টিপসঃ মন খারাপ হলে কি করবেন?

একটি সাদা কাগজ আর একটি কলম নিন। সাদা কাগজের বাঁ পাশে সিরিয়াল করে আপনার খারাপ গুনগুলোর কথা লিখুন। আর ডানপাশে প্রতিটি খারাপ গুনের সামনে- ‘কতদিনের ভেতরে সেটা পুরোপুরি ছাড়বেন’, তার টার্গেট লিখুন। এবার কাগজটি সেইফ প্লেসে রাখুন। তারপর আল্লাহর কাছে সকল পাপের জন্যে তাওবা করুন। এবার টার্গেট অনুযায়ী খারাপ গুনগুলো ত্যাগ করতে সচেষ্ট হোন। একটি খারাপ গুন ছাড়তে পারলে প্রথমে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন এবং এটা ভেবে আনন্দিত হোন যে, আপনি শয়তানকে পরাজিত করতে পেরেছেন, কনগ্রাচুলেশন! তারপর সম্ভব হলে নিজেকে নিজে ট্রিট দিন, হোক সেটা যতই ছোট। প্রতি টার্গেট পুরনে মনে প্রচন্ড শান্তি পাবেন ইন শা আল্লাহ।

কোন কারনে পিছলিয়ে গেলেও প্রবলেম নেই। তাওবা করে আবার শুরু করুন। আবার পিছলে গেছেন? নো প্রবলেম! তাওবা করে আবার শুরু করুন…. যতবার পিছলাবেন, ততবার নতুন করে শুরু করবেন। একসময় শয়তান বিরক্ত হয়ে পালাবে ইন শা আল্লাহ। জেনে রাখুন! আল্লাহর কাছে তাওবাকারীর মর্যাদা অনেক।

শেষ করছি হৃদয় প্রশান্তকারী একটি আয়াত দিয়ে ও একটি হাদীস দিয়েঃ
❤ “তারা কখনও কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে, কিংবা কোন মন্দ কাজে জড়িত হয়ে নিজের উপর জুলুম করে ফেললে, আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবেন? তারা নিজের কৃতকর্মের জন্য হঠকারিতা প্রদর্শন করে না এবং জেনে-শুনে তাই করতে থাকে না।” [সূরা আলে ইমরানঃ আয়াত ১৩৫] [আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) বলেন, এই আয়াতটি যেদিন নাযিল হয়, শয়তান সেদিন কান্না করেছিলো।]

❤ রাসূল (ছাঃ) বলেনঃ
‘আল্লাহ তা‘আলা বলেন, হে আদম সন্তান! যতদিন তুমি আমাকে ডাকবে এবং আমার নিকট ক্ষমার আশা রাখবে আমি তোমাকে ক্ষমা করব, তোমার অবস্থা যাই হোক না কেন। আমি কারো পরওয়া করি না। আদম সন্তান! তোমার গুনাহ যদি আকাশ পর্যন্তও পৌঁছে অতঃপর তুমি আমার নিকট ক্ষমা চাও আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব। আমি ক্ষমা করার ব্যাপারে কারও পরওয়া করি না। আদম সন্তান! তুমি যদি পৃথিবী পরিমাণ গুনাহ নিয়ে আমার দরবারে উপস্থিত হও এবং আমার সাথে কোন শরীক না করে আমার সামনে আস, আমি পৃথিবী পরিমাণ ক্ষমা নিয়ে উপস্থিত হব’। [তিরমিযী, হাদীছ ছহীহ, মিশকাত হা/২৩৩৬।]

পূর্বে প্রকাশিত।

7 thoughts on “টিপসঃ মন খারাপ হলে কি করবেন?

  1. আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহতাআলা আমাদের সবাইকে প্রকৃত মানুষ হওয়ার তৌফিক দান করুন। আমীন। ___ ধন্যবাদ আপনাকে মি. কামাল উদ্দিন মেহেদী। . 

  2. একটি সাদা কাগজ আর একটি কলম নিন। সাদা কাগজের বাঁ পাশে সিরিয়াল করে আপনার খারাপ গুনগুলোর কথা লিখুন। আর ডানপাশে প্রতিটি খারাপ গুনের সামনে- ‘কতদিনের ভেতরে সেটা পুরোপুরি ছাড়বেন’, তার টার্গেট লিখুন। এবার কাগজটি সেইফ প্লেসে রাখুন।

     

    আপনি শুরু করেছেন?

    1. আগে শুরু করেছিলুম, তারপর এটা লিখেছিলুম এবং বহুত খারাপ গুন বের হয়ে এসেছিলো। 

  3. একাকীত্বে, ভাঙনে, ব্যর্থতায় এমনকি অপ্রাপ্তিতেই মানুষ তুলনামূলক বেশি মন খারাপ করে থাকে। এছাড়াও ছোটখাট বিষয় নিয়ে তো শেষ নেই। কিন্তু সেগুলো থেকে নিস্তার পেয়ে আত্মিক প্রশান্তি খুবই জরুরী তবে সেটি কিভাবে সম্ভব! আপনার লেখায় তার চমৎকার পরিবেশন রয়েছে। আশা করি পাঠকমহল উপকৃত হবেন সমসাময়িক লেখাটিতে।

    নিজের ভেতরের সমস্যাগুলো এভাবে চিহ্নিত করে অতঃপর যদি সমাধানের জন্য এই ক্ষেত্র বা বিষয়গুলোকে পালন করা হয় তবে খুব থাকা খুবই স্বাভাবিক হবে বলে বিশ্বা রাখা যায়।

  4. ট্রাই করতে রাজী। ধন্যবাদ দাদাভাই।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।