দেয়ালের শরীরে শরীর বেঁধে দিব্যি গজিয়েছে শ্যাওলার জীবন। খুঁজে দেখিনি
কোন খেয়ালে বশ মেনে ছিলো মন, কোমল স্পর্শের মতন ছুঁইয়ে ছিলাম
বাতায়নের পাশে দেয়াল ভেদ করে গজে উঠা আগাছার শ্যামল বদন!
জীর্ণ ছাদে, কার্নিশে নূতন পুরাতন অসংখ্য মাকড়সার জাল, হাওয়ার খোপে
উঁকি মারা সূর্যের কিরণ; মুচকি হেসে আমাকে প্রশ্ন করে- কোন আদরে
পড়ে আছি এমন নির্ব্যঞ্জন ঘরে?
কোন মায়ায় জুড়ে আছে হৃদয়, বৃক্ষের ছায়ায় না বসে-
কিসের বশে পেতেছি আসন অন্ধকার কায়ায়, শূন্যের আকরে!… শুকনো সন্ন্যাসে!
কোন ধ্যানে মজেছি
যখন যৌবন ফুটেছে টগবগে নীলকণ্ঠী ফুলে
কোন অভাবে পড়ে আছি ঘর কোনে, যখন মেঘেরা ভিড়ছে রমণীর সুবাসি চুলে;
যখন বৈশাখী ঝড়ে তাণ্ডব লীলা, তখন কোন খেয়ালে নিজেকে বেঁধে রেখেছি গহীন জঙ্গলে?
4 thoughts on “খেয়াল”
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
হাওয়ার খোপে উঁকি মারা সূর্যের কিরণ; মুচকি হেসে আমাকে প্রশ্ন করে-
কোন আদরে পড়ে আছি এমন নির্ব্যঞ্জন ঘরে? ___ অসামান্য কবিতা প্রিয় স্যার।
আপনার লিখার সৌন্দর্য্যই আলাদা কবি দাউদ ভাই।
চমৎকার কবিতা কবি দাউদ ভাই।
দারুণ কবিতা।