মরুর বুকে
উৎপেতে থাকে শিকারি সরীসৃপ
তপ্ত বালিয়াড়ি- হ্রেষা ধ্বনিতে ঝড় উঠে
রুক্ষ অন্ধকার!
রুদ্ধশ্বাসে হজম করে বহ্নি চাবুক- বিদগ্ধ শীৎকার!
ওখানে, নিখোঁজ সবুজ
শিশির শূন্য সকাল,
কুণ্ডলীর ভাঁজে ভাঁজে নির্জনতার দহন;
ক্ষুধার্ত শকুনের নিরন্তর ছুটোছুটি, বাতাসের হুংকার
ধূলির আস্তরণে বিবর্ণ গোধূলি- তাম্র তৃষ্ণ বিকাল।
সন্ধ্যা হতেই ঝেঁকে বসে বিদঘুটে রাত
আর তখনি বেরিয়ে আসে অদ্ভুত সব কীট পতঙ্গ
ঝিঝির ডাক,
বিষাক্ত মাকড়সা… বিচ্ছুর ঝাঁক;
এখানে নিঃসঙ্গ চাঁদ- তারকারাজিরা প্রতিপক্ষ হয়ে চোখ রাঙায়!
পালক খসে পড়া আহত একটি পাখি
আকাশে শেষ ক’টা চক্কর দিতে না দিতে আঁচড়ে পড়ে
আঘাত লাগে পাঁজরে…
সে জানে না
আর কোন দিন উড়তে পারবে কি-না!
অন্তত একটি উড়াল-
মরু ছেড়ে কোন অরণ্যে
যেখানে-পৌঁছাতে পারলে জেগে উঠবে বাঁচার সম্ভাবনা!…
দাউদুল ইসলাম
'কুণ্ডলীর ভাঁজে ভাঁজে নির্জনতার দহন;
ক্ষুধার্ত শকুনের নিরন্তর ছুটোছুটি, বাতাসের হুংকার
ধূলির আস্তরণে বিবর্ণ গোধূলি- তাম্র তৃষ্ণ বিকাল।'
অসাধারণ তিনটি চরণ। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় সম্ভব এমন সৃষ্টির নেপথ্য উৎসাহ। অভিনন্দন স্যার।
সৃষ্টির এই নেপথ্যে এই উৎসাহে আপনার ভূমিকাও কম নয় স্যার।
বিনম্র সালাম ও শুভেচ্ছা
সালাম এর প্রত্যুত্তর এবং ভালোবাসা আপনার জন্য স্যার।