সহ্যকে যন্ত্রণা করি

প্রেম আঁকতে গিয়ে আমি পেনসিলের চেয়ে বেশি ইরেজার

বুঝিনি ভোরের মাখন আড়ামোড়া ভাঙার ভেতরে গলে যায়
ষোলশো কিলোমিটার বিনা-ঝাঁকুনি ছুটে এসেছে ট্রেন
শুধু কথা পালটি খেয়ে গেল, ইঞ্জিন রিপ্লেস হল খাঁচার ভেতরে।
ছুঁড়ে ফেলা পুরনো ফাইলে এত সারসের ডানা!
ওমনি মনে পড়ে, যতবার নোটশিটের কানে যত্ন করে
গুঁজি-সুতো পরিয়ে দিয়েছি, তুমি শিউরে “বাবি বাবি” ডেকে উঠতে না?

মন থেকে খুলে পড়া মন তক্ষক হয়েছে
পথহাঁটাগুলো ভাবো বরখুরদার, যার শেষে তিনশো পৃষ্ঠা বই-বিভাজিকায়
থুতনি নেমে ঘুমিয়ে পড়েছিল।
তোমার পিলারে বেশি লোড দিয়ে ফেলেছিল টুকে-পাশ ইঞ্জিনিয়ার!
সেই থেকে সহ্যকে যন্ত্রণা করি। বিকেলও প্র‍্যাকটিস করে সিঙাড়ায় — তুমি এক কামড় আমি এক কামড়ের পালটা সরগম।
লিকার চায়ে কদমের রেণু উড়ে আসে।

সব একরকমই আছে
নাদালের ফেডেরারকে হারানো, বর্ষাদুপুরের বশীকরণ
আমারও সাড়া দেওয়ার গলা পালটায়নি গো….

শুধু এ-শহরে একটাও নর্দমা নেই কেন চোখের জল বেরিয়ে যাওয়ার?

2 thoughts on “সহ্যকে যন্ত্রণা করি

  1. আপনার কবিতায় স্বতন্ত্র মাদকতা আছে প্রিয় চন্দন দা।
    ভালো লাগে পড়তে। ভালো লাগে মনে মনে আবৃতি করতে। শুভেচ্ছা রইলো। :)

  2. কবিতা অনেক ভালো হয়েছে
    ”লিকার চায়ে কদমের রেণু উড়ে আসে।” দারুন কথা
    শুভকামনা থাকলো।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।