সিদ্ধহস্ত

সিদ্ধহস্ত

এত সব ঘটনা দুর্ঘটনার পর ও
আমি পারিনি তোমাকে পেছনে ফেলে আসতে, তুমিও
যেন অক্ষম এগিয়ে যেতে… যদিও আমাকে ফেলে গেছ
সেই কবেকার আস্তাকুঁড়ে! নিত্য দিনের নির্মম পরিহাসে
চেতনার মর্মে বিক্ষুব্ধ আঘাত, কটাক্ষের অহোদিন সস্তা মদে
দম বন্ধ হতে হতে ফের বেঁচে উঠার যুদ্ধ!
তুমি বরাবরই বিজেতা, আমি দ্বিধা সংকোচ ছেড়ে
তাতেই বাহবা দিই ভাঁড়ের মত সিদ্ধহস্তে; সত্তা জুড়ে
অসহ কষ্টকর দহন, এ নিয়েও তোমার তীক্ষ্ণ বিদ্রূপ
বিদ্ধ হয় বিষযুক্ত তীরের মতন!
আমি পুনর্বার উঠে দাঁড়াই
মোহমুক্তি আর মৃত্যুর ভেতর দিয়ে নিষ্পাপ স্বপ্ন কুড়াই।

তুমি বুজতে- তোমার বিমলানন্দ উপভোগেই আমার সুখ!
বাকযুদ্ধে কিংবা আমাদের দীর্ঘ কথোপকথনের রাতে-
কান্না বিজড়িত প্রতিটি নৈবেদ্যের গূঢ়ার্থই ছিল তোমার ‘তৃপ্তি’
দুর্গম স্মৃতির মত বহুদূর হেটে আসা পথের ফিরিস্তি, নিভৃতের
আমাকে করে রাখত -ক্ষুধার্ত, তৃষ্ণার্ত… বিধ্বস্ত
কিন্তু দৃশ্যত কিছুই পেতে না তুমি!
সেই আমাকে
ছেড়ে গেছ অসম্ভব এক গোলকধাঁধার ভেতর…
যেখানে জীবন নিরন্তর খুঁজে চলে জীবনের অর্থ!

দাউদুল ইসলাম সম্পর্কে

সব সময় নিজেকে বলি- মানুষ হবি যদি- অন্ধকার ঘরে যখন একা থাকবি তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করে নিস তুই কতটা মানুষ। কতটা তোর সভ্যতা কতটা তোর ভদ্রতা! স্নান ঘরে যখন একা শাওয়ারের নিচে দাঁড়াস- তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করিস কত টা আছে তোর মনুষত্বের রুচি! জিজ্ঞেস করিস কতটা তুই ভদ্র, সভ্য!

2 thoughts on “সিদ্ধহস্ত

  1. লিখায় যে লিখক মনের অভিমান অতি যত্নে আর উপমায় অসম্ভব তুলে এনেছেন স্যার। সম্মান জানাই আপনাকে এবং আপনার সৃষ্টিকে। শুভ সকাল। ভালো থাকবেন।

  2. আপনার লেখা আমার সব সময় ভাল লাগে কবি দা। নমষ্কার।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।