ছায়ার গর্ভে সমাধিত সব

ছায়া এক অবিচ্ছেদ্য স্বত্তা
জীবনের সাথে সাথে ছায়ারা বেড়ে চলে
জীবন ঘুমালে ছায়ারাও ঘুমায়, আসলে
ছায়ারা বেঁচে থাকে আলো নির্ভরতায়;
তা না হলে ভীত ঢর ফোকের মত
অন্ধকারে নিজেকে গায়েব করে রাখত না।
জলে ও ছায়া পড়ে
যত স্বচ্ছ জল তত স্বচ্ছ ছায়া
অথচ, টলমল জল তরঙ্গ তা ভেঙ্গে যায়
নীরব এক শোকের মধ্যে,নির্মম রহস্যবোধের সঙ্গে
ভেঙ্গে যায় আপন ছায়াছবি;
তখনো অঙ্গে আলোক রশ্মির তেজ্বক্রিয়া, ফিন ফিনে
বাতাসে উড়ে যায় আবেগের দুর্মর ঘোড়া
ছায়ারা এর কিছুই জানে না; নির্জীব জল তরঙ্গে
ভেসে আসে উন্মত্ত শামুকের ফেনিল সঙ্গম!
অনতি দূরে বৃক্ষের ছায়ার লুটিয়ে পড়া জীবন
যেখানে আপন ছায়ার কোন অস্তিত্ব নাই ।
বিপন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ, উসকো খুসকো চুল, অশ্রুর ধারা
ছায়ার গর্ভে সমাধিত সব!
দ্বিতীয় কোন দর্পণ নাই যেখানে দেখব নিজের স্বরূপ।

দা উ দু ল ই স লা ম।

দাউদুল ইসলাম সম্পর্কে

সব সময় নিজেকে বলি- মানুষ হবি যদি- অন্ধকার ঘরে যখন একা থাকবি তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করে নিস তুই কতটা মানুষ। কতটা তোর সভ্যতা কতটা তোর ভদ্রতা! স্নান ঘরে যখন একা শাওয়ারের নিচে দাঁড়াস- তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করিস কত টা আছে তোর মনুষত্বের রুচি! জিজ্ঞেস করিস কতটা তুই ভদ্র, সভ্য!

2 thoughts on “ছায়ার গর্ভে সমাধিত সব

  1. 'নির্জীব জল তরঙ্গে ভেসে আসে উন্মত্ত শামুকের ফেনিল সঙ্গম!'

    অসাধারণ সব উপমায় পূর্ণ এই লিখা। সশ্রদ্ধ সম্মানে অভিনন্দন প্রিয় স্যার। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

  2. লেখা ভাল লাগলো কবি দা। শুভেচ্ছা জানুন।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।