ও ডোরিন, চায়নার চাইনিজ মেয়ে, তুমি অবিভাজ্য এ-কথাই সবাই বলেছে। তোমাকে কি ছোট ছোট রক্তমাখা পিরিয়ডে ভাগ করা খুব মুশকিল?
তুমি ফর্সা, আবার এশিয়ারমণী; কমিউনিস্ট, কিন্তু মঠে যাচ্ছ প্রতিদিন। মায়ের রহস্য, বাবার সংশয়, ভাইয়ের বিদ্রোহ আর কাকার তথাস্তু মিশে তোমার চোখের সমস্ত ভুরু পর্ণমোচী। হাতে পামটপ নিয়ে তুমি বাড়ির সুইমিং পুলের প্রাচীন ধর্মীয় জলে সাঁতার কাটছিলে।
সেই কবে থেকে শানবাঁধানো হয়েছ গ্রিস বা রোমের মতো; আমি তো জানি না তোমার ভাষার হায়ারোগ্লিফিক আসলে এক একজন দেবতা — এইভাবে গোটা পলিটব্যুরো আর তার শ্রেষ্ঠ যিনি, হলুদ নদীর কাছে তার প্রসাদ ন’টা অন্ধকারে তৈরি! তোমার আত্মা এই পৃথিবীতে কার কাছে রাখা আছে আমি নিশ্চিত নই। মৃত্যুর পরেও তার সঙ্গেই বিচরণ করবে কি?
আপাতত ছবিতে যে গাছটার নিচে বসে আছো তার ফুলগুলো পলিইউরিথিন। বাথটব থেকে উঠে এলে — তোমার ছোট সোজা চুল থেকে জল ঝরছে, কিন্তু যোনি পাঁপড়ের মতো শুকনো। একবার তাকালাম, কোনওদিন পূর্ণিমা না-দেখা তোমার দু’স্তনের মাঝখানে ঝুলছে অলিম্পিক মেডেলগুলো।
তুমিও কি আমার দিকে হেসেছিলে, নাকি পট থেকে কাপে ঢালা কালচে-লাল চায়ের সূক্ষ্ম স্রোতকে তোমার মুচকি ভেবেছি? খ্রিস্টপূর্ব পাঁচ থেকে তিন শতাব্দীর কষ্ট তোমার চোখে লেগে আছে। একজন দার্শনিক হিসেবে এই কবিতায় আমি কোনও বীজবাক্য রাখিনি, তবু লেখাটা লুকিয়ে ফেলার আগে মনে হল তুমি সূর্যগ্রহণ, বন্যা আর ভূমিকম্প, বিপ্লব ও দুর্ভিক্ষ থেকে অধঃক্ষিপ্ত হয়েছ পৃথিবীতে। একটা লাওৎ সা একটা লাওৎ সা, একটা হান রাজা একটা হান রাজা, একটা লালসেনা একটা লালসেনা আর…
একজন ডোরিন একজন ডোরিন
নানান চেতনা লুব্ধ অসাধারণ সব লিখা। লিখাটির জন্য পাঁচ তারকা উপহার দাদা।
তুমিও কি আমার দিকে হেসেছিলে, নাকি পট থেকে কাপে ঢালা কালচে-লাল চায়ের সূক্ষ্ম স্রোতকে তোমার মুচকি ভেবেছি?
খুব সুন্দর সাজানো গোছানো অসাধারণ একটি লেখা ….