তেজোদীপ্ত মানবী

অঙ্গনা তুমি স্রোতস্বিনী
নাকি অশ্বের পায়ের নল?
তুমি জন্মদাত্রীর গর্ভ কষ্ট-
নাকি পদ্মপাতার জল?
তুমি নির্যাতিত একরোখা-
কেউ ডাকে পতিতা,
কারো তুমি মায়ের আঁচল;
প্রিয়তমা বনিতা।

তুমি ধানের মঞ্জুরী স্নিগ্ধ শরৎ
উড়ন্ত শান্তি কপোত,
তুমি তুঙ্গ, তুমি তমিস্রা-
আবার নিশুতি পুর্ণিমা রাত!
তোমার যেমন খ্যাতি আছে তেমনি আছে বদনাম;
শত্রুর তুমি আশীবিষ-
অনাদৃত অনির্বান।

পিতার কাছে পুত্রী তুমি
কামুকের চোখে কামিনী-
প্রেমিকের টানে প্রেমিকা তুমি,
স্বামীর ঘরে ভামিনী;
ক্ষণে ক্ষণে বদলে তোমার
ধরা-বাঁধার নাম,
তুমি ছাড়া অচল পুরুষ তবুও পাবেনা দাম।

হে প্রসূতি!
হে কলত্র!
হে দুহিতা!
তুমি নিদর্শন এ ভুবনের মাঝে-
রেখেছো অগ্রনী ভুমিকা,
স্তিতি তোমাকে যাই করুক তুমিই সঠিক ধারা;
সব আয়াস ক্ষোভ ভুলে
প্রসিদ্ধ তুমি,
তুমি যে জগতের মা।

নুর হোসেন সম্পর্কে

সংসার থেকে বিচ্ছিন্ন অসম্ভব আত্মহংকারী, আত্মকেন্দ্রিক; বাউন্ডুলে টাইপের একজন মানব সন্তানসংসার থেকে বিচ্ছিন্ন অসম্ভব আত্মহংকারী, আত্মকেন্দ্রিক; বাউন্ডুলে টাইপের একজন মানব সন্তান।

6 thoughts on “তেজোদীপ্ত মানবী

  1. শব্দনীড়ে সুস্বাগতম মি. নুর হোসেন। আপনার লিখার উপমার ব্যবহার অসাধারন। নিয়মিত লিখুন। আপনার সতীর্থ ব্লগার লিখাতেও আপনার মূল্যবান মতামত রাখুন। ব্লগিং হোক আনন্দের। ভালো লাগবে। ধন্যবাদ। :)

  2. অসম্ভব উপমার ব্যবহার। আমার কাছে ভালো লেগেছে কবি ভাই। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।