অবীক্ষন

ডুবে যাওয়া পরুষ টি ফিরে আসেনি
মহাকালের গর্ভে লীন হওয়া এক মলিন রাত থেকে
দীঘল কালো চুলের গন্ধ মাখা রমণীয়া রাত, স্রোতস্বিনী
নদীর কলকল ধ্বনি, সোঁদা রহস্যময়ী শরীর বাঁকে যে ডুবেছিলো
সে আর পুনোর্বার আসেনি ফিরে; তাকে আর কখন কোথাও যায় নি দেখা
আমাকে অনেকেই জিজ্ঞেস করে, খবর জানতে চায় তার-
রেখে যাওয়া কবিতার খাতা, সন্ধ্যা পূজার আসরে ধূপছায়ার নীরব স্রোতা;
অনেকেই জানতে চায় কোথায় সে?
আমি বরাবরই নিরুত্তর থেকেছি, শুধু নির্লিপ্ত চোখে চেয়ে থেকেছি আকাশের দিকে…
এ ছাড়া আমার তো কিছুই করার নাই! কারণ কেউ না দেখুক আমি ত দেখি-
চন্দ্র মল্লিকার প্রতিটি স্ফুটনে জোনাকির ঘুম, তপ্ত দহনে শৌর্যের চুম্বন
এখনো সে হাঁটছে হিজলের ছায়ায় শঙ্খ শালিকের পথ ধরে
উদাসী নয়নে ভাবনার পেখম মেলে এখনো সে খুঁজছে কবিতার চরণ!

তোমরা তো তাকে কখনোই দেখো নি
যদিও সে তোমাদের চোখের সামনে, দুয়ারে দুয়ারে ঘুরত সারাক্ষণ।

দা উ দু ল ই স লা ম

দাউদুল ইসলাম সম্পর্কে

সব সময় নিজেকে বলি- মানুষ হবি যদি- অন্ধকার ঘরে যখন একা থাকবি তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করে নিস তুই কতটা মানুষ। কতটা তোর সভ্যতা কতটা তোর ভদ্রতা! স্নান ঘরে যখন একা শাওয়ারের নিচে দাঁড়াস- তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করিস কত টা আছে তোর মনুষত্বের রুচি! জিজ্ঞেস করিস কতটা তুই ভদ্র, সভ্য!

4 thoughts on “অবীক্ষন

  1. 'দীঘল কালো চুলের গন্ধ মাখা রমণীয়া রাত, স্রোতস্বিনী
    নদীর কলকল ধ্বনি।' ___ অসাধারণ প্রিয় স্যার। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

  2. বেশ ভাল লিখেছেন কবি দা। পছন্দ করি আপনার লেখা। শুভেচ্ছা নিন।

    1. আপনাকে লিখায় পেলে খুব খুশি হই, প্রেরণা পাই

      আশির্বাদ কামনাপূর্বক
      —- আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালবাসা রইলো প্রিয় শ্রদ্ধেয়া দিদি।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।