সহস্র বছরের অন্ধকারকে বিতাড়িত করা যায় শুধু মাত্র একটু খানি মুচকি হাসি দিয়েই

26275

যুগে যুগে কালে কালে পৃথিবীর সব জনপদে মানুষদের মধ্য থেকে স্রষ্টা তার প্রতিনিধি নির্বাচন করেছেন।
সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য-
মহা মানবেরা নিজের জীবন যৌবন বিসর্জন দিয়ে এক একটি জনপদকে আলোকিত করে গেছেন।
সত্যের লড়াই করতে কেউ কোন দিন পিছ পা হন নি।
প্রাণ দিয়েছেন কখনো ঈমানের বরখেলাপ করেন নি।
যখন যেখানে যেই প্রতিনিধি প্রতিনিধিত্ব করেছেন তখন সেখানে বাঁধার মুখে পড়েছেন। কিন্তু স্রষ্টা মহান।
তিনি যাকে সন্মানিত করতে চান তাকে কখনো কেউ অপমান করতে পারে না। পারেনি কোন দিন।

বিশ্বাস, ঈমান, চেতনা, ভালোবাসা
শব্দ গুলো কেবল শব্দ নয়, এক একটি শব্দ এক একটি বিশ্ব কোষ, অথবা আরো অধিক কিছু।
অবিশ্বাসীরা সব সময় দৌরাত্ম দেখিয়েছে, দাম্ভিকতা দেখিয়েছে
বিশ্বাসীদের উপর অবিশ্বাসীদের জুলুম চিরকাল ছিলো, আজো আছে; আগামীতেও থাকবে।
কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন অবিশ্বাসের জয় দেখেনি কেউ, কোন দিন দেখবেও না কেউ।

“বিশ্বাস এর শক্তি অসীম
ঈমানের তেজ অনির্বাণ
চেতনার শেকড় চিরন্তন
ভালোবাসার বিজয় অনিবার্য”

আমাদের এই তথা গত আধুনিক যুগে এসবের অস্তিত্ব বিলুপ্ত প্রায়, এইটা সাধারণ চোখে।
কিন্তু যারা অসাধারণ
যারা অনন্য, সত্যের অকুতোভয় তারা এসবের লালন করে আসছেন, করে যাবেন।

সাধারণ চোখ এসব দেখতে পায় নি কোন দিন।
বরং মন গড়া কাল্পনিক মিথ্যাকে শক্তি দিয়েছেন নিজেদের অর্থ বিত্ত খ্যাতি আর অহমিকার আস্তরণে,
সাধারণ মন কোন দিন চেতনার সেই অবস্থানে পৌছায় না, কারণ-
সে বিশ্বাস কে দেখে অবিশ্বাসের চোখে
সে কখনো বুঝতে পারে না, যা কিছু চেতনায় যা কিছু হৃদয়ে, তাহাই সত্য, তাহাই ঈমান, তাহাই ভালোবাসা।

দুর্ভাগ্য আমাদের!
আমরা কল্পনাকে লালন করি কিন্তু বিশ্বাস করি না
ভালোবাসি কিন্তু বুঝি না;
আমাদের দুর্ভাগ্য
পৃথিবী আমাদের হাতের মুঠোয় কিন্তু আমরা এখনো সত্যের সন্ধান পাইনি।
আমাদের দুর্ভাগ্য
আমরা বুকে তুলে নিতে পারি অথচ মনের এক কোনে তাকে জায়গা দিতে পারি না!

চাওয়া পাওয়ার হিসাব নিকেশ করতে করতে আমরা আসলে কি চাই সেটাই ভুলে যাই।
জীবনের জন্য লড়তে লড়তে ভুলে যাই জীবন কে উপভোগ করার কথা!
যেন জন্ম জন্মান্তরের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছি
ঘুরে ফিরে সেই একি গর্তে ডুবে থাকছি!
অথচ –
বিশ্বাসের পথ এত সহজ সরল যে সহস্র আলোক বর্ষের দূরত্বকে এক ফলকে নাগালে পাওয়া সম্ভব।
ভালোবাসার শক্তি ভালোবাসার অনুরণন এমন যে-
সহস্র বছরের অন্ধকারকে বিতাড়িত করা যায় শুধু মাত্র একটু খানি মুচকি হাসি দিয়েই।

দাউদুল ইসলাম সম্পর্কে

সব সময় নিজেকে বলি- মানুষ হবি যদি- অন্ধকার ঘরে যখন একা থাকবি তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করে নিস তুই কতটা মানুষ। কতটা তোর সভ্যতা কতটা তোর ভদ্রতা! স্নান ঘরে যখন একা শাওয়ারের নিচে দাঁড়াস- তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করিস কত টা আছে তোর মনুষত্বের রুচি! জিজ্ঞেস করিস কতটা তুই ভদ্র, সভ্য!

4 thoughts on “সহস্র বছরের অন্ধকারকে বিতাড়িত করা যায় শুধু মাত্র একটু খানি মুচকি হাসি দিয়েই

  1. "বিশ্বাস, ঈমান, চেতনা, ভালোবাসা শব্দ গুলো কেবল শব্দ নয়, এক একটি শব্দ এক একটি বিশ্ব কোষ, অথবা আরো অধিক কিছু।" ___ মহা সত্য বলেছেন স্যার। সালাম।

  2. এক নিঃশ্বাসে যেন পড়ে নিলাম পুরো কবিতা। শুভেচ্ছা নিন কবি দা।

  3. সত্য চির সত্য। মন্তব্য করার ক্ষমতা নেই। তবুও বলছি যে আপনার লেখার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করছি। চিরসুখী হউন।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।