সকাল থেকেই শহরে উত্তাপ,
বহিরাগত মানুষের পদচারণায় মুখরিত সবসময়
আবার স্থানীয় মানুষের দৌড়ঝাঁপ।
কেউ কর্মে ব্যস্ত কেউ ধর্মে,
কেউ থাকে ধান্ধাবাজিতে কেউ মরে খেটে
সবাই ব্যস্ত স্বার্থের মর্মে।
দিনে রাস্তাগুলো খুবই ব্যস্ত,
শোঁ-শোঁ গাড়ির কানফাটা শব্দে অস্থির মানুষ
তবুও কর্মতেই থাকে ন্যস্ত।
সকাল-দুপুর পেরিয়ে সন্ধ্যা,
তারপর রাতের আগমণে ঘরে ফেরার পালা
কারোর ভালো কারোর মন্দা।
সন্ধ্যা পেরিয়ে গভীর রাত,
মহল্লার লাইটপোস্টে জ্বলে রয় বৈদ্যুতিক বাতি
যেন ভরা পূর্ণিমার রাত।
কোথাও তো নেই অন্ধকার,
চারদিক দিনের আলোয় আলোকিত এই শহর
তবুও নৈশপ্রহরী হাঁকছে হুশিয়ার!
সেইসাথে কুকুর করে ঘেউঘেউ,
নৈশপ্রহরীর মতো এদিক-ওদিক করে ছোটাছুটি
দেখে আসে নাকি কেউ।
যখন কুকুরগুলো ঘুমিয়ে পড়ে,
নৈশপ্রহরীর হয়ে পড়ে একা, বেড়ে যায় পায়চারি
হুশিয়ার হাঁকে জোরে জোরে।
চোর-ডাকাত নেই কোথাও,
আগেকার মতো নেই সিঁদকাটা চোরের সরদারও
শহরবাসীর ঘুম নেই তবুও।
ভাবনা কখন যে কি হয়,
না-জানি বাড়ির কোণায় কে যেন আছে লুকিয়ে
এমনই অযথা মনের ভয়!
রাত-বিরেতে বিকট শব্দ,
মুহূর্তেই ঘুম ভেঙে যায় অগণিত ঘুমন্ত শহরবাসীর
আবার এমনিতেই হয় নিস্তব্ধ।
এভাবেই কেটে যায় সারারাত,
ঘুম আর নির্ঘুমে, ভয় আর নির্ভয়ে পাড় করে-
শহরবাসী সারা বছর দিনরাত।
নিতাই বাবু
১০/০৫/২০২২ইং।
সকাল-দুপুর পেরিয়ে সন্ধ্যা,
তারপর রাতের আগমণে ঘরে ফেরার পালা
কারোর ভালো কারোর মন্দা। ___ বাস্তবতা।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞচিত্তে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সাথে রইল শুভকামনা।
অপূর্ব অনুভূতির দারুণ প্রকাশ
সুন্দর মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞচিত্তে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সাথে রইল অফুরান ভালবাসা ও শুভকামনা।
খুব সুন্দর ছড়া কবি দা
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি, বাউল কবি লিটন দাদা।