চাঁদের তৃতীয় পিঠ

চাঁদের তৃতীয় পিঠ

আমি তখন ছিলাম চাঁদের অন্ধকার পিঠে
সামান্য রাগ হলে বাসন ছুঁড়তাম, পা-ই কথা বলত ক্যানিজিয়া।
সবচেয়ে বাড়ির ছোট ভ্রমর, ছোট্ট ডানাদুটো উড়তে উড়তে
মাটিতে ‘ধপাস’ পর্যন্ত হাত মুঠো করে রাখত সবাই

আমি খুব কথা চালাতাম, অসম্ভব কথা
চাঁদও অবাক হতো — কোন নক্ষত্র থেকে এসব পোকা
এসেছে মগজে!
কিন্তু হিংসায় একটা উচিত মোমও জ্বালিয়ে দিত না
তাই যে-সব রাতপাখি পৃথিবী থেকে এ-পর্যন্ত ডেইলি প্যাসেঞ্জার
ওদের ডানায় আন্দাজে আন্দাজে লিখতাম
ওরা সাঁই করে নেমে যেত মাটিতে আর পরের দিন
খবর দিত — বাবু, তোমার তিনটে কবিতার চোখ ফুটেছে
তিনটেই মিষ্টি বেড়ালছানা; বাবু, তোমার একটা লেখা
কাঁঠালগাছ হবে

এই করতে করতে খড়খড় করে চাঁদ ঘুরে বসল একদিন
আমিও এসে গেলাম আলোকধারায় তাই না হারায়
এসে গেলাম লিটল ম্যাগাজিনে আর বইমেলায় দু’তিন দিন
আগে তো ভাবিনি, এখন বলতে ভয় করে
আমার ফুলগুলো সবাই যে ক্ষীণজীবী
আমার এই অর্ধেক-ফকির ফড়িংপ্রজাতি, খরগোশসন্তান
কে এদের বাঁচিয়ে রাখবে আর কে আদর দেবে
আজ যখন চাঁদের তৃতীয় পিঠে রওনা হয়ে যাই

3 thoughts on “চাঁদের তৃতীয় পিঠ

  1. অসাধারণ এক মুগ্ধতায় পুরো লিখাটি ছেয়ে রেখেছেন প্রিয় কবি। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।