নুর হোসেন এর সকল পোস্ট

নুর হোসেন সম্পর্কে

সংসার থেকে বিচ্ছিন্ন অসম্ভব আত্মহংকারী, আত্মকেন্দ্রিক; বাউন্ডুলে টাইপের একজন মানব সন্তানসংসার থেকে বিচ্ছিন্ন অসম্ভব আত্মহংকারী, আত্মকেন্দ্রিক; বাউন্ডুলে টাইপের একজন মানব সন্তান।

সমান্তরালে স্থাপন

হৃদয়ের পাঠ্যপুস্তকে এখনও অনুপস্থিত তোমার গল্প-
গল্পের সংজ্ঞাগুলো বিশ্লেষণ করতে পারেনি বলে,
সত্যোন্মোচন ঘটেনি তোমার উপেক্ষার!
তাই বার বার আঙ্গিকের আলোচনায় আলোচিত হবে তুমি-
আত্ননিমগ্ন এক মানুষের আত্মিক শিক্ষালয়ে।

আমার দারিদ্র জীবনের সুখ তৃষ্ণা শুধু তুমি,
কাল্পনিক ভাল থাকার সহচর বান্ধব হয়ে-
রূপ-বৈচিত্র্য ছড়িয়েছ সঙীন অবসরে একাকী নীরবে;
আমার অর্থহীন জীবনের অপ্রকাশিত শব্দের অভিধানে,
পেয়েছি বিস্ময়ের জাগরণ তোমার স্পর্শে!

বিশ্ববিধানের আস্থাবান চিত্তবৃত্তি থেকে খুঁজেছি এক নিপুণ মেলবন্ধন-
সর্বাপেক্ষা উপযোগী সমান্তরালে ভালবাসা স্থাপন করার প্রত্যায়ে,
নতুনভাবে আবিষ্কৃত পুরানো চেতনার সুস্পষ্ট উচ্চারণে-
তোমাকে চিৎকার করে বলতে চাই:
কপালিয়া কনকলতা,
আমি তোমাকে ভালবাসি আমার আনকোরা মনের গহীন থেকে।

হারানো নতুন বছর স্মরণে

কেমন আছিস তোরা?
রাতিন আর কবিতা-
শিল্পী, কনিকা, রুবাইয়া-রুমেল কানন ও সাহানা;
চিরচেনা মুখগুলো ঝাপসা হয়ে গেল দেখিনা অনেকদিন!
ঠিকানাও অজানা।

বাড়িওয়ালাকে ঘুষ দিয়ে যে ছাদ নিতাম ভাড়া,
সে ছাদে আজ শ্যাওলা পড়েছে নেই থার্টিফাস্টের তাড়া;
আটটি নতুন বছর সবাই মিলে হয়নি উদযাপন-
ব্যস্ত সবাই দেশ বিদেশের বহুদুরে,
তবুও আছি আপন।

মিনিট-ঘন্টা, দিন-মাস-
বছর ঘুরে আসে নতুন সাল
কেউ সাঁজায় দোকান বাড়ী,
কেউ ফোঁটায় বাজি-
কেউ কাটে কেক আর কেউ নেশায় টাল!

আমরা সবাই বদলে গেছি বদলে গেছে জীবন,
সময়টা রঙ্গীন বটে নিয়তি নির্মম তেমন;
বন্ধু তোরা ভালো থাকিস কামনা এটাই বার বার-
শুভেচ্ছা ও ভালবাসা নিস সবাই হ্যাপি নিউ ইয়ার।

কয়েক ফোঁটা অশ্রু!

তুমি দেখতে পাওনি বলে
আমার অশ্রুজল গড়িয়ে পড়েছে-
তপ্ত বালুর বুকে, কংক্রিটে;
চুপি চুপি অতি গোপনে
নীল সমুদ্র জলে মিশে গেছে আমার কয়েক ফোঁটা অশ্রু!

তোমার বুকের মাঝে জমেছে বিষাদের পবিত্র পাথর,
আমার জন্য তা নয়-
জমেছে আঘাতের প্রতিদান দিতে আমার মত কারোর জন্য;
সে তো আমি নই তবুও কেন হেলা আমাকে?
উচিত জবাব না পাওয়াটা বড় লজ্জার-
যা তুমি ভুলে গেছো আত্মহংকারে।

নিখাঁদ ভালবাসার শর্ত নেই
বিভোর রাতে চুপি চুপি কথা আছে অল্প কিছু,
অতি সামন্য ঈষৎ সংক্ষিপ্ত;
তোমাকে হারানোর মত যথেষ্ট-
অথবা ফিরানোর জন্য পর্যাপ্ত,
আমার অশ্রু ঝরানোর ছোট ফন্দিটা
একদিন অনেক কাজে আসবে তোমার।

চোর

রাতটা যখন গভীর হলো
আঁধার হলো ঘোর,
অমনি নিধন গরীব মিঞার
ঢুকলো ঘরে চোর!

সজাগ ছিল নিধন ঘরে
চোর ঢুকেছে বুঝে;
বললো আমি দিনের আলোয়
পাইনা কিছু খুঁজে
তুমি এলে আঁধার রাতে কি পাবে ভাই ঘরে?
না হয় প্রদীপ জ্বালিয়ে তুমি
দেখো ভাল করে!

গরীবের এই কোমল কথায় লজ্জা পেয়ে চোর,
যেতে যেতে বললো কোথায় আনলো কপাল মোর।

তেজোদীপ্ত মানবী

অঙ্গনা তুমি স্রোতস্বিনী
নাকি অশ্বের পায়ের নল?
তুমি জন্মদাত্রীর গর্ভ কষ্ট-
নাকি পদ্মপাতার জল?
তুমি নির্যাতিত একরোখা-
কেউ ডাকে পতিতা,
কারো তুমি মায়ের আঁচল;
প্রিয়তমা বনিতা।

তুমি ধানের মঞ্জুরী স্নিগ্ধ শরৎ
উড়ন্ত শান্তি কপোত,
তুমি তুঙ্গ, তুমি তমিস্রা-
আবার নিশুতি পুর্ণিমা রাত!
তোমার যেমন খ্যাতি আছে তেমনি আছে বদনাম;
শত্রুর তুমি আশীবিষ-
অনাদৃত অনির্বান।

পিতার কাছে পুত্রী তুমি
কামুকের চোখে কামিনী-
প্রেমিকের টানে প্রেমিকা তুমি,
স্বামীর ঘরে ভামিনী;
ক্ষণে ক্ষণে বদলে তোমার
ধরা-বাঁধার নাম,
তুমি ছাড়া অচল পুরুষ তবুও পাবেনা দাম।

হে প্রসূতি!
হে কলত্র!
হে দুহিতা!
তুমি নিদর্শন এ ভুবনের মাঝে-
রেখেছো অগ্রনী ভুমিকা,
স্তিতি তোমাকে যাই করুক তুমিই সঠিক ধারা;
সব আয়াস ক্ষোভ ভুলে
প্রসিদ্ধ তুমি,
তুমি যে জগতের মা।