শোকযোগ্য এই সকাল যেন সবার
অফিসে যাওয়ার ব্যাগে মৃতদেহ
যে আনন্দ ক্যালেন্ডারগলি ধরে এসেছিল, গায়ে
গ্রহণের ছায়া ফেলে সরে গেছে।
কালীপুজোয় আমরা কেন ফ্যামিলি নিয়ে
বেরোনো বন্ধ করলাম, আজ আর মনে পড়ে না
আমারও চাকরি ছিল স্বপ্নভাঙা কারখানায়
হাতুড়ি চালানো। উদ্বাস্তু হয়েছি তবু শরণার্থী নই।
দম চুরি করিনি চু-কিতকিতে, দু’ঘর বাড়িয়ে
গুনিনি এক ছক্কা পাঁচ, আমি সফল আমার পরাজয়ে। সত্যের দিকে তাকিয়ে চিন্তা করেছি স্ত্রীসত্য না পুরুষসত্য। উট উড়ে যায় আকাশে, মাথার ঢাকনাখোলা পাখি…আমিও কলেজের রাস্তায় মেয়ে দেখতে গিয়ে খেলাম বাসের ধাক্কা, ধড় থেকে খসে যাওয়া মুন্ডু আর ফেরত পাইনি
সেই থেকে বাকিতে কেটে যাচ্ছে জীবন…কখনও
বুদ্ধঘুম বাকি পড়ে তো কখনও রক্তবিশ্বাস
পুরনো সাইকেলে চেপে যদি পৌঁছোতে পারতাম
ভেঙে যাওয়া তুলসীমঞ্চে! সন্ধেবেলা
আমাদের চাঁপাতলায় প্রেম দাঁড়াত, আনন্দের একটা শাখা চলে যেত যোশিমঠ হয়ে রুদ্রপ্রয়াগ…
শোকযোগ্য এই সকাল যেন সবার ব্যাগে
অফিসে যাওয়ার মৃতদেহ
জীবনের একটা ভুলকে একান্ন পাতায়
পেজমার্ক ক’রে ঘুমিয়ে পড়েছে গল্পরেখা
আলো নিভে গেলে কাজের মাসির মতো
বৃষ্টি নামে, ঝাঁট দিয়ে সাফা করে আমাদের
বিকলাঙ্গ জ্ঞান। তখনও ছোট ছোট সাপ
গা থেকে ছাড়িয়ে বালিশের নীচে রেখে
মানুষ সঙ্গমে যাচ্ছে
তুমিও তো হাতের অমৃতপাক বালাদুটো
খুলে রাখতে, বলো?
2 thoughts on “বিসর্জিত প্রতিমা পেয়েছি”
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
জীবনের একটা ভুলকে একান্ন পাতায়
পেজমার্ক ক’রে ঘুমিয়ে পড়েছে গল্পরেখা
আলো নিভে গেলে কাজের মাসির মতো
বৃষ্টি নামে, ঝাঁট দিয়ে সাফা করে আমাদের
বিকলাঙ্গ জ্ঞান।
সোনালী সুন্দর লিখেছেন