বন্ধুমিলন সংঘ

দশমীর নাচ থেকে পুজো শুরু হোক, ভবতোষ।
যখন ঢাকের পালক উড়ে উড়ে বাতাসে
মুরগির দোকান, বক্স ফেটে সাউন্ডের সাদা
ছোট নেকড়েরা আমাদের রান্নাঘরের
সামনে ব’সে আছে — বুকের ডালা-খোলা
পাঞ্জাবি লরি থেকে আবার পুজো শুরু করে দাও
তখন তো পুরোহিত রুটি-মাংস মেরে
বউয়ের সঙ্গে শুতে চলে যায়; ফেটে যাওয়া
বেলুনে বাচ্চাকে সাজানো কি সোজা কথা!
আর যে দুটো পাগল দেবীপক্ষে পড়ে থাকল বাজারে — মানুষচরে উলটে যাওয়া ডিঙি —
পথে যেতে এখনও তারে-সুতোয় তাদের মন্ত্রপাতের শব্দ। কারেন্ট ফেল ক’রে
গুটগুটিয়ে নতুন জুতো পায়ে হাঁটছে
জেনারেটার; বেদনাচক্রে থাবা বসাচ্ছে সিংহ; সব্বাই চেয়ার ধন্য ক’রে ব’সে, অথবা
চেয়ারগুলো এক একটি কাঠের কানাই
ইঁদুর দুহাত তুলে বলছে এক্কি করলেন,
আমার গলাতেও গাঁদাফুল! প্যান্ডেলে যাওয়ার রাস্তায় আবার ফিতে-ক্যাপের অর্ধেকটা হারাল, ডাবের মুন্ডু ভেঙে পড়ল সিঁদুরে
দেখো, এবার বৃষ্টি হ’লে ময়ূর কেমন মণ্ডপ ছেড়ে
একা ক্লাবঘরে উঠে আসে; চারদিন মাইক শুনে পাখিদের ডাকই পালটে যায়
ভব, দশমীর পরে এই হচ্ছে আদিগন্ত পুজো
পুজো হ’ল একমাত্র বন্ধুমিলন সংঘের।

3 thoughts on “বন্ধুমিলন সংঘ

  1. সর্বাঙ্গীন শুভকামনা প্রিয় কবি প্রিয় চন্দন ভট্টাচার্য। শুভ সন্ধ্যা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

  2. এক কথায় অসাধারণ একটি কবিতা। পাঠে মুগ্ধ! 

    শুভকামনা থাকলো। 

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।