কালের মহীরুহ

সম্ভব অসম্ভব অনুভব গায়ে মেখে বৃক্ষটি আজ মহীরুহ
এক ডালে বৈষ্ণবী কীর্তন,আরেক ডালে সুতীক্ষ্ণ বিরহ।

কালে কালে আসে যায় বিচিত্র পাখীর বৈচিত্র্য কলরব
সকালের রোদ্দুরে হেসে যায় শিশির কণা, বিকালে মৌন ভৈরব।

উদাসী সন্ধ্যার বিবাগী অন্তরে হতাহত আশার সহস্র প্রদীপ জ্বলে
দেনা পাওনার হিসেব ভুলে স্বপ্নরা জেগে উঠে রাতের কৃষ্ণ অনলে।

লালিত বাসনা পদদলিত হয় বেগানা নর নরীর ভোগতৃষ্ণার ধকলে
নষ্ট আশার ভ্রষ্ট বুকে জীবন পতিত; ফণীমনসার বিষ চোবালে
দায়ে অদায়ে সব সয়ে যায় মহীরুহ, কিন্তু! বুঝতে পারেনা কেহ-

রাগ অনুরাগ ভাষা বুঝে বুঝে খুঁজে নেয় জীবনের অভিসার
খুঁজে নেয় স্বপ্ন-কণা, জ্যোৎস্না রাতের নিষিক্ত কুয়াশার চাদরে
চোখ বুজে বুকে গুঁজে নেয় হিমনীল কষ্ট; কবেকার দীর্ঘশ্বাস!
নিভৃত যতনে হিজলের বনে অমানিশার বিক্ষুব্ধ আর্তনাদ
একাকী মহীরুহ দেয় সান্ত্বনা, দেয় নির্মোহ আশাবাদ।

নিভৃত নির্জনে খুলে দেয় অন্তরীক্ষের সমস্ত কপাট
যুগের আশ্রয় হয়ে নির্বাক মহীরুহ বাড়িয়ে আছে হাত।

দাউদুল ইসলাম সম্পর্কে

সব সময় নিজেকে বলি- মানুষ হবি যদি- অন্ধকার ঘরে যখন একা থাকবি তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করে নিস তুই কতটা মানুষ। কতটা তোর সভ্যতা কতটা তোর ভদ্রতা! স্নান ঘরে যখন একা শাওয়ারের নিচে দাঁড়াস- তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করিস কত টা আছে তোর মনুষত্বের রুচি! জিজ্ঞেস করিস কতটা তুই ভদ্র, সভ্য!

4 thoughts on “কালের মহীরুহ

  1. শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কবিতাটি অসামান্য হয়েছে স্যার দাউদুল ইসলাম। শুভেচ্ছা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।