সুরাইয়া নাজনীন এর সকল পোস্ট

মা ই পারে ডিপ্রেশন কমাতে

মা ই পারে ডিপ্রেশন কমাতে

আপনি কি ডিপ্রেশন বা হতাশায় ভুগছেন? কিছুই ভাল লাগছে না? জীবনটা একেবারেই মূল্যহীন মনে হচ্ছে? তাহলে এই সমস্যার সমাধান আছে আপনার কাছেই। আর তা অন্য কেউ নন, আপনার মা।
সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এই সমস্যার এক অসাধারণ সমাধান আবিষ্কার করেছেন। যার সত্যতা যাচাই করতে ৫ মিনিটের বেশি সময় ব্যয় করতে হবে না।

তার জন্য আপনার মায়ের সঙ্গে শুধু কথা বলুন। মা যদি ধারে কাছে না থাকেন, তবে তাকে ফোনে একটি কল দিন। এতে করে আপনার স্ট্রেস কমা ও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যাবে।

মায়ের ভালোবাসার মতো ক্ষমতাশালী বস্তু খুব কমই আছে। গবেষকরা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন, একজন সন্তান যদি তার মাকে জড়িয়ে ধরে, তাহলে মুহূর্তের মধ্যেই তার মস্তিষ্কে ভাল লাগার অনুভূতিসম্পন্ন হরমোন অক্সিটোসিনের প্রবাহ বেড়ে যায়।

যা মা ও সন্তানের মধ্যকার সম্পর্কের বন্ধনকে আরো জোরালো করে। এছাড়াও মানসিক চাপ কমায় এবং পারস্পরিক বিশ্বাস আরো মজবুত করে।

আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মায়ের ভালোবাসার শক্তি কেবল এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। একজন মায়ের জন্য হাজার মাইল দূরে থেকেও সন্তানের মন ভাল করে দেয়া সম্ভব, যেটি রীতিমতো একটি গবেষণা থেকেই প্রমাণিত।

ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিনের চাইল্ড ইমোশন ল্যাব থেকে করা গবেষণাটির ফল বলছে, মায়ের আলিঙ্গন সন্তানের মানসিক স্ট্রেস বা চাপ কমাতে যে প্রভাব ফেলে, ফোনের মাধ্যমে শুনতে পাওয়া মায়ের কণ্ঠস্বরেও ঠিক সে রকমই কাজ করে।

সকালের নাস্তায় যেগুলো খাওয়া ঠিক নয়

সকালের নাস্তায় যেগুলো খাওয়া ঠিক নয়

সকালে কী খাবেন তার উপর অনেকটাই নির্ভর করে দিনটি আপনার কেমন যাবে। কারণ দিনের শুরুর খাবারটা শরীর গঠন ও রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। চিকিৎসকদের মতে, খাদ্যগ্রহণের নিয়ম হওয়া উচিত ‘পিরামিড রুল’ মেনে। দিনের প্রথম খাবার তাই ভারী হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে কোন খাবারটি উপকারী আর কোন খাবারটি ক্ষতিকর তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই। অনেকের সকালের খাবারের তালিকায় এমনকিছু থাকে যা পেট ভরালেও শরীরের জন্য ক্ষতিকর। চলুন জেনে নেই সকালের নাস্তায় কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে-

সকালে আলাদাভাবে নাস্তা না করে ভাত খেয়েই অফিসে যান অনেকে। কিন্তু এটি আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর। সকালের প্রথম খাবারেই একগাদা শর্করা শরীরে না প্রবেশ করানোই ভালো। ভাতের বদলে আটার রুটি খান। রুটির থেকে তৈরি হওয়া গ্লাইকোজেন ভাতের তুলনায় দ্রুত গলে। সঙ্গে রাখুন টক দই, ডিম, কম তেলের সব্জি বা চিকেন স্যুপ।

সকালের নাস্তায় লুচি-পরোটা চলে? এমন অভ্যাস আজই বাদ দিন। ময়দায় ফাইবার যেমন কম থাকে, তেমনই এতে ফ্যাট জমার সম্ভাবনাও অনেক বেশি। এর বদলে দুধের সঙ্গে ওটস খেতে পারেন। এতে পেটও ভরবে, পুষ্টিগুণও বাড়বে।

সকালের নাস্তায় টোস্ট আর কফি পছন্দ করেন। কফি বা ময়দার পাউরুটি কোনোটাই শরীরের জন্য খুব একটা উপকারী নয়। বরং পাউরুটি থেকে হজমের নানা সমস্যা ও ফ্যাট বাড়ার ভয় থাকে। একান্তই পাউরুটি খেতে হলে ব্রাউন ব্রেড বেছে নিন। একেবারে কম ফ্যাটযুক্ত মাখন অল্প করে পাউরুটিতে মাখিয়ে খেতে পারেন সপ্তাহে দু-তিন দিন।

মিষ্টি দইয়ের বদলে সাধারণ টক দই যোগ করুন সকালের নাস্তায়।

সকালের নাস্তায় ফলের রসের বদলে আস্ত ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। আর একান্তই যদি ফলের রস খেতে হয় তবে বাজারের প্যাকেটজাত ফলের রস না কিনে বাড়িতেই তৈরি করে খান।

সকালের নাস্তায় চা-কফি নয়। এমনিতেই সারা রাত পেট খালি রাখার পর সকালের খাবারই প্রথম শরীরে যায়, তাই খালি পেটে চা-কফি এড়িয়ে চলুন।

বসন্ত এসে গেছে

বসন্ত এসে গেছে

ভোরের স্নিগ্ধ শিশিরে খালি পায়ে হেঁটে যাওয়া। কোকিলের কুহু কুহু কলতান। আম্রমুকুলের ঘ্রাণে ম-ম চারপাশ। বিকেলের মৃদু বাতাসে মন দোলা দেয়। সবকিছু মিলিয়ে প্রকৃতিতে বিরাজ করছে স্নিগ্ধ অনুভূতি। এ যেন বসন্তের আগমনী বার্তা। সবাই হয়তো ভাবতে শুরু করেছেন প্রথম বসন্তের দিনটি কীভাবে কাটাবেন।

ফাল্গুন বসন্তের আগমন দুয়ার খুলে দেয়। পাখির ডাকে মুখর হয় সারাবেলা। এ সময় কোকিল তার কণ্ঠ পুরোটাই উজাড় করে দেয় প্রকৃতির মাঝে। শীতও শেষ লগ্নে উপস্থিত হয়ে বসন্তের হাতে নিজেকে সঁপে দিয়ে বিদায় নেয় ঋতুবৈচিত্র্যের অবগাহনে। ফাল্গুন মাস উৎসব-আমেজের মাস। নানা উৎসব-আমেজে মেতে থাকে গোটা দেশ। ঐশ্বর্যের অধিকারী বলা হয় বসন্তকে। গাছে গাছে ফুল-পাতার নতুন করে আবির্ভাব মনকে প্রফুল্ল করে তোলে। নর-নারীর মধ্যে রোমান্টিক এক আবহ তৈরি করতে সে তার অভিনবতা দেখায়। এছাড়া ফুলের সমাহার যেন কোনোভাবেই হৃদয়ের ঝরনাধারায় আনন্দের ফোয়ারা ছড়াতে কার্পণ্য করে না।

ঝরাপাতার মর্মর ধ্বনি পেরিয়ে কচি পাতায় ঘেরা ছায়া সুনিবিড় পরিবেশ উপহার দেয় বসন্ত। ফুল-ফাগুনে মুখরিত হয়েছে ফুলের সমারোহে। হরেক ফুলের ফুটন্ত রূপ প্রেমিক মনকে উদাসী করে তোলে। নানা রঙের ফুল প্রকৃতির শোভা বাড়ায়। রক্ত পলাশ, শিমুল, কাঞ্চন, মাধবী প্রভৃতি ফুলের সৌন্দর্য প্রকৃতিকে ঐশ্বর্যমণ্ডিত করে। এছাড়া গোলাপ, গাঁদা ও ডালিয়া ফুলে ফুলে বাগান ভরে ওঠে। সবুজের রঙের আবিরে ছেয়ে যায় চারপাশ। ঝরা পাতাকে দূরে ঠেলে সবাই যেন নিজেকে একটু সাজিয়ে নিতে চায়। সব কিছুতেই পরিবর্তন আর নতুনত্বের ছোঁয়া লাগে।

সব মানুষই উপলব্ধি করে বসন্তকে। দল বেঁধে ফুরফুরে মনে ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে সবুজ পরিবেশে। কেউ যেন ঘরে বসে থাকতে চায় না। ফুলে ফুলে নারীরা নিজেকে সাজাতে ভালোবাসে। ফুল আর নারীর সবটুকু সৌন্দর্য প্রকৃতির সঙ্গে মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। যুক্ত হয় আবেগ-অনুরাগের উদারতা। কৃত্রিমতা বর্জিত বসন্ত বর্ণিল সবসময়। বসন্ত তার উদারতা দিয়ে অনুরাগের ছোঁয়াকে রঙিন সুতোয় বেঁধে দেয়। প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য দেখে মনে হয় কেউবা নেশার টানে বনে বনে ফুলেল আগুন ছড়িয়ে দিয়েছে। বনানীজুড়ে নবপল্লবের জয়গান। বাংলা প্রকৃতি এখন শীতের জরাগ্রস্ততা কাটিয়ে স্নিগ্ধময়ী বাসন্তী বসনে সেজেছে।

বসন্ত এলেই নারীর মনে লাগে বসন্তের হলদে ছোঁয়া। তারা ফুলে ফুলে নিজেকে সাজাতে চায় বসন্তের প্রথম দিনে। কোন শাড়ির সঙ্গে কোন চুড়ি আবার এলো চুলগুলোকে কোন রঙের ফুলে জড়ালে ভালো লাগবে; সেসব নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন উ”ছল নারীরা। বসন্তে সব মেয়েরই পছন্দ শাড়ি। তবে বর্তমানে একরঙা শাড়ির ট্রেন্ডটাই বেশি। এর সঙ্গে হালকা সাজটা বেশ মানিয়ে যায়। শাড়ি এক রঙের পরলে ব্লাউজটা বাহারি ভালো লাগে। হালকা হলুদ জমিন ও কমলা পাড়ের শাড়ির সঙ্গে লাল ব্লাউজ মানানসই। কমলা রঙের ব্লাউজ পরতে পারেন হালকা সবুজ জমিন হলুদ পাড়ের শাড়ির সঙ্গে। পয়লা ফাল্গুনে ঘটি হাতা, খাটো হাতার ব্লাউজের আবেদন তো আছেই। ব্লাউজে ছোট ঘণ্টা, কলকা ব্যবহার করা যেতে পারে। শাড়ির সঙ্গে কনট্রাস্ট করে ব্লাউজের রংটা বেছে নিন। গলায় বা হাতে যে

কোনো একটি গয়না পরুন। এছাড়া মেটাল, কড়ির গয়না পরতে পারেন। বসন্তে ঘরে বসেই সেজে নিতে পারেন অনায়াসে। এ বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বিউটি এক্সপার্ট কানিজ আলমাস খান। ‘প্রথমে প্যান কেক বা কমপ্যাক্ট পাউডার দিয়ে মুখে বেইস করে নিন। তারপর বাদামি, গাঢ় বাদামি রঙের ব্লাশন ব্যবহার করতে পারেন। সাদা ও সোনালি রঙের মিশ্রণে আইশ্যাডো দিয়ে চোখটাকে সাজাতে পারেন। ঠোঁটে হালকা রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করতে হবে। তবে সাজে ভিন্নমাত্রা আনতে চাইলে হালকা মেকআপের সঙ্গে ঠোঁটে গাঢ় রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। ব্লো ড্রাই করে চুলটা খুলে রাখতে পারেন। চুল বড় হলে বেণি করে ফুল পেঁচিয়ে নিতে পারেন। এছাড়া হাতখোঁপা এক পাশে বা দুই পাশে আলাদা করে বাঁধলে অন্য রকম লাগবে।’

শীত যাই যাই করছে, গাছে গজাচ্ছে নতুন পাতা। প্রকৃতিতে বসন্তের সাজসাজ রব। শীতের জীর্ণতা সরিয়ে ফুলে ফুলে সেজে উঠেছে প্রকৃতি। পয়লা ফাল্গুন বাঙালির জীবন ও সংস্কৃতিতে এক বিশেষ দিন। ফাল্গুনের প্রথম দিনে প্রকৃতির মতোই নতুন সাজে সেজে থাকে শৌখিন তরুণ-তরুণীরা। বাঙালি তরুণ-তরুণীদের কাছে এই দিনটি এক উৎসবের দিন। ছেলেরা পাঞ্জাবি আর মেয়েরা বাসন্তী রঙের শাড়ি, মাথায় গাঁদা ফুলের মালা পরে মনের মতো সাজায় নিজেকে। বিশেষ করে টিনএজার ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের মধ্যেই এই ক্রেজটা বেশি। বাজারে সবসময়ই পাওয়া যায় রকমারি সব হলুদ রাঙা শাড়ি, তবে এই বিশেষ দিনে ফ্যাশনেবল নারীদের চাই ফ্যাশনেবল শাড়ি। আর ছেলেদের চাই মানানসই উজ্জ্বল রঙের ফতুয়া, শার্ট, পাঞ্জাবি ও টি-শার্ট।

বর্ণিল রং বিন্যাসের সমন্বয়ে সাজানো হয়েছে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস। ফ্যাশন হাউসগুলোতে এবারের ফাল্গ–নে আয়োজন করা হয়েছে শাড়ি, থ্রিপিস, ছেলেদের ফতুয়া, মেয়েদের ফতুয়া, স্কার্ট-টপস, পাঞ্জাবি ও টি-শার্ট। সব কিছুতেই প্রকৃতির সব উজ্জ্বল রঙের ছড়াছড়ি। রঙ-এর ফাল্গুনের শাড়িতে বাসন্তী ও হলুদ রঙের আধিক্য বেশি। তবে নতুন পাতার রং সবুজও এসেছে শাড়ির ডিজাইনে। তবে পাশাপাশি লাল-কমলা রংকেও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সালোয়ার-কামিজ, শার্ট, পাঞ্জাবির ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। বসন্তে যেহেতু ফুলের উপস্থিতি বেশি থাকে, তাই ডিজাইনে ফুলকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। প্রকৃতির বিভিন্ন মোটিফ ব্যবহার করা হয়েছে। এক কথায় ডিজাইনে প্রকৃতিকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। সুতি কাপড়ে কাজের মাধ্যম হিসেবে এসেছে চুনরি, টাই-ডাই, ব্লক-স্প্রে, অ্যাপলিক, কাটওয়ার্ক, স্ক্রিন, হ্যান্ডপেইন্ট, বাটিক, ভেজিটেবল রং, কারচুপি, এমব্রয়ডারি, চুমকির কাজ ও মেশিন এমব্রয়ডারি ইত্যাদি।

ঋতুরাজ বসন্ত আসে ফুলে সৌরভ নিয়েই। মাঠের পর মাঠ তখন শর্ষে ফুলেল উজ্জ্বল সোনালি আভায় ভরে ওঠে আর কদিন পরেই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। আসবে বসন্ত, পহেলা ফাল্গুনে। বাঙালি মুখিয়ে থাকে এই দিনটির জন্য। অন্যরকম ভালোলাগায় দিনটি উদযাপনের প্রতীক্ষায়। আর এমন একটি দিনে প্রিয় মানুষের সঙ্গ দেয় অনাবিল আনন্দ, অনিশেষ সুখময়তা।

এই দিনটি তো আসলে উৎসবে মেতে ওঠার। আর এই উদযাপন নতুন পোশাক ছাড়াও যে অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তাই তো বাংলাদেশের শীর্ষ ফ্যাশন হাউজ রঙ বাংলাদেশ পহেলা ফাল্গুন উপলক্ষে সাজিয়েছে বিশেষ ফাল্গুন সংগ্রহ। এ প্রসঙ্গে রঙ বাংলাদেশের কর্ণধার সৌমিক দাস বলেন, ‘এবার হলুদ, বাসন্তী, গোল্ডেন, সবুজ ও নীল রঙে উজ্জ্বল হয়েছে প্রতিটি ফাল্গুনের পোশাক।

মূলত ট্র্যাডিশানাল পোশাকই থাকছে এই কালেকশনে আর রয়েছে ফিউশনের নান্দনিক মিশেলের সম্ভার। পোশাকের নকশাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নানা ভ্যালু অ্যাডেড মিডিয়ার ব্যবহারে। এর মধ্যে রয়েছে স্ক্রিন প্রিন্ট, ব্লক প্রিন্ট, এম্ব্রয়ডারি, হাতের কাজ, গ্লাসওয়ার্ক, কারচুপি ইত্যাদি। মেয়েদের পোশাকের মধ্যে রয়েছে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, সিঙ্গেল কামিজ, স্কাট সেট, টপস, আনস্টিচ, কুর্তা, সিঙ্গেল পালাজ্জো, সিঙ্গেল ওড়না, ব্লাউজ আর ছেলেদের পোশাকে রয়েছে পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, কাতুয়া। ছোটদের সম্ভারে আছে সালোয়ার-কামিজ, সিঙ্গেল কামিজ, ফ্রক, পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, কাতুয়া। উৎসবের পরিপূর্ণতার জন্য পাবেন যুগল আর পরিবারের সবার জন্য একই থিমের পোশাক। এছাড়া আরো রয়েছে জুয়েলারি, মেয়েদের ব্যাগ, পার্স ও উপহার সামগ্রী হিসেবে রয়েছে নানা ডিজাইনের মগ।’

সুখী হওয়ার টিপস

সুখী হওয়ার টিপস

শরীর ও মনের সুখ-শান্তির জন্য বহু টাকা খরচ করে ইয়োগা ক্লাস, ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট, ব্যয়বহুল স্পা অথবা স্বপ্নের দেশে লম্বা অবকাশ-যাপন- কোনটাই কার্যকর না-ও হতে পারে। আবার নিত্যদিনকার এমন কিছু সাদাসিধে ব্যাপার আছে যা হয়তো একজন মানুষের জীবনকে সুখী, স্বস্তিকর এবং সুন্দর করে তুলতে পারে।

ঘরের ভেতর গাছপালা স্ট্রেস কমিয়ে দেয় এবং সুখকে বাড়িয়ে দেয়। কিভাবে? মৌলিক যে বিষয়টি সবাই জানে যে, গাছ কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে অক্সিজেন ছাড়ে যা আমাদের বেঁচে থাকার শক্তি। কিছু কিছু গাছ বায়ুকে বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে কারণ তারা বায়ু থেকে ক্ষতিকর রাসায়নিককে টেনে নেয়।

শরীরের পানির মাত্রা ঠিক রাখা

মানুষের শরীরের প্রধান উপাদান পানি। প্রাপ্তবয়স্ক একজন নারীর শরীরে ৫৫ শতাংশ এবং পুরুষের শরীরে ৬০ শতাংশ কার্যক্ষমতার জন্য পানি প্রয়োজন। সেকারণে শরীরে পর্যাপ্ত জলীয় থাকলে সুস্বাস্থ্য, শক্তির মাত্রা বাড়া এবং মনোযোগের শক্তি বাড়ে। যদি প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে বিস্বাদ মনে হয় তাহলে তার সাথে লেবু বা শসা কিংবা আদার টুকরো মেশানো যেতে পারে। এমনকি পানি খাওয়ার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে না পারলে তাদের জন্য ইন্টারনেট অ্যাপসও আছে যার মাধ্যমে পানি পানের জন্য রিমাইন্ডার পাঠানো হবে।

নিজের কক্ষের নতুন সাজ-সজ্জা

আমরা আমাদের ঘর-বাড়ি কিভাবে সাজাই, সেটা আমাদের মেজাজের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে, সেইসাথে কতটা ঘুমাই এবং আমাদের এনার্জি লেভেল কেমন তাতেও প্রভাব ফেলে। যদি আপনি সেখানে নতুন রূপ দিতে চান তাহলে শোবার ঘর থেকে শুরু করুন। মুক্ত বাতাসের জন্য জানালা খুলে দিন, যতটা সম্ভব দিনের আলো ঘরে ঢোকার ব্যবস্থা রাখুন। পরিষ্কার রাখুন কাপবার্ডের সবকিছু এবং বিছানার তলা পরিচ্ছন্ন রাখুন।

যদি আপনি একে এক ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে যেতে চান তাহলে গুরুত্ব দিতে পারেন চীনের প্রাচীন ফেং শুই পদ্ধতিকে। সেজন্য বইপত্র ঘাঁটাঘাঁটিও করতে পারেন। ফেং শুই দিয়ে বোঝানো হয় বায়ু ও পানি। ফেং শুইতে ‘চি’ নামের সর্বজনীন শক্তিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। বলা হয়, মানবশরীরের অভ্যন্তর ও বাইরে এই শক্তিই সমস্ত কাজকে নিয়ন্ত্রণ করছে। তবে ফেং শুই এর এই সূত্র মানুন বা নাই মানুন এটি অনুসরণ করে অন্তত দারুণ রুম লে-আউট পাওয়া যেতে পারে।

বাড়িতে তুলির আঁচড়

বাড়ির দেয়ালের রং মানুষের মুড বা মন-মেজাজের ওপর দারুণভাবে প্রভাব রাখে। সবুজ রং- প্রকৃতির প্রতিনিধিত্ব করে এই রং ঘরের ভেতর ভারসাম্য, সমন্বয় এবং শিথিলতা এনে দিতে পারে। নীল রং-একটি নান্দনিক গুণ সম্পন্ন রং। এটি প্রশান্তির এক অনুভূতি তৈরি করে এবং বিশ্রাম এনে দেয়, এ কারণে এই রং শোবার ঘরের জন্য সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ। তবে লাল রং এড়িয়ে যাওয়া উচিত কারণ তা আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসকে দ্রুত করে যা হার্ট-রেট এবং রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়।

পাখিদের গান

শুনলে হয়তো কুউ-কুউ- শোনায়, কিন্তু লন্ডনের বিজ্ঞানীদের নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে, পাখীদের গান বা কিচির-মিচির শব্দ মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। স্বেচ্ছাসেবকদের একটি অ্যাপের মাধ্যমে তাদের মুড রেকর্ড করে রাখতে বলা হয়েছিল। এবং দেখা যায়, পাখীর গান, গাছপালা এবং আকাশ তাদের যে মানসিক প্রশান্তি এনে দিয়েছিল কয়েক ঘণ্টা সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও তার রেশ ছিল।

যদি আপনার পক্ষে তৎক্ষণাৎ বেরিয়ে পড়া সম্ভব না হয় এবং প্রকৃতির মাঝে ডুব দেয়া সম্ভব না হয় তাহলে উপায়? বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে সে ব্যবস্থাও অসম্ভব নয়। পাখীর কিছু গান বা শব্দ ডাউন-লোড করে ফোনে সেভ করে নিয়ে হেড-ফোন দিয়ে শুনুন। আর চোখ বন্ধ করে ভাবুন প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

পোষা বিড়াল

গবেষণা বলছে, বিড়াল পোষার ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে। চার হাজারের বেশি আমেরিকান নাগরিকের ওপর দশ বছর ধরে চালানো গবেষণায় ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটার স্ট্রোক ইন্সটিটিউট ইন মিনেপলিস এর গবেষকরা দেখেছেন যে, বিড়াল পুষেছেন এমন ব্যক্তিদের অন্যদের তুলনায় হার্ট অ্যাটাকে কিংবা স্ট্রোকে মৃত্যুর হার ৩০ শতাংশ কম ছিল।

হাসতে থাকুন

নির্মল হাসি আমাদের পেশীগুলোকে আলগা করে, রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে, নাইট্রিক অক্সাইড বের করে দেয়, যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। হাসি স্ট্রেস হরমোন কমায় এবং শরীরের এন্ডোরফিন শিথিল করে যার ফলে আমাদের শরীর আরাম পায় এবং এটা প্রাকৃতিক ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে।

এটা ঠিক যে, হাসি সত্যিকারভাবেই শ্রেষ্ঠ ওষুধ। যেসব বন্ধুদের সঙ্গ আনন্দ দেয় তাদের সাথে সময় কাটানো, কমেডি দেখা ইত্যাদি হতে পারে সুন্দর সময় কাটানোর উৎস। আর ততটা সামাজিক না হলে ভিডিও দেখা যেতে পারে।

কাজের ক্ষেত্রে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দৃষ্টিভঙ্গি

স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ যেমন- সুইডেন, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে এবং আইসল্যান্ড- বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশগুলোর অন্যতম। কাজের ক্ষেত্রে সুখী এবং উন্নতির জন্য বেশকিছু কৌশল অনুসরণ করে থাকে সেখানকার মানুষেরা। সুইডেনে একটি রীতি প্রচলিত আছে যা ফিকা নামে পরিচিত, যার ফলে প্রতিদিন কফি ও কেক খাওয়ার জন্য বিরতি নিতে হয় যখন কলিগরা একত্র হন। তারা হয়তো কফির পাত্র নিয়ে বসে এবং সাথে থাকে কিছু ঘরে বানানো খাবার। কর্মক্ষেত্রে ফিকা একধরনের অবশ্য পালনীয় রীতি।

পর্যাপ্ত ঘুম

সুস্থতা এবং ভাল থাকার জন্য খাবার এবং ব্যায়ামের মতো মানসিক এবং শারীরিক বিশ্রাম খুব গুরুত্বপূর্ণ। ঘুম কম হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। স্ট্রেস হরমোন লেভেল বেড়ে যায়, উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতা দেখা যায়। আমরা যখন ঘুমাই তখন আমাদের শরীরের ভেতর নানা কাজ চলে।

ভাল ঘুমের জন্য পরিশ্রম দরকার। শোবার ঘরকে পরিষ্কার এবং নীরব রাখা দরকার, রাতে দেরি করে খাওয়াও বন্ধ করতে হবে। সেইসাথে সব ধরনের ডিভাইসের আলো যাতে না থাকতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে কারণ ফোন বা ট্যাবলেট দিয়ে বেরনো সামান্য নীল আলোও আপনার ঘুম চোখ থেকে কেড়ে নিতে পারে।

দিনের শেষভাগে ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় বাদ দিতে হবে-এটাই তার সময়।

জিলাপি বানান ঘরে বসেই

জিলাপি বানান ঘরে বসেই

মচমচে জিলাপি খেতে পছন্দ করেন ছোট বড় সবাই। তবে পছন্দের এই জিলাপি বেশিরভাগ সময় কিনে খাওয়া হয়। জিলাপি বানানো খুব কঠিন কাজ নয়। আপনি চাইলে ঘরেই তৈরি করতে পারেন মচমচে জিলাপি।

আসুন জেনে নেই কীভাবে তৈরি করবেন মচমচে জিলাপি-

উপকরণ- ১ কাপ ময়দা, ২ কাপ চিনি, প্রয়োজনমতো পানি, ১/৩ চা চামচ লবণ, ৩ টেবিল চামচ টক দই, আধা চা চামচ বেকিং পাউডার, ভাজার জন্য তেল।

সিরা তৈরির উপকরণ- ২ কাপ পানি, দেড় কাপ চিনি, ৩টি এলাচ, সামান্য ফুড কালার, ১ চা চামচ লেবুর রস।

প্রণালি- একটি বাটিতে ময়দা, বেকিং পাউডার ও লবণ মিশিয়ে নিন। সামান্য পানি দিয়ে মাখান। অল্প অল্প করে দেবেন পানি। টক দই দিয়ে আবার মেখে নিন মিশ্রণটি। আরও একটু পানি দিয়ে মিহি ডো তৈরি করুন। ডিম ফেটানোর মেশিন দিয়ে ভালো করে ফেটান। খুব বেশি ঘন বা বেশি পাতলা হবে না মিশ্রণটি। এবার কেচাপের বোতলে নিয়ে নিন ময়দার মিশ্রণ।

সিরা তৈরি করার জন্য একটি প্যানে পানি, চিনি ও এলাচ ভেঙে নিন। মিডিয়াম আঁচে জ্বাল দিতে থাকুন আঠালো না হওয়া পর্যন্ত। ফুড কালার দিয়ে দিন। আঙুলে নিয়ে দেখুন আঠালো হয়েছে কিনা। হয়ে গেলে নামিয়ে লেবুর রস দিন সিরায়।

সিরা উষ্ণ গরম থাকতে থাকতে জিলাপি দিতে হবে। এজন্য ঢেকে রাখুন সিরার পাত্র।

জিলাপি ভাজার জন্য প্যান দিন চুলায়। তেল গরম হলে কেচাপের বোতলের চেপে প্যাঁচ দিয়ে জিলাপির আকৃতি করে দিন। মাঝারি আঁচে বাদামি করে ভেজে নিন জিলাপি। ভাজা হয়ে গেলে উঠিয়ে তেল ঝরিয়ে সিরার পাত্রে দিয়ে দিন। ১০ সেকেন্ড রেখে উঠিয়ে পরিবেশন করুন মচমচে জিলাপি।

দিন দিন সব ভুলে যাচ্ছেন?

দিন দিন সব ভুলে যাচ্ছেন?

আমাদের জীবনযাত্রা আধুনিক হওয়ার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে স্ট্রেসের পরিমাণ, তাই অল্প বয়সেই মনের জরাগ্রস্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কাও রয়ে যাচ্ছে। তবে ভালো দিকটা হচ্ছে, এই ধরনের সমস্যা অনেকটাই ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব সামান্য সচেতন হলেই। আর যেকোনো বয়সে বা শারীরিক অবস্থাতেই মনকে কর্মক্ষম রাখা ও স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তোলার কাজটা চেষ্টা শুরু করা সম্ভব। সাম্প্রতিক কিছু গবেষণা কিন্তু দাবি করছে যে নিয়মিত যদি মাথা খাটানো যায়, তা হলে ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব আলঝেইমার্স বা ডিমেনশিয়ার মতো কিছু রোগ। জেনে নিন কাজগুলো কী-

যদি আপনার বা আপনার বয়স্ক অভিভাবকদের কারো ভুলে যাওয়ার সমস্যা থাকে, তা হলে প্রতিদিন নিজেদের মধ্যেই একটা খেলা খেলতে পারেন। প্রিয় গান বা সুরের একটা তালিকা তৈরি করুন, তার পর সেটা বাজিয়ে মনে করার চেষ্টা করুন সেই গান বা সুরের সঙ্গে আপনার কোন স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। কারণ গান আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে দারুণ কার্যকর।

আপনি অফিস যাওয়ার সময় যানবাহনে যতটা সময় কাটান, তার মধ্যেই বেশ কয়েকটি ক্রসওয়ার্ড বা সুডোকু পাজল সলভ হয়ে যাওয়ার কথা। যেকোনো ধাঁধা সমাধানের জন্য মস্তিষ্ককে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়, নার্ভগুলিও সচল ও সতর্ক হয়ে ওঠে।শব্দছকের আর একটা সুবিধে হচ্ছে, প্রচুর নতুন শব্দ শেখা যায় এবং সেগুলিকে মনে রাখার জন্যও মস্তিষ্ক সচেষ্ট হয়ে ওঠে। তাই চেষ্টা করুন পাজল মেলানোর।

শিশুদের সঙ্গে যদি খানিকটা সময় নির্মল আনন্দে কাটানো সম্ভব হয়, তা হলে মন বেশ ঝরঝরে থাকে। শিশুদের সঙ্গে তাদের মতো করে খেলুন, লুকিয়ে আইসক্রিম খেতে যান, তাদের কল্পনার দুনিয়ার শরিক হয়ে উঠুন। স্ট্রেস কমাতে তা ম্যাজিকের মতো কাজে দেয়।

যারা দিনের অনেকটা সময় গৃহবন্দি হয়ে কাটান নানা শারীরিক সমস্যার কারণে, তারা এই কাজগুলো করতে পারেন-

যে হাতটি কম শক্তিশালী (ডানহাতিদের ক্ষেত্রে বাম হাত), সেই হাতে নাম সই করুন দশবার। দাঁত মাজতে, চুল আঁচড়াতে পারলেও খুব ভালো হয়। দুটো হাত কাজে লাগান সমান তালে। ডান হাত দিয়ে টেবিলের উপর টোকা মারুন, বাম হাত দিয়ে ওই সময়েই টেবিলে একটি কাল্পনিক বৃত্ত আঁকার চেষ্টা করুন। দুটো দিক একসঙ্গে কাজ করলে মস্তিষ্ক ঝরঝরে হয়ে উঠবে। যদি কাজগুলো স্বচ্ছন্দে করতে পারেন, তাহলে পরের বার আরও একধাপ কঠিন চ্যালেঞ্জ দিন নিজেকে।

কৌতুহলী হোক সোনামনি

কৌতুহলী হোক সোনামনি

একটি শিশু যত বেশি কৌতুহলী হবে, সে ততটাই বেশি শিখতে পারবে। কৌতুহলে যে শক্তি আছে তা আপনার শিশুকে অসংখ্য সমস্যা সমাধানের পথে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি চিন্তা এবং মতপ্রকাশের শক্তিকে উন্নত করে। এর ফলে আপনার সন্তান সৃজনশীল মানুষে পরিণত হবে। তাই জেনে নিন সন্তানকে কৌতুহলী করার কিছু উপায়।

সন্তানকে হাঁটতে নিয়ে যান এবং আকাশ, গাছপালা দেখান। তাকে নানা ধরণের প্রশ্ন করুন এবং তাকে প্রশ্ন করতে শেখান।

সন্তানের আগ্রহকে সমর্থন করুন

সন্তান যেসব বিষয়ে আগ্রহ দেখায় সেগুলোকে প্রাধান্য দিন। প্রতিদিন সে বিষয়ে শেখান এবং সেই বিষয়ে বই কিনে দিন।

সহজ ও পরিষ্কার উত্তর দিন

সন্তান প্রশ্ন করলে তাকে সহজ ও পরিষ্কার উত্তর দিন। তাদের বোঝার ক্ষমতা অনুযায়ী প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন। এমন কোনো উত্তর দিবেন না যা তাদের কাছে অপরিষ্কার তাহলে তারা পুরোপুরি সন্তুষ্ট হবে না।

লাইব্রেরির সাহায্য নিন

বিভিন্ন ধরণের কৌতুহল সম্পর্কে জানা এবং নতুন কৌতুহল সৃষ্টি করার মাধ্যম হলো বই। আপনার সন্তানকে লাইব্রেরিতে নিয়ে যান। তার পছন্দের বই দুইজন মিলে একসাথে পড়ুন।

পরিবেশ গড়ে তুলুন

সন্তানকে কৌতুহলী হতে সাহায্য করুন ও তেমন পরিবেশ করে দিন। তাকে নিরাপদ খেলনা এবং পরিবেশ দিন। কিছুদিন পরপর অবশ্যই তাকে বিভিন্ন রকম নতুন নতুন খেলনা কিনে দিবেন।

অনুধাবন করতে শেখান

সন্তান দিনে কী কী কাজ করে ও তার চারপাশে কী কী হয় তা তাকেই অনুধাবন করতে দিন। এতে সে বুঝতে শিখবে।

অতিরিক্ত শাসন করবেন না

সন্তানকে তার কাজগুলো মুক্তভাবে করতে দিন। কি করতে হবে, কি করতে হবে না এগুলো সব সময় বলে দেবেন না। তাকে নিজে থেকে চিন্তা করতে দিন। বেশি শাসনে সে মক্ত চিন্তা করতে পারবে না।

চট জলদি খিচুড়ি

চট জলদি খিচুড়ি

কর্মব্যস্ত জীবনে রান্নার জন্য বেশি সময় খুঁজে পাওয়া ভার। বিশেষ করে যারা একা হোস্টেলে থাকেন কিংবা অনেকটা সময় অফিসে থাকেন তারা রান্নার সময় খুঁজে পান না। কেমন হয় যদি মাত্র ১৫ মিনিট সময়েই খিচুড়ি রান্না করতে পারেন? চলুন আজ জেনে নিই কীভাবে ওভেনে কম সময়ে মজাদার খিচুড়ি রান্না করবেন তার রেসিপি-

যা যা প্রয়োজন:

পোলাও চাল- ১ কাপ। মশুর ডাল- ১ কাপ। দারুচিনি- ২ টুকরো। বড় এলাচ- ২টি। লং- ৪টি। সবুজ এলাচ- ৪টি। তেজপাতা- ২টি। কাঁচামরিচ- ৪/৫টি। আদা বাটা- ১ চা চামচ। রসুন বাটা- ২ চা চামচ। ঘি- ২ টে চামচ। লবণ- ১ চা চামচ। ধনে গুড়া- ২ চা চামচ। হলুদ গুড়া- অল্প। পেঁয়াজ- ১/২ কাপ। রান্নার তেল- ২ টেবল চামচ।
পছন্দের সবজি- ১ কাপ

গরম পানি- ৩ কাপ (চালের জন্য ডাবল আর ডালের জন্য সমান সমান নিতে হবে)

প্রণালি : একটা ওভেন প্রুফ বাটিতে সব্জি আর ঘি ছাড়া সব উপকরণ দিয়ে এক সাথে ভালো করে মাখিয়ে নিন। এবার পানি দিন। বাটিটাকে ঢাকনা দিয়ে আটকে দিয়ে মাইক্রোওয়েভে দিয়ে দিন। ওভেনের টাইমার সেট করবেন ১০ মিনিট। যেভাবে খাবার গরম করেন সে মুডেই খিচুড়ি বসাবেন। ১০ মিনিট পর খিচুড়ি নামিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে সবজি মেশাবেন। কাঁচামরিচ দেবেন। ওপরে ঘি ছড়িয়ে দেবেন। ওভেনে আবার খিচুড়ির বাটি বসিয়ে ৫ মিনিট সেট করে ওভেন অন করবেন। ওভেন অটো অফ হয়ে গেলেও আরও পাঁচ মিনিট রেখে দেবেন খিচুড়ি, ওভেনের ভেতরেই। তারপর নামিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার সবজি খিচুড়ি।

মনে রাখবেন : ঢাকনাটা যেন একটু আলগা করে বসানো থাকে। সিল হয়ে না যায়। চেপে বন্ধ করবেন না। আর পানি জাতীয় সবজি ব্যবহার করবেন না।

বাদাম খান প্রতিদিন

বাদাম খান প্রতিদিন

স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকসের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাদাম। বাদামে রয়েছে ক্যালোরি, প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, কপার, ম্যাংগানিজসহ আরও অনেক উপকারী উপাদান। অফিসের টেবিলে কিংবা ব্যাগে তাই বয়াম ভর্তি করে বাদাম রাখতে পারেন।

নিয়মিত বাদাম কেন খাবেন?

শরীরের জন্য উপকারী কোলেস্টেরল পাওয়া যায় বাদাম থেকে। বাদামে রয়েছে সি-রিঅ্যাক্টিভ প্রোটিন ও ইন্টারলিউকিন যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। ফাইবার সমৃদ্ধ বাদাম দূর করে হজমের গণ্ডগোল।

বাদাম খেলে হৃদপিণ্ড সক্রিয় থাকে। নিয়মিত বাদাম খেলে রক্তচাপ থাকে নিয়ন্ত্রণে। এমনকি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে বাদাম। নিয়মিত বাদাম খেলে হাড় শক্ত থাকে। বাদামে থাকা প্রাকৃতিক তেল ত্বককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। বাদাম খেলে দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধ হয়।

স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বাদামের উপকারিতা প্রচুর।
ভাজা নাকি কাঁচা, কোন বাদাম বেশি উপকারী?

আমরা প্রায়ই দ্বিধায় পড়ি ভাজা নাকি কাঁচা- কোন বাদাম খাওয়া বেশি ভালো সেটা নিয়ে। আসলে দুই ধরনের বাদামেই রয়েছে উপকারিতা। কাঁচা বাদামে অনেক সময় ব্যাকটেরিয়া থাকে যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আবার ভাজা বাদাম হারিয়ে ফেলে কিছু পুষ্টিগুণ। সুপার শপ থেকে ভাজা বাদাম সরাসরি না কিনে কাঁচা বাদাম কিনে ভেজে খেতে পারেন। অতিরিক্ত লবণ, চিনি কিংবা তেল থাকে সংরক্ষণ করা ভাজা বাদামে।

তথ্য: হেলথ লাইন

যেসব খাবারে গ্যাস্ট্রিক দূর হয়

যেসব খাবারে গ্যাস্ট্রিক দূর হয়

খাদ্যাভ্যাসের অনিয়ম গ্যাস্ট্রিকের অন্যতম কারণ। বুক জ্বালা কিংবা বদহজমের মতো উপসর্গ দেখা দেয় অ্যাসিডিটি কিংবা গ্যাস্ট্রিক হলে। হঠাৎ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিলে কয়েকটি খাবার খেতে পারেন তাৎক্ষণিকভাবে। দূর হবে বুক জ্বালা। তবে প্রয়োজনে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

আদা
কলা

যদি হজমের সমস্যা ও বুক জ্বালা দেখা দেয়, তাহলে কলা খেতে পারেন। কারণ এতে অ্যাসিডের পরিমাণ কম থাকে। খাদ্যনালীতে যে যন্ত্রণা তৈরি হয়, তা কমাতে সাহায্য করে কলা। এছাড়া কলাতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকায় এটি হজম শক্তি বাড়ায় ও বদহজমের সমস্যা দূর করে।

ওটমিল
ব্রেকফাস্টে ওটমিল বেশ আদর্শ এক খাবার। এতে আছে প্রচুর আঁশ। আপনার বুক জ্বালা বা অ্যাসিডিটি হলে ওটমিল খেতে পারেন। এটি পাকস্থলী থেকে অতিরিক্ত অ্যাসিড শুষে নেয়।

আদা
অ্যাসিডিটি দূর করতে পারে আদা। আদাসহ ব্ল্যাক টি পান করুন অথবা কুচি কুচি করে কাটা আদা খেতে পারেন।

সবুজ শাকসবজি
পালং শাকসহ বিভিন্ন সবুজ শাক যদি আপনার প্রিয় হয়, তাহলে তা খুব ভালো খবর। কারণ এসব সবুজ শাক শরীরের জন্য যেমন উপকারী, তেমনি এগুলোতে থাকা অ্যালকেইন পাকস্থলীর অ্যাসিড কমিয়ে বদহজম দূর করতেও কার্যকর।

দই
পাকস্থলী ঠাণ্ডা রাখতে দই বেশ কার্যকর। এতে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া প্রোবায়োটিকস হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। এভাবে অ্যাসিডিটি বা বুকজ্বালা দূর করে দই।

তথ্য: টাইমস অব ইন্ডিয়া

রোজ সকালে মাথাব্যথা?

রোজ সকালে মাথাব্যথা?

ঘুম ভাঙলেই মাথাব্যথা এসে হানা দেয়? যে ক্লান্তি কাটাতে ঘুমিয়েছিলেন, ঘুম ভাঙার পরে সেই ক্লান্তি আরও বেশি করে এসে ভর করে? তাই প্রতিদিনই মাথাব্যথা দূর করতে ওষুধের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন? এমন চলতে থাকলে তা অচিরেই বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। জেনে নিন এর কারণ ও প্রতিকার-

কারণ:
*সকালে মাথাব্যথা হয় ও রাতে ঘুমের মধ্যে খুব নাক ডাকলে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া সিনড্রোম আছে কিনা তা দেখে নিতে হবে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ, উদ্বেগ, অস্থিরতা, শোক-দুঃখ, হতাশা চললে সমস্যা হতে পারে।

*মাইগ্রেনের সঠিক চিকিৎসা না করে যারা ব্যথার ওষুধের উপর ভরসা করে থাকেন, তাদের সকালের দিকে সমস্যা হয়।

*কিছু বিশেষ ধরনের ঘুমের ওষুধ, শর্ট অ্যাকটিং স্লিপিং পিলে অনেক সময় হয় এমন।

*অতিরিক্ত চা-কফি খেলে বা হঠাৎ বন্ধ করে দিলে উইথড্রয়াল এফেক্ট হিসেবে সকালে মাথাব্যথা হতে পারে।

*প্রচুর ধূমপান করলেও এক সমস্যা৷ ঘুম কম হওয়া, ভুলভাবে বা ভুল বালিশে শোওয়া থেকে সমস্যা হয়।

*ঠান্ডা লাগা, নাক বন্ধ, আগের দিন একভাবে প্রচুর কাজ করা ইত্যাদি কারণে মাথাব্যথা নিয়ে ঘুম ভাঙতে পারে।
*কিছু বিশেষ ধরনের ব্রেন টিউমারে এ রকম হওয়ার আশঙ্কা আছে।

সমাধান:

*মাথা ও কপালে মালিশ করুন।

*চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিন৷ ঘুমোতে পারলে কষ্ট কমে যায় অনেক সময়। তবে সকালে ঘুম থেকে উঠেই তো আর ঘুমোনো সম্ভব নয়। কাজেই ব্যথার মলম লাগিয়ে কষ্ট না কমলে এক-আধটা প্যারাসিটামল খেতে পারেন।

*হঠাৎ করে মাথা ব্যথা শুরু হলে ও দিনের পর দিন চলতে থাকলে জীবনযাপনে কোনো বড় পরিবর্তন এসেছে কিনা ভেবে দেখুন। এলে তা পাল্টানোর চেষ্টা করে দেখুন কষ্ট কমে কিনা।

*সমস্যা চলতে থাকলে সঙ্গে আর কী কষ্ট আছে দেখে সেই সংক্রান্ত অসুখের জন্য সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সেভাবে বুঝে উঠতে না পারলে বুঝতে না পারলে নিউরোলজিস্টের পরামর্শ নিন।

*উদ্বেগ, হতাশা ও মানসিক চাপের সমাধান স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট। যার মধ্যে বিহেভিয়ারথেরাপি, ব্রিদিং এক্সারসাইজ ও মেডিটেশন অন্যতম। তবে মাইগ্রেন থাকলে ঠিক সময়ে চিকিৎসা করানো প্রয়োজন।

*বেশি চা-কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে হঠাৎ বন্ধ করে দেবেন না। প্রথম দিকে কাপের মাপ ছোট করে পরিমাণ একটু করে কমান। এতে শরীর অভ্যস্ত হয়ে গেলে দিনে দু-একবার কম খেয়ে দেখুন কেমন থাকেন৷ তারপর আস্তে আস্তে আরও কমাবেন।

*রাতে যাতে ভালো ঘুম হয় সে দিকে খেয়াল রাখুন। বিছানা-বালিশের দিকেও নজর দিন। শক্ত বা খুব নরম বালিশে ভুলভাবে ঘুমালেও এমন সমস্যা হয়।

মনের সুস্থতা সবার আগে

মনের সুস্থতা সবার আগে

মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে মনকে কাজে ব্যস্ত রাখার কোনো বিকল্প নেই। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের নানা রকম মানসিক চাপও বেড়ে যায়। এতে মানসিক স্বাস্থ্য বাধাগ্রস্থ হয়। কিন্তু আপনার মন কোনো চ্যালেঞ্জে পড়লে মস্তিষ্কে নরঅ্যাড্রেনালি নামক হরমোন ক্ষরণ হয়। যার কারণে মস্তিষ্কের কোষগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পায় এবং মস্তিষ্ক সচল থাকে।

পুরনো স্মৃতি মনে করা

মনের তারুণ্য ধরে রাখতে ও বার্ধক্য দূরে রাখতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে স্মৃতিশক্তিকে সচল রাখা। পুরনো স্মৃতিগুলোকে মনে করার চেষ্টা করুন। ছোটবেলার সব বন্ধুদের নাম মনে করার চেষ্টা করতে পারেন।

শারীরিক পরিশ্রম

শারীরিক পরিশ্রম মস্তিষ্কের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। পরিশ্রম হার্টবিট বাড়ায় ও শরীর হতে ঘাম বের করে আপনার মানসিক কার্যকারিতা বাড়ায়। তাই ছোট ছোট শারীরিক ব্যায়াম করুন যেমন জগিং, ৩০ মিনিট দ্রুত হাঁটুন, সাইক্লিং, সাঁতার কাটুন বা বাগানে কাজ করুন।

মানসিক স্ট্রেস কমান

মানসিক চাপ হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খারাপ। আমরা প্রতিদিনই মানসিক চাপে পড়ি যা আমাদের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। দীর্ঘদিনের চাপ স্মৃতিশক্তি ক্ষতিগ্রস্থ করে ও মানসিক রোগ সৃষ্টি করে। এ থেকে বাঁচতে পছন্দের গান শুনুন, হাসির সিনেমা দেখুন, আড্ডা দিন।

পুষ্টিকর খাবার রাখুন

পুষ্টিকর খাবার আপনার মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ। কম চর্বিযুক্ত খাবার, অধিক আঁশযুক্ত খবার, ফলমূল ও শাকসবজি খাবার তালিকায় বেশি রাখুন।

ফুলকপির পুষ্টিগুণ

ফুলকপির পুষ্টিগুণ

দেখতে বড়সড় একটি ফুটন্ত ফুলের মতো হলেও আসলে এটি এক ধরনের সবজি। মূলত শীতকালীন সবজি, তবে সারাবছরই কম-বেশি এর দেখা মেলে। বলছি ফুলকপির কথা। ভাজি, ভর্তা, ঝোল করে তো খাওয়াই যায় পাশাপাশি নুডলস, পাস্তা, স্প্যাগোটি, সালাদ, পাকোড়ায়ও ব্যবহার করা যায় এটি। বিশেষ করে শিশুদের পছন্দের সবজি এই ফুলকপি। ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফাইটকেমিকেলসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর এই সবজি কেন প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় রাখবেন, চলুন জেনে নেই।

ফুলকপিতে সালফারের যৌগ সালফোরাফেন থাকে যা ব্লাড প্রেশারের উন্নতিতে সাহায্য করে। সালফোরাফেন ডিএনএ-এর মিথাইলেশনের সাথে সম্পর্কিত যা কোষের স্বাভাবিক কাজের জন্য এবং জিনের সঠিক প্রকাশের জন্য অত্যাবশ্যকীয়, বিশেষ করে ধমনীর ভেতরের প্রাচীরের। সালফোরাফেন ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষ ধ্বংস করতে পারে এবং টিউমারের বৃদ্ধিকে বাঁধা দেয়।

নিয়মিত ফুলকপি খেলে দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়। ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন-সি থাকে। পাশাপাশি আছে ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার, পটাসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ।

এই সবজিতে আরেকটি উপকারী যৌগ কোলাইন থাকে। কোলাইন একটি বি ভিটামিন। এটি মস্তিষ্কের উন্নয়নে সাহায্য করে। প্রেগনেন্সির সময়ে ফুলকপি খেলে ভ্রূণের মস্তিষ্কের গঠনে সাহায্য করে। জ্ঞান, শিক্ষা এবং স্মৃতির উন্নয়নে সাহায্য করে কোলাইন। সুস্বাস্থ্যের জন্য শরীরে নির্দিষ্ট পরিমাণ দহন হওয়া জরুরি। তবে দহনের পরিমাণ বেড়ে গেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সেক্ষেত্রে ক্যান্সার বা এ ধরনের রোগের আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। ফুলকপিতে রয়েছে ‘অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি নিউট্রিয়েন্টস’, যা শরীরের দহন প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সালফার-জাতীয় উপাদান। যা খাবার হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। তাছাড়া ফুলকপির ফাইবার খাবার হজম হতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

গোসলে গরম পানি ভালো?

গোসলে গরম পানি ভালো?

শীতের সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ খুব কম থাকায় আমাদের ত্বকও শুষ্ক হয়ে যায়। শীতকালে বাতাসের অতিরিক্ত শুষ্কতার প্রভাবে আমাদের ত্বক খুবই রুক্ষ, শুষ্ক আর নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। এই শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বকের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন

এদিকে শীত এলেই গোসল থেকে দূরে দূরে থাকতে চান অনেকেই। কেউ কেউ আবার গোসল করেন আগুন গরম পানি দিয়ে! অনেকে মনে করেন ঠান্ডার ভয়ে গোসল না করার চেয়ে গরম পানিতে গোসল করাই ভালো। কিন্তু এভাবে রোজ গরম পানিতে গোসল করাটা কি স্বাস্থ্যকর? চলুন জেনে নেয়া যাক-

ঠান্ডার প্রকোপ থেকে বাঁচতে এই সময় অনেকেই নিয়মিত গরম পানিতে গোসল করেন। বস্টন ইউনিভার্সিটির গবেষকদের মতে, শুষ্ক আবহাওয়ায় নিয়মিত গরম পানিতে গোসল করার ফলে ত্বক তার আর্দ্রতা দ্রুত হারিয়ে ফেলে। এছাড়াও, প্রতিদিন গরম পানিতে গোসল করার ফলে হজমেরও নানা সমস্যা হতে পারে। বেড়ে যেতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা।

গবেষকদের মতে, শীতকালে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে গোসলের পানি হালকা গরম হলে ক্ষতি নেই। হালকা গরম পানিতে গোসল করার ক্ষেত্রে সময় কমিয়ে দেয়া প্রয়োজন। তবে গোসল বন্ধ করা বা কনকনে ঠান্ডা পানিতে গোসল না করাই ভালো।

স্তন ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব যে উপায়ে

শুধু দ্রুত শনাক্ত করতে না পারার কারণেই স্তন ক্যান্সারে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ছে। প্রতি বছর বাংলাদেশে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে ১২ হাজার ৭৬৪ জন নারী, আর মারা যায় ৭ হাজার ১৩৫ জন। দ্রুত শনাক্ত না হওয়ার প্রধান কারণ এ রোগ সম্পর্কে সচেতনতার অভাব।

প্রাথমিক স্তরে এ রোগ শনাক্ত করা সম্ভব হলে ৯০ শতাংশের বেশি রোগীকে বাঁচানো সম্ভব। কিন্তু তৃণমূল পর্যায়ের নারীদের এ রোগ সম্পর্কে সচেতন করা সম্ভব হয়নি। স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হলে এ রোগ অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব। স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে রোগী শনাক্তকরণে কমিউনিটি ক্লিনিককে সম্পৃক্ত করা, প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে স্তন ক্যান্সার শনাক্তের পদ্ধতি সম্পর্কে জানানো এবং স্তন ক্যান্সার নির্ণয় ও প্রতিরোধে জাতীয় নীতিমালা তৈরি করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্তন ক্যান্সারে নারীদের মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। নারী ক্যান্সার রোগীদের মধ্যে আক্রান্তের হার ২৩.৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১৬.৯ শতাংশ। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৪ সালে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১ লাখ ৪০ হাজার নতুন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর মধ্যে ৪১ হাজার নারী ক্যান্সারের কারণে মারা যান।

আর গ্লোবাল ক্যান্সার স্ট্যাটিটিক্স ২০১৮ (গ্লোবোক্যান) এর তথ্যমতে, প্রতি বছর নতুন করে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে ২০ লাখ ৮৮ হাজার ৮৪৯ জন নারী। আশ্চর্যজনক ব্যাপার হচ্ছে এখন পুরুষদেরও সচেতন হওয়ার সময় এসেছে। কারণ পুরুষদের মধ্যেও স্তন ক্যান্সার দেখা দিচ্ছে। যদিও পুরুষদের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার খুবই কম। এক হিসাবে দেখা যায়, যুক্তরাজ্যে প্রতি বছর ৪১ হাজার নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, তার বিপরীতে মাত্র ৩০০ জন পুরুষ এ রোগে আক্রান্ত হন।

কোনো কারণে স্তনে কোনো চাকা বা পিণ্ড থাকলেও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে। সাধারণত ৫০ বছরের বেশি বয়সী নারীদের মধ্যে এ ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তবে সব বয়সের নারীরাই স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিতে থাকে। চিকিত্সকরা বলছেন, মাসিকের পরের সাত দিন নিজে নিজেই স্তনে কোনো চাকা আছে কিনা তা দেখে নিতে হবে। মাসিকের ৩ থেকে ৪ দিন পর নিজেই নিজের স্তন পরীক্ষা করতে পরামর্শ দেন তারা। স্তনের কোথাও চাকার অস্তিত্ব পেলে দ্রুত চিকিত্সকের শরণাপন্ন হতে হবে। এ রোগে প্রাথমিক পর্যায়ে শারীরিক কোনো কষ্ট থাকে না। তাই রোগ পুরোপুরি ছড়িয়ে পড়ার আগে রোগী বুঝতেও পারেন না তার স্তন ক্যান্সার হয়েছে। রোগী একেবারে শেষ পর্যায়ে চিকিত্সকের কাছে আসেন। যদি প্রাথমিক পর্যায়ে এ রোগ শনাক্ত করা যায় তাহলে ছোট অস্ত্রোপচারে রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকে।

অনিয়মিত, দীর্ঘস্থায়ী বা নির্দিষ্ট সময়ের আগে মাসিক হলে তা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। এ ছাড়া এমন অনেক কিশোরী আছে যাদের ১৩-১৪ বছরের মধ্যে মাসিক হওয়ার কথা থাকলেও দেখা যায় ১০ বছরেই মাসিক হয়ে যায়; তাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি। অবিবাহিত ও নিঃসন্তান নারীদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি। কারণ তারা সন্তানকে কখনো স্তন পান করাননি, তাই ঝুঁকি বেশি থাকে। বংশগত কারণেও নারীদের স্তন ক্যান্সার হয়। যেমন কারও মায়ের যদি স্তন ক্যান্সার হয়, তবে মেয়েও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিতে থাকে।

স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে প্রতি বছর নারীদের একবার করে স্তন পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনি অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সাবেরা খাতুন। তিনি বলেন, শুধু বাড়িতে নিজে নিজে পরীক্ষা করে বসে থাকলে চলবে না। বছরে একবার বিশেষজ্ঞের দ্বারা স্তন পরীক্ষা (মেমোগ্রাফি) করাতে হবে।

জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ক্যান্সার ইপিডেমোলজি বিভাগের প্রধান ডাঃ হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন জানান, বিআরসিএ-১ ও ২ নামের জিনের অস্বাভাবিক মিউটেশন স্তন ক্যান্সারের জন্য দায়ী। আবার কারও মা, খালা, বড় বোন বা মেয়ের স্তন ক্যান্সার থাকলেও ঝুঁকি বেশি থাকে। তাছাড়া যাদের বারো বছরের আগে ঋতুস্রাব হয় এবং পঞ্চাশ বছরের পরে মেনোপজ বা ঋতুস্রাব বন্ধ হয়, তারাও ঝুঁকিতে থাকে।

আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজের অনকোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. ইহেতাসামুল হক বলেন, ধর্মীয় গোঁড়ামি, কুসংস্কার, লজ্জা ও সচেতনতার অভাবে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এ ছাড়া খাদ্যাভ্যাস, বয়স, ওজনাধিক্য, দীর্ঘদিন ধরে হরমোনের ওষুধ খাওয়ার কারণেও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। তিনি আরও বলেন, স্তন ক্যান্সার শনাক্তকরণে নারীরা নিজেই বড় পরীক্ষক। প্রতিবার ঋতুস্রাবের ৩ থেকে ৪ দিন পর নারীরা নিজ স্তন পরীক্ষা করে এ সম্পর্কে অবগত হতে পারেন। কোনো সমস্যা মনে হলে চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে। তাহলেই স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব।