এক
শিল্পপ্রবন্ধাবলী সবাই পড়েছে, কে পেয়েছে বাগীশ্বরী?
বাঁধের সুধন্য জল, ডিপ লাল বিকেলবেলার সিঁড়ি, ঘটের স্বস্তি থেকে চোঁয়ানো সিঁদূর — এইসব বাধাসম্পদ ছুঁয়ে ছুঁয়ে সে আসে, মিষ্টি কোলকুঁজো।
সোনার দোকানের আলো ফুটপাথে, পা পড়ছে তার ওপর;
একমাত্র তুমি পায়ে আলো চেপে রাখতে পারো।
দূরে মাঠে উঁচু আবছা মহাগ্রন্থ খোলা পড়ে আছে
তার সব পাতা ফাঁকা ব’লে আমার ডানহাত চিরে সেতার
উঠেছে। সেও, গলায় রুদ্রাক্ষ আর স্তনের বিস্মিত ছাঁচে চিরকাল যেমন গৌতমী — হেঁটে এল ঘরের নানা অজস্রের দিকে।
শিউলিগাছ পথ হাঁটলে শিউলি ছড়াবেই…
আড়চোখে তাকিয়ে দেখছি, মহাগ্রন্থের সিঁথি ওল্টাচ্ছে বাতাস, শেষ পাতায় পৌঁছোতে এখনও হাজার পৃষ্ঠা মানে
এক হাজার বছর বাকি মানে একশো মুহূর্ত শূন্যের মাথায় ডোরা টেনে রেখার ওপর চৈতন্যের জন্ম হল, ঝরে যাচ্ছেন বিপ্রদাস পিপিলাই।
আর বাগীশ্বরী উচ্চারণ করছে একবাক্যে সংলাপখাতা:
দ্যাখো, তোমার বুকের মধ্যে কেমন পুরোটা ধরে যাই!
‘বাগীশ্বরী উচ্চারণ করছে একবাক্যে সংলাপখাতা:
দ্যাখো, তোমার বুকের মধ্যে কেমন পুরোটা ধরে যাই!’
___ অনন্য এবং অসাধারণ শব্দচয়ন প্রিয় চন্দন দা। গ্রেট।