গল্পছড়া
দ্যাখো সে বাঙালি দুর্গ
শুরুতে সবারই মতো এক টুকরো মাটি কিনেছিল
বাউন্ডারি দিতে এসে চা-বিস্কুট পড়শির বাড়ি
তারপর একতলা, সন্দেহ করিনি একতিলও
শিউলি-করঞ্জাগাছে টিয়া এসে বসতো অভিসারী
পাখি বাড়ি নোংরা করে, সেই দোষে গাছ শাস্তি পাবে?
যত সূর্য বন্ধ ছিল, ঝাঁপ দিয়ে নেমেছে পাড়ায়
ঘাসে পোকা — উঠোন বাঁধানো হল ঘোড়ার রেকাবে
আলোর আগুনে হেঁটে পৃথিবীর মুখ ঝলসে যায়
বাড়ি মানে বেড়ে চলি, গ্যারেজে গিজারে মোজেইকে!
দেড়-মানুষ দরজায় হাত ছোঁয়ালে বাজ ঘন্টি বাজ
সমস্ত জোনাকি খুন — টুনিবাল্ব ঘিরেছে নেই-কে,
স্থলদস্যু ট্যাটু আঁকা থমথমে ভূমধ্যজাহাজ
অথবা বাঙালি দুর্গ! আলসেতে বেড়াল হাঁটে না
বসতে গিয়ে জিভ কেটে উড়ে যায় শিমূলের তুলো
গোয়ালা ডাকল — দুধ, মাছওলা জলের দরে কেনা
দুটো রুই দিয়ে যাবে, বারান্দায় বিয়েচিঠিগুলো…
শুনতে পাচ্ছে না গলা, কোন ঘরে ব’সে অকাতর,
লোকটা হারিয়ে গেছে সীমাহীন বাড়ির ভেতর
আপনি অসাধারণ লিখেন। আমি ভীষণ ভীষণ পছন্দ করি আপনার লেখা। শুভকামনা কবি দা।
চমৎকার কারুময়। শুভেচ্ছা রইলো প্রিয় চন্দন দা।
অসাধারণ ছন্দ স্বর।
আপনার লিখা আমার বরাবরই ভালো লাগে চন্দন বাবু।
অসাধারণ লিখেছেন। গল্প ছড়ার কনসেপ্ট আমার কাছে অনন্য মনে হয়েছে।