পুরনো কবিতা : সমুদ্রফোঁটা
যেবার প্রজ্ঞা এল মাথার ওপরে
অনেকগুলো নরম খড়িবক থেকে সুন্দরতমটি
গলার মধ্যে ডেকে উঠল আকাশকালীন,
সেদিন পৃথিবী খুব সুবাধ্য ছিল না
কালো ফুলকপিভার মেঘ, হাওয়ার শনশনাৎকার ছিল
বাঁশবাগানের গোড়া ঠেকে চন্দ্রবোড়া উঠে আসার
হাতেকলম এই পরিবেশে দুশ্চিন্তাকে এক অপরিসীম পংক্তি
উপহার দেওয়ার মতো ভাষা ছিল দুঃস্থময়
যেদিন পোড়া নচ্ছার এই কপালে সম্বোধি নেমে এল বৃষ্টিরোমে মিশ্রিত
স্বাধীনতা হল তোমাদের সবরকম মেয়েরা
শাসনক্ষমতা মুছে গেল সমস্ত ইতর
কুয়াশায়-শহীদ সাইকেলের পিঠটাকে
আমি অনুপুঙ্খ মুছতে লাগলাম, কিন্তু রাতের সা-কঠিন টুকরো
ছুটছিল নাকে ধাক্কা লাগিয়ে
সময় ছাইরঙ দৃশ্যের চারকোনে আঠামাখা জিভ বুলিয়ে
একটা খামে ভরে নিচ্ছিল শরীর আমার
শিশিরফোঁটা টলতে টলতে একা
ঝরে মিশে মিলিয়ে
যাচ্ছিল
সমুদ্রে
জ্বর আসছিল। ধ্বংসজাগরণ
যত পুরোনোই হোক আপনার লিখার স্বাতন্ত্রতা ঠিকই চোখে পড়ে। অনন্যধারা।
দারুণ হয়েছে কবি দা। খুউব ভাল।