প্রাচীন শিলারস

শশাঙ্কের বৃন্ত আঁকড়ে আছে নৈশব্দের শামুক
কুয়াশা ভেজা শাদ্বল জমিন, নিবিড় মিতালী
আর বিস্মৃতির অ-উজ্জ্বল সুখের মোহে-
কেটে যায় দীঘল প্রহর, নৈবদ্যের নত মুখ!
আমার কাছে তুমি চির কালই শরণ্য দেবী
গহীন অরণ্য আর অন্ধকার বলয় থেকে
উদ্ধার করে নিয়ে যাও নিশি জাগা কবির আত্মা!
শশী শঙ্খিনী হাসি মেখে যতবার দিয়েছ শঙ্খচূড় ছোবল,
অম্লান বদনে আমি ততবার হজম করছি কেবল ।
হৃদয় আহত মানুষ শুকতারার মত নিরীহ
রক্তমাখা চাতালে বীভৎস দুর্গন্ধ,আর পোড়া গৃহের
অবশিষ্ট ছাইয়ে লুটে থাকে বেহুশের মত; বিরহ কান্ত
চোখে ভয়ার্ত দৃষ্টি, যেখানে জমতে থাকে প্রাচীন শিলারস!

দা উ দু ল ই স লা ম।

দাউদুল ইসলাম সম্পর্কে

সব সময় নিজেকে বলি- মানুষ হবি যদি- অন্ধকার ঘরে যখন একা থাকবি তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করে নিস তুই কতটা মানুষ। কতটা তোর সভ্যতা কতটা তোর ভদ্রতা! স্নান ঘরে যখন একা শাওয়ারের নিচে দাঁড়াস- তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করিস কত টা আছে তোর মনুষত্বের রুচি! জিজ্ঞেস করিস কতটা তুই ভদ্র, সভ্য!

12 thoughts on “প্রাচীন শিলারস

  1. সামাজিক মাধ্যমে এই লিখাটি বোধকরি আমি আগে পড়েছি। ভুলও হতে পারে।
    তবে এখানে ভাব প্রকাশের যে কনসেন্ট্রেটেড শব্দের ব্যবহার
    কিছু কিছু শব্দ আমার কাছে নতুনও বটে
    লিখাটিকে অনেক মানসম্মত করেছে।

    অভিনন্দন এবং বিনম্র সালাম জানবেন স্যার। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

  2. শশাঙ্কের বৃন্ত
    নৈশব্দের শামুক
    কুয়াশা ভেজা শাদ্বল জমিন
    বিস্মৃতির অ-উজ্জ্বল সুখের মোহ- অসাধারণ শব্দচয়ন!! এভাবে পরা কবিতাটিতে শব্দের সাথে শব্দের মিলন এক অনাবিল সুখের আবেশে ছুঁয়ে গেলো যেন অনুভবে। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gifhttps://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

  3. আর বিস্মৃতির অ-উজ্জ্বল সুখের মোহে-
    কেটে যায় দীঘল প্রহর, নৈবদ্যের নত মুখ!
    আমার কাছে তুমি চির কালই শরণ্য দেবী “-

    কবি বলেই এতো স্মৃতি বিস্মৃতি । শুভকামনা রইলো কবি হে ।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।