সুরাইয়া নাজনীন এর সকল পোস্ট

আগুন নেভানোর লাল সিলিন্ডার কিভাবে ব্যবহার করবেন?

আগুন নেভানোর লাল সিলিন্ডার কিভাবে ব্যবহার করবেন?

সুপার শপ, রেস্টুরেন্ট কিংবা অফিসে চোখে পড়ে ছোট্ট লাল সিলিন্ডার। যার ভেতরে থাকা উপাদান আগুন নেভাতে সাহায্য করে। আপনার মতো এমনটাই জানেন সবাই। তবে এই সিলিন্ডার কিভাবে ব্যবহার করতে হয়? সে বিষয়ে ধারণা নেই অনেকেরই।

আগুন কেমন হতে পারে :
আগুন বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। জেনে নিন কোন আগুন কিভাবে নেভাতে হয় –

Class A – দৈনন্দিন ব্যবহৃত যে কোনো দাহ্য বস্তু যেমন- কাঠ, কাগজ, কাপড়ের আগুন এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। এই ধরনের আগুন সাধারণত পানি অথবা শুকনো কেমিক্যাল পাউডার দিয়ে নেভানো হয়।

Class B – দাহ্য তরল এবং দাহ্য গ্যাস যদি আগুনের উৎস হয়। যেমন: তেল, গ্যাসোলিন, পেইন্ট ইত্যাদি। এই ধরনের আগুন শুকনো কেমিক্যাল পাউডার অথবা ফোম দিয়ে নেভানো হয়।

Class C – যে কোনো ইলেকট্রিক্যাল ইকুপমেন্ট যেমন- জেনারেটার/মোটর, ট্রান্সফর্মারের আগুন এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। এই ধরনের আগুনে কখনোই পানি ব্যবহার করা যাবে না। কারণ পানি তড়িৎ পরিবাহী। পানি ব্যবহার করলে তড়িতাহত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রেও শুকনো কেমিক্যাল পাউডার বা কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহার হয়ে থাকে।

Class D – দাহ্য ধাতু যেমন সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়ামের আগুন এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। এক্ষেত্রে বিশেষ ধরনের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়।

Class K – রান্নার তেল, ভেজিটেবল অয়েল অথবা গ্রিজ যদি আগুনের উৎস হয়। এজন্য ওয়েট কেমিক্যাল বা ওয়াটার মিক্স এক্সটিংগুইসার ব্যবহার করা হয়।

দৈনন্দিন জীবনে সাধারণত Class-A অথবা Class-B ধরণের আগুন নেভানোর বেশি প্রয়োজন হয়। বর্তমানে যেসব শুকনো কেমিক্যাল এক্সটিংগুইসার ব্যবহার করা হয় সেগুলো Class-A, Class-B, Class-C তিনক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যায়।

যেভাবে ব্যবহার করবেন :
আগুন নেভানোর এই যান্ত্রের নাম ফায়ার এক্সটিংগুইসার। প্রাথমিক অবস্থাতেই আগুনের উপর ফায়ার এক্সটিংগুইসার প্রয়োগ করতে হয়। এর হ্যান্ডেল ডান হাতে ধরে বাম হাত দিয়ে টান দিয়ে সেফটি পিন খুলে ফেলতে হবে। এরপর বাম হাতে হোস পাইপ আগুনের দিকে তাক করে ডান হাত দিয়ে বাটন বা লিভার চাপতে হয়।

সতর্কতা :
ফায়ার এক্সটিংগুইসার সবসময় বাতাসের অনুকূলে থেকে প্রয়োগ করতে হয়। যাতে কেমিক্যাল পাউডার বা গ্যাস বা ফোম উড়ে এসে নিজের গায়ে না পড়ে। আগুনের উৎপত্তিস্থলের সর্বোচ্চ ২ মিটার দূর থেকে ফায়ার এক্সটিংগুইসার প্রয়োগ করতে হয়। আগুন ছোট অবস্থায় থাকতে ফায়ারম্যানের অপেক্ষায় না থেকে হাতের কাছে থাকা ফায়ার এক্সটিংগুইসারের মাধ্যমে আগুন নেভানো যায়।

ফায়ার এক্সটিংগুইসার একবার ব্যবহার হয়ে গেলে একই সাথে পুরোটাই ব্যবহার করে ফেলতে হয়। এটি দ্বিতীয়বার ব্যবহারযোগ্য নয়। কোন কারণে এক্সটিংগুইসার ব্যবহার করেও আগুনের নিয়ন্ত্রণ আনা না গেলে বা আগুন বেড়ে গেলে ধরে নিতে হবে আগুনের প্রাথমিক অবস্থা পেরিয়ে গেছে। তখন অবশ্যই নিরাপদ অবস্থানে চলে যেতে হবে এবং দ্রুত ফায়ারম্যানকে খবর দেয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।

কার্বন-ডাই-অক্সাইড টাইপ এক্সটিংগুইসার প্রয়োগ করা হলে আগুন নিভুক বা না-নিভুক, ঘটনাস্থলে বেশি সময় অপেক্ষা করা যাবে না। নির্গত কার্বন-ডাই-অক্সাইড খুব তাড়াতাড়ি আশপাশে অবস্থানকারী ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাসে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে। উন্মুক্ত স্থানে বা ধাবমান বাতাসযুক্ত স্থানে কার্বন-ডাই-অক্সাইড টাইপ এক্সটিংগুইসার প্রয়োগ খুব একটা কার্যকর হয় না। এক্ষেত্রে বালি বা পানি (প্রয়োজন অনুযায়ী) ব্যবহারই উত্তম।

প্রকারভেদ :
প্রতিটি ফায়ার এক্সটিংগুইসারের গায়ে লেখা থাকে তাতে কী ধরনের কেমিক্যাল রয়েছে। সিলিন্ডারের গায়ের রং দেখেও বুঝা যায় তা কী ধরনের এক্সটিংগুইসার। যেমন- লাল রং হচ্ছে ওয়াটার টাইপ, ক্রীম কালার হচ্ছে ফোম টাইপ, কালো রং হচ্ছে কার্বন-ডাই-অক্সাইড টাইপ এবং নীল রঙের এক্সটিংগুইসার হচ্ছে পাউডার টাইপ।

অফিসে প্রেম?

অফিসে প্রেম?

বাড়ির পরে অফিসই একমাত্র জায়গা যেখানে আমরা দিনের বেশিরভাগ সময়টা কাটাই। আর বেশি সময় কাটানো সেই জায়গায় কাউকে ভালো লেগে যাওয়া বা কারও প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক একটা ঘটনা। কিন্তু অফিসে সহকর্মীর প্রেমে পড়ে যাওয়া যতটা সহজ ঠিক ততটাই কঠিন অফিসের মধ্যে প্রেমটাকে চালিয়ে যাওয়া। সেক্ষেত্রে নিজের অনুভূতিগুলোকে ধরে রাখতে অনেক বেশি সচেতনতা বজায় রাখতে হয়। কারণ, অফিস প্রেমের একটা ভুল আপনার কেরিয়ারের ওপর প্রভাব পড়তে পারে। তাই অফিস প্রেমের ক্ষেত্রে জেনে নিন কী কী করবেন আর কী কী করবেন না।

১. প্রত্যেক অফিসের নিজের নিজের কিছু নিয়ম কানুন থাকে। কিছু হিউম্যান রিসোর্স পলিসি থাকে। তাই অফিসের মধ্যে এমন কিছু করবেন না, যা আপনার চাকরির ওপর প্রভাব ফেলে।

২. অফিস কোনও আবেগের জায়গা নয়। অফিসে হালকা ফ্লার্টিং চলতেই পারে। কিন্তু প্রেম আপনার চরিত্রে দাগ ফেলতে পারে। আপনার চাকরিতেও সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাছাড়া এসব খবর আগুনের থেকেও তাড়াতাড়ি ছড়ায়। তাই অফিসে প্রেম করার সময় খুবই সাবধান।

৩. যদি কখনও অফিস প্রেমে ধরা পড়ে যান। তাহলে ততক্ষণাত্ বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত উত্তর তৈরি করে রাখুন। যা আপনাকে হয়তো বিপদের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।

৪. অফিসে পেশাদারিত্ব বজায় রাখুন। অফিসে সবার আগে যেটা জরুরি সেটা হয় কাজ। ব্যক্তিগত জীবনে যা খুশি হয়ে যাক, তা যেন কোনওভাবেই অফিসের মধ্যে আপনার কাজে প্রভাব না ফেলে।

লেবুর অসাধারণ ব্যবহার

লেবুর অসাধারণ ব্যবহার

ভাত, ডাল আর লেবু এই তিনটি খাবার বাঙালিদের অত্যন্ত প্রিয়। ভাতের সঙ্গে লেবু চিপে নিয়ে কিংবা শরবত বানিয়ে খেলেই কিন্তু লেবুর কাজ শেষ হয় না। লেবু ত্বকের যত্নে, চুলের যত্নেও ভীষণ উপকারি। এছাড়া ঘরের এমন কিছু কাজে আপনি লেবু ব্যবহার করতে পারেন যা আগে কখনোই চিন্তা করে দেখেন নি। জেনে নিন কী কী কাজে লেবু দারুণ ভাবে ব্যবহার করা যায়।

বাসনপত্র চকচকে সাদা ও পরিষ্কার রাখতে লেবু খুবই ভাল। বিশেষ করে তামা, পিতল বা রূপার বাসন চকচকে করতে লেবু অত্যন্ত কার্যকর। বাসনে সারা রাত লেবুর রস মাখিয়ে রেখে দিন। পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলুন সেগুলো। দেখবেন বাসনপত্র নতুনের মতো চকচকে হয়ে গেছে। এমন কি লেবু অনেক দিনের দাগ পড়ে যাওয়া হাড়ি-পাতিলও নতুনের মত উজ্জ্বল করে। তার জন্য শুধু সারা রাত তাতে লেবুর রস মেখে ধুয়ে নিতে হবে।

শাক-সবজি কাটার পর কাটার বোর্ড বা চপিং বোর্ড সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাটা খুব জরুরি। কারণ এতে সহজেই ভাইরাস আক্রমণ করে এবং তাতে পরে সবজি কাটলে অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন আপনি। তাই চপিং বোর্ড বা কাটিং বোর্ডের উপরে লেবুর রস ছড়িয়ে একটা কাপড় দিয়ে কিছু ক্ষণ ঘষে নিন এতে বোর্ডের দাগও যাবে আর বোর্ডটি জীবাণুমুক্ত হয়ে যাবে সহজেই।

অনেকেই ভাত রান্না করলে তা নরম হয়ে যায় বা দলা দলা হয়ে যায়। চাল সিদ্ধ হওয়ার আগে ফুটন্ত পানিতে ১ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে দিন এতে ভাত হবে ঝরঝরে।

ফ্রিজের দুর্গন্ধ নিয়ে অনেকেই সমস্যায় ভোগেন। এমন দুর্গন্ধ দূর করতে কয়েক টুকরো লেবু ফ্রিজের ভিতরে রেখে দিন। দুর্গন্ধ দূর হবে সহজেই।

আদা বা রসুন বা মাছ কাটার পর হাতে দুর্গন্ধ হয়। আর এই গন্ধ সহজে যেতেও চায় না। খাবার খেতে গেলে এমন দুর্গন্ধ বেশি সমস্যা করে। তবে এই দুর্গন্ধ সহজেই কাটাতে পারে লেবু। ১ কাপ পানিতে একটি লেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে সেই পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন দেখুব সহজেই চলে যাবে হাতের দুর্গন্ধ।

গর্ভাবস্থায় যেসব খাবার খাবেন না

গর্ভাবস্থায় যেসব খাবার খাবেন না

নারীদের জন্য একটি বিশেষ সময় প্রেগন্যান্সি বা গর্ভাবস্থা। এ সময় একজন নারী নতুন নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়, শেখেন অনেক কিছু।
এক নতুন জীবন জন্ম দিতে গিয়ে মানতে হয় অনেক কিছু। আর গর্ভের সন্তানকে ভালো রাখতে কিছু বিষয় মানা জরুরি। খাবারও খেতে হবে অনেক ভাবনা-চিন্তা করে।

আর এ সময় যেসব খাবার থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে সেগুলো হলো

গর্ভাবস্থায় কাঁচা বা হাফ সিদ্ধ ডিম খাওয়া যাবে না।

পোড়া মাংস বা রোস্ট খাওয়া থেকেও দূরে থাকতে হবে গর্ভবতীকে। কারণ এসবের মাধ্যমে টকসোপ্লাজমা নামক একপ্রকার ব্যাকটেরিয়া শরীরের ক্ষতি করতে পারে।

গর্ভাবস্থায় সমুদ্রের মাছ খাওয়া ভালো। কারণ এতে ওমেগা-৩ নামক ভিটামিন থাকে। তবে সেটিও খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে।

গর্ভাবস্থায় সবুজ সালাদ স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। তবে সেটি টাটকা হতে হবে। কখনই অনেক আগের কেটে রাখা সালাদ খাওয়া যাবে না। অনেক আগের কাটা সালাদে লিস্টেরিয়া প্যারাসাইট থাকে।

গর্ভাবস্থায় সব ধরনের নেশাকে না বলতে হবে। ধূমপান বা অ্যালকোহল কোনোটাই এ সময় নেয়া উচিত নয়।

চা বা কফি খাওয়ার প্রবণতা কমবেশি সবারই থাকে। তবে এই প্রবণতাটা কমাতে হবে গভার্বস্থায়। কারণ অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরে গেলে মিসক্যারেজের সম্ভাবনা বা কম ওজনের শিশু হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে।

ফল স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে গর্ভাবস্থায় কলা ও পেঁপে খাওয়া উচিত নয়। কারণ কলা বা পেঁপেতে যে ফাইবার থাকে তা দেহের তাপ বৃদ্ধি করে।

এ ছাড়া গর্ভাবস্থায় দূরে রাখতে হবে অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি বা এনার্জি ড্রিংক। কারণ ঠাণ্ডা পানি এনার্জি ড্রিংক শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।

বৈশাখে শিশুর জমকালো পোশাক

বৈশাখে শিশুর জমকালো পোশাক

যে কোনো উৎসব ছোটদের বেশি আনন্দ দেয়। আর শিশুরা উৎসবগুলোতে পোশাকের মাধ্যমে তাদের আনন্দের অনেকটা প্রকাশ করে থাকে। তাই তাদের পোশাকও একটু বেশি জাঁকজমক করে তৈরি করা হয় অর্থাৎ রঙের ছটা যেন একটু বেশিই থাকে পোশাকে।

সামনেই পহেলা বৈশাখ। তাই বড়দের পাশাপাশি ছোটদের জন্যও থাকে অনেক আয়োজন। পোশাক সুতি, খদ্দর, লিনেন, ভিসকস, সিল্ক, হাফ সিল্ক ইত্যাদি দিয়ে পোশাক তৈরি করে থাকেন ফ্যাশন ডিজাইনাররা।

ছোটদের জন্য শাড়ি, পাঞ্জাবির পাশাপাশি স্কার্ট, ফতুয়া, ফ্রক, টপ কামিজ, শার্ট, টি-শার্ট, ধুতিও রয়েছে। দেশি দশের বিভিন্ন বুটি হাউজে শাড়ি, পাঞ্জাবি ও ফতুয়ায় রয়েছে রঙের ছটা, স্প্রে, টাই-ডাই, ব্লক, বাটিক, হাতের কাজ ইত্যাদি।

তবে সাদাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে বেশি আর লাল রঙ তো ছোটদের সবসময় মানানসই। কিন্তু সেই সাথে অন্যান্য উজ্জ্বল রঙ যেমন নীল, হলুদ, কমলা, সবুজ, কালো ইত্যাদি রংও তাদের জায়গা করে নিয়েছে। লাল সাদার পটভূমিতে নানান রঙের খেলা এইবার পোশাকে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

ছোট ছেলেদের জন্য আছে ফতুয়া, শার্ট, টিশার্ট আর পাঞ্জাবী। পাঞ্জাবীর সাথে এবার ধুতি এবং পায়জামা দুইটি বেশ চলছে। অন্যান্য কাপড় থাকলেও গরমের কথা মাথায় রেখে অধিকাংশ পোশাক তৈরি করা হয়েছে আরামদায়ক পাতলা সুতি ও খাদি কাপড় ব্যবহার করে।

পাঞ্জাবীতে সাদা ও লাল রঙ প্রাধান্য থাকলেও হাতে, গলায় বা পাশে অন্যান্য রঙের ব্যবহারও কিন্তু হয়েছে বেশ। অন্যদিকে মেয়ে শিশুদের জন্য আছে শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, ফতুয়া, স্কার্ট আর টপ, ফ্রক ও কিছু পাশ্চাত্যের পোশাকের আদলে তৈরি পোশাক।

এবার ছেলে মেয়ে উভয়ের পোশাকে এমব্রয়ডারি, স্কিন প্রিন্ট, এপ্লিক, কারচুপি ইত্যাদি কাজ বেশি হয়েছে। সেই সাথে আছে ব্লক, টাইডাইয়ের কাজ। এছাড়া ছেলে ও মেয়ে শিশু উভয়ের পোশাকেই এমব্রয়ডারি কাজ করা হয়েছে প্রধানত গলা, হাতা ও শাড়ির আঁচলে।

মেয়েদের শাড়ি এবং ছেলেদের পাঞ্জাবীর হাতে ব্লকের কাজ বেশি দেখা গেছে। মেয়েদের সালোয়ার কামিজ আর ফতুয়াতে ইয়কের কাজ এখন ফ্যাশনের অংশ।

অনেক ক্ষেত্রে ডিজাইনারা ৭০-৮০ দশকের ফ্যাশনের একটু ছোঁয়া রেখেছে। দেশিয় ঐতি্য্যের অংশ কুলা, মুখোশ, পাখা, ঢোল, হাতী ইত্যাদি মোটিভের ব্যবহার আছে। তবে কাপড়ের কাটিংয়ে আবার বোহেমিয়ান ফ্যাশন পাওয়া যাবে বিশেষ করে এমব্রয়ডারির কাজে। বোহিমিয়ান ফ্যাশনের সাথে ফিউশন করে দেশিয় মোটিভও রাখা হয়েছে। আবার জিওমেট্রিক ও ফ্লোরাল মোটিভও পাবেন বিভিন্ন কাপড়ে। অনেকেই আবার মা বাবা ও সন্তানদের একই পোশাক ডিজাইন করেছে।

অনেকেই সাদা লালের পাশাপাশি বিভিন্ন রং ব্যবহার করে ভিন্নতা আনার চেষ্টা করেছেন। এছাড়াও সামনের যেহেতু ঈদ তাই বৈশাখ ও ঈদকে চিন্তায় রেখে রংগুলো বাছাই করা হয়েছে। মেয়েদের শাড়ি, সালোয়ার কামিজে হ্যান্ডলুম এমব্রয়ডারি, ব্লক, বাটিক ও টাইডাইয়ের কাজ করা হয়েছে।

এবার বৈশাখে দেশিয় বিভিন্ন বুটিক হাউজে মোটিভ হিসেবে ফুল পাখি, প্যাঁচা, মাছ ইত্যাদির পাশাপাশি গ্রামীন নারীদের কর্মজীবনকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যেমন ঢেকিতে ধান ভাঙা, মাছ কাটা, বেদিনী, আবার আধুনিক নারীদের সাইকেল, স্কুটি চালানো ইত্যাদিও দেখা যাবে।

কাপড়ে কাজের ক্ষেত্রে রয়েছে বিভিন্ন ড্রইং, স্কিন প্রিন্ট, ব্লক, হাতের সেলাই যেমন কাঁথা স্টিজ, বোতাম স্টিজ ইত্যাদি। আর রং এর ক্ষেত্রে লোকজ শিল্পে যে রং গুলো বেশি ব্যবহার হয় তাই বেশি পাওয়া যাবে।

শিশুর চা খাওয়া কি ঠিক?

শিশুর চা খাওয়া কি ঠিক?

বড়দের দেখাদেখি শিশুদেরও চা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে অনেক বাড়িতেই। অনেকসময় অনেক বুঝিয়েও কাজ হয় না, শিশুরা চায়ের জন্য বায়না করতেই থাকে। তখন অনেকটা বাধ্য হয়েই তাদেরকে চা খেতে দেয়া হয়। কিন্তু শিশুকে চা খেতে দেওয়া কি ঠিক?

হোমিওপ্যাথিতে অনেক ডাক্তারই বাচ্চার সর্দি গর্মি হলে তাকে অল্প করে চা দিতে বলেন। তাদের মতে এতে বাচ্চা সর্দি-কাশি থেকে অনেকটাই আরাম পাবে।

কিন্তু অ্যালোপ্যাথি ডাক্তাররা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের মতে, চা হোক বা কফি ক্যাফিন শিশুর জন্য সব সময়ই ক্ষতিকর। অ্যালোপ্যাথি ডাক্তাররা জানাচ্ছেন যে বাচ্চাকে যদি চা দিতেই হয়, তাহলে তা যেন অত্যন্ত হালকা করে বানানো হয়।

জেনে নিন শিশুর জন্য চা কিভাবে তৈরি করবেন :

* সামান্য কয়েকটা চা পাতা দিয়ে শিশুর চা বানান।
* শিশুর জন্য চায়ে পাতা ২-৩ মিনিটের বেশি ভেজাবেন না।
* শিশুকে চা খেতে দেওয়ার আগে তা কতটা গরম পরীক্ষা করে নিন।

শিশুর জন্য যে সব চা উপকারী-

* পেট খারাপ হলে আদা চা দিতে পারেন।
* পেটে ব্যথা হলে পিপারমেন্ট বা ক্যামোমাইল দেওয়া চা সামান্য পরিমাণ দিতে পারেন।
* বদহজমের সমস্যায় কার্ডামম চা দেওয়া যেতে পারে।

ভাতে কি ওজন বাড়ে?

ভাতে কি ওজন বাড়ে?

যত ধরনের খাবারই দেয়া হোক না কেন, একবেলা ভাত না খেলে বাঙালির তৃপ্তি আসবে না। পুষ্টিবিদ আর বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাতে রয়েছে এমন বেশ কয়েকটি পুষ্টিগুণ যা আমাদের শরীর-স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত জরুরি। এদিকে অনেকে আবার মোটা হয়ে যাওয়ার ভয়ে ভাত খাওয়া ছেড়ে দেন। সত্যিই কি ভাত খেলে মোটা হওয়ার ভয় থাকে? চলুন জেনে নেয়া যাক-

ভাতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে যা শরীরে প্রচুর শক্তির যোগান দেয়। তবে ভাতে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা বেশি থাকলেও এটি একটি লো ফ্যাট, লো সুগার জাতীয় খাবার। তাই ভাত আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

অনেকের মধ্যেই একটি ধারণা আমাদের প্রচলিত আছে যে, ভাত খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। কিন্তু বাস্তবে অন্য সব খাবারের মতোই নির্দিষ্ট পরিমাণে খেতে পারলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ১০০ গ্রাম ভাতে রয়েছে প্রায় ১০০ গ্রাম ক্যালরি।

ভাতে কোলেস্টেরল আর সোডিয়াম নেই। তাই যাদের হাইপার টেনশনের সমস্যা রয়েছে, তারা নির্দিষ্ট পরিমাণে ভাত খেতে পারলে উপকৃত হবেন। ভাত খেলে মোটা হয়ে যাবেন এটা কিন্তু সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। ভাতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন ডি, নিয়াসিন, ভিটামিন বি ১-থায়ামিন, ক্যালসিয়াম, আর ফাইবার। তাই ব্যালেন্সড ডায়েটের ক্ষেত্রে অল্প পরিমাণে ভাত রাখতেই হবে।

ভাত একেবারেই গ্লুটেন মুক্ত একটি খাবার। অনেকেরই গ্লুটেন যুক্ত খাবার সহ্য হয় না। তাই পুষ্টিবিদদের মতে, ভাত একটি ‘নন অ্যালার্জিক’ খাবার।

চালের থেকে তৈরি তেল আমাদের হার্টের জন্য খুবই উপকারী। এই তেলে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা আমাদের হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও নিয়মিত এই তেলের রান্না খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ভালোবাসা দিবসের গল্প

ভালোবাসা দিবসের গল্প

১৪ ফেব্রুয়ারি, ভালোবাসার দিন। বিশ্ব ভ্যালেন্টাইনস ডে বা ভালোবাসা দিবস। ঋতুরাজ বসন্তের দ্বিতীয় দিনে প্রাসাদ থেকে কুঁড়েঘর সর্বত্রই হাতছানি দিয়ে ডাকবে ভালোবাসা। প্রিয়জনের সঙ্গে দিনভর স্বর্গীয় সুখের অনুভূতিতে মেতে থাকবেন কপোত-কপোতীরা। প্রিয়ার খোঁপায় ফুল গুঁজে দিয়ে হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবেন হবু দম্পতিরাও। তরুণ-তরুণী শুধু নয়, বিভিন্ন বয়সের মানুষের ভালোবাসার বহুমাত্রিক রূপ প্রকাশের আনুষ্ঠানিক দিন আজ। তারুণ্যের অনাবিল আনন্দ আর বিশুদ্ধ উচ্ছ্বাসে সারা বিশ্বের মতো আমাদের দেশে এ দিনটি পালন করা হবে।

দিনটি পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুষঙ্গ হলেও ভ্যালেন্টাইনস ডে বা ভালোবাসা দিবসে বাঙালি মনের ভালোবাসাও যেন পায় নতুন রূপ। মা-বাবা, স্বামী-স্ত্রী, ভাইবোন, প্রিয় সন্তান এমনকি বন্ধুর জন্যও ভালোবাসার জয়গানে আপ্লুত হতে পারে সবাই। চলবে উপহার দেয়া-নেয়া। রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন আয়োজন ও আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে সারা দিন ঘোরাঘুরি করে কাটাবে ভালোবাসার মানুষগুলো। তাদের পরনে লাল, নীল, সাদা, বেগুনি, গোলাপি বিভিন্ন রঙের পোশাক আর সাজসজ্জায় ভালোবাসার দিনটি যেন বর্ণিল রঙে রঙিন হয়ে উঠবে। দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে কনসার্টেরও আয়োজন করা হয়েছে।

অনেকের মতে, ফেব্রুয়ারির এ সময়ে পাখিরা তাদের জুটি খুঁজে বাসা বাঁধে। নিরাভরণ বৃক্ষে কচি কিশলয় জেগে ওঠে। তীব্র সৌরভ ছড়িয়ে ফুল সৌন্দর্যবিভায়। পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হয়। এ দিনে চকোলেট, পারফিউম, গ্রিটিংস কার্ড, ই-মেইল, মুঠোফোনের এসএমএস-এমএমএসে প্রেমবার্তা, হীরার আংটি, প্রিয় পোশাক, জড়াজড়ি করা খেলনা মার্জার অথবা বই ইত্যাদি শৌখিন উপঢৌকন প্রিয়জনকে উপহার দেয়া হয়।

নীল খামে হালকা লিপস্টিকের দাগ, একটা গোলাপ ফুল, চকোলেট, ক্যান্ডি, ছোট্ট চিরকুট আর তাতে দু`ছত্র গদ্য অথবা পদ্য হয়ে উঠতে পারে উপহারের অনুষঙ্গ।
ইতিহাসবিদদের মতে, দুটি প্রাচীন রোমান প্রথা থেকে এ উৎসবের সূত্রপাত। এক খ্রিস্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ফাদার সেন্ট ভ্যালেনটাইনের নামানুসারে দিনটির নাম ‘ভ্যালেনটাইনস ডে’ করা হয়। ২৭০ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি খ্রিস্টানবিরোধী রোমান সম্রাট গথিকাস আহত সেনাদের চিকিৎসার অপরাধে সেন্ট ভ্যালেনটাইনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। মৃত্যুর আগে ফাদার ভ্যালেনটাইন তার আদরের একমাত্র মেয়েকে একটি ছোট্ট চিঠি লেখেন, যেখানে তিনি নাম সই করেছিলেন ‘ফ্রম ইওর ভ্যালেনটাইন’। সেন্ট ভ্যালেনটাইনের মেয়ে এবং তার প্রেমিক মিলে পরের বছর থেকে বাবার মৃত্যুর দিনটিকে ভ্যালেনটাইনস ডে হিসেবে পালন করা শুরু করেন। যুদ্ধে আহত মানুষকে সেবার অপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সেন্ট ভ্যালেনটাইনকে ভালোবেসে দিনটি বিশেষভাবে পালন করার রীতি ক্রমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।

ভ্যালেনটাইনস ডে সার্বজনীন হয়ে ওঠে আরও পরে প্রায় ৪০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে। দিনটি বিশেষভাবে গুরুত্ব পাওয়ার পেছনে রয়েছে আরও একটি কারণ। সেন্ট ভ্যালেনটাইনের মৃত্যুর আগে প্রতি বছর রোমানরা ১৪ ফেব্রুয়ারি পালন করত ‘জুনো’ উৎসব। রোমান পুরানের বিয়ে ও সন্তানের দেবী জুনোর নামানুসারে এর নামকরণ। এ দিন অবিবাহিত তরুণরা কাগজে নাম লিখে লটারির মাধ্যমে তার নাচের সঙ্গীকে বেছে নিত। ৪০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে রোমানরা যখন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীতে পরিণত হয় তখন ‘জুনো’ উৎসব আর সেন্ট ভ্যালেনটাইনের আত্মত্যাগের দিনটিকে একই সূত্রে গেঁথে ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ভ্যালেনটাইনস ডে’ হিসেবে উদযাপন শুরু হয়। কালক্রমে এটি সমগ্র ইউরোপ এবং ইউরোপ থেকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।

গরমে আরাম দেবে টাই ডাই পোশাক

গরমে আরাম দেবে টাই ডাই পোশাক

ফ্যাশনে টাই-ডাই পুরনো হলেও, নিত্য নতুন রূপ নিয়ে হাজির হয়েছে বারবার। সুতি, খাদি, সিল্ক, হাফ সিল্ক, লিনেন, তসর, মসলিন, এন্ডি কটনসহ নানা ধরনের কাপড়েই করা হয় টাই ডাই। এমন কি নিজের হাতেও পছন্দের নকশা অনুযায়ী টাই ডাইয়ের কাজ করতে পারেন। জামা, শাড়ি, কামিজ, ওড়না ছাড়াও বিছানার চাদর আর পর্দায় করা যায় এটি।

টাই ডাই আসলে প্রাকৃতিক বা ভেজিটেবল ডাই ও কৃতিম ডাই দুই মাধ্যম ব্যবহার করেই করা হয়। তবে প্রাকৃতিক রঙে টাই ডাইয়ের নকশা বেশি সুন্দর লাগে। কাপড় শক্ত করে বেঁধে আর রঙে ডুবিয়ে করা হয় বলেই একে বলা হয় টাই ডাই।

সাধারণত বৃত্ত, চারকোনা, বরফি, সোজা লাইন, আঁকাবাঁকা লাইন, কার্ভ লাইন ইত্যাদি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এক সময়ে শুধু সাদা কাপড়ের ওপর টাইডাই নকশা করা হতো। এখন রঙিন কাপড়েও করা হয়।

টাই-ডাই করা শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, ওড়না, স্কার্ট, ফতুয়া, স্কার্ফ শার্ট, পাঞ্জাবি আরামদায়ক ও ফ্যাশনেবল বিশেষ করে গরমে সুতির টাই-ডাইয়ের পোশাক বেশ আরামদায়ক।

এছাড়া জিন্স, লেগিংস বা জেগিংসের সঙ্গে খুব সহজেই পরতে পারেন টাই-ডাই করা ফতুয়া বা টপস। সঙ্গে থাকতে পারে টাই- ডাইয়ের স্কার্ফ বা ওড়না। একরঙা টপসের সঙ্গে ডাই করা স্কার্টও মানানসই।

যত্ন নেবেন যেভাবে :

টাইডাই করা কাপড় অন্য কাপড়ের সঙ্গে ধোয়া যাবে না।

কাপড় ধোয়ার আগে কাপড়ের এক কোনা পরীক্ষা করে নিন রং ওঠে কি না। যদি ওঠে, তবে পানিতে ডিটারজেন্ট দিয়ে সামান্য লবণ মিশিয়ে কাপড় পরিষ্কার করুন।

কাপড় ধোয়ার পরে ডাই রঙিন কাপড় ভিনেগার মেশানো পানিতে চুবিয়ে হালকা চিপে রোদে দিন। উজ্জ্বলতা ঠিক থাকবে।

টাই ডাই কাপড় ড্রাই ওয়াশে দেয়া যাবে না। এতে কাপড়ের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়।

সিল্কের টাইডাই কাপড় শ্যাম্পু দিয়ে হালকা ভাবে পরিষ্কার করতে হবে। এতে কাপড় অনেক নরম থাকে। কোনো ভাবেই ঘন ঘন ধোঁয়া যাবে না টাই ডাই করা পোশাক।

রোদে কাপড় উল্টে দিয়ে শুকাতে হবে। এতে দীর্ঘদিন ভাল থাকবে রঙ।

অতিরিক্ত শ্যাম্পু দিয়ে ভিজিয়ে রেখে কাপড় পরিষ্কার করবেন না। এতে কাপড় শক্ত ও রঙ নষ্ট হয়ে যাবে।

হার্ট ভালো রাখতে দেবী শেঠির ১৩ টিপস

হার্ট ভালো রাখতে দেবী শেঠির ১৩ টিপস

উপমহাদেশের আলোচিত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. দেবী প্রসাদ শেঠির নাম বাংলাদেশের শিক্ষিত স্বাস্থ্য সচেতন বেশিরভাগ মানুষই জানেন। ভারতের কর্নাটক রাজ্যের ব্যাঙ্গালোর থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে শেঠির নারায়ণা হৃদয়ালয় হাসপাতালটি বিশ্বের অন্যতম প্রধান হাসপাতাল।

ডা. দেবী প্রসাদ শেঠি পৃথিবীর ১০ জনের একজন। হার্ট সুস্থ রাখতে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের এই চিকিৎসক।

১. খাবারে আমিষের পরিমাণ বাড়াতে হবে। তবে শর্করা এবং চর্বিজাত খাবার কম খেতে হবে।

২. একটানা বেশি সময় বসে থাকা যাবে না। সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন আধা ঘণ্টা করে হাঁটতে হবে।

৩. ধূমপান ত্যাগ করতে হবে।

৪. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

৫. রক্তচাপ এবং সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

৬. শাক জাতীয় নয়, এমন খাবার (যেমন মাছ) খাওয়া হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী নয়।

৭. ত্রিশোর্ধ্ব সবার উচিত নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা।

৮. জীবনে সব কিছু নিখুঁত হবে এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। তাই জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে।

৯. জগিং করার চেয়ে হাঁটা ভালো। জগিং করলে মানুষ দ্রুত ক্লান্ত হয়ে যায় এবং জয়েন্টে ব্যথা হয়।

১০. অনিয়মিত খাদ্যাভাস মানুষকে জাঙ্ক ফুডের দিকে ঠেলে দেয়। আর তখনই হজমের জন্য ব্যবহৃত এনজাইমগুলো দ্বিধায় পড়ে যায়। তাই নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস, হাঁটাহাঁটি এবং আখরোট খেতে হবে।

১১. হৃদযন্ত্রের জন্য সবচেয়ে ভালো খাবার ফল এবং সবজি। আর সবচেয়ে খারাপ তৈলাক্ত খাবার। যে কোনও তেলই খারাপ।

১২. নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে সুগার এবং কোলেস্টেরলের স্বাভাবিক মাত্রা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। তাছাড়া রক্তচাপ পরিমাপও জরুরি।

১৩. হার্ট অ্যাটাক হলে রোগীকে প্রথমে শুইয়ে দিতে হবে। এরপর জিহ্বার নিচে একটি এ্যাসপিরিন ট্যাবলেট রাখতে হবে। যদি পাওয়া যায় তবে এ্যাসপিরিনের পাশাপাশি একটি সরবিট্রেট ট্যাবলেটও রাখতে হবে। এরপর দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কেননা প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়।

সুত্র: ইন্ডিয়া টুডে

বসে বসেও ওজন কমানো যায়

বসে বসেও ওজন কমানো যায়

জীবিকা নির্বাহের জন্য অফিসে তো যেতে হবেই। সেখানে আপনার জন্য নির্দিষ্ট করা চেয়ারে বসে কাজ করবেন- সেটিও স্বাভাবিক। কিন্তু একটানা বসে কাজ করতে গিয়ে ভুঁড়ি বাড়ছে, সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কোমড় আর পিঠের ব্যথা! এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে ওজন আর ভুঁড়ি কমিয়ে সুস্থ থাকবেন, তা নিয়ে চিন্তিত! অফিসে নিশ্চয়ই আলাদা করে শরীরচর্চা করা যায় না! তাহলে জেনে নিন এক অবিশ্বাস্য সমাধান, বসে থেকেই সম্ভব আপনার ওজন কমানো-

চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব সোজা হয়ে বসার। মেরুদণ্ড একদম সোজা, টান টান করে বসলে অধিক ক্যালোরি খরচ হয়। শুধু তাই নয়, এ ভঙ্গিতে বসলে আপনার পেট ও পিঠের পেশীগুলি অনেক সুগঠিত হবে আর টান টান হবে।

অফিসে কাজে বসার সময় শুধু মেরুদণ্ড সোজা করে বসলেই হবে না, পায়ের পাতা মেঝের সঙ্গে সমান করে ছুঁয়ে রাখুন এবং মাথা সোজা রেখে কাজ করার চেষ্টা করুন।

অফিসে বসে কাজ করতে করতেই শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন। প্রথমে মনে মনে ১ থেকে ৮ গোনা পর্যন্ত শ্বাস টেনে ভিতরে রাখুন। এ বার ১ থেকে ৮ গুনতে গুনতে ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস ছাড়ুন। অফিসে কাজের ফাঁকে শ্বাস-প্রশ্বাসের এই ব্যায়াম শুধু আপনার শরীর সুস্থ ও সতেজ করতে সাহায্য করবে।

চেয়ারে সোজা হয়ে বসার সময় দু’পায়ের হাঁটু এবং গোড়ালি জোড়া করে বসুন। এতে পায়ের পেশী সুগঠিত হয়। শরীরের বাড়তি মেদ দ্রুত ঝরাতেও সাহায্য করে বসার এই ভঙ্গিমা। প্রতি ৩০ মিনিট পর পর অন্তত ১০ মিনিট করে এভাবে বসার অভ্যাস করুন।

শিশুর ভালো ঘুম হবে যে খাবারে

শিশুর ভালো ঘুম হবে যে খাবারে

শরীরকে চাঙ্গা রাখতে ঘুমের বিকল্প নেই। ঘুমের সময় শরীরের বৃদ্ধি হয়, মস্তিষ্ক যোগাযোগের জন্য আকৃতি পায়, ত্বক পুনর্গঠিত হয়। শিশুদের বৃদ্ধিতে ঘুম খুবই জরুরি একটি বিষয়। একটি ভালো ঘুম শিশুকে মনোযোগী হতে সাহায্য করে। কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো ঘুম ভালো হওয়ার জন্য উপকারী। সাধারণত ঘুমের আগে শিশুদের এক গ্লাস গরম দুধ দেয়া হয়। শিশুদের ঘুমের জন্য দুধ বেশ ভালো খাবার। দুধের মধ্যে রয়েছে ট্রিপটোফিন নামের অ্যামাইনো এসিড। এটি ঘুম ভালো হতে সাহায্য করে।

কলাও ঘুমে সাহায্য করে। এর মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম। ম্যাগনেসিয়াম পেশীকে শিথিল করে। ঘুম তৈরির হরমোন, যেমন মেলাটোনিন, সেরেটোনিন ইত্যাদি বাড়ায়। এগুলো ঘুমের চক্রকে ভালো করে। মস্তিষ্কের মতো দেখতে ওয়ালনাট মস্তিষ্কের জন্য ভালো। এর মধ্যে রয়েছে ভালো মানের ট্রাইপোফেন। ভালো ফলাফলের জন্য ঘুমানোর আগে শিশুকে ডেসার্ট হিসেবে ওয়ালনাট খাওয়াতে পারেন। পালংশাক শিশুদের খাদ্য তালিকায় রাখা খুবই জরুরি। এর মধ্যেও রয়েছে ট্রিপটোফেন। পালংশাক সালাদে রাখতে পারেন। এ ছাড়া ঘুমানোর আগে শিশুকে পালংশাকের জুসও খাওয়াতে পারেন। -বোল্ডস্কাই

স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায় জন্ম নিয়ন্ত্রণের ওষুধ

স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায় জন্ম নিয়ন্ত্রণের ওষুধ

জন্ম নিয়ন্ত্রণের ওষুধ সেবনে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষ করে যারা ধূমপান করেন, উচ্চ রক্তচাপের ইতিহাস আছে এবং মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে- এমন নারীর ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি আরো বেশি।

এক গবেষণায় এই তথ্য জানানো হয়। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, কম বয়সী সুস্থ নারীর ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি কম। বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রায় ১০ কোটি নারী জন্ম নিয়ন্ত্রণের ওষুধ সেবন করেন। গবেষক মারসিয়া এমসি গিনলে বলেন, যেসব নারীর ক্ষেত্রে স্ট্রোক হওয়ার অন্য ঝুঁকিগুলো রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে জন্ম নিয়ন্ত্রণের ওষুধ সেবনে স্ট্রোকের ঝুঁকি আরো বেড়ে যায়।

এদের জন্ম নিয়ন্ত্রণের ওষুধ সেবনে নিরুৎসাহিত করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। জন্ম নিয়ন্ত্রণের ওষুধ ইসকেমিক স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়, আর এটা হয় রক্ত জমাট বাঁধার কারণে। তবে এটা হেমোরেজিক স্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি করে না, যা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের জন্য হয়। গবেষণার ফলাফলে আরো দেখা গেছে, প্রায় এক লাখ নারীর মধ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণের ওষুধ সেবন এক দশমিক নয় থেকে ৮ দশমিক ৫ ভাগ স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তবে যাদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ এবং মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে, তাদের এই ঝুঁকি বেশি থাকে। মেডলিংক নিউরোলজি জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। -টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ত্বকের যত্নে ফলের রস

ত্বকের যত্নে ফলের রস

ফল খেতে কে না পছন্দ করেন! এটি আমাদের শরীরের জন্য তো বটেই, এমনকি উপকার বয়ে আনে ত্বকেরও। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ফল থাকে সবারই। অনেকে ফল চিবিয়ে না খেয়ে ফলের রস খেতে বেশি ভালোবাসেন। আজ আসুন জেনে নিই, এই ফলের রস শরীরের পাশাপাশি আমাদের ত্বকের জন্য কতটা উপকারী-

পাকা পেপের রস
পাকা পেপেতে থাকা অ্যান্টি অ্যাজিং প্রপার্টি ত্বকের বয়স ধরে রাখে। ডার্ক সার্কেল যেমন হতে দেয় না, তেমনই সান ট্যান হওয়ার থেকেও আমাদের রেহাই দেয়। পেপেতে থাকা প্যাপেন নামের এনজাইম স্কিন ড্যামেজ হতে দেয় না। তাই পেপের রস খান। পাকা পেপে ভালো করে কুড়িয়ে নিয়ে তার থেকে রস বের করে নিন। অল্প চিনি দিতে পারেন। এবার এটা খেয়ে নিন সকালের নাস্তায়।

তরমুজের রস
তরমুজে থাকা ভিটামিন এ, বি৬, সি ত্বকের ভিতর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। ফলে পাওয়া যায় উজ্জ্বল দাগহীন ত্বক। ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেলের সমস্যা দূর করে ব্রণ বা অন্যান্য সমস্যাও কম হতে দেয়। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। তরমুজ এমনিতেই খুব মিষ্টি। তাই সরাসরি তরমুজ থেকে রস বের করে খেয়ে নিন। কিছু আর যোগ করতে হবে না।

আমের রস
স্বাদের জন্য আম তো ফলের রাজা বটেই। কিন্তু ত্বকের উপকার করার জন্যও আমকে রাজা বলাই যায়। আপেলে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের কোষ পুনর্গঠন করতে সাহায্য করে। নিয়মিত আমের রস খেলে ত্বকের কালো ছোপ দূর হয়। এতে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের থেকে মেলানিন কম করে। ত্বক উজ্জ্বল করে।

আপেলের রস
ত্বকের জন্য খুবই উপকারী এই আপেলের রস। আপেলের রসে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বলিরেখা দূর করে। আমাদের ত্বকের টিস্যু নষ্ট হতে দেয় না, বরং নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে। আপেলের মধ্যে থাকা কপার, ক্লোরিন, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। আপেল এমনিতেই খেতে খুব ভালো। তাই আপেলের রস সরাসরি সকালে খেয়ে নিন এক গ্লাস। পেটও ভরবে আর ত্বকও ভালো থাকবে।

আনারসের রস
আনারসে থাকা আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড ত্বকের বয়স ধরে রাখে। রক্ত ভিতর থেকে পরিষ্কার করে ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে আনারসের রস। ব্রণর দাগ বা কালো ছোপ সরিয়ে ফেলতেও আনারসের রসের তুলনা নেই। আনারস থেকে রস বের করে নিন। এর পর সামান্য নুন যোগ করুন। দেখবেন এতে স্বাদ খানিক ভালো হবে।

পাতিলেবুর রস
পাতিলেবুতে আছে ভিটামিন সি। আর ভিটামিন সি থাকায় একসঙ্গে অনেকগুলো উপকার হয়। ভিটামিন সি ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার করে। তাই ত্বক উজ্জ্বল হয়। এছাড়া ত্বককে টানটান রাকে ভিটামিন সি। তাই বলিরেখাও কম হয়। ত্বকের পি.এইচ ব্যাল্যান্স বজায় রাখতেও পাতিলেবুর রস খেতে পারেন। এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে দুই চামচ লেবুর রস নিন। তার মধ্যে এক চামচ মধু নিন। এটা রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে খেয়ে নিন। দেখবেন খুব সুন্দর উপকার পাবেন।

পোশাকে একুশ

পোশাকে একুশ

পৃথিবীর ইতিহাসে মাতৃভাষার জন্য আত্মত্যাগের নজির আর নেই। সেই থেকে প্রতি বছরের একুশে ফেব্রুয়ারি এই শহীদদের স্মরণ করা হয় পরম শ্রদ্ধাভরে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে। কালক্রমে একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের সার্বজনীন জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে। ক্রমেই জাতীয় জীবনের ফ্যাশন ভাবনায়ও যুক্ত হয়ে গেছে একুশে ফেব্রুয়ারি। বর্ণমালায় লেখা পোশাকে এখনকার মানুষরা এ কাক্সিক্ষত দিনটিকে আরো জীবন্ত করে রাখে।

একুশে ফেব্রুয়ারি শুরু হয় প্রভাতের প্রভাতফেরী দিয়ে। গলায় গান আর হাতে ফুলের মালা নিয়ে ধীর পায়ে স্মৃতির মিনারের দিকে পৌঁছায় মানুষ গুটি গুটি পায়। একুশে ফেব্রুয়ারির এই দিনটিকে সাজানো হয় কালো আর সাদা রঙের আঙ্গিকে। যদিও এখন কিছুকিছু ক্ষেত্রে লাল রঙের দেখা পাওয়া যায়। সাদা রঙের শাড়ি তাতে কালো পাড় কিংবা সাদা রঙের সালোয়ার, ওড়না আর কালো রঙের কামিজে মেয়েরা সাজায় নিজেদের। শাড়িতে থাকে নানা জলছাপ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাতে আঁকিবুঁকি থাকে স্মৃতিসৌধ, শহীদমিনার, বিভিন্ন অক্ষর যেমন অ, আ, ই, ঈ সহ সব বর্ণমালা। কিছু ক্ষেত্রে সাত আবার বাংলাদেশের যুদ্ধের সময়কার বিভিন্ন চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়।

বাঙালির যা কিছু অহংকারের, একুশ তার একটি। আর বাংলা বর্ণমালা আমাদের প্রাণের চেয়ে প্রিয়। তাই দেশের শীর্ষ ফ্যাশন হাউজ রঙ বাংলাদেশ এবার ভাষার মাসে নতুন সংগ্রহ সাজিয়ে দশটা দেশের বর্ণমালাকে নকশার বিষয় করে আর এর সাথে আছে মোদের গরব, মোদের আশা কবিতার থিম। ভাষার মাসের বিশেষ রঙ হিসাবে সাদা আর কালো আমাদের ভাবনার জগতকে অধিকার করে আছে। সেই সাদা আর কালোর সঙ্গে এ বছরের একুশে সংগ্রহে আরো যোগ করাা হয়েছে লাল, অ্যাশ আর অফ হোয়াইট।

ব্লক প্রিন্ট, স্ক্রিন প্রিন্ট, হ্যান্ডওয়ার্ক ও এমব্রডারীতে করা হয়েছে জমিন অলংকরণ। প্রতিটি পোশাকের ডিজাইনকে নান্দনিক মাত্রা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে নানান অনুষঙ্গের সন্নিবেশে। মেয়েদের পোশাকে: শাড়ী,সিঙ্গেল কামিজ, সিঙ্গেল ওড়না, ব্লাউজ। ছেলেদের পোশাক: পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট। ছোটদের পোশাকে সালোয়ার-কামিজ, সিঙ্গেল কামিজ, ফ্রক, পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট।

আড়ং: লাল, কালো, সাদা রঙের সঙ্গে আড়ংয়ের পোশাকে আরো আছে ধূসর, সবুজ, নীল, কমলা ইত্যাদি রঙের ব্যবহার। চুড়িদার সালোয়ারের সঙ্গে আছে ফুলহাতা কামিজ। এমব্রয়ডারি, অ্যাপলিক, স্ক্রিনপ্রিন্ট ইত্যাদি মাধ্যমে কাজ করা হয়েছে।

কে ক্র্যাফট: এখানকার পোশাকগুলোর মোটিফ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ছাপের ভেতরে বর্ণ ও শব্দমালার বিন্যাস। বর্ণ ও শব্দের বিন্যাসে আমাদের ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং গর্বের অন্য বিষয়গুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত আদি বাংলা বর্ণমালাও ব্যবহৃত হয়েছে। একুশের প্রেক্ষাপটে ঘড়িকে মোটিফ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। রঙের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে কালো, লাল, ধূসর, সাদা ইত্যাদি।

নিপুন: জাতীয় মাতৃভাষা দিবসে নিপুণ সাদা-কালো এবং এ্যাশ রং নিয়ে কাজ করেছে। পোষাকের অলংকরনের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে এ্যাপলিক, হাতের কাজ, স্ক্রিন প্রিন্ট এবং ব্লক প্রিন্ট। এবারের মটিভ হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে ক্যালিওগ্রাফি, ফ্লোরাল এবং জিওমেট্রিক প্রিন্ট

নিত্য উপহার: এখানে আছে শাড়ি, পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া, টি-শার্ট ইত্যাদি। পোশাকে রং ব্যবহার করা হয়েছে কালো, সাদা, ধূসর প্রভৃতি। কাজ করা হয়েছে এমব্রয়ডারি, স্প্রে, ব্লকপ্রিন্ট, অ্যাপলিক ইত্যাদি।

নগরদোলা: পোশাকে ব্লকপ্রিন্ট, এমব্রয়ডারি, স্প্রে, লেস ইত্যাদির ব্যবহারে নকশা করা হয়েছে। সুতি, হাফসিল্ক কাপড়ে পোশাক তৈরি হয়েছে।

অন্যমেলা: সিল্ক, অ্যান্ডি, তাঁতের সুতি কাপড়ে তৈরি করা হয়েছে অন্যমেলার পোশাক। শহীদ মিনারের প্রতিকৃতি, কবিতা ও গানের পঙ্ক্তি দিয়ে নকশা করা হয়েছে।

শৈশব: শিশুদের পোশাকের দোকান শৈশব এনেছে লাল, সাদা, কালো রঙের সমন্বয়ে তৈরি পোশাক। আছে ফ্রক, শার্ট, টপ ইত্যাদি।

চরকা: শিশুদের জন্য শাড়ি ও ফতুয়া এনেছে চরকা। আছে বড়দের শাড়ি, পাঞ্জাবি, কুর্তা ইত্যাদি পোশাক। এতে বর্ণমালা ও ফুলেল মোটিফ ব্যবহার করে নকশা করা হয়েছে।