব্যাকটেরিয়ার কারণে সংক্রমণ বা অ্যালার্জি, রক্তাল্পতা, আবহাওয়া, অপুষ্টি এবং দূষিত পানির কারণে আমাদের চুল দ্রুতই স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারাতে শুরু করে। এমন কয়েকটি ঘরোয়া প্যাক সম্পর্কে জেনে নিন যার মাধ্যমে সারা বছর ব্যবহার করলে চুলের একাধিক সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব-

চুল শুষ্ক আর রুক্ষ হয়ে গেলে ডিম আর দুধের প্যাক অত্যন্ত উপকারী। ২টি ডিমের কুসুমের সঙ্গে ১ কাপ কাঁচা দুধ, ২ চামচ অলিভ অয়েল আর ২ চামচ পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই প্যাক মাথায় ভালো করে মাখিয়ে রেখে দিন। মিনিট পনেরো পর হালকা গরম পানিতে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ২ বার এই প্যাক ব্যবহার করলে চুলের শুষ্ক আর রুক্ষভাব কেটে যাবে। চুল ঝরার সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

চুলের স্বাস্থ্য ধরে রাখতে ওটস, নারিকেলের দুধ আর মধু মিশিয়ে চুলে মাখতে পারেন। এর জন্য ১ চামচ ওটসের সঙ্গে ২ চামচ মধু আর ১ কাপ কাঁচা দুধ মিশিয়ে নিন। এই প্যাক চুলের গোড়ায় ২০-২৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে উষ্ণ পানিতে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন।

রুক্ষ চুল আর অতিরিক্ত চুল ঝরার সমস্যায় কলা, মধু আর নারিকেল তেলের প্যাক ব্যবহার করে দেখতে পারেন। একটা গোটা পাকা কলা চটকে তার সঙ্গে ২ চামচ মধু, ১ কাপ কাঁচা দুধ আর ২ চামচ নারিকেল তেল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাক চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভালো করে মেখে ৩০ মিনিটের মতো রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ২-৩ বার এই প্যাক ব্যবহার করে দেখুন। ফল পাবেন হাতেনাতে।

চুল যদি তেলচিটে হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে ২-৩টি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে ১ কাপ দুধ আর ১ কাপ টক দই মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। এই প্যাক মাথায় মেখে ৩০ মিনিটের মতো রেখে দিন। এর পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ২-৩ বার এই প্যাক ব্যবহার করে দেখুন। উপকার মিলবে।

চুল শুষ্ক আর রুক্ষ হয়ে গেলে ডিম আর টক দইয়ের প্যাক অত্যন্ত উপকারী। এর জন্য ২-৩টি ডিমের কুসুমের সঙ্গে আধা কাপ টক দই মিশিয়ে নিন। ভালো করে ফেটিয়ে এই প্যাক চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভালো করে মাখিয়ে রাখুন। মিনিট পনেরো পর হালকা গরম পানিতে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ২ বার এই প্যাক ব্যবহার করলে চুলের শুষ্ক আর রুক্ষভাব কেটে যাবে। চুল ঝরার সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

মোহনীয় ঈদ সাজ

মোহনীয় ঈদ সাজ

সকালের সাজ: ঈদের সকালে হালকা সাজই ভালো লাগে। এ সময় বাইরে যেমন তীব্র রোদ তেমনি আবার হঠাৎ বৃষ্টির খেলা। তাই সকাল বেলার সাজের প্রসাধনীগুলো যেন ওয়াটারপ্রুফ ধাঁচের হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ফ্রেশ লুক মেকআপের ক্ষেত্রে ওয়াটার বেজড লিক্যুইড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। সাজটির সঙ্গে ডাস্ট পাউডারের ব্যবহারও যোগ করা যেতে পারে। পোশাকের ওপরই ঈদের সাজ সংশ্লিষ্ট। তাই পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে সাজটা যেন অন্যের রুচির সঙ্গে মিলে যায় সেদিকেও লক্ষ্য দিতে হবে। এখানে কাপড়ের সঙ্গে মিলিয়ে কালারফুল শ্যাডো, ম্যাচিং শ্যাডো বা নেইল পলিশ ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে গর্জিয়াস পোশাক পরলে সাজের ক্ষেত্রে মেকআপটিও যেন গর্জিয়াস হয়। পারফেক্ট লুকের ক্ষেত্রে চুলের সাজটাও গুরুত্বপূর্ণ। তাই পোশাক ও ত্বকের সাজের সঙ্গে মিল রেখেই নিজে নিজে চুলের পারফেক্ট লুকটা তুলে ধরুন। আগে থেকেই চুলে কোনো শেভ করিয়ে রাখলে বা আয়রন ব্যবহার করে চুল ছেড়েই রাখতে পারেন। চাইলে স্টাইলিশ বিভিন্ন হেয়ার ক্লিপ দিয়েও চুলকে সাজিয়ে নিতে পারেন। তবে গরমের অস্বস্তি থেকে বাঁচতে চুলের খোঁপার বিভিন্ন ঢং আপনাকে আরেকটু স্বস্তি জোগাতে পারে।

বিকেলের সাজ: বিকেলের সাজে শাড়ি পরতে চাইলে চুলে সুন্দর খোঁপা করে বেঁধে রাখতে পারেন। এজন্য ঈদের আগের দিন পার্লারে গিয়ে চুলের গ্লো-সেটিংসটা ঠিক করে নিতে পারেন। চুলটাকে চাইলে প্রিপেলিং করে বা কাঁটা দিয়েও বেঁধে দিতে পারেন। চুলের সাজে চাইলে শোভাবর্ধনকারী বিভিন্ন ফুল বা চুলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অর্নামেন্ট ব্যবহার করতে পারেন। আর মেকআপের ক্ষেত্রে চাইলে ফাউন্ডেশন করে নিতে পারেন। সেই সঙ্গে ঠোঁটে গাঢ় লিপস্টিক, চোখে কাজল, মাশকারা বা আইশ্যাডোও ব্যবহার করতে পারেন। পোশাক যদি খুব গর্জিয়াস হয় তাহলে সাজ ও গয়নার ব্যবহার কম আনলেই ভালো। এক্ষেত্রে কালো বা কোনো হালকা গয়নার ব্যবহারই আপনাকে সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলবে। আবার ঈদের সাজে মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করতে চাইলে কাপড়ের সঙ্গে মিল রেখে চোখ বা ঠোঁটকে একটু গাঢ় করে ফুটিয়ে তুলতে পারেন। আপনার সাজের যে কোনো একটি বিষয়কে চাইলে বেশি প্রাধান্য দিতে পারেন। এর বাইরেও মাশকারা বা আইব্রুটাকেও গাঢ় করে তুলতে পারেন। যদি লিপস্টিকটা গাঢ় হয় তবে চোখের সাজটা হালকা করলেই ভালো দেখাবে।

সন্ধ্যার সাজ: সন্ধ্যার সাজে চাইলে নিজেকে একটু বেশি গর্জিয়াস করে তোলা যেতে পারে। রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন বলেন, সাধারণ সাজ এ সময় মানাবে না। আর সেজন্যই সাজটাকে বেশি লাইট ন্যাচারাল না করে একটা বেইজমেট নিতে পারেন। এক্ষেত্রে ব্লাশানটা একটু বাড়িয়ে, চোখের কাজলটাকে একটু গাঢ় করে নেয়া যেতে পারে। গর্জিয়াস সাজে শ্যাডো ব্যবহার করতে চাইলে চোখে বিশেষ কোনো রঙের শ্যাডো ব্যবহার করা যেতে পারে। সাজের পরিবর্তনের দিকে লক্ষ্য দিতে চাইলে চোখে তিন চার রঙা লেয়ার কাজল ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি আপনাকে অন্যদের থেকে ব্যতিক্রম করে রাখবে। এর পাশাপাশি চোখে মাশকারা, আইলাশ বা শেওলাশ ব্যবহার করা যেতে পারে। চুলের সাজের ক্ষেত্রে চুল পাইল করে রাখতে পারেন। আবার চাইলে কিছু চুল সামনে নিয়ে টুইস্ট করেও আটকে রাখতে পারেন। চুলের এমন সাজে নিজেকে একটু গর্জিয়াসই মনে হবে। এর সঙ্গে রাতের সাজ আয়োজনের পোশাকটি হতে পারে কালো রঙের বা অন্য কোনো উজ্জ্বল রঙের পোশাক।

রাতের সাজ: রাতের সাজের জন্য বেছে নিতে পারেন সিল্ক, ঢাকাই জামদানি, কাতান, সাউথ ইন্ডিয়ান সিল্ক, পাড় বসানো কোটা ইত্যাদি। সিল্কের ওপর রেশমি সুতা আর কাঁচের কাজ করা ময়ূরকণ্ঠী অথবা অফ হোয়াইট বা বেস কালারের সিল্ক শাড়িতে ব্রাশ প্রিন্ট অথবা জরিপাড়, বড় আঁচলের বুটিকদার কাতান আপনার সাজে আনবে আভিজাত্য। গয়নাও হবে সোনার অথবা জয়পুরী ইমিটেশন। বেছে নিন অভিজাত ডিজাইনের। অল্প বয়সীদের জন্য হালকা গয়নাও ভালো লাগবে। সেটা নির্ভর করবে আপনার রুচি ও বয়সের ওপর। দামি শাড়ি গয়নার সঙ্গে প্রসাধনও হওয়া চাই নিখুঁত। এ বিষয়ে রাহিমা সুলতানা বলেন, প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইচার লাগিয়ে নিন। সন্ধ্যায় সানস্ক্রিনের প্রয়োজন নেই। এ সময় মুখে লাগাতে পারেন তরল মেকআপ। অবশ্যই ত্বকের সঙ্গে মিলিয়ে এটা লাগানোর সময় গলা ও কানের দিকেও নজর দিন। তারপর গালের ঠিক উপরিভাগে বুলিয়ে দিন ব্লাশার, তাও ত্বক ও সাজের সঙ্গে মিলিয়ে।

চোখের পাতায় তিন রঙের শেড বা একটি কালারও ব্যবহার করতে পারেন। উৎসবে শাড়ির রঙের সঙ্গে ম্যাচ করে লাগালেই সুন্দর লাগবে। এমনভাবে ব্যবহার করতে হবে যাতে তিনটি রং ভালোভাবে মিশে যায়। ভ্রƒর হাড়ের ওপর ব্যবহার করতে পারেন হোয়াইট সিলভার, পার্ল অথবা গোল্ডেন কালার। যাতে ভ্রুর হাড়টি উঁচু দেখায়। আইশ্যাডো শুধু চোখের ওপরের পাতায় লাগান। যদি চান তাহলে চোখের পাতার কোণ পর্যন্ত আইশ্যাডো লাগাতে পারেন। এতে আপনার সাজে আসবে উৎসবের জমকালো চমক। আইশ্যাডো লাগানোর পর আই লাইনারের পালা। চোখের স্বাভাবিক রেখা ধরেই লাগাতে পারেন গাঢ় বাদামি রঙের আই পেনসিলের রেখা। চোখের কোলে সরু করলেও চোখের কোণের দিকে সামান্য মোটা করে দিন। চোখের পাতায় ঘন করে মাশকারা লাগান। লিপস্টিক লাগানোর আগে লিপ ব্রাশ অথবা লিপ পেনসিল দিয়ে ঠোঁটের চারধার আউটলাইন আঁকুন। পোশাকের সঙ্গে মানানসই লিপস্টিক লাগান। রাতে সাজের প্রধান অঙ্গ কপালের টিপ। আপনার মুখের আদল অনুযায়ী কপালে টিপ এঁকে নিন। আজকাল কন্ট্রাস্ট টিপ চলছে। আপনিও তাই দিতে পারেন।

ঈদে রুচিশীল পোশাক

ঈদে রুচিশীল পোশাক

সময়টা গরম হওয়ায় আসন্ন ঈদ পোশাকে টুয়েলভ ক্লদিংয়ে ফেব্রিক ও রঙে দেওয়া হয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। পোশাকে কটনের ব্যবহারটাই করা হয়েছে বেশি। পোশাকের ডিজাইনের ক্ষেত্রেও থাকছে রুচিশীলতার ছাপ।

ট্রেন্ডি পোশাকগুলোর প্যাটার্নে ওয়েস্টার্ন স্টাইলের সঙ্গে থাকছে দেশি ঘরানার ফিউশন। ঈদ পোশাকে স্বাচ্ছন্দ্যতার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে আরামদায়ক নানা মেটারিয়ালের কাপড়। এবারের ঈদের আয়োজনে থাকছে টপস, শর্ট টপস, টিউনিক,টি-শার্ট, ডেনিম, সালোয়ার কামিজ, গাউন, কুর্তি, হেরেম প্যান্ট, ডেনিম, সিগার প্যান্ট ও বাহারি ডিজাইন এবং পালাজ্জো।

ছেলেদের জন্য রয়েছে পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, পোলো শার্ট, ডেনিম ও টুইল প্যান্টের বেচিত্র্যময় কালেকশন। শিশুদের জন্যও রয়েছে আকর্ষণীয় ডিজাইনের পোশাক।

ঈদ কালেকশন নিয়ে টুয়েলভ ক্লদিংয়ের সিইও ফাহমিদ ইসলাম বলেন, ঈদ মানেই নিত্যনতুন পোশাকের সম্ভার। স্টাইলিশ ফ্যাশনেবল তরুণ-তরুণীদের কথা মাথায় রেখে আমরা সবসময় বেচিত্র্যময় পোশাক তৈরি করি। এবারও টুয়েলভ কালেকশনে পাওয়া যাবে চমৎকার সব ফ্যাশনেবল পোশাক।

খেতে মজা তবে হজমে বাঁধা লিচু

খেতে মজা তবে হজমে বাঁধা লিচু

চলছে রসালো ফলের মধু মাস। এই মধু মাসে ছোট -বড় সবার প্রিয় একটি ফল হচ্ছে লিচু। বিশেষ করে শিশুরা লিচু খেতে খুব পছন্দ করে। তবে প্রিয় এই ফলটি খেতে সুস্বাদু হলেও কখনো ভুলেও এক সঙ্গে অনেকগুলো লিচু খাওয়া যাবে না।

লিচুতে হাইপোগ্লাইসিন নামে একটি রাসায়নিক থাকে। এই হাইপোগ্লাইসিন শরীরে শর্করা তৈরি রোধ করে। এর ফলে শিশুরা যদি খালি পেটে অতিরিক্ত লিচু খায় তবে শরীরে শর্করার পরিমাণ অত্যন্ত কমে যায়। ফলে মৃত্যু হতে পারে।

তবে এখানেই শেষ নয় লিচু যে শুধু হাইপোগ্লাইসিন শরীরে শর্করা তৈরি রোধ করে তা নয়, অতিরিক্ত লিচু খেলে তা খাবার হজম হতে বাধা দেয়।অতিরিক্ত লিচু খাওয়ার ফলে পেটের পীড়াজনিত সমস্যা হতে পারে। এছাড়া যারা গ্যাস্ট্রিকের রোগী তাদের লিচু না খাওয়ায় ভালো।

হজমে সমস্যা

বেশি ভারী ও তেল-মসলাযুক্ত খাবার খেলে শুরু হতে পারে পেটব্যথা, পেট ফাঁপা, ঢেকুর ওঠা, পায়ুপথে বাতাস নির্গমন বা ডায়রিয়ার মতো সমস্যা। এগুলোর বেশিরভাগই হজমে গণ্ডগোলের কারণে হয়ে থাকে। খাওয়ার সময় তাড়াহুড়া করবেন না। সময় নিয়ে, ধীরে-সুস্থে ভালো করে চিবিয়ে খাওয়া শেষ করবেন। তাড়াহুড়া করে খেতে গিয়ে খাবার ঠিকমতো হজম হয় না। তা ছাড়া পেটে খানিকটা বাতাসও ঢুকে যায়।

গ্যাস্ট্রিক কি?

সাধারণত নাভির ওপরে পেটে ব্যথা হবে। খালি পেটে কিংবা ভোররাতের দিকে ব্যথা তীব্র হয়।গলা-বুক-পেট জ্বলে, টক ঢেঁকুর ওঠে। ঝাল-তেল-মসলাজাতীয় খাবারে ঝামেলা বেশি করে।

এ বিষয়ে বারডেম হাসপাতালের সাবেক পুষ্টি কর্মকর্তা ও পুষ্টি বিভাগের প্রধান আখতারুন নাহার আলো যুগান্তরকে বলেন, খালিপেটে বা ভরা পেটে অতিরিক্ত লিচু খাওয়া ক্ষতিকর। অতিরিক্ত লিচু খেলে হজমে ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়। তাই কোন ভাবেই অতিরিক্ত লিচু খাওয়া উচিত নয়। তিনি বলেন, ৪ বছর পর্যন্ত শিশুদের লিচু খাওয়ানো উচিত নয়। ৪ বছর পরে একটি লিচু খাওয়ানো যেতে পারে। আর বড়দের একসঙ্গে ৫টির বেশি লিচু না খাওয়াই ভালো।

সূত্র : দৈনিক যুগান্তর।

জাল টাকা চেনার সহজ উপায়

জাল টাকা চেনার সহজ উপায়

ঈদ এলেই বাজারে জাল নোটের দৌরাত্ম্য বাড়ে। কারণ ঈদের এই সময়ে শপিংমল থেকে শুরু করে কাঁচাবাজার সব জায়গাতেই ক্রেতাদের ভিড় লেগেই থাকে। আর এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজার জাল নোটের ব্যবসা করে। গত রোববার রাজধানীর মতিঝিল থানা এলাকা হতে বিপুল পরিমাণ জাল টাকাসহ চক্রের ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা-উত্তর বিভাগ।তাই ঈদ বাজারে জাল নোট থেকে সাবধান। জাল নোট চেনার সহজ কিছু উপায় রয়েছে।

আসুন জেনে নেই জাল নোট চেনার সহজ উপায়।

১. জাল নোটগুলো নতুন হবে: জাল টাকার নোটগুলো সাধারণত নতুন হয়। কারণ জাল নোটগুলো সাধারণত কাগজের তৈরি, তাই পুরাতন হয়ে গেলে সেই নোটগুলো নাজেহাল হয়ে যায় বা তা অতি সহজেই বোঝা যায়।

২. ঝাপসা দেখায়: জাল নোট আসলের মতো ঝকঝকে থাকে না, দেখতে ঝাপসা দেখায়। টাকা লেন দেন করার সময় একটু মনযোগ সহকারে দেখলেই বোঝা যায়।

৩. কাগজের মতো ভাঁজ হয়: জাল নোট কাগজের মতো ভাজ হয়। হাতের মধ্যে নিয়ে মুষ্টিবদ্ধ করে কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দিলে ভাঁজ পরে যায়। আর আসল নোট ভাঁজ হবে না।

৫. বাংলাদেশ ব্যাংক: নোট সোজা করে ধরুন এবার লক্ষ্য করুণ নোটের বাম পাশে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত একটি সরল রেখা আছে। একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন ওটা কোনো রেখা নয় । সেখানে স্পষ্টভাবে ইংরেজিতে বাংলাদেশ ব্যাংক কথাটা লেখা আছে ।

৬. ভাজ করলেও সহজে ভাঙে না: আসল টাকা সবসময় দুটি অংশ দিয়ে তৈরি হয়। টাকার দুই পাশে দুটো নোট জোড়া লাগানো থাকে এবং এটা হরিণের চামড়া দিয়ে তৈরি বলে পানিতে ভেজালেও খুব তারাতারি ভেঙ্গে যাবে না । আর জাল নোট পানিতে ভেজানোর সঙ্গে সঙ্গেই তা ভেঙ্গে যাবে।

৭. আসল নোট সবসময় খসখসে : আসল টাকার নোট সব সময় খসখসে হয়। আর জাল নোট মসৃণ হয়।

৮. আল্ট্রা ভায়োলেট লাইট : জাল টাকা শনাক্তের অন্যতম উপায় হচ্ছে আল্ট্রা ভায়োলেট লাইট। এই লাইটের মাধ্যমে সনাক্ত করা খুবই সহজ। আসল নোটে এই লাইটের আলো ধরলে নোটের ওপর রেডিয়ামের প্রলেপ জ্বলজ্বল করে উঠবে। জাল নোটে তা হয় না।

‘লাইলাতুল কদর’ যে কারণে শ্রেষ্ঠ রজনী

‘লাইলাতুল কদর’ যে কারণে শ্রেষ্ঠ রজনী।

লাইলাতুল কদর মহিমান্বিত একটি রজনী। লাইলাতুল কদরের অন্য নাম শবে কদর। কদরের রাতে অজস্র ধারায় আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়। এ রাতে এত অধিকসংখ্যক রহমতের ফেরেশতা পৃথিবীতে অবতরণ করেন যে, সকাল না হওয়া পর্যন্ত এক অনন্য শান্তি বিরাজ করে পৃথিবীতে।

মহান আল্লাহর ভাষায়-লাইলাতুল কদর হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। লাইলাতুল কদরের ফজিলত ও তাৎপর্য অপরিসীম। কোরআনুল কারীমে এরশাদ হয়েছে, ‘আমি একে নাযিল করেছি শবে কদরে। শবে কদর সম্পর্কে আপনি কি জানেন? শবে কদর হলো এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এতে প্রত্যেক কাজের জন্য ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে। এটা নিরাপত্তা, যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। (সূরা আল কাদর : ১-৫)।

কদর নামকরণের কারণ : যেহেতু এ রজনী অত্যন্ত মহিমান্বিত ও সম্মানিত তাই এ রজনীকে লাইলাতুল কদর বলা হয়ে থাকে। আবার এ রাত্রে যেহেতু পরবর্তী এক বৎসরের অবধারিত বিধিলিপি ফেরেশতাদের কাছে হস্তান্তর করা হয় সে কারণেও এ রজনীকে কদরের রজনী বলা হয়।

সূরা কদর অবতীর্ণ হওয়ার পটভূমি : ইবনে আবি হাতেম (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-একদা রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবিদের সম্মুখে বনী ইসরাঈলের জনৈক চারজন লোক সম্পর্কে আলোচনা করলেন যে, তারা দীর্ঘ হায়াত লাভ করে অধিককাল যাবত ইবাদত করেছেন। এ সময়ের মধ্যে তারা একটিও নাফরমানি করেননি। রাসুলুল্লাহর (সা.) যবান মোবারক থেকে এ কথা শুনতে পেরে সাহাবায়ে কেরাম অত্যন্ত বিস্মিত হলেন এবং নিজেদের ব্যাপারে আফসোস করতে লাগলেন।

সাহাবায়ে কেরামের এ আফসোসের পরিপ্রেক্ষিতে মহান রাব্বুল আলামিন হজরত জিবরাঈলের (আ.) মাধ্যমে রাসুলের (সা.) নিকট এমন সময় এই সুরায়ে ‘কদর’ অবতীর্ণ করেন। (তাফসিরে মাআরিফুল কুরআন ও তাফসিরে মাজহারি)।

লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব : কদরের ফজিলত বোঝানোর জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ‘কদর’ নামে আলাদা একটি সূরা অবতীর্ণ করেন। কেবল কোরআন নয় বরং হাদিসেও কদরের ফজিলত রয়েছে বলে প্রমাণ রয়েছে।

কদরের ফজিলত সম্পর্কে মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনের সূরায়ে কদরে এরশাদ করেন-নিশ্চয়ই আমি পবিত্র কোরআনুল কারীমকে লাইলাতুল কদরে অবতীর্ণ করেছি। আপনি কি জানেন লাইলাতুল কদর কি? লাইলাতুল কদর হলো হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। উক্ত রজনীতে ফেরেশতাগণ ও জিবরাঈল (আ.) তাদের প্রতিপালকের নির্দেশে প্রত্যেক বিষয় নিয়ে অবতীর্ণ হন এটা শান্তিময় রজনী যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। (সূরা আল কদর : ১-৫)।

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেছেন, নিশ্চয় আমি তা (কোরআন) এক মোবারক রজনীতে অবতীর্ণ করেছি, নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থিরকৃত হয়। (সূরা আদ দুখান : ১-৪)।

হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, শবে কদরে হজরত জিবরাইল (আ.) ফেরেশতাদের বিরাট এক দল নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন এবং যত নারী-পুরুষ নামাজরত অথবা জিকিরে মশগুল থাকে, তাদের জন্য রহমতের দোয়া করেন। (তাফসিরে মাজহারি)।

মিশকাত শরিফে উল্লেখ রয়েছে, হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘যদি তোমরা কবরকে আলোকময় পেতে চাও তাহলে লাইলাতুল কদরে জাগ্রত থেকে ইবাদত কর। রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, যদি কেউ ঈমানের সঙ্গে সাওয়াব লাভের খাঁটি নিয়তে লাইলাতুল কদর কিয়ামুল্লাইল বা তাহাজ্জুদে অতিবাহিত করে তবে তার পূর্ববর্তী সকল গোনাহ ক্ষমা করা হবে। (বুখারি, হাদিস নং : ৬৭২)।

লাইলাতুল কদর কবে?

লাইলাতুল কদরের নির্দিষ্ট কোনও তারিখ নেই। অনেকেই মনে করেন ২৭ রমজানই লাইলাতুল কদরের রাত। আসলে এ ধারণাটি সঠিক নয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) কখনও বলেন নি যে, ২৭ রমজানের রাত কদরের রাত। তবে ২১ রমজান থেকে নিয়ে ২৯ রমজন পর্যন্ত বেজোড় যে কোন রাতই শবে কদর হতে পারে। লাইলাতুল কদরের তারিখের ব্যাপারে নবী করীম (সা.) এরশাদ করেন, আমাকে লাইলাতুল কদর দেখানো হয়েছে, অতঃপর আমাকে তা ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। অতএব তোমরা শেষ দশ রাতের বেজোড় রাতসমুহে তা খোঁজ করবে। (বুখারি, হাদিস নং :৭০৯)।

রাসূল (সা.) আরও বলেন, ‘রমজানের শেষ দশদিনে তোমরা কদরের রাত তালাশ কর। (মুসলিম, হাদিস নং: ১১৬৯)।

একদা হজরত উবায়দা (রা.) নবী করীম (সা.) কে লাইলাতুল কদরের রাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তখন নবীজী সেই সাহাবিকে বললেন রমজানের বেজোড় শেষের দশ দিনের রাতগুলোকে তালাশ করো। (বুখারি, হাদিস নং: ২০১৭)।

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যদি কেউ লাইলাতুল কদর খুঁজতে চায় তবে সে যেন তা রমজনের শেষ দশ রাত্রিতে খোঁজ করে। (মুসলিম, হাদিস নং : ৮২৩)। তাই ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ রমজানের রাতগুলোকেই বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

ইবনে মাজাহ শরিফে উল্লেখ রয়েছে, হজরত রাসূল (সা.) বলেন, যে লোক শবে কদর থেকে বঞ্চিত হয় সে যেন সমগ্র কল্যাণ থেকে পরিপূর্ণ বঞ্চিত হল। আবু দাউদ শরিফে উল্লেখ রয়েছে, হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদর পেলো কিন্তু ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে কাটাতে পারলো না, তার মতো হতভাগা দুনিয়াতে আর কেউ নেই। কদরের রাতের ইবাদতের সুযোগ যাতে হাতছাড়া হয়ে না যায় সেজন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামশেষ দশদিনের পুরো সময়টাতে ইতেকাফরত থাকতেন। (মুসলিম, হাদিস নং : ১১৬৭)।

শবে কদরে কী করব?

রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজে ‘লাইলাতুল কদর’ লাভ করার জন্য রমজানের শেষ দশরাত জাগ্রত থেকে ইবাদতে কাটিয়েছেন এবং উম্মতে মুহাম্মাদীকেও সারা রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগী করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাসূল (সা.) বলেন, শবে কদরকে নির্দিষ্ট না করার কারণ হচ্ছে যাতে বান্দা কেবল একটি রাত জাগরণ ও কিয়াম করেই যেন ক্ষান্ত না হয়ে যায় এবং সেই রাতের ফজিলতের উপর নির্ভর করে অন্য রাতের ইবাদত ত্যাগ করে না বসে। তাই বান্দার উচিত শেষ দশকের কোন রাতকেই কম গুরুত্ব না দেয়া এবং পুরোটাই ইবাদাতের মাধ্যমে শবে কদর অন্বেষণ করা।

হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, একদা আমি রাসূল (সা.) কে জিজ্ঞাসা করলাম হে আল্লাহর রাসূল আমি যদি কদরের রাত সম্পর্কে অবহিত হতে পারি তবে আমি কি করব? তখন রাসূল (সা.) আমাকে এই দুয়া পাঠ করার জন্য বললেন। ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি’। (তিরমিজি, হাদিস নং : ৩৫১)।

লাইলাতুল কদরের ফজিলত অপরিসীম। তাই সারা রাত জাগরণ করে সঠিকভাবে ইবাদত-বন্দেগীতে মনোনিবেশ করা কর্তব্য। বেশি বেশি নফল নামাজ, তাহাজ্জুদ, সালাতুস তাসবিহ, উমরী কাজা নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, দান-সাদকা, জিকির-আজকার, তাসবিহ-তাহলিল, তাওবা-ইসতেগফার, দুয়া-দুরূদসহ ইত্যাদি নফল আমলের প্রতি মনযোগী হওয়া একান্ত জরুরি।

_____________
এহসান বিন মুজাহির
লেখক : সাংবাদিক ও শিক্ষক
সূত্র: দৈনিক যুগান্তর।

প্রেগনেন্সি পরীক্ষায় ব্যাঙ!

প্রেগনেন্সি পরীক্ষায় ব্যাঙ!

বর্তমানে প্রেগনেন্সি পরীক্ষায় জন্য ইউরিন টেস্ট ও প্রেগনেন্সি স্ট্রিক খুবই জনপ্রিয়। এই দুই পদ্ধতিতে দেশে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। প্রেগনেন্সি পরীক্ষায় জন্য জেনোপস নামের একটি ব্যাঙ ব্যবহার করা হতো ১৯৩০ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত। এই ব্যাঙটি মূলত আফ্রিকায় সাহারা মরুভূমির আশেপাশের দেশগুলোতে পাওয়া যেত। যা সাব-সাহারান এলাকা হিসেবে পরিচিত। বিশেষ এক জাতের নখওয়ালা ব্যাঙ। এর নাম জেনোপস।

এই এলাকায় লাখ লাখ বছর ধরে শান্তিতেই বাস করছিল জেনোপস নামের এই ব্যাঙ। তবে ১৯৩০ প্রথম ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ল্যান্সলট হগবেন এই ব্যাঙটির জীবনে বড় ধরনের এক পরিবর্তন ঘটিয়ে দেয়। তিনি এই ব্যাঙটির শরীরে তিনি ইনজেকশন দিয়ে মানুষের মূত্র ঢুকিয়ে দিলেন।

ব্রিটিশ ওই প্রাণীবিজ্ঞানীর বিভিন্ন প্রাণির শরীরের নানা রকমের জিনিস, বিশেষ করে হরমোন ঢুকিয়ে দেওয়া। তার উদ্দেশ্য ছিল এর ফলে ওই প্রাণির শরীরে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া ঘটে তা পরীক্ষা করে দেখা। অনেকটা দুর্ঘটনাবশতই, তিনি আবিষ্কার করে ফেললেন যে এই ব্যাঙের ভেতরে প্রেগনেন্সি হরমোন ঢুকিয়ে দিলে সেটি ডিম পাড়তে শুরু করে দেয়।

পরীক্ষাটি যেমন ছিল :

নারী জেনোপস ব্যাঙের চামড়ার নিচে ইনজেকশনের মাধ্যমে নারীর মূত্র ঢকিয়ে দেওয়া হতো। ৫-১২ ঘন্টা পর দেখা হতো ব্যাঙটি ডিম পেড়েছে কিনা। ডিম পাড়লে নিশ্চিত হওয়া যেত যে ওই নারী গর্ভবতী। খুব নিখুঁতভাবেই পরীক্ষাগারে এই প্রেগনেন্সি টেস্ট করা হতো।

তবে এখন প্রেগনেন্সি টেস্ট খুবই সহজ। একজন নারী খুব সহজে ঘরে বসেই জানতে পারছেন তিনি গর্ভবতী কিনা। কিন্তু কয়েক দশক আগেও এই কাজটা যথেষ্ট কঠিন ছিল। চিকিৎসা-ইতিহাসবিদ জেসে ওলসজিঙ্কো-গ্রিন বলেন, আধুনিক যুগের এসব প্রেগনেন্সি টেস্ট খুব সহজ মনে হতে পারে। তবে ১৯৩০-এর দশকে ব্যাঙের মাধ্যমে প্রেগনেন্সি টেস্ট ছিল বড় ধরনের ঘটনা। এখন কেউ গর্ভবর্তী কিনা তা বাড়িতে পরীক্ষা করেই দেখা যায়।

তিনি বলেন, তবে ঘরে বসে প্রেগনেন্সি টেস্ট এখন মানুষের সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর ১৯৭০ এর দশকেই বাড়িতে বসে প্রেগনেন্সি টেস্টের উপায় বের হলো। এর পর থেকেই জেনোপস ব্যাঙ ফিরে গেল তার শান্তিপূর্ণ জীবনে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

রোজায় ধূমপান ছাড়ার সহজ উপায়

রোজায় ধূমপান ছাড়ার সহজ উপায়
অধ্যাপক ডা. মো. রাশিদুল হাসান।

নিয়মিত যারা ধূমপান করেছন তারা অজান্তেই নিজের ভয়াবহ ক্ষতি করছেন। অনেকে মনে করেন সিওপিডি, ফুসফুসের ক্যান্সার, হার্টের সমস্যা তো হয়েই গেছে তাহলে ধূমপান ছেড়ে কী লাভ। এ ধারণা একদম ঠিক নয়। মনে রাখবেন ধূমপান বন্ধ করার প্রধান কারণ হল যেটুকু ফুসফুস বা হার্ট ভালো আছে সেটুকুকে আর নষ্ট না করা।

ধূমপান বর্জন করা সহজ নয়, তবে দুনিয়াতে লাখ লাখ মানুষ ধূমপান বর্জন করেছেন এবং তা আপনিও পারবেন। তবে ধূমপান বর্জনের ক্ষেত্রে একটি সেরা মাস হচ্ছে রমজান মাস। এ জন্য আপনি যদি প্রতিদিন রোজা রাখেন তবে আপনার খাদ্যাভাসে ও খাওয়ার সময়ের পরিবর্তন হয়। তাই এ মাস ধূমপান বর্জনের উত্তম মাস। আসুন জেনে নেই রমজান মাস থেকে কীভাবে ধূমপান বর্জন করবেন? ধূমপান ছাড়ার কারণ খুঁজে বের করুন।

ধূমপান বর্জন করা আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে যখন আপনি মনে রাখবেন যে কী কী কারণে আপনি ধূমপান ছাড়ছেন।

১. আপনি আরও ভালোভাবে শ্বাস নিতে পারবেন, ফুসফুসের ক্যান্সার, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যাবে। ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী রোগটি ক্রমশ খারাপ হতে থাকা বন্ধ হবে।
২. অর্থ অপচয় বন্ধ হবে।
৩. আপনার কাপড়-চোপড়, গাড়ি এবং ঘরে আর আগের মতো দুর্গন্ধ হবে না। ধূমপান বন্ধ হলে পরিবার ও বন্ধুবান্ধব আর ধোঁয়া পান করতে হবে না।
৪. ধীরে ধীরে আপনার শ্বাসকষ্ট, কফ তৈরি হওয়া এবং বুকের ভেতর বাঁশির মতো শব্দ হওয়া আগের তুলনায় কমে যাবে।

ধূমপান বর্জন কীভাবে করবেন?
যখন আপনি সম্পূর্ণ প্রস্তুত ধূমপান বর্জনের জন্য তখন ধূমপান বর্জনের চুক্তিনামা আপনাকে সাহায্য করবে। চুক্তিনামা প্রমাণ করে যে আপনার ধূমপান ত্যাগের ইচ্ছা খুবই প্রবল। এই চুক্তিনামায় আপনার পরিবারের সদস্য ও বন্ধু-বান্ধবদের স্বাক্ষর করতে বলুন। সবসময় নিশ্চিত হোন যে ‘কেউ একজন বিশ্বাস করছে আপনাকে’ যে আপনি ধূমপান ছাড়তে পারেন।

কাজের মধ্যদিয়ে ধূমপান বর্জন
এটা আশ্চর্যের কিছুই নয়, ধূমপান ছাড়ার পর কারও কারও কাশি বেশি হয় এবং কফ তৈরি বাড়ে। তার কারণ ধূমপান বন্ধ করার পর ফুসফুস চেষ্টা করে তাদেরকে পরিষ্কার করতে। আপনার বেশ কদিন খারাপ লাগবে ধূমপান ছাড়ার কারণে। হয়তো মাথাব্যথা করবে, ঘুম আসবে না, মেজাজ খিটখিট করবে, পায়খানাতে অনিয়ম হবে।

মনে রাখতে হবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আপনার ধূমপান না করা আপনার শরীরের সঙ্গে মানিয়ে যাবে, তখন আর খারাপ লাগবে না। বিভিন্ন কাজের মধ্য দিয়ে এ ধূমপান বর্জনের কষ্টটাকে ভুলে থাকতে হবে। যেমন- হাঁটা, বাগানে কাজ করা, নিয়মিত দৈনিক কয়েকবার গোসল করা, উৎকণ্ঠা বা হতাশার কোনো ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শে সেবন করা, বেড়াতে যাওয়া, অধূমপায়ী বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করা, ধূমপায়ী বন্ধুদের সঙ্গে গল্প বা আড্ডা দেয়া পরিহার করা ইত্যাদি।

প্রস্তুতি নিন
মনে রাখবেন তামাকের নিকোটিন খুব শক্তিশালী নেশার বস্তু। এতদিন পর্যন্ত আপনার শরীর নিকোটিন দ্বারা অভ্যস্ত হয়ে গেছে। নিকোটিনের অভাবে যে সমস্যাগুলো দেখা দেয় তাকে ‘ধূমপান পরিহারের উপসর্গ’ বলে।

এই ধূমপান পরিহারের উপসর্গ হিসেবে আপনার চিন্তাশক্তি সাময়িকভাবে কমে যেতে পারে অথবা খুব অবসাদ লাগতে পারে। কখনও দুঃশ্চিন্তা আবার কখনও হতাশা লাগতে পারে। কখনও দুঃশ্চিন্তা করবেন না। এটা একটি সাময়িক ঘটনা। ধৈর্যের সঙ্গে এ কষ্ট থেকে পরিত্রাণ পেতেই হবে।

লেখক : মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ, ইনজিনিয়াস পালমোফিট, মোহাম্মদপুর, ঢাকা। সূত্র: যুগান্তর

বিয়ের আগে সঙ্গীকে যেসব প্রশ্ন করবেন

বিয়ের আগে সঙ্গীকে যেসব প্রশ্ন করবেন

বিবাহিত জীবনের সাফল্য বহুলাংশেই নির্ভর করে উপযুক্ত জীবনসঙ্গী নির্বাচনের উপর। ভালবেসে বিয়ে করুন কিংবা সম্বন্ধ করে— আপনার জীবনসঙ্গী স্বামী বা স্ত্রী হওয়ার উপযুক্ত কি না তা যাচাই করে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। তা কীভাবে করবেন? নিজের হবু জীবনসঙ্গীকে করুন এই ছ’টি প্রশ্ন—

১. তুমি কেন আমাকে ভালবাসো : সব থেকে জরুরি প্রশ্ন এটি এবং এই প্রশ্নের একটা সঠিক উত্তর আপনার সঙ্গীর থেকে কাম্য। কেউ যদি এই প্রশ্নের উত্তরে বলে ‘তোমাকে ভালবাসি তাই ভালবাসি’, তাহলে সেটি খুব গ্রহণযোগ্য উত্তর হল না। আপনার সঙ্গীর উত্তর থেকে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করুন, সে আপনার সবটুকু মিলিয়ে আপনাকে ভালবাসে কি না। শুধু আপনার ক্ষমতা নয়, আপনার অক্ষমতাগুলোকেও সে মেনে নিতে প্রস্তুত কি না, তা বুঝে নিন।

২. তুমি কেন বাকি জীবনটা আমার সঙ্গে কাটাতে চাও : এই প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই বলবেন, ‘আমি তোমাকে ভালবাসি বলে।’ কিন্তু এটাই কি সেই উত্তর যা আপনি শুনতে চাইছেন? সম্ভবত নয়। বরং দেখুন তার উত্তর থেকে তার জীবনে আপনার প্রয়োজনীয়তা, আপনার মূল্য সম্পর্কে কোনো ধারণা তৈরি করতে পারেন কি না। আপনার সঙ্গীর মনেও এই বিষয়টি সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা গড়ে ওঠা খুব জরুরি।

৩. প্রেমকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য বিয়ের পর তুমি কী করবে : প্রশ্নটা আপাতদৃষ্টিতে বোকা বোকা ঠেকতে পারে। কারণ পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রয়োজন বদলে যায়। কিন্তু এই প্রশ্নের সামনে দাঁড়িয়ে আপনার সঙ্গী যদি উত্তর দিতে ইতস্তত করেন, বা বলেন যে, ‘‘সেসব ভবিষ্যতে দেখা যাবে’’, তাহলে বুঝতে হবে, আপনাদের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তিনি আদৌ ভাবেন না। সেটা খুব ভাল লক্ষণ নয়।

৪. তুমি কি আমার কষ্টগুলোর ভাগ নিতে প্রস্তুত : জীবন সর্বদা সরলরেখা মেনে চলে না। জীবনে উত্থান-পতন আসবেই। সেক্ষেত্রে যে বিষয়টা বিয়ের আগে জেনে নেওয়া সবচেয়ে জরুরি তা হল, যাকে আপনি বিয়ে করতে যাচ্ছেন তিনি আপনার দুঃখ এবং কষ্টগুলোর অংশীদার হতে প্রস্তুত কিনা। আপনার জীবনের অন্ধকার সময়ে তিনি যদি আপনার কষ্টের ভাগ নিতে না পারেন, তাহলে তিনি আপনার উপযুক্ত নন।

৫. তুমি কি আমার জন্য জীবনে আপোস করতে প্রস্তুত : বিয়ে মানেই কিন্তু একগুচ্ছ আপোস। আপনার সঙ্গী সেগুলো করতে প্রস্তুত কি না, তা বিয়ের আগেই জেনে নিন। বিয়ের পরে আপনার ভালবাসার সঙ্গে তার নিজের জীবনের কোন তুচ্ছ চাহিদার দ্বন্দ্ব দেখা দিলে তিনি কোনটিকে গুরুত্ব দেবেন, তা বিয়ের আগেই বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করুন।

৬. সন্তানদের জন্য তুমি কতটুকু ত্যাগ স্বীকার করতে পারবে : বিবাহিত জীবনে সন্তান আরও একটি আপোসের জায়গা। আপনার হবু জীবন সঙ্গীর মধ্যে সন্তানদের জন্য সেই আপোসটুকু করার মতো মানসিকতা রয়েছে তো? তিনি একজন অত্যন্ত দায়িত্বপূর্ণ অভিভাবক হতে প্রস্তুত তো? বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করুন বিয়ের আগেই।

একথা বলা বাহুল্য যে, এই সমস্ত প্রশ্নের ইতিবাচক উত্তর পাওয়ার পরেও কারো কারো বিবাহিত জীবনে নেমে আসতে পারে ব্যর্থতা এবং কেউ এই প্রশ্নগুলির উত্তর দেওয়ার ব্যাপারে কতোটা সৎ থাকবেন সেটাও আপনার পক্ষে বুঝে উঠা মুশকিল। তবুও এই প্রশ্নগুলির সুচিন্তিত এবং সৎ উত্তর যদি কেউ দেন, তাহলে বিবাহিত জীবন সম্পর্কে তার মানসিকতা অনেকটাই যাচাই করে নেওয়া সম্ভব।

মনে রাখবেন, এই প্রশ্নমালা কিন্তু একতরফা নয়। এইসব প্রশ্নের সামনে দাঁড় করান নিজেকেও। দাম্পত্য জীবন সম্পর্কে আপনার ধারণাই বা কী, সেটাও বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করুন, বুঝতে দিন আপনার সঙ্গীকেও। যদি সবকিছু বিচার করে দু’জনকে একে অন্যের উপযুক্ত বলে মনে হয় তবেই এগিয়ে যান বিয়ের দিকে। অন্যথায় নির্দ্বিধায় বেড়িয়ে আসুন সম্পর্ক থেকে। একটা নিষ্ফল সম্পর্ককে বাঁচিয়ে রাখার চেয়ে তা থেকে বেড়িয়ে আসাই বুদ্ধিমানের কাজ নয় কী?

সস্তার সানগ্লাসে সর্বনাশ

সস্তার সানগ্লাসে সর্বনাশ

যত দিন যাচ্ছে ততই চড়ছে তাপমাত্রার পারদ! আর এই গরমে বাড়ির বাইরে পা রাখতে হলে তিনটে জিনিস সঙ্গে রাখতেই হয়, পানির বোতল, ছাতা আর সানগ্লাস। খাবার পানির বোতল রাস্তার কোনও দোকান থেকেও পেয়ে যাবেন, ছাতার বদলে টুপিও ব্যবহার করেন অনেকে। তবে রোদ থেকে চোখ বাঁচাতে সানগ্লাসের বিকল্প নেই।

শুধু রোদের তেজ থেকেই নয়, পোকা-মাকর, রাস্তার ধুলোবালি বা সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির কুপ্রভাব থেকেও চোখকে রক্ষা করে সানগ্লাস। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি আমাদের চোখের রেটিনা ও কর্নিয়ার মারাত্মক ক্ষতি করে। তাই শুধুমাত্র ফ্যাশনের জন্যই নয়, চোখের সুরক্ষায়ও সানগ্লাস অত্যন্ত জরুরি!

কিন্তু অনেকেই ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে বা চোখকে সাময়িক আরাম দিতে সস্তার সানগ্লাস ব্যবহার করেন। কিন্তু সস্তার সানগ্লাস ব্যবহারের ফলে চোখের মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই যায়। কারণ, সস্তার সানগ্লাসে ব্যবহৃত নিম্ন মানের রঙিন প্লাস্টিকে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ঠেকানোর কোনও ক্ষমতা নেই। উল্টো তা চোখের জন্য তা মারাত্মক ক্ষতিকর। দুর্বল হয়ে পড়তে পারে আমাদের দৃষ্টিশক্তি। চক্ষু বিশেষজ্ঞদের (অপথালমোলজিস্ট) মতে, সস্তায় চোখ বাঁচাতে গিয়ে উল্টে আরও ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনতে পারে।

সস্তার সানগ্লাস ব্যবহারের ফলে চোখের কী কী ক্ষতি হতে পারে:

১. অতিরিক্ত মাত্রায় বা নিয়মিত সস্তার সানগ্লাস ব্যবহারের ফলে অকালেই চোখে ছানি পড়ে যেতে পারে।

২. শুকিয়ে যেতে পারে চোখের কর্নিয়া।

৩. সস্তার রঙিন চশমা নিয়মিত ব্যবহারের ফলে চোখের পাওয়ার অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যেতে পারে, ঘন ঘন মাথাব্যথাও হতে পারে।

৪. সস্তার রঙিন চশমার অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ‘আইলিড’ ক্যান্সারের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়।

৫. সস্তার সানগ্লাস নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ‘রিফ্রাক্টিভ এরর’ বা চোখের প্রতিসারক ত্রুটি বহুগুণ বেড়ে যায়। এই সমস্যার ফলে দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যেতে পারে।

সুতরাং, সস্তার সানগ্লাস কেনা বা ব্যবহারে থেকে বিরত থাকুন। মনে রাখবেন, শুধুমাত্র পলিকার্বোনেট লেন্সই সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি আটকাতে পারে। তাই সানগ্লাস কেনার ক্ষেত্রেও প্রয়োজনে চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।