নদীর কাছে যেতে চাই বিকেলের আলোয়;
যেতে পারতাম যদি! কেটে যেত হয়তো ভালোয়;
যেখানে আমার নাড়ী গাঁড়া…
সেখানে ফিরে যেতে মন পাগলপাড়া।
ফিরে যেতে চাই বয়সী বটবৃক্ষের ছায়ে
ফিরে যেতে চাই, ভাসতে চাই উথাল হাওয়ার নায়ে;
যেখানে প্রজাপতি ফড়িঙয়ের ওড়াউড়ি
যেখানে পা রাখলেই মন হয় সাত রঙা ঘুড়ি।
আহা আমার ছাতিম তলা, দুধ সাদা ফুল ঘ্রাণ
আহা আমার ধান ছড়ানো উঠোনে সেই সুভাসিত অঘ্রাণ
সবই কেন অতীত খেয়ে ফেললো,
আমায় কঠিন হতে কঠিনতর সময়ে ঠেললো।
বালিচরে হাঁটতে ফিরে যেতে চাই খোয়াই নদী,
যেখানে নির্মল হাওয়া বইতে থাকে নিরবধি
ক্ষেতের আল, দূর্বাঘাস আমায় বড় টানে,
ফিরে যাওয়ার কী আকাঙ্খা, কী অদ্ভুত টান প্রাণে।
বিশৃঙ্খল নগরীর বুকে কেবল হাহাকার জমা
সময় কেন আমায় করেনি ক্ষমা,
এখানে স্বাধীনতাগুলো খেয়ে ফেলেছে উইপোকা,
অনিচ্ছার ভিড়ে হারিয়েছে ইচ্ছেগুলো পাথর চাপা দিয়ে
বনে আছি বোকা।
শৈশবের ভোর, মক্তবের মধুর সুর
ইউনিফর্ম গায়ে জড়ানো পালানো দুপুর, সবই দূর বহুদূর;
ফিরে পেতে চাই, কৈশোরের ডানা মেলা দিন,
আজ এখানে ছুঁয়ে আছি কতই না দুর্দিন।
ফিরে পেতে চাই আমার দোয়েল শালিকের ছানা
ফিরে পেতে চাই তারুণ্যের অবাধ স্বাধীনতার ডানা;
এখানে কেবল পরাধীনতা, অন্যের ইচ্ছেতেই হয় চলা,
এখানে কেবল কটু কথার ঝড়, আর শান্তি ছিনিয়ে নেয়ার ছলাকলা।
ফিরে যেতে চাই তালপুকুরের পাড়ে, স্বচ্ছ জল ঘাটে,
মত্ত হতে চাই সেই শৈশবের মার্বেল খেলার পাঠে;
এখানে ইট সুরকির পথ, এখানে যানজট বিশৃঙ্খলা,
এখানে সু ইচ্ছেগুলো ক্ষমতার চাঙেই তোলা।
ফিরে পেতে চাই আমার কৈশোরের দিন, তারুণ্যের খঞ্জন বেলা
এখানে কেবল আমার জন্য জমা অবহেলা
আমার প্রজাপতি দোয়েল প্রহর……আয় আয় নিয়ে যা এসে
যেতে চাই আর একবার শৈশবের হাওয়ায় ভেসে।
আমার প্রজাপতি দোয়েল প্রহর……আয় আয় নিয়ে যা এসে
যেতে চাই আর একবার শৈশবের হাওয়ায় ভেসে।
চমৎকার এক অনুভূতির প্রকাশ কবি আপু