সুখোন্মোত্ত দহন

তুমি চির স্নিগ্ধা অপ্সরা
বর্ষা কিংবা গ্রীষ্মের ঘামে ভরা নাকের উপর
যখন খেলা করে সলাজ যৌবন, অধর বেয়ে
নেমে আসে গোলাপ জলের সুগন্ধি আবেদন;
স্নান পাঠ শেষে-কস্তূরীমৃগ নাভ গন্ধে
আজ যখন ফুটে ছিলে সদ্য স্ফুটিত নীলপদ্মের মতন
ঘুম কাতুর নয়ন আমার সয়েছিলো সুখোন্মোত্ত দহন!

স্নান জলে লেপ্টে থাকা গোলাপি গাউন ভেদ করে
পৌঁছে যায় আমার কামনার তীর, অদম্য শিশুর মতন
জেদ ধরে নস্টালজিক বাসনা; সুচালো বৃন্তের সুতীক্ষ্ণ চুম্বন
মুহূর্তেই ভাসিয়ে নিয়ে যার জীবনের সমগ্র ক্লেদ!

আমি বিশুদ্ধ নিঃশ্বাসে ভরে নিই বুক
আহ!
অমায়িক অমর্ত্য স্পন্দন! বিমোহিত সুখ!
উজ্জ্বল হয়ে উঠা ফুসফুসের এক একটি কোষ
এ যেন আজন্মের উদ্ভাস
সুদীর্ঘ জীবনের রণ জয়ী নির্যাস!

দাউদুল ইসলাম সম্পর্কে

সব সময় নিজেকে বলি- মানুষ হবি যদি- অন্ধকার ঘরে যখন একা থাকবি তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করে নিস তুই কতটা মানুষ। কতটা তোর সভ্যতা কতটা তোর ভদ্রতা! স্নান ঘরে যখন একা শাওয়ারের নিচে দাঁড়াস- তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করিস কত টা আছে তোর মনুষত্বের রুচি! জিজ্ঞেস করিস কতটা তুই ভদ্র, সভ্য!

3 thoughts on “সুখোন্মোত্ত দহন

  1. অসাধারণ কবিতা। অনেক অনেক শুভেচ্ছা কবি দাউদুল ইসলাম স্যার। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

  2. প্রেমময় আবেশের সুখের মাতাল দহন শেষে ক্লান্ত শ্রান্ত প্রান এক। অভিনন্দন কবি।       

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।